অথচ স্মিথই হতেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ অধিনায়ক!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ট্রফি হাতে স্টিভেন স্মিথ / ছবি: সংগৃহীত

ট্রফি হাতে স্টিভেন স্মিথ / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চার বছর আগের কথা। ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ। মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার উৎসবের রাত। বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নিয়ে পুরো দলের পাগলপারা আনন্দ। অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক দুই হাতে ট্রফি উঁচিয়ে লাফালাফি করছেন। খানিক বাদে ট্রফিটা হাত বদল হয়ে এলো স্টিভেন স্মিথের কাছে। অনেকক্ষণ বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নিয়ে বুকের সঙ্গে জড়িয়েও ধরে রাখলেন স্মিথ।

গ্রুপ ছবি তোলার জন্য পুরো অস্ট্রেলীয় দল যখন চ্যাম্পিয়ন প্ল্যাকার্ডের সামনে ট্রফি নিয়ে বসেছে। সেই ছবিতেও একহাতে ট্রফি হাতে ধরেছেন স্টিভেন স্মিথ। ফাইনাল শেষে বিজয়ী অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ককে কাঁধে তুলে নেন ডেভিড ওয়ার্নার। কাছে দাঁড়ানো সেই দৃশ্য দেখে স্টিভেন স্মিথও ভাবছিলেন, অধিনায়ক হিসেবে হয়তো আমারও এমন সময় আসবে!

কিন্তু সময় আসার আগেই যে নিজ হাতেই সেই সময়কে ‘নষ্ট’ করলেন স্টিভেন স্মিথ! চার বছর আগে সেই বিশ্বকাপ জয়ের পর অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে স্টিভেন স্মিথকেই বেছে নেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সেই তখনই স্মিথকে জানিয়ে দেওয়া হয় চার বছর পরের বিশ্বকাপের দল সাজাও। অধিনায়ক তুমিই।

সেভাবেই নিজেকে এবং দলকে তৈরি করছিলেন স্মিথ। কিন্তু ২০১৮ সালের বল টেম্পারিংয়ের এক কুৎসিত ঘটনা বদলে দিলো তার ক্রিকেট ভাগ্যকে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করেন স্মিথ। শাস্তি হিসেবে আর্ন্তজাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে একবছরের জন্য তাকে এবং ডেডিভ ওয়ার্নারকে নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়কত্ব হারান স্মিথ। অস্ট্রেলিয়া দলের চুক্তি থেকেও বাদ পড়েন তিনি। ক্রিকেট ক্যারিয়ার তার হুমকির মুখে পড়ে। কষ্টের আগুনে পুড়ে একবছর পর ফের অস্ট্রেলিয়া দলে জায়গা পেয়েছেন স্মিথ। বিশ্বকাপ দলেও ফিরেছেন। কিন্তু সেই অধিনায়ক হিসেবে নয়। সাধারণ এক সদস্য হিসেবে।

ইংল্যান্ডের মাটিতে এবারের বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়া হট ফেভারিট। শেষবার ইংল্যান্ডের মাটি থেকে অস্ট্রেলিয়াই বিশ্বকাপ জিতে ফিরেছিল, সেই ১৯৯৯ সালে। হয়তো বা এবারও ফিরতে পারে। তবে চার বছর আগে দেখা স্মিথের সেই ‘অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক’ হয়ে বিশ্বকাপ ছোঁয়ার স্বপ্ন যে শেষ!

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) স্পোর্টস জাদুঘরে ক্রিকেট কর্নারের একটা অংশে গেলে সবাইকে খানিকক্ষণের জন্য হলেও থমকে যেতে হয়। ১৯৮৭ সালে তোলা সাদাকালো ছবিতে অ্যালান বোর্ডার বিশ্বকাপ ট্রফি দুই হাতে উঁচিয়ে হাসছেন বিজয়ীর হাসি। সেই ছবির পরের সারিতে স্টিভ ওয়াহ, রিকি পন্টিংয়ের বিশ্বকাপ উল্লাসের ছবিও ছিল। ২০১৫ সালের পর সেই সারিতে মাইকেল ক্লার্কও বসে গেছেন। তারা সবাই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন।

বলা হয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আর সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা প্রায় সমান। অধিনায়কত্বের সেই সন্মান স্টিভেন স্মিথ পেয়েছিলেন। কিন্তু ধরে রাখতে পারলেন কই?

