বাংলাদেশের জয়ে ‘এক্স’ ফ্যাক্টর মাশরাফি



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নতুন মিশনের সামনে মাশরাফি বিন মর্তুজা

নতুন মিশনের সামনে মাশরাফি বিন মর্তুজা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুটি প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ। সেরা অলরাউন্ডার ও সেরা অধিনায়ক কে? এই দুই প্রশ্নে ভোটাভুটি হলে নিশ্চিত থাকুক সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মতুর্জা যে ভোট পাবেন, রাজনীতিতে তাকে বলে ভূমিধস বিজয়!

তাদের এই জয় যে শুধুমাত্র আবেগের ছড়াছড়িতে তা কিন্তু নয়, ক্রিকেটীয় রেকর্ডই তাদের হয়ে কথা বলছে। তারা নিজেকে তৈরিই করেছেন অনেকের চেয়ে একটু ভিন্নতায়।

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির মেয়াদটা সবচেয়ে বেশি দীর্ঘ। অধিনায়ক হিসেবে শুরু করেছিলেন সেই ২০১০ সালে। মাঝে কিছুদিন ইনজুরির কারণে দলের বাইরে থাকায় সাকিব আল হাসান ও মুশফিক রহিম সেই দায়িত্বটা সামাল দিয়েছিলেন। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের আগে ভাগ থেকে দ্বিতীয় মেয়াদে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর থেকে এখনো মাশরাফি সেই সিংহাসনে। এই সময়কালে টি-টুয়েন্টি দলের অধিনায়কও মাশরাফিই ছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরের সময় হঠাৎ টি-টুয়েন্টি দল থেকে সরে দাড়ান। আর্ন্তজাতিক টি-টুয়েন্টিকে বিদায় জানান। ক্রিকেট বোর্ড অনেক সাধাসাধি করেও তার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেনি। তবে এবার বিশ্বকাপে যাবার আগে স্পষ্ঠ করেই মাশরাফি জানিয়ে দিয়েছেন-‘এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ।’

খেলাটাও এখানেই ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা সেটা এখনো চুড়ান্ত করেননি। খুব বেশি দুরের চিন্তা করার চেয়ে কাছের পরিকল্পনা সফল করতেই বেশি আনন্দ তার।

২০০১ সালের ৮ ডিসেম্বর ওয়ানডে দলে যখন মাশরাফির অভিষেক হয় তখন আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ নিয়মিত হারতো। এমনকি জিম্বাবুয়েও তখন চোখ রাঙাতো! খেলোয়াড়ি জীবনে ক্যারিয়ারের প্রথম ১২ ওয়ানডেতে টানা হার দেখেছেন মাশরাফি। ১৩ নম্বর ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পান। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে সেটা ছিলো তার খেলা ম্যাচে প্রথম জয়। তারিখটা ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর। প্রতিপক্ষ ভারত। ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম।

নিজের প্রথম জয়ের সেই ম্যাচে মাশরাফিই ব্যাটে-বলে সেরা পারফর্মার। ম্যাচ সেরা। অপরাজিত ৩১ রানের সঙ্গে ২ উইকেট। ভারতের বিপক্ষে ১৫ রানের জয়ে তার পারফর্মেন্সটাই সেরা। ১৩ নম্বর সংখ্যাকে সাধারণত অনেকেই ‘আনলাকি’ ভাবেন। কিন্তু নিজের সেই ১৩ নম্বর ম্যাচেই মাশরাফি বদলে দিলেন নিজের এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাগ্যকে।

সেসময় যে বাংলাদেশ শুধু টানা ম্যাচ হারতো। সেই গর্ত থেকে দলকে বের করে আনলো মাশরাফির পারফরমেন্স। ভারতকে হারানোর সেই ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশ পেলো ক্রিকেটের নতুন ‘এক্স ফ্যাক্টর’! বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সেটাই ভারতের বিপক্ষে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম জয়।

অবাক করা তথ্য হলো- ভারতকে হারানো বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয়েও নায়ক সেই একইজন; মাশরাফি। তিনবছর পরে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে মাশরাফিই ম্যাচ সেরা!

