আশরাফুল জানালেন তার বিশ্বকাপ দল



এম. এম. কায়সার স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আশরাফুলের বিশ্বকাপ দলে ফরহাদ রেজা ও ইয়াসির আলী চৌধুরী

আশরাফুলের বিশ্বকাপ দলে ফরহাদ রেজা ও ইয়াসির আলী চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

তিনটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। বিশ্বকাপে দু’বার ম্যাচ সেরা হয়েছেন। বড় আসরে বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ব্যাট হাতে পারফর্ম করার রেকর্ড যার, সেই মোহাম্মদ আশরাফুল, বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক এবারের বিশ্বকাপে তার সেরা ১৫ জনের নাম জানিয়েছেন বার্তা২৪.কমের কাছে-

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে কারা সুযোগ পাচ্ছেন সেটা মোটামুটি সবারই জানা। সবাই মুখচেনা। অনেক অভিজ্ঞ। লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলছেন। ১৫ জনের দলে কারা থাকছেন তেমন ১৩ জনের নাম অন্তত সবাই বলতে পারবেন। যে দুজন বাকি থাকছেন, সেই শূন্যস্থান পূরণে সম্ভাব্য বেশ কয়েকজন তালিকায় রয়েছে।

সেই দুজন কে হতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে হয়তো ভিন্নমত থাকতেই পারে। সবাই হয়তো নিজস্ব ক্রিকেটীয় যুক্তি দিয়েই দল গড়ার চেষ্টা করবেন। সেই যুক্তির নিরিখেই চিন্তা করেই আমি আমার বিশ্বকাপের ১৫ জনের তালিকায় রেখেছি ফরহাদ রেজা ও ইয়াসির আলী চৌধুরীকে।

-কেন এই দুজন? সেই ব্যাখায় একটু পরে আসছি। আর আগে জানাই এবারের বিশ্বকাপে আমার টিমের কম্বিনেশন কেমন হবে। সহজ হিসেব, ১৫ জনের দলে ব্যাটসম্যান নয়জন। বোলার বাকি ছয়জন। আর স্ট্যান্ডবাই তালিকায় সুনির্দিষ্ট দু’চারজনকে নয়। আমি অনেককেই স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখতে চাই।

নয়জন ব্যাটসম্যানের কোটায় কারা থাকছেন সেটা প্রায় সবার মুখস্থ। আমি নিশ্চিত আমার এই তালিকার সঙ্গে খুব বেশি কেউ দ্বিমত হবেন না।

ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল অটোমেটিক চয়েজ। সঙ্গে লিটন দাস। দলের তৃতীয় ওপেনার সৌম্য সরকার। ব্যাটিং কোটায় বাকিরা হলেন সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান ও ইয়াসির আলী চৌধুরী। সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে আমরা অলরাউন্ডারের বাড়তি সুবিধাটা পাচ্ছি।

যেহেতু ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলা। তাই বোলিং বিভাগে পেস বোলারদের সংখ্যাই বেশি থাকবে। মাশরাফি বিন মতুর্জা, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদি হাসান মিরাজ এবং ফরহাদ রেজা-এই ছয় বোলার থাকছে আমার বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে।

-প্রশ্ন উঠতে পারে, নয়জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে আমি কেন ইয়াসির আলীকে বেছে নিলাম?

আমার উত্তর-মিডলঅর্ডার ও লোয়ার মিডলঅর্ডারে খুবই ভাল পারফর্মার ইয়াসির আলী। ব্যাট হাতে সাম্প্রতিক সময়ের প্রায় সব ক’টা টুর্নামেন্ট এবং লিগে প্রতিভার পরিচয় দিয়েছে সে। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে পাকিস্তান সফরেও ভাল পারফর্ম করেছে। যখন একজন ক্রিকেটার এমন ফর্মে থাকে তখন জাতীয় দলে খেলাটা সে ডিজার্ভ করে। তাছাড়া দলে তার জায়গায় অন্য যাদেরকে ভাবা হচ্ছে বা সম্ভাব্য যাদের নাম আমরা শুনছি বা মিডিয়ায় দেখছি তারা কেউ কিন্তু অমনভাবে পারফর্ম করতে পারছে না। আর ঠিক তখনই ইয়াসির আলী ব্যাট হাতে খুবই ধারাবাহিক।

