পাকিস্তানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু উইন্ডিজের



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
এমন হাসি-খুশি মেজাজেই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

এমন হাসি-খুশি মেজাজেই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা দশ হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বকাপের মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। তারপরও দিন বদলের হুংকার দিয়েছিলেন সরফরাজ আহমেদ। কিন্তু সাফল্য দূরে থাক রীতিমতো লজ্জায় ডুবেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। শুরুতে বল হাতে দাপট দেখিয়ে ক্যারিবীয়রা তাদের অলআউট করে মাত্র ১০৫ রানে। এরপর ব্যাট হাতেও দাপট দেখিয়ে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা তুলে নেয় অনায়াস জয়।

নটিংহ্যামে ট্রেন্ট ব্রিজে শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটের জয়ে শুরু করেছে তাদের বিশ্বকাপ অভিযান। ২১৮ বল হাতে রেখেই জয়!

ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান মাত্র ২১.৪ ওভারে অলআউট হয়ে তুলে ১০৫ রান। জবাব দিতে নেমে ১৩.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের আনন্দে মাতে ক্যারিবিয়ানরা। বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে শুরুতেই পাকিস্তানকে লজ্জায় ডুবাল উইন্ডিজ!

ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেন নি জেসন হোল্ডার। কন্ডিশনের সাহায্য নিয়ে তার বোলাররা শুরু থেকেই হয়ে উঠেন ভয়ঙ্কর। জেসন হোল্ডার, ওসানে থমাস, আন্দ্রে রাসেলদের বোলিং তোপে নাজেহাল হয়ে যায় পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/31/1559307992154.jpg

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের সামনে কোন প্রতিরোধই গড়তে পারেনি দলটি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে শেলডন কটরেল সাজঘরের পথ দেখান ওপেনার ইমাম উল হককে (২)।
এরপর আন্দ্রে রাসেলের বাউন্সারে শেষ ফখর জামান। ১৬ বলে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ২২ রান করে ফেরেন তিনি। তবে দুঃখজনকভাবে আউট হন ফখর। বল তার হেলমেটে লেগে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে!

এরপর রাসেলের ১৪৫ কিলোমিটার গতির বলে কাবু হারিস সোহেল। ১১ বলে ৮ রান তুলে ফেরেন তিনি। বাবর আজমকে ফেরান ওসানে থমাস। ৩৩ বলে ২২ রান করেন তিনি।

বিপর্যয়ের মুখে হতাশ করেন সরফরাজ আহমেদও। পাকিস্তান অধিনায়ক আউট ৮ রানে। এরপর থমাসের শিকার মোহাম্মদ হাফিজ (১৬)।  তারপরই দ্রুত ফেরেন ইমাদ ওয়াসিম (১), শাদাব খান (০) ও হাসান আলি (১)। ৮৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে চমক বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। তারপরই ওয়াহাব রিয়াজের ঝড়ো ইনিংসে তিন অঙ্কে পা রাখে পাকিস্তান। তিনি করেন ১১ বলে ১৮ রান। তারপরও পাকিস্তান দল গড়ে বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ম সংগ্রহ। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৯২ বিশ্বকাপে ৭৪ রানে অলআউট হয়েছিল তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/31/1559308027497.jpg

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন ওসানে থমাস। ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেমেই বল হাতে সফল এই পেসার। তিনটি উইকেট নেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। দুটি উইকেট নিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। ১টি উইকেট শেলডন কটরেলের।

জবাবে নেমে পাকিস্তানের সংগ্রহটা অনায়াসেই টপকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অবশ্য শুরুটা ভাল করে ১১ রানে ফেরেন শাই হোপ। কিন্তু দাপট ছিল ক্রিস গেইলের। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান শুরুতেই তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। ৩৪ বলে ৫০ রান করে ফেরেন তিনি। এদিন মোট ছয় হাঁকিয়েছেন ৩টি। এরই পথ ধরে গেইল বেশি ছয় মারার রেকর্ডে নিজেকে নিয়ে গেলেন অনন্য উচ্চতায়।

বিশ্বকাপে ২৭ ম্যাচে মোট ৪০ ছক্কা গেইলের। পেছনে ফেলেছেন এবিডি ডি ভিলিয়ার্স ২৩ ম্যাচে ৩৭ ছক্কার রেকর্ড। নিকোলাস পুরানের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৩৪ রান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/31/1559308060354.jpg
ইনজুরির শঙ্কা কাটিয়ে শুক্রবার মাঠে ছিলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আসিফ। বাঁ হাতি এই পেসারের প্রথম বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণ হলো। আর শুরুতেই বল হাতে অবশ্য সফল তিনি। নিয়েছেন ক্যারবীয়দের তিনটি উইকেটই।  

অন্যদিকে উইন্ডিজ বুঝিয়ে শিরোপা জয়ের মিশন নিয়েই তারা পা রেখেছে বিশ্বকাপে। ইংল্যান্ড কন্ডিশনে দলটিকে গেইল-হোল্ডারদের সমীহ করতেই হবে!