‘এক্স ফ্যাক্টরের’ আরো তালিকা খুঁজছেন? জানাচ্ছি।

বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৭৭টি আর্ন্তজাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি। জিতেছেনও বাংলাদেশের অধিনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৪টি ম্যাচ। জয়ের শতকরা রেকর্ড বাংলাদেশের অধিনায়কদের মধ্যে তারই সর্বোচ্চ ৫৮.৬৬!

পেছনের চার বছরে দেশ ও দেশের বাইরে মিলিয়ে ৯টি ওয়ানডে সিরিজ জয়। অধিনায়ক হিসেবে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলকে ওয়ানডে সিরিজে প্রথমবারের মতো হারানো। টানা দুই বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেয়া। পুরো দলকে বন্ধুর স্নেহে বাঁধেন, আবার অভিভাবকের মতো পাশে দাড়ান। দুই পায়ে সবমিলিয়ে ছয়টা অস্ত্রোপচার হয়েছে। তারপরও শুরুতে, নয়তো মাঝে অথবা ডেথ ওভারে-দলের যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে নিংড়ে দিতে চলে আসেন। এখনো যে কায়দায় ফিল্ডিং দেন, ঝাঁপিয়ে পড়ে মাটির ইঞ্চিখানেক ওপর থেকে একহাতে ক্যাচ ধরেন, পুরোটা সময় জুড়ে যে এনার্জি খরচ করেন, সেই দুরুন্তপনায় পুরোদুস্তর গ্রামের কিশোরের চঞ্চল বিচরণ যেন!

নড়াইলের মেঠোপথ, বন-বাদাড়, তরতরিয়ে ডাব গাছে উঠে পড়ার সেইসব দিন, চিত্রা নদীর ঢেউয়ে কুল পেরুনো সাঁতার-নিজের সব সুন্দর স্মৃতি, সব সাহসকে সঙ্গে করে ক্রিকেট মাঠে নামেন বলেই তো মাশরাফি যেমন জিতছেন ২২ গজের লড়াই, ঠিক তেমনি মানুষের মনও!

অধিনায়ক মাশরাফির মানেই তার কথায়, উপস্থিতিতে এবং পারফরমেন্সে পুরো দলের চনমনে চাঙা হয়ে উঠা। ঝিমিয়ে পড়া দলকে কিভাবে তাতিয়ে তুলতে হয়, দলের প্রত্যেকের ভেতর থেকে সেরা খেলাটা বের করে আনার তাগিদ জাগিয়ে তুলতে হয়- সেটা অধিনায়ক মাশরাফির চেয়ে বেশি আর কারো জানা নেই সম্ভবত।

কটা উদাহরণ।

শেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে লিটন দাস যখন হাফসেঞ্চুরি করলেন, ড্রেসিংরুমের দরজায় এসে দাড়িয়ে মাশরাফি ডানহাত বুকের সঙ্গে লাগিয়ে জানালেন-‘বুক চিতিয়ে খেলো!’ পরমুর্হূতে দুই হাত প্রশসারিত করে লিটনের দিকে ঈশারা করলেন-‘ইনিংস লম্বা করো’।

লিটন সেই ম্যাচে ইনিংসটা লম্বা করলেন, সেঞ্চুরি করলেন!