-কেউ হয়তো যুক্তি তুলতে পারেন ইয়াসির আলীর তো কোন আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা নেই। বিশ্বকাপের মতো এতো বড় আসরে হঠাৎ করে এমন নতুন কাউকে সুযোগ দেয়াটা কি ঠিক হবে?

আমার উত্তর-আপনি যদি কাউকে দলেই না নেন, তাহলে তার নতুনত্ব কাটবে কিভাবে? তাছাড়া ওতো আর একেবারে বাচ্চা ছেলে না! লম্বা সময় ধরে ক্রিকেট খেলছে। টগবগে তরুণ। বড় পর্যায়ের ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করার একটা ক্ষিদে আছে তার ব্যাটে। একটু মনে করিয়ে দেই-আমি যখন নিজের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করি তখন আমার বয়স ছিলো ১৭ বছর!

-বোলার হিসেবে আমার বিশ্বকাপ দলে সম্ভাব্য তাসকিন আহমেদ বা শফিউল ইসলামের জায়গায় ফরহাদ রেজা কেন?

এবারো আমার উত্তর-ফর্ম। হয়তো তাসকিন ও শফিউল গতির বিচারে একটু এগিয়ে। কিন্তু সার্বিক পারফরমেন্সের কথা যদি বিবেচনায় আনা হয় তবে ফরহাজ রেজা অনেক বেশি এগিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফরহাদ রেজার জন্য নতুন কোন জায়গা নয়। তাসকিন এখনো পুরোপুরি ফিট না। আর শফিউলের পারফরমেন্সও তেমন বড় কিছু নয়। এবারের বিশ্বকাপে আমাদের শুরুতে খেলতে হবে ৯টা ম্যাচ। টানা সব ম্যাচেই যে সবাই ভাল করবে, তা কিন্তু নয়। তাই সাইফুদ্দিনের যখন বাজে সময় যাবে তখন একাদশে ফরহাদ রেজা হতে পারে অধিনায়কের সেরা পছন্দ। সব ফরমেটের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়টা ফরহাদ রেজার চমৎকার কাটছে। ঢাকা লিগে তো ব্যাটে-বলে সেরা সময় পার করছে সে। অভিজ্ঞতা-ফর্ম সবমিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় ফরহাদ রেজা নিজের খেলাটা বুঝতে পেরেছে এখন।

আমার বিশ্বকাপ দল: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদি হাসান মিরাজ ও ফরহাদ রেজা।

   

স্লটের জন্য শতকোটি টাকারও বেশি খসাতে হবে লিভারপুলকে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাবি আলোনসো বায়ার লেভারকুজেনকে লিগ জিতিয়ে সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। স্পোর্টিং লিসবনের রুবেন আমোরিমকে চায় ওয়েস্ট হ্যাম, লিভারপুলের সঙ্গে আপাতত তার কোনো আলোচনা চলছে না। তাই ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুলকে ইয়ুর্গেন ক্লপের উত্তরসূরি বেছে নিতে এখন চোখ রাখতে হচ্ছে নেদারল্যান্ডসে।

ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ডের ম্যানেজার আরনে স্লটকে ক্লপের স্থলাভিষিক্ত করতে চায় লিভারপুল, এমন গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমে। ইতালিয়ান সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো জানিয়েছেন, লিভারপুলের সঙ্গে ইতিবাচক আলাপ হয়েছে স্লটের। লিভারপুল কোচের চাকরি নিয়ে বেশ আগ্রহী তিনি।

