গাজীর নাটকীয় জয়ে নায়ক নাসুম
২৪ বলে চাই ২১ রান। হাতে বাকি তিন উইকেট। নিশ্চয়ই ব্যাটিং দলের পক্ষেই বাজির দর বেশি হবে এই সময়টায়। সেই হিসেব আরও কমলো শেষের দুই ওভারে। ১২ বলে চাই ১২ রান। কিন্তু তবুও পারল না ব্রাদার্স ইউনিয়ন। শেষে এসে গোলমেলে ব্যাটিংয়ে ম্যাচ হারল তারা। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ম্যাচ জিতল ৯ রানে।
শেষের বোলিংয়ে গাজীকে ম্যাচ জেতানোর নাসুম আহমেদ। ম্যাচের ৪৯ নম্বর ওভারে নাসুম আহমেদ মাত্র দুই রান খরচায় ব্রাদার্সের শেষের দুটি উইকেট তুলে নিয়ে দলকে জেতালেন। ম্যাচে সব মিলিয়ে ৪৯ রানে ৫ উইকেট পান বাঁহাতি এই স্পিনার।
সাভারের বিকেএসপির মাঠে গাজী গ্রুপের ২০৬ রান তাড়া করতে নামা ব্রাদার্স ইউনিয়ন যেভাবে সামনে বাড়ছিল ম্যাচের বেশিভাগ সময় নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই ছিল। কিন্তু শেষের হিসেবটাই মেলাতে পারল না ব্রাদার্স।
টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ২০৬ রানের মামুলি স্কোরে থেমে যায়। ওপেনার মেহেদি হাসান করেন ৪৮ রান। আর লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কামরান গোলামের ব্যাট থেকে আসে ১০১ বলে ৮১ রানের হাফসেঞ্চুরি। ম্যাচে ব্রাদার্সের সেরা বোলার সাজেদুল ইসলাম। ৫৪ রানে ৪ উইকেট পান তিনি।
ব্রাদার্সের ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকীর চলতি লিগ চমৎকার কাটছে। এই ম্যাচেও ঝলমলে ৭২ রান করেন তিনি। ফর্মে থাকা আরেক ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী খেলেন ৩৮ বলে ৩০ রানের ইনিংস। কিন্তু সামান্য রানের শেষের হিসেব মেলানোর মতো ব্যাটিং বাকিরা করতে পারলেন না। ৯ ম্যাচে সাতটিতে হার নিয়ে ব্রাদার্স পয়েন্টের একেবারে তলানিতে। আর সমান সংখ্যক ম্যাচে ৪ জয় ও ৫ হার নিয়ে গাজী গ্রুপ এখনো সুপার সিক্সে খেলার ক্ষীণ একটা স্বপ্ন দেখছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গাজী গ্রুপ: ২০৬/১০ (৪৯.৪ ওভারে- মেহেদি হাসান ৪৮, কামরান ৮১, সাজেদুল ৪/৫৪)।
ব্রাদার্স: ১৯৭/১০ (৪৮.৫ ওভারে- জুনায়েদ ৭২, ফজলে মাহমুদ ৩১, ইয়াসির ৩০, নাসুম ৫/৪৯, সানজিত সাহা ৩/৪৫)।
ফল: গাজী গ্রুপ ৯ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: নাসুম আহমেদ।