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

পাকিস্তান: ২১.৪ ওভারে ১০৫/১০ (ইমাম ২, ফখর ২২, বাবর ২২, হারিস ৮, সরফরাজ ৮, হাফিজ ১৬, ওয়াসিম ১, শাদাব ০, হাসান ১, ওয়াহাব ১৮, আমির ৩*; কটরেল ১/১৮, হোল্ডার ৩/৪২, ২/৪, থমাস ৪/২৭)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩.৪ ওভারে ১০৮/৩ (গেইল ৫০, হোপ ১১, ব্রাভো ০, পুরান ৩৪*, হেটমায়ার ৭*; আমির ৩/২৬)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা : ওসানে থমাস

   

বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের দল ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মাসে বাংলাদেশ সফরে আসছে ভারতের নারী ক্রিকেট দল। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবকটি ম্যাচই হবে সিলেটের মাঠে। এই সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

প্রথমবারের মতো এই স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন দুইজন, আশা সোভানা এবং সাজানা সজীবন। ২৩ এপ্রিল ভারতের মেয়েরা বাংলাদেশের মাটিতে এসে পৌঁছাবে বলে কথা রয়েছে। এরপর প্র্যাকটিস সেশন শেষ করে ২৮ এপ্রিল মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। বাকি চারটি ম্যাচ যথাক্রমে ৩০ এপ্রিল, ২ মে, ৬ মে ও ৯ মে।

এ নিয়ে তৃতীয়বার টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে ভারতের নারী ক্রিকেট দল। এর আগে ২০১৪ সালে প্রথমবার ও গত জুলাইয়ে সবশেষ এসেছিল তারা। দুটো সিরিজেই শিরোপা তুলে ধরেছিল ভারত। এবার বাংলাদেশের মেয়েদের লক্ষ্য থাকবে ঘরের মাটিতে ভারতকে সিরিজ হারিয়ে ট্রফি উঁচিয়ে ধরা।

ভারতের স্কোয়াড:

হারমানপ্রীত কৌর (অধিনায়ক), স্মৃতি মান্ধানা (সহ–অধিনায়ক), শেফালি ভার্মা, দয়ালন হেমলতা, সাজানা সজীবন, রিচা ঘোষ (উইকেটরক্ষক), যষ্টিকা ভাটিয়া (উইকেটরক্ষক), রাধা যাদব, দীপ্তি শর্মা, পূজা বস্ত্রকর, আমানজোত কৌর, শ্রেয়াঙ্কা পাতিল, সাইকা ইসহাক, আশা সোভানা, রেনুকা সিং ও তিতাস সাধু।

;

টানা পাঁচ হারে তলানিতে বেঙ্গালুরু



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তারকায় ঠাসা এবং শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়েও দলকে একবারও আইপিএলের শিরোপা জেতাতে পারেননি, এই আক্ষেপ বিরাট কোহলির নিজেরও হয়তো আছে। তবে আইপিএলের এবারের আসর শুরুর আগে থেকেই নতুন করে আশার আলো দেখতে থাকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সমর্থকরা। কারণ ২০২৩ সালে ভারত বিশ্বকাপে কোহলির দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ও ফর্ম তাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে।

কিন্তু আইপিএলের চলতি আসরেও একের পর এক ধাক্কা খেতে হচ্ছে বেঙ্গালুরুকে। আসরের প্রথম ম্যাচ হার দিয়ে শুরু করে কোহলিরা। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে ছন্দে ফেরার আভাস দেয় দল। কিন্তু এরপর শুরু হয় পতন। গতকাল হায়দরাবাদের বিপক্ষে রেকর্ড পরিমাণ রান হজম করার ম্যাচে হেরে টানা পাঁচ ম্যাচ হারের স্বাদ হজম করতে হলো কোহলিকে, সঙ্গে পুরো বেঙ্গালুরুর সমর্থকদের।

