ফাইনালের দুঃখ ঘুচিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ট্রফি নিয়ে আনন্দে মেতেছে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দল- ছবি: বিসিবি

ট্রফি নিয়ে আনন্দে মেতেছে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দল- ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

এতদিন ফাইনাল ছিলো বাংলাদেশের দুঃখ। লম্বা সময় ধরে রাখা সেই দুঃখ অবশেষে ভুললো বাংলাদেশ। ফাইনাল জিতলো বাংলাদেশ পাঁচ উইকেটে। হলো চ্যাম্পিয়ন। আয়ারল্যান্ডে তিনজাতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন। শেষ ১৮ বলে বাংলাদেশের জয়ের টার্গেট দাড়ায় ২৭ রান। স্পিনার অ্যালেনের করা সেই ওভারে মোসাদ্দেক হোসেন যা করার সব একাই করে দিলেন। সবমিলিয়ে সেই ওভারে বাংলাদেশ পেলে ২৫ রান। এই ২৫ রানের সবগুলোই মোসাদ্দেকের! তিন ছক্কা ও বাউন্ডারিতে মোসাদ্দেক আদায় করলেন সেই ওভারে ২৫ রান। মাত্র ২০ বলে পেলেন হাফসেঞ্চুরি। আর তাতেই বাংলাদেশ জয়ের বন্দরে।

 শেষ ১২ বলে তখন ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের চাই মাত্র ২ রান। জয়ের শেষ বাউন্ডারিটাও পরের ওভারে এলো সিনিয়র ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে উড়ে! অন্যপ্রান্ত মোসাদ্দেক তখন বুম বুম ব্যাটসম্যান! মাত্র ২৪ বলে ৫ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৫২ রানের আগুনে ইনিংস তার।

একেই বলে ব্যাটিং দাপট। একেই বলে ক্লিনিক্যাল ফিনিশিং!

শুরুটা হলো যাকে বলে ধামাকা, তাই! পাঁচ ওভারের পাওয়ার প্লে’তে সত্যিকার অর্থেই ‘পাওয়ার’ দেখালো বাংলাদেশ। আরেকটু সুনির্দিষ্ট করে বললে- সৌম্য সরকার! প্রথম পাঁচ ওভারেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা কোনো ক্ষতি ছাড়াই ৫১ রান। শুরুর এই ৫১ রানের মধ্যে সৌম্যর একারই রান ৩৯! দলের রান রেট ১০ এর ওপর। মাত্র ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরি পেলেন সৌম্য। ৮ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়।

অন্যপ্রান্তে তখন তামিম ইকবাল বেশি খেলার সুযোগই পাচ্ছেন কই? ১৩ বলে ১৮ রান করে তামিম ফিরলে ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে তিনে এলেন সাব্বির রহমান। কিন্তু ভেতরে আসা বল পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে বিপদ বাড়ান সাব্বির। এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। বলটা লেগস্ট্যাম্প মিস করছিলো কিনা- সেই দাবি জানানোর উপায় যে নেই। এই সিরিজে ডিআরএস যে ছিলো না!

একই ওভারে তামিম ও সাব্বিরকে হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। তবে সেই সমস্য খুব একটা বুঝতে দিলো না সৌম্যের ব্যাট। মুশফিকের সঙ্গে জুটিতে সৌম্য রুখে দাড়ালেন। কিন্তু শুরুতে যে গতিতে রান তুলছিলেন তাতে কিছুটা রাশ টানলেন। হাফসেঞ্চুরির পর খেলা ১৪ বলে সৌম্যর রান মাত্র ১৬! শুরুর ঝড়ের সঙ্গে মাঝের এই গুটিয়ে যাওয়াটা ঠিক মানিয়ে উঠতে পারলেন না সৌম্য। রানরেট বাড়ানোর তাগিয়ে ভুল বলকে শট খেলার জন্য বেছে নিলেন। ৩ ছক্কা ৯ বাউন্ডারিতে ৪১ বলের তার ইনিংসটা শেষ হলো ৬৬ রানে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/18/1558121720719.jpg

 সৌম্য ফেরার পর মুশফিকের ব্যাট সাহস ছড়াচ্ছিলো। স্বপ্ন দেখাচ্ছিলো। কিন্তু আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটেলব্রো তাকে যে বলে এলবিডব্লিউ দিলেন তা দেখে মুশফিকের আফসোস করারই কথা। বলটা যে লেগস্ট্যাম্প মিস করছিলো নিশ্চিতভাবেই!

