কান বন্ধ করেই নামবেন স্মিথ!
বল টেম্পারিংয়ের সেই কলঙ্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তার। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পেছনে ফেলে ফের জাতীয় দলে স্টিভেন স্মিথ। ব্যাট হাতে বেশ মানিয়েও নিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে পেয়েছেন শতরান। তারপরও সমালোচনা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। বিশেষ করে ইংলিশ দর্শকরা তার পেছনে লেগেই আছেন। সন্দেহ নেই গোটা বিশ্বকাপ জুড়েই সমালোচনা আর বিদ্রুপ সহ্য করতে হবে অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা ব্যাটসম্যানকে।
তবে স্টিভেন স্মিথও প্রস্তুত। কোন কিছুই নাকি প্রভাব ফেলতে পারবে না তার খেলায়। কারণ একটাই চোখ খোলা রেখে কান বন্ধ করে খেলে যাবেন তিনি। কোন সমালোচনাকেই পাত্তা দিতে নারাজ স্মিথ। জানিয়ে রাখালেন, ‘কে কেমন রকম আচরণ করবে, সেটা তাদের ব্যাপার। আমি এসব পাত্তা দিই না। কান বন্ধ করেই খেলে যাবো।’
শুরুতে গুঞ্জন ছিল অস্ট্রেলিয়ান সতীর্থরা এড়িয়ে চলছেন তাকে এবং বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হওয়া আরেক ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নারকে। কিন্তু এখন দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। খোদ স্মিথ জানিয়ে রেখেছেন, ‘সতীর্থরা শুরু থেকেই পাশে আছে আমাদের। মনেও হয়নি যে ড্রেসিংরুম থেকে দূরে ছিলাম আমরা। সবার সমর্থন নিয়েই মাঠে পারফরম করে যাবো। আর বল টেম্পারিংয়ের অধ্যায়টা আমি পুরো ব্যাপারটা মন থেকে মুছে ফেলেছি।’
নির্বাসনের সময়টা এখন মুধুই অতীত। ৩০ মে শুরু ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এখানেই ঝড় তুলতে তৈরি স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক জানাচ্ছিলেন, ‘নির্বাসনের একবছর আত্মবিশ্লেষণ আর সমাজসেবাতেই সময় কেটেছে। নিজেকে নিয়ে নতুন করে ভাবার ঢের সময় পেয়েছি। মনে হচ্ছে ক্রিকেটার হিসেবেও এখন আরো পরিণত হয়েছি আমি।’
২৯ বছর বয়সী স্মিথের পাশেই আছেন কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। জানালেন, ‘ফেরার জন্য মুখিয়ে ছিল ও। মাঝে চোট কিছুদিন ভুগিয়েছে। তবে এখন স্মিথ আর ওয়ার্নার দুজনই ফিট। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে দুজন আমার সেরা অস্ত্র। বিশ্বকাপে নির্ভার হয়ে ওদের খেলার পরামর্শটাই দিয়েছি আমি।’
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে ১ জুন। শুরুতেই প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।