কেপটাউন টেস্টের সেই ‘ভুল অ্যাডভেঞ্চার’ স্টিভেন স্মিথের অনেককিছুই কেড়ে নিলো!

   

শান্তর সেঞ্চুরিতে শিরোপার আরও কাছে আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শিরোপার আরও কাছে পৌঁছে গেল আবাহনী লিমিটেড। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১৭১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে আবাহনী। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস সমান ৩৩ রানে ফেরেন। তিনে নেমে সেঞ্চুরির দেখা পান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮৪ বলে ৮ চার এবং ৬ ছক্কায় ১০১ রান আসে তার ব্যাটে।

চার এবং পাঁচে নেমে ফিফটি করেন এনামুল হক বিজয় ও তাওহিদ হৃদয়। দ্রুতলয়ে ব্যাট চালিয়ে ৬৮ রান করেন এনামুল, হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। শেষদিকে ১৭ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৫০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৪৩ রান করে আবাহনী।

প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ পারভেজ জীবন।

জবাব দিতে গাজী গ্রুপ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। দলটির মিডল অর্ডার ব্যাটার সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। তবে আবাহনীর রানপাহাড় টপকানোর জন্য তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না। অন্য ব্যাটারদের গড়পড়তা পারফরম্যান্স ৩৫.১ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় গাজী।

আবাহনীর পক্ষে ৪৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন স্পিনার রাকিবুল হাসান। দুটি করে উইকেট যায় তানজিম হাসান সাকিব ও সৈকতের ঝুলিতে।

প্রথম পর্বে ১১ ম্যাচের সবকটিতে জয় পায় আবাহনী, এখন সুপার লিগেও দুই ম্যাচ জিতে শিরোপার সুবাস পাচ্ছে তারা।

 

;

ডার্বি হেরে ক্ষমা চাইলেন ক্লপ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে ছন্দ হারিয়েছে লিভারপুল। আতালান্তার কাছে হেরে শেষ হয়েছে তাদের ইউরোপা লিগ যাত্রা। এবার লিগ শিরোপার দৌড়েও হোঁচট খেয়েছে তারা। এভারটনের কাছে হেরে বসেছে তারা। শেষ তিন ম্যাচ দুই হারে লিগ শিরোপার দৌড়ে ম্যানচেস্টার সিটি এবং আর্সেনালের চেয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে তারা। এভারটনের কাছে হারের পর সমর্থকদের কাছে ‘ক্ষমা’ প্রার্থনা করেছেন ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ।

১৪ বছর পর এভারটনের মাঠ গুডিসন পার্কে হারের পর ক্লপ বলেন, ‘সমর্থকদের জন্য খারাপ লাগছে। আমি আসলেই এটার (এভারটনের বিপক্ষে হারের) জন্য দুঃখিত। আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’

লিগ শিরোপার দৌড়ে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল। গানারদের সমান ৩৪ ম্যাচ খেলে লিভারপুলের পয়েন্ট ৭৪। দুই ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার সিটির ঝুলিতে রয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ে হতাশায় মুষড়ে পড়েছেন ক্লপ, ‘আমি এখন ভালো কিছুই ভাবতে পারছি না। খুবই হতাশ। আমার ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট ভালো খেলতে পারিনি। এভারটন যেভাবে খেলতে চেয়েছে সেভাবেই ম্যাচটা সেভাবেই এগিয়েছে। তারা সেট-পিস থেকে দুটি গোল করেছে।’

হতাশা জেঁকে ধরলেও ক্লপের চোখ এখন ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে পরের ম্যাচের দিকে। সে ম্যাচ দিয়ে ছন্দে ফেরার প্রত্যয় ক্লপের কণ্ঠে, ‘আমাদের দ্রুত ছন্দে ফিরতে হবে। ওয়েস্ট হ্যামের এটা ভেবে হাত নিশপিশ করছে যে আমরা সেখানে এক পা নিয়ে খেলতে যাব, কিন্তু আমাদের চেষ্টা থাকবে যাতে নিজেদের সেরাটা দেখাতে পারি।’