শেষ ৫৪ বলে জিততে চাই ৬৮ রান। হাতে জমা ৬ উইকেট। খুব কি কঠিন কোনো কাজ? কিন্তু সহজ বল জটিল ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে মোহাম্মদ মিঠুন ১৭ রানে আউট হয়ে দলের বিপদ যে বাড়িয়ে দিলেন। সোজা আসা বলে হঠাৎ তার মনে হলো রিভার্স সুইপ খেলি। বলের লাইন মিস করলেন। পরিস্কার এলবি।

 শেষের ব্যাটিংয়ের ভরসা হয়ে দাড়িয়ে তখন শুধু মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এই দুজনে শেষে যে ব্যাটিং করলেন সেটা বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক দিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মাত্র ৪৩ বলে এই দুজনের জুটি এলো ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৭০ রান।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। ওপেনিং জুটিতেই তারা ২০.১ ওভারে ১৩১ রান তোলার পর বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির সেই তোড়ে ম্যাচের প্রায় পাঁচ ঘন্টা সময় নষ্ট হয়। উভয় দলের জন্য ম্যাচের ওভার কমিয়ে আনা হয় ২৪ ওভারে। নির্ধারিত সেই ২৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ উইকেট তোলে ১৫১ রান। কিন্তু বৃষ্টি আইনের গিট্টুতে পড়া বাংলাদেশের জন্য ২৪ ওভারে ম্যাচ জয়ের টার্গেট দাড়ায় ২১০ রান।

যা পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ ৭ বল হাতে রেখেই। বহুজাতিক ক্রিকেটের ফাইনাল মানেই এতদিন ছিলো বাংলাদেশের জন্য হতাশা এবং কষ্টের অন্য নাম। ওয়ানডে এবং টি-টুয়েন্টি মিলিয়ে এর আগে ছয়টি ফাইনাল হেরেছিলো বাংলাদেশ। সপ্তমবারের ফাইনালে এসে কাটলো ফাইনালের গেঁরো!

জ্বি, এখন বুক ফুলিয়ে বলতেই পারেন-বাংলাদেশও ফাইনাল জেতে!

সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৫২/১ (২৪ ওভারে, হোপ ৭৪, আমব্রিস ৬৯*, ব্রাভো ৩*, মিরাজ ১/২২)।
বাংলাদেশ: ২১৩/৫ (২২.৫ ওভারে, তামিম ১৮, সৌম্য ৬৬, সাব্বির ০, মুশফিক ৩৬, মিঠুন ১৭, মাহমুদউল্লাহ ১৯, মোসাদ্দেক ৫২*, গ্যাব্রিয়েল ২/২৩, অ্যালেন ১/৩৭)।
ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
সিরিজ সেরা: শাই হোপ।

   

জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রাথমিক দলে নেই মুস্তাফিজ-সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়েকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ। তাদের বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। যা মাঠে গড়াবে আগামী ৩ মে থেকে। আর সেই সিরিজ সামনে রেখেই এবার ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। যেখানে জায়গা হয়নি দুই তারকা ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসানের।