স্লটের সঙ্গে ফেয়েনুর্ডের বর্তমান চুক্তিতে কোনো রিলিজ ক্লজ নেই বলেও জানিয়েছেন রোমানো। তবে স্লটকে কোনো ক্লাব নিয়োগ দিতে চাইলে ফেয়েনুর্ড মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে। গত বছর আরেক ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম স্লটের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিল। তবে মোটা ক্ষতিপূরণের কথা শুনে তারা পিছিয়ে যায় এবং অস্ট্রেলিয়ান ম্যানেজার অ্যাঞ্জ পস্তেকগলুকে নিয়োগ দেয়।

ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল জানাচ্ছে, স্লটকে ছেড়ে দিতে প্রায় ১০ মিলিয়ন ইউরো বা বাংলাদেশ মুদ্রায় ১১৬ কোটি টাকা চাইতে পারে ফেয়েনুর্ড। স্লটকে পেতে চাইলে লিভারপুলকে এই বড় অঙ্কের অর্থ খসাতে হবে। উল্লেখ্য, ফেয়েনুর্ডের সঙ্গে ২০২৬ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে স্লটের।

;

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখাবে টফি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী দুই বছর আইসিসি আয়োজিত সব টুর্নামেন্ট ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলাদেশে সম্প্রচারের স্বত্ব পেয়েছে মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টফি। চলতি বছরের জুনে শুরু হতে যাওয়া ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু হবে তাদের আইসিসি ইভেন্ট সম্প্রচার।

জানা গেছে, টোটাল স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের (টিএসএম) সঙ্গে কৌশলগত চুক্তির মাধ্যমে টফি ২০২৫ সাল পর্যন্ত আইসিসি ইভেন্টে পুরুষদের ৭১টি ও নারীদের ৯৫টি ম্যাচ সম্প্রচারের স্বত্ব পেয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে আইসিসি পুরুষ ও নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪, আইসিসি পুরুষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ সহ আরও কিছু টুর্নামেন্টের খেলা সরাসরি সম্প্রচার করবে টফি। সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে দর্শকরা খেলা টফির অ্যাপে খেলা উপভোগ করতে পারবেন।

গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলালিংক ও টফির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।

;

বাংলাদেশ সফরের জিম্বাবুয়ে দলে অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে  



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করা অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্রান্ট ফ্লাওয়াদের নাম সবচেয়ে বেশি এলেও সেই তালিকায় আরও এক নাম অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল। ৯০-এর দশকে জিমাম্বুয়ে ক্রিকেট মাতিয়েচেন তারাই। সেই দলের ক্যাম্পবেলের ছেলেও আসতে চলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আসন্ন বাংলাদেশ সফরে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের দলে ডাক পেলেন জোনাথন ক্যাম্পবেল। 

পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটিকে সামনে রেখে আজ (বুধবার) ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করলো জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। সেই দলের একমাত্র আনক্যাপড ক্রিকেটার জোনাথনই। নেতৃত্বে থাকছেন দলটির সময়ের অন্যতম তারকা ক্রিকেটার সিকান্দার রাজা এবং এই সিরিজে কোচের ভূমিকায় থাকবেন স্টুয়ার্ট মাতসিকেনিয়েরি।

সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরের দল থেকে ১২ জনের মিলেছে এই দলে জায়গা। এছাড়া দলে ফিরেছেন তাদিওয়ানাশে মারুমনি এবং ফারাজ আকরাম। সিকান্দার রাজা, শন উইলিয়ামস, ক্রেইগ আরভিন, ব্লেসিং মুজারাবানিদের মিলিয়ে বেশ অভিজ্ঞ দল নিয়েই শান্ত-হৃদয়দের বিপক্ষে খেলতে আসছে জিম্বাবুয়ে। 