সবাই যখন সাব্বির রহমানের বিপক্ষে। তখনই তার কাঁধে অধিনায়কের হাত। অনেক সমালোচনা সত্তে¡ও তাকে দলে নিলেন অধিনায়ক। সেই সাব্বির নিউজিল্যান্ড সফরে ঠিকই ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ফিরলেন! সাত নম্বরে একজন মারকুটো ব্যাটসম্যান খোঁজার সমস্যা কাটলো।

ক্রিকেট মাঠে টিম ম্যানেজমেন্ট বলে একটা কথা আছে। সেই ম্যানেজমেন্টে মাশরাফি ওস্তাদ ক্রিকেটার।

বাংলাদেশের সাফল্য মানেই তাতে মাশরাফির কিছু না কিছু ভুমিকা অবশ্য থাকবে। এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটে মাশরাফি যেসব ম্যাচে তিন বা তারচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন, এমন ৩৩টি ম্যাচের ২২টিই বাংলাদেশ জিতেছে।

-কি ‘এক্স ফ্যাক্টর’ পেলেন তো!

   

লক্ষ্ণৌয়ের কাছে পাত্তাই পেল না মুস্তাফিজের চেন্নাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। চেন্নাইকে ১৭৬ রানে আটকে দিয়ে কুইন্টন ডি কক আর কেএল রাহুলের জোড়া ফিফটিতে এক ওভার এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

লক্ষ্ণৌয়ের একানা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য স্বাগতিকদের পক্ষে ছিল। টস জিতে আগে অতিথিদের ব্যাটিংয়ে পাঠান লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক কেএল রাহুল। আইপিএলের চলতি আসরে দুইশ রানকে মামুলি বানিয়ে ফেলেছে বেশ কয়েকটি দল। তবে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও তাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না চেন্নাই। আইপিএলে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসেও সে 'ম্যাজিক ফিগার' ছোঁয়া হয়নি তাদের।

রবীন্দ্র জাদেজার ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের সঙ্গে রাহানে (৩৬) আর মঈনের (৩০) ছোট দুটি ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় চেন্নাই। শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৯ বলে ২৮ রানের জাদুকরী ক্যামিও'র কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাতে ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৬।

লক্ষ্ণৌয়ের পক্ষে ৩ ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে মুস্তাফিজ-তুষারদের তুলোধুনো করে ওপেনিং জুটিতেই ডি কক-রাহুল মিলে তুলে ফেলেন ১৩৪ রান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজ যখন ডি কককে ধোনির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান, ম্যাচ তখন লক্ষ্ণৌয়ের করতলে। তাই তো সেই উইকেটের উদযাপনও তেমন হল না বললেই চলে। ফেরার আগে ৫৪ রান করে দিয়ে গেছেন ডি কক।

লক্ষ্ণৌকে জয়ের দোরগোড়ায় রেখে মাতিশা পাতিরানার বলে আউট হয়েছেন ৮২ রান করা লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক রাহুল। বাকি কাজটা নির্ঝঞ্ঝাটে সেরেছেন নিকোলাস পুরান (২৩*) ও মার্কাস স্টয়নিস (৮*)।

বল হাতে আরও একবার চেন্নাইয়ের সবচেয়ে খরুচে বোলার মুস্তাফিজ। একটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪৩ রান।

এই জয়ে লক্ষ্ণৌয়ের পয়েন্ট হয়েছে চেন্নাইয়ের সমান ৮। তবে নেট রানরেটের ব্যবধানে চেন্নাই এখন টেবিলের তিনে, আর লক্ষ্ণৌয়ের অবস্থান ৫ নম্বরে।

;

মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, পিছিয়ে থেকেও জয়ী আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘোষিত ফাইনাল! প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ কম ছিল না। ম্যাচের আগেই রাসেল মাহমুদ জিমির তিন হলুদ কার্ডে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গেছে। অন্তত মাঠের খেলা বিতর্ক মুক্ত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের খেলাতেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রইল বিতর্ক। তাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড আগেই শেষ হল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতল আবাহনী। এগিয়ে থেকেও শিরোপা হাতছাড়া মোহামেডানের।

মওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই গোল করে অনেকটা এগিয়ে যায় আবাহনী। তিন মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফ এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়ে যায় তারা।

এর মাঝে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান খেলোয়াড়দের বচসায় খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।

তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজসিকভাবে ম্যাচে ফেরে মোহামেডান। ফয়সাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। প্রথমে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল এবং পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আরও দুই গোল করে মোহামেডানকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন তিনি।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে যখন ঘড়ির কাটায় আর কেবল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি, তখন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ একপ্রকার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুই আম্পায়ার দীর্ঘ আলোচনার পর মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় মিজুন এবং আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান। আর মোহামেডানের সিয়াম, দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাইমউদ্দিনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে মোহামেডানের কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আম্পায়ারদের অনেক আলোচনা হয়। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামেনি তারা।  উপায়ান্তর না দেখে আম্পায়াররা শেষ বাঁশি বাজিয়ে এক কোয়ার্টার এবং আরেক কোয়ার্টারের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি থাকতেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।

২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়ে যায় আবাহনী। এতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট এখন আকাশি-হলুদদেরও। এখন এই দুই দলের মধ্যে প্লে-অফের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। আর যে মোহামেডানের এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করার কথা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা শিরোপার দৌড়েই আর নেই।

;

দারুণ প্রত্যাবর্তনে আবাহনীর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছে আবাহনী। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুই বিদেশির গোল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। আবু তোরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট নেন আব্দুল্লাহ। আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল ঝাঁপিয়ে পড়েও সে শট প্রতিহত করতে পারেননি।

২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। দলটির অধিনায়ক ইগর লেইতে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়।

মিনিট দুয়েক পরই এই মিসের মূল্য চুকাতে হয় শেখ জামালকে। বাম প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নেলিয়াসের শেখ জামালের শট শাখজদ শেমানভ ব্লক করলেও ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্দেস।

সমতায় ফেরার পর দাপট বাড়ে আবাহনীর। ৩৩ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান প্রথম গোলের নায়ক জোনাথান। কিন্তু শেখ জামাল গোলকিপারকে এক পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর কোনো ভুল করেনি আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে জোনাথানের থ্রু বল ধরে কর্নেলিয়াসের দিকে পাস বাড়ান ওয়াশিংটন। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেই কর্নেলিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আকাশি-হলদুরা।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। তবে হেরে যাওয়ার ফলে পাঁচে নেমে গেছে সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পয়েন্ট ১৭।

;

‘হকির স্বার্থে’ অঘোষিত ফাইনালে খেলছে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) আবাহনী-মোহামেডানের অঘোষিত ফাইনালের আগেও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। তিন হলুদ কার্ড দেখা মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরগরম হকির মাঠ।

জানা গেছে, কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে বাইলজ অনুযায়ী সেই দলকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার কথা তার দলকে ফেডারেশনের জানানোর কথা। তবে এক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন সেটা না করে বরং তিন হলুদ কার্ড দেখার পর জিমিকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে আজ তার মাঠে নামার সুযোগ নেই।

এই বিষয়টি নিয়েই মুখোমুখি অবস্থানে  চলে এসেছিল মোহামেডান এবং হকি ফেডারেশন। আজ আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উঠবে সাদাকালোদের হাতে। অথচ এমন একটা ম্যাচ তারা না খেলার হুমকি দিয়েছিল জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে।

শেহস পর্যন্ত অবশ্য তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ‘হকির স্বার্থে’ তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সঙ্গে এও জানিয়ে রেখেছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়তে পিছপা হবেন না তারা।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৫। অন্যদিকে আবাহনীর ৩৪ ও মেরিনার্সের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। মোহামেডানকে আবাহনী হারিয়ে দিলে মেরিনার্সের মতো তাদের পয়েন্টও হবে ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী তখন আবাহনী-মেরিনার্স প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে শিরোপা। মোহামেডানের জন্য হিসেব সহজ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান-আবাহনী ড্র করলে শিরোপা উৎসব করবে মেরিনার্স।

;