চলমান আইপিএলে একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিয়মিত থাকছেন চেন্নাই সুপার কিংসের একাদশে। তাই এ নিয়ে গত বেশ কিছুদিন ধরেই হচ্ছে নানা আলোচনা। অনেকেই মত দিয়েছিলেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে না খেলে আইপিএলেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে। শেষ পর্যন্ত সে পথে হাঁটছে না বিসিবি। আগামী ১ মে পর্যন্ত তাকে এনওসি দিয়েছে বিসিবি। অর্থাৎ এরপর তাকে দেশে ফিরতে হবে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের আগে আগামী ২৬-২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রস্তুতি ক্যাম্প করবে বিসিবি। সেই ক্যাম্পের জন্যই ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। যেখানে রাখা হয়নি আইপিএলে ব্যস্ত সময় পার করা মুস্তাফিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাকিব আল হাসানকে। তবে পরবর্তীতে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা আছে তাদের।

বিসিবির ঘোষিত ১৭ সদস্যের এই দলে জায়গা হয়নি মেহেদী হাসান মিরাজের। লম্বা সময় পর দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। এছাড়াও দলে ডাকা হয়েছে ডিপিএলে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের আগে এরইমধ্যে বাংলাদেশের দলের কোচিং প্যানেলের সকল সদস্যরা দেশে এসেছেন। দলের নতুন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদও সোমবার বাংলাদেশে পা রেখেছেন।

বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, শেখ মেহেদি হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসেন ইমন, তানভীর ইসলাম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার।

;

ফেদেরারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন জোকোভিচ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লরিয়াস স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডসে বর্ষসেরা পুরুষ ক্রীড়াবিদের পুরস্কার জিতেছেন সার্বিয়ান টেনিস কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচ। পঞ্চমবার এই পুরস্কার জয়ের মাধ্যমে রজার ফেদেরারের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তিনি। এর আগে পাঁচবার বর্ষসেরা পুরুষ ক্রীড়াবিদের খেতাব জিতেছিলেন সুইস কিংবদন্তি ফেদেরার।

বর্ষসেরা নারী ক্রীড়াবিদের পুরস্কার পেয়েছেন স্প্যানিশ ফুটবলার আইতানা বোনমাতি। গত বছর স্পেনের নারী বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন এই ফুটবলার।

এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ সেনসেশন জুড বেলিংহ্যামের হাতে উঠেছে ব্রেকথ্রু অব দ্য ইয়ার বা সেরা নবীন তারকার সম্মান। সেরা প্রত্যাবর্তনের (কামব্যাক) পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন নারী জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস। শারীরিক প্রতিবন্ধী বিভাগে নেদারল্যান্ডসের হুইলচেয়ার টেনিস খেলোয়াড় ডিডা ডি গ্রুট হয়েছেন বর্ষসেরা। আর বছরের সেরা অ্যাকশন ক্রীড়াবিদের খেতাব জিতেছেন স্কেটবোর্ডার অ্যারিসা ট্রিউ। স্পেনের টেনিস কিংবদন্তি রাফায়েল নাদালের ফাউন্ডেশন জিতেছে স্পোর্ট ফর গুড অ্যাওয়ার্ড।

পঞ্চমবারের মতো বর্ষসেরার পুরস্কার হাতে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন জোকোভিচ, ‘পঞ্চমবার জিততে পেরে খুব সম্মানিত বোধ করছি। আমার ২০১২ সালের কথা মনে পড়ছে, ২৪ বছর বয়সে প্রথমবার জিতেছিলাম এই পুরস্কার। ১২ বছর পরও এখানে থাকতে পেরে আমি গর্বিত।’

২০১২ সালে প্রথম লরিয়াস বর্ষসেরা পুরুষ ক্রীড়াবিদের খেতাব পান জোকোভিচ। পরবর্তীতে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৯ সালেও এই সম্মান দেয়া হয় তাকে।

;