দলের পারফরম্যান্স ভাল না হলেও প্রতি ম্যাচেই নিজের সর্বোচ্চটাই মাঠে ঢেলে দিচ্ছেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি। অর্থাৎ ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে বেঙ্গালুরুর দলে সবার ওপরেই থাকবে কোহলির নাম। কিন্তু খেলাটা যেখানে দলগত, সেখানে একক পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে জয় তুলে এনে দেওয়াটা এতটাও সহজ নয়। বারবার খুব কাছে যেয়েও আশাভঙ্গ হচ্ছে কোহলির।

গতরাতে হায়দরবাদের শক্ত ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুর বোলারদের পারফরম্যান্স ছিল করুণ। অপরদিকে ব্যাট হাতে সেরাটাই দেখিয়েছেন কোহলি। তাতেও লাভ হয়নি। স্বাগতিকদের বোলিং দুর্দশার সুযোগটা বেশ ভালোমতই কাজে লাগিয়েছেন হায়দরাবাদের খেলোয়াড়রা, গড়েছেন একের অধিক রেকর্ড, তুলে নিয়েছেন কাঙ্ক্ষিত জয়। অপরদিকে বেঙ্গালুরু এবং কোহলিকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে এক বুক হতাশা নিয়েই।

এই হারের পর আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার তলানিতে অবস্থান করছে কোহলিরা। ৭ ম্যাচে মাত্র এক জয়ের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট মাত্র ২। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে নড়বড়ে মনোবল পুরো দলের। তবে সমর্থকরা আশাবাদী। তাদের বিশ্বাস যে কোহলির হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াবে দল। ভালো কিছুর অপেক্ষাতেই আছে বেঙ্গালুরু।

;

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছাড়াও টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

মোহামেডান-শাইনপুকুর
সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

গাজী গ্রুপ-ব্রাদার্স
সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

রূপগঞ্জ টাইগার্স-সিটি ক্লাব
সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

আইপিএল

কলকাতা-রাজস্থান
রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ

ডর্টমুন্ড-আতলেতিকো
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ১

বার্সেলোনা-পিএসজি
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ২

;

আইপিএলের রেকর্ড সংগ্রহ হায়দরাবাদের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন ম্যাচ আগেই আইপিএলে ২৭৭ রানের দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই রানটিকেও এবার ছাড়িয়ে গেছে তারা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে এদিন আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ২৮৭ রান তুলেছে দলটি। যা আইপিএলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

এদিন হায়দরাবাদকে পথটা দেখিয়ে গিয়েছিলেন তাদের দুই ওপেনার অভিষেক শার্মা ও ট্র্যাভিস হেড। এই জুটি ভেঙেছে দলীয় ১০৮ রানে। আর সেই রানটা এসেছে মাত্র ৮.১ ওভারে। ২২ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন অভিষেক। দলের এমন অবস্থায় ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে যান হেনরিখ ক্লাসেন। হেডের সঙ্গে ‍জুটি বেধে ছক্কার বৃষ্টি নামান দু’জনে।

হেড খানিকটা পর ৩৯ বলে আইপিএলের চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি তুলে ফিরলেও দলকে পথে রাখেন ক্লাসেন। নিজেও ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। বিশাল সব ছক্কায় প্রতিপক্ষের বোলারদের কচুকাটা করছিলেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ব্যাট চালিয়েছেন ২০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে। এরপর অবশ্য সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখিয়ে ফিরেছেন ৩১ বলে ৬৭ রান করে। তবে ততক্ষণে বড় সংগ্রহের ভিতটা গড়া হয়ে গিয়েছে তাদের।

সেই ভিতটাকে আরও পোক্ত করেন আবদুল সামান ও এইডেন মার্করাম জুটি। ব্যাট থেকে শেষ ‍দিকে সুনামি বইয়ে দিয়েছেন দু’জনে। একের পর এক ছক্কায় দলকে নিয়ে গেছেন রান পাহাড়ের চূড়ায়। তাদের দু’জনের ব্যাটিং তাণ্ডবেই ৩ উইকেট খরচায় স্কোরবোর্ডে ২৮৭ রানের রেকর্ড সংগ্রহ পায় হায়দরাবাদ। শেষ দিকে ১৭ বলে ৩২ রানে মার্করাম ও ১০ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন সামাদ। হায়দরাবাদের ব্যাটাররা মিলে পুরো ইনিংসে মোট ২২ টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন এদিন।

;