১৩৬ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা
ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমি হয়ে উঠেছে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের বোলিং তোপে রীতিমতো নাজেহাল শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। ২৯.২ ওভারে মাত্র ১৩৬ রানে শেষ দলটির ইনিংস। বিশ্বকাপে আগের দিনই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তান অলআউট হয় মাত্র ১০৫ রানে।
শনিবার টস ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ম্যাচের এগিয়ে যান কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। সবুজ উইকেটে প্রথমে ব্যাটিং মানেই মরণ ফাঁদ। সঙ্গে সুইংয়ের সঙ্গে গতি ঝড় তুললেন নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। তারই পথ ধরে অসহায় আত্মসমর্পণ শ্রীলঙ্কান টপ অর্ডারের।
কার্ডিফের সবুজে পিচে একের পর এক উইকেট শিকারে মেতে উঠে কিউই বোলাররা। অবশ্য ইনিংসের শুরুটা বাউন্ডারিতে করেছিলেন শ্রীলঙ্কার ওপেনার লাহিরু থিরিমানে। কিন্তু ম্যাট হেনরির পরের বলেই এলবিডাব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ফিল্ড আম্পায়ার যদিও আউট দেননি। তারপর রিভিউ নিয়ে সফল উইলিয়ামসন।
এরপর কুশল পেরেরার ব্যাটে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে লড়ছিল লঙ্কানরা। কিন্তু ২৪ বলে ২৯ রান করে তিনিও সেই হেনরির শিকার। তারপর বালির বাঁধের মতো ভেঙে পড়ে দ্বীপ দেশটির ব্যাটিং লাইন আপ!
পরের বলেই কুশল মেন্ডিসকে (০) ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন হেনরি। টানা তিন বলে অবশ্য উইকেটের দেখা মেলেনি। কিন্তু উইকেট পতনের মিছিলে সামিল হন ধনাঞ্জয় ডি সিলভা (৪), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ (০) আর জীবন মেন্ডিস (১)!
২৩ বলে ২৭ রান করে থিসারা পেরেরা ফিরে সম্মানজনক স্কোর গড়ার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায় লঙ্কানদের। একাই লড়েছেন অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। শেষ অব্দি ৮৪ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন ম্যাট হেনরি ও লুকি ফার্গুসন।
বিশ্বকাপের মঞ্চে এবার নিয়ে দশমবারের মতো দেখা হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের। যেখানে ৬বার শ্রীলঙ্কা আর ৪বার জিতেছে নিউজিল্যান্ড। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে সাক্ষাত হয়েছে ৯৮ বার। এরমধ্যে ৪৮বার হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে নিউজিল্যান্ড। ৪১বার জিতেছে শ্রীলঙ্কা। একটি ম্যাচ টাই আর পরিত্যক্ত ৮টি!