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে সিলেটে ভারতীয় নারী দল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে নারী টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর বসবে বাংলাদেশের মাটিতে। সেই লক্ষ্যে কদিন আগেই বাংলাদেশ সফর করে গেছে অস্ট্রেলিয়া নারী দল। এবার ভারতীয় নারী দলও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে চলে এসেছে বাংলাদেশের মাটিতে। মঙ্গলবার ভারত থেকে সরাসরি ম্যাচ ভেন্যু সিলেটে পা রেখেছে হারমানপ্রীত কৌরের দল। সেখানে ভারতীয় নারী দলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে বিসিবি।

এবারের সফরে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত। সফরের সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেটে। আগামী ২৮ এপ্রিল ১ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ভারতের বাংলাদেশ সফর।

এরপর দ্বিতীয় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ৩০ এপ্রিল। দু’টি ম্যাচই হবে দিবারাত্রির। যা মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। এরপর ২ ও ৬ মে সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দু’দল। ম্যাচগুলো হবে বেলা ২ টায়।

সিরিজের শেষ ম্যাচটি হবে দিবারাত্রির। সেই ম্যাচটিও মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা ৬টায়। ৯ মে সেই ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশ সফরের ইতি টানবে ভারতীয় মেয়েরা।

অবশ্য এর আগে, গত বছরের জুলাইয়েও বাংলাদেশ সফর করে গেছে ভারতের মেয়েরা। সেই সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। সফরে টি-টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে ভারত জয় পেলেও ১-১ তে ভাগ হয়েছে ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি।

ভারতের স্কোয়াড: হারমানপ্রীত কৌর (অধিনায়ক), স্মৃতি মান্দানা (সহ–অধিনায়ক), শেফালি বর্মা, দয়ালন হেমলতা, সাজানা সজীবন, রিচা ঘোষ (উইকেটকিপার), যষ্টিকা ভাটিয়া (উইকেটকিপার), রাধা যাদব, দীপ্তি শর্মা, পূজা বস্ত্রকর, আমানজোত কৌর, শ্রেয়াঙ্কা পাতিল, সাইকা ইসহাক, আশা সোভানা, রেনুকা সিং ও তিতাস সাধু।

;

মুস্তাফিজ চলে গেলে দুঃখ পাবেন হাসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি আসরে মুস্তাফিজুর রহমান চেন্নাই সুপার কিংসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বোলার। এখন পর্যন্ত দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার। শেষ কয়েক ম্যাচে কিছুটা খরুচে বোলিং করলেও এখন পর্যন্ত খেলা ৬ ম্যাচের কোনোটিতেই ছিলেন না উইকেটশুন্য। এমন একজন পেসার আইপিএলের মাঝপথে দেশে ফিরে গেলে কষ্ট পাবেন চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।

আগামী মে’তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। সে সিরিজে মুস্তাফিজকে চায় বিসিবি। তার ফিটনেস এবং ওয়ার্কলোড ব্যবস্থাপনার জন্য ১ মে পর্যন্ত তাকে আইপিএলে খেলার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

সে হিসেবে চেন্নাইয়ের জার্সিতে আর সর্বোচ্চ তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন মুস্তাফিজ। আজ (মঙ্গলবার) রাতে লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই। তার আগে গতকাল (সোমবার) ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মুস্তাফিজকে নিয়ে কথা বলেন হাসি, ‘মুস্তাফিজ দারুণ স্লোয়ার বল করতে পারে। চেন্নাইয়ে তার ওই বলটা খেলা খুবই কঠিন। সে যখন (বাংলাদেশে) ফিরে যাবে, তখন নিশ্চিতভাবেই আমরা কষ্ট পাব। তবে মুস্তাফিজকে তার দেশ ডাকছে। আমরা তাকে যতদিন সম্ভব ধরে রাখতে চাই। এখন পর্যন্ত তার পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিত।’

আইপিএলের চলতি আসরে ৬ ম্যাচ খেলে এরই মধ্যে ১১ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় মুস্তাফিজ এখন ৬ নম্বরে। উদ্বোধনী ম্যাচেই বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা হয়েছিলেন এই বাঁহাতি পেসার।

;