উইন্ডিজের বোলিং তোপে ১০৫ রানেই অলআউট পাকিস্তান
এরই নাম পাকিস্তান। যাদের নিয়ে আগাম কিছুই বলা যায় না। শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এভাবে ব্যাটসম্যানরা অসহায় আত্মসমর্পন করবেন কে ভেবেছিল? রীতিমতো তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়লো পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ১০৫ রানে অলআউট ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের সামনে কিছুই করতে পারলেন না পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। নটিংহ্যামে ট্রেন্ট ব্রিজে কন্ডিশনের সাহায্য পেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন ক্যারিবীয় পেসাররা। জেসন হোল্ডার, ওসানে থমাস, আন্দ্রে রাসেলদের বোলিং তোপে দলটি একশ ছাড়িয়েই অলআউট। ২১.৪ ওভারে শেষ পাকিস্তানের ইনিংস।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দ্বিতীয় দিনে নটিংহ্যামে টস জেতেন জেসন হোল্ডার। ক্যারিবীয় অধিনায়ক প্রথমে বোলিং নিয়েছেন। তার সিদ্ধান্তটা যৌক্তিক করে দেন বোলাররা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে শেলডন কটরেল সাজঘরের পথ দেখান ওপেনার ইমাম উল হককে (২)। শুরু হয় উইকেট পতনের মিছিল।
তারপর আন্দ্রে রাসেলের বাউন্সারে কাবু ফখর জামান। ১৬ বলে ২ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২২ রান করা এই ব্যাটসম্যানের হেলমেটে বল লেগে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোল্ড তিনি!
ফের আঘাত হানেন রাসেল। তার ১৪৫ কিলোমিটার বলটি হারিস সোহেলের ব্যাটে লেগে আশ্রয় নেয় উইকেটরক্ষক শাই হোপের গ্লাভসে। ১১ বলে ৮ রান তুলে ফেরেন হারিস। এরপর বাবর আজম ওসানে থমাসের শিকার। ৩৩ বলে ২২ রান তুলে আউট তিনি।
সরফরাজ আহমেদও দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারেন নি! পাকিস্তান অধিনায়ক ফেরেন ৮ রানে। থমাসের বলে আউট হওয়ার আগে মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাটে ১৬। এরপর তার পিছু নেন ইমাদ ওয়াসিম (১), শাদাব খান (০) ও হাসান আলি (১)। ৮৩ রানে ৯ উইকেট হারায় দল।
এরপর শেষ উইকেট জুটিতে ওয়াহাব রিয়াজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলীয় সংগ্রহ একশ পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। তার ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ১৮ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেছেন ওসানে থমাস। প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই বল হাতে দাপট দেখালেন এই পেসার। তিনটি উইকেট নেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ২টি উইকেট নিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। ১টি উইকেট শেলডন কটরেলের।
অবশ্য দুঃসময়ের মুখে দাঁড়িয়েই বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছে পাকিস্তান। সব মিলিয়ে টানা ১০টি ওয়ানডে ম্যাচে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই শুক্রবার মুখোমুখি হবে ক্যারিবীয়দের।
এই ম্যাচের আগে পরিসংখ্যান থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছে উইন্ডিজ। এ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ১০বার মুখোমুখি হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান। যেখানে ক্যারিবীয়রাই এগিয়ে। তারা জিতেছে ৭ বার। বাকী তিনবার জিতেছে পাকিস্তান দল।
এদিন ইনজুরির শঙ্কা কাটিয়ে মাঠে ছিলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আসিফ। এরই পথ ধরে বাঁ হাতি এই পেসারের প্রথম বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণ হলো। এবারই প্রথম বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে খেলছেন আমির।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান: ২১.৪ ওভারে ১০৫/১০ (ইমাম ২, ফখর ২২, বাবর ২২, হারিস ৮, সরফরাজ ৮, হাফিজ ১৬, ওয়াসিম ১, শাদাব ০, হাসান ১, ওয়াহাব ১৮, আমির ৩*; কটরেল ১/১৮, হোল্ডার ৩/৪২, রাসেল ২/৪, থমাস ৪/২৭)