এদিকে জোনাথন ছিলেন সবশেষ আফ্রিকান গেমসে সোনাজয়ী জিম্বাবুয়ে ইমার্জিং দলে। সেখান থেকেই বিবেচিত হলেন জাতীয় দলে। টপ-অর্ডার ব্যাটার ছাড়াও নিয়মিত লেগ স্পিনার হিসেবেও কার্যকরী এই ২৬ বছর বয়সী ক্রিকেটার। 

আগামী ৩ মে শুরু হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। সেই ম্যাচ সহ সিরিজের পরের দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৫ ও ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। সিরিজের সেই দুই ম্যাচ মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে, ১০ ও ১২ মে। 

বাংলাদেশ সফরের জিম্বাবুয়ে দল: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, বেনেট ব্রায়ান, রায়ান বার্ল, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জংওয়ে, ক্লাইভ মাদান্দে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, আইনস্লে এন্ডলোভু, রিচার্ড এনগারাভা, শন উইলিয়ামস। 

;

হাল ছেড়ে দেয়ার আক্ষেপ পচেত্তিনোর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের তথাকথিত ‘বিগ সিক্স’-এর দুই দলের খেলা। যদিও ফর্ম আর ক্লাবের বর্তমান পারিপার্শ্বিকতার দিক দিয়ে আর্সেনাল-চেলসি এখন দুই মেরুতে। আর্সেনাল যেখানে লিগ শিরোপার দৌড়ে ম্যানচেস্টার সিটি আর লিভারপুলকে টক্কর করে দিচ্ছে, সেখানে চেলসি কোনো মতে লিগ টেবিলের প্রথমভাগে থাকার চেষ্টা করছে। গত রাতে লিগে এই দুই দলের খেলায় চেলসিকে ৫-০ গোল ধসিয়ে দিয়েছে আর্সেনাল।

খেলোয়াড়রা দ্বিতীয়ার্ধে হাল ছেড়ে দিয়েছেন বলে ম্যাচশেষে আক্ষেপ করেছেন চেলসি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো, ‘আমরা মাঝবিরতিতে কথা বলেছিলাম যে, এমন ম্যাচ আমরা এভাবে শুরু করতে পারি না। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা আবার বাজেভাবে শুরু করি। দুই গোল হজম করার পর দলের সবাই হাল ছেড়ে দেয়। এরপর তো আমরা ম্যাচেই ছিলাম না।’

আর্সেনালের সামনে এমন অসহায় আত্মসমর্পণে খেলোয়াড়দের চারিত্রিক দৃঢ়তা নিয়ে তার মনে প্রশ্ন জেগেছে কিনা এমন কথা নাকচ করে দিয়ে পচেত্তিনো বলেন, ‘না, এটা আসলে চারিত্রিক দৃঢ়তার বিষয় না। আমি ফুটবল খেলেছি, অনেক বড় বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার সময় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। আমি ম্যারাডোনা, বাতিস্তুতা, রোনালদিনহোদের সঙ্গে খেলেছি। মৌসুমের কোনো এক সময় যখন এমন কিছু হয়, তখন এই বড় মাপের খেলোয়াড়রাও হাল ছেড়ে দেয়।’

তবে মৌসুমের এই পর্যায়ে এসে চেলসির জন্য এমন হাল ছেড়ে দেয়ার মানে সমূহ বিপর্যয়। আর্সেনালের কাছে বড় হারের পর চেলসির পয়েন্ট এখন ৩২ ম্যাচে ৪৭, পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান নবম। আগামী মৌসুমে অন্তত ইউরোপা কনফারেন্স লিগে খেলতে হলেও তাদের পেছনে ফেলতে হবে সাতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং আটে থাকা ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে। ৩৪ ম্যাচ খেলা ওয়েস্ট হ্যামের পয়েন্ট এখন ৪৮ আর চেলসির সমান ৩২ ম্যাচ খেলে ম্যান ইউনাইটেডের প্রাপ্তি ৫০ পয়েন্ট।

;