ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর্চার যেভাবে ইংল্যান্ডের মূল অস্ত্র!
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে সকলেরই দৃষ্টি কেড়েছেন আর্চার। ইংল্যান্ড দলে কালো চিপচিপে গড়নের এই ফাস্ট বোলার৷ মাথায় বেণী করে চুল বাঁধা। লম্বা রান আপ নিয়ে এসে বল করেন৷
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের তুরুপের তাস হয়ে ওঠেন এই জোফরা আর্চার। অথচ এই গতিমানব এক সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে প্রতিপক্ষের ঘাম ঝড়িয়েছিলেন।
গল্পটা এরকম৷ আর্চারের বাবা একজন ইংলিশ এবং তার বৃটিশ পাসপোর্টই ছিল৷ তবে ২০২২ এর শীতের আগে সে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার উপযুক্ত ছিলেন না। কারন ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী ১৮ বছরের মধ্যে যদি কেউ ইংল্যান্ডে অবস্থান না করে তবে সে ইংল্যান্ডে বসবাস শুরু করার আরো ৭ বছর পর জাতীয় পরিসরে খেলার অনুমতি পাবেন।
১৯৯৪ সালে ১ এপ্রিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে জন্ম জোফরা আর্চারের। সেখানে নিজের নৈপুণ্য দিয়েই অনুর্ধ্ব ১৯ দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের হয়ে অলরাউন্ড পারফরমেন্স করেন। তবে এরপর ব্যাক ইনজুরিতে কিছুদিনের জন্য ক্রিকেট থেকে ছিটকে পড়েন এই তরুন৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট কাঠামো প্রশংসনীয় নয়। সেখানে হারিয়ে যেতে থাকেন আর্চার।
আর্চার ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতাশ হয়ে পড়ছিলেন। তখন তার আরেক বন্ধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বংশোদ্ভুত ইংলিশ ক্রিকেটার ক্রিস জর্দান তার সঙ্গে ইংল্যান্ডের ক্লাব সাসেক্সে খেলার জন্য পরামর্শ দেন।
তবে বাবার কর্মক্ষেত্র এবং নিজের বেড়ে ওঠা যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজে ছিল, ইংল্যান্ড জাতীয় দলে সুযোগ হচ্ছিল না আর্চারের৷
তবে ২০১৮ সালে নীতিতে পরিবর্তন আনে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। ১৮তম জন্মদিনের পর ৭ বছরের বাধ্যবাধকতা কমিয়ে ইংল্যান্ডে অবস্থানের সময় ৩ বছরে নামিয়ে আনে।
২০১৬ সালে সাসেক্সের হয়ে মাঠে নামলেও মাত্র এই বছরই জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পায় আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে এটি তার মাত্র তৃতীয় ওয়ানডে। আর বিশ্ব আসরে নাম লেখিয়েই বাজিমাত করলেন আর্চার৷ ৭ ওভার বল করে মাত্র ২৭ রান দিয়ে উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনটি৷ মার্করাম, ডু প্লেসিস এবং ডাসেনকে সাঁজঘরে ফিরিয়ে সাউথ আফ্রিকার মিডল অর্ডারে ধ্বস নামান এই ২৪ বছর বয়সী তরুণ।
আর্চার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খুলনা টাইটানসের হয়েও খেলেছেন।
আরো পড়ুন-