;

‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে অবশ্যই খেলব’ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ না খেলে দেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব খেলবেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল)। খেললেও শুরুর দিকে থাকবেন না দলে। আর এতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাকিবকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে দুদিন আগে জিম্বাবুয়ের সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্পের জন্য ঘোষণা করা ১৭ সদস্যের দলেও নেই সাকিব। তবে কি আসলেই খেলছেন না সাকিব? বা ঠিক কয়টি ম্যাচ খেলবেন? সব প্রশ্নের উত্তর এবার দিলেন সাকিব নিজেই। জানালেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলার কথা এবং জানালেন কয়টি ম্যাচে খেলবেন। 

সাকিব এই মুহূর্তে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই এক অনুষ্ঠানে সব খোলাসা করে জানান দেশের সাবেক এই অধিনায়ক। 

সেই অনুষ্ঠানে জিম্বাবুয়ে সিরিজ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে অবশ্যই খেলব। দেশে হয়তো এ নিয়ে একটা কনফিউশন চলছে...আসলে অধিনায়ক ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছে দুটো না তিনটা ম্যাচ খেলো, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আমি বলেছি সমস্যা নেই।’

সেখানে সিরিজের শুরু দিকে কেন থাকছেন না এ নিয়েও কথা বলেন সাকিব। ‘আসলে এইগুলো আলোচনার মাধ্যমেই হয়। আমার ইচ্ছেমত না। যেহেতু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুটি ম্যাচ থাকবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচ খেলার আগে। সেহেতু দুইটা ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে। এছাড়া প্রস্তুতিটাও ভালো হবে। সে কারণে আসলে এই ম্যাচ দুইটা খেলা।’

উল্লেখ্য, আগামী ৩ মে থেকে শুরু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি। সেই ম্যাচ সহ সিরিজের পরের দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৫ ও ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। সিরিজের সেই দুই ম্যাচ মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে, ১০ ও ১২ মে। 

;

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন তেভেজ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুকে তীব্র ব্যথা নিয়ে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলার কার্লোস তেভেজ। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গুরুতর কিছু ধরা না পড়ায় গতকালই তিনি ছাড়া পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। আপাতত বাসার ফিরে বিশ্রামে থাকবেন ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলার। 

বুকের ব্যথা তীব্র রূপ নিলে তেভেজকে ভর্তি করানো হয় আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসের কাছে সান ইসিন্দ্রোর একটি ক্লিনিকে। বিষয়টি গতকাল জানা যায় আর্জেন্টাইন শীর্ষ বিভাগের ক্লাব ইন্দিপেন্দিয়েন্তের এক বিবৃতিতে। এবার নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে তারাই জানায় তেভেজের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি। 

সেই পোস্টে ক্লাব ইন্দিপেন্দিয়েন্ত জানায়, কার্লোস তেভেজের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে তাকে হাসপাতাল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাসায় ফিরে তিনি বিশ্রাম নেবেন এবং আগামীকাল ফিরবেন অনুশীলনে।’

তবে ঠিক কী কারণে বুকে এই ব্যথা অনুভব করেছেন তেভেজ সেই সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। 

গত বছরের আগস্টে আর্জেন্টিনার এই ক্লাবটির কোচ হয়ে আসেন তেভেজ। ক্লাবটির সঙ্গে তেভেজের চুক্তি ২০২৬ সাল পর্যন্ত। কোচিং ক্যারিয়ারটা অবশ্য আরও আগেই শুরু হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিতি, জুভেন্টাস ও বোকা জুনিয়র্সের সাবেক এই তারকা ফুটবলারের। ২০২১ সালে খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর ২০২২ সালে রোজারিও সেন্ট্রালের কোচে দায়িত্ব নিয়ে নিজের ম্যানেজেরিয়াল ক্যারিয়ার শুরু করেন তেভেজ। 

;