বাউন্সার আসছে, প্রস্তুত বাংলাদেশও



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম, লন্ডন থেকে
বিশ্বকাপ মিশনে মাঠে নামতে প্রস্তুত বাংলাদেশ দল- ছবি: বিসিবি

বিশ্বকাপ মিশনে মাঠে নামতে প্রস্তুত বাংলাদেশ দল- ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দৃশ্যটা সকালবেলার।

ওভালে দলের অনুশীলনে ছিলেন ডেল স্টেইন। বোলিং করলেন বেশ অনেকক্ষণ ধরে। অবশ্য দৌড় বা বোলিংয়ে সেই তেড়ে ফুঁড়ে চলার মেজাজ নেই। এখনো ইনজুরি থেকে পুরোপুরি মুক্তি মেলেনি তার। আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচেও খেলছেন না স্টেইন। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত স্টেইন না খেললেও আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দক্ষিণ আফ্রিকার প্রচুর যে ডেলিভারি মোকাবেলা করতে হবে তার নাম-শর্ট বল, বাউন্সার!

এই দৃশ্যটা বিকালবেলার।

ওভালের দুইপাশের নেটে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুনকে ব্যাটিং অনুশীলনের সেই সেশনে একের পর এক শর্ট বল দেয়া হচ্ছে। সেই বাউন্সারকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে হুক ও পুল শট খেলছেন ব্যাটসম্যানরা। মাঠের আরেক কোনার নেটে ব্যাট হাতে মুশফিক রহিম একা। নেট ঝুলিয়ে টানা হুক শট হাঁকাচ্ছেন মুশফিক।

আজকের ম্যাচে যে এমন প্রচুর বাউন্সার উড়ে আসবে। সেই ডেলিভারি মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আগাম প্রস্তুতি। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শক্তিমত্তা যেমন জানে দক্ষিণ আফ্রিকা, ঠিক তেমনই দূর্বলতা বেশ জানা তাদের। বিশ্বকাপের আজকের ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য তাই ‘বাউন্সার’ এর ঝড় তোলার অপেক্ষায় দ. আফ্রিকা। নিশ্চিতভাবেই ব্যাটসম্যানদের পাঁজর লক্ষ্য করেই বোলিংয়ের পরিকল্পনা করছে প্রোটিয়ে বোলাররা।

অধিনায়ক মাশরাফিও জানেন এমন কায়দার বোলিংই করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বলছেন-‘খুবই স্বাভাবিক বিষয় যে ওরা বাউন্সার বা শর্ট বল করবেই। আর সেইধরনের বল মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতির বিষয়টা আসলে একেক জনের একেক রকম। ব্যাটসম্যানরা সেটা মোকাবেলা করার জন্যও প্রস্তুত আছে। আয়ারল্যান্ডে তিনজাতি ক্রিকেটেও আমাদেরকে এমনভাবেই টার্গেট করা হয়েছিলো। কিন্তু আমরা সেখানে তখন সফল হয়েছিলাম। এখানেও তেমনকিছুই ফাঁদ তৈরি করা হচ্ছে আমাদের জন্য। তবে সেই কৌশল মোকাবেলার জন্য আমার ব্যাটসম্যানরা প্রস্তুত। কিন্তু তারা যে সফল হবেই-এমন কোনো গ্যারান্টি দিতে আমি রাজি নই। এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি যে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিপক্ষে লড়তে বেশ আত্মবিশ্বাসী এবং বেশ ভালো প্রস্তুতি তাদের আছে।’

নিজেদের ম্যাচ পরিকল্পনায় অটুট এবং স্থির থাকার ওপর জোর দিচ্ছেন অধিনায়ক-‘নতুন কিছু করার দরকার নেই। আমাদের যে শক্তি, যে সামর্থ্য আছে সেটা নিয়েই লড়তে হবে। আমরা যা পারি সেটাই করে দেখাতে হবে।’

প্রতিপক্ষ যখন দক্ষিণ আফ্রিকা তখন করে দেখানোর সেই লড়াইয়ে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে এই দক্ষিণ আফ্রিকাই। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেদফায় বিশ্বকে আরেকবার চমকে দিয়েছিলো বাংলাদেশ।

তবে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা যে বাংলাদেশের শুধু অনুপ্রেরণা নয়, দুঃস্বপ্নের কারণও বটে! বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ম রান হলো ৭৮। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে সেই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

৮ বছর পুরানো সেই হিসেবের একটা বদলা নেয়ার বিষয়ও থাকছে বাংলাদেশের আজকের ম্যাচ এজেন্ডায়!

   

হাবিবুরের সেঞ্চুরিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শেষ রাউন্ডের ম্যাচ বড় জয় পেয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। হাবিবুর রহমানের সেঞ্চুরিতে সিটি ক্লাবকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে সিটি ক্লাবকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় গাজী। তবে দলটির বেশিরভাগ ব্যাটার ক্রিজে থিতু হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসায় তাদের সংগ্রহ বড় হয়নি। সমান তিনটি করে চার-ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৮ রান এসেছে ওপেনার হাসানের ব্যাটে। ৩৭ রান করেন রাফসান আল মাহমুদ।

গাজী গ্রুপের পক্ষে ৩ উইকেট নেন রুয়েল মিয়া। দুটি করে উইকেট পান হুসনা হাবিব মেহেদী, মঈন খান এবং আব্দুল গাফফার সাকলাইন।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মেহেদী মারুফকে হারালেও বিপদে পড়তে হয়নি গাজীকে। বরং তিনে নামা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সেঞ্চুরির সঙ্গে অন্য ওপেনার আনিসুল ইসলামের ফিফটিতে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় তারা।

৮১ বলে ১০ চার এবং ৬ ছক্কায় ১০২ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন হাবিবুর। ১০ চার এবং ১ ছক্কায় ৬১ রান আসে আনিসুলের ব্যাটে।

এই জয়ে ১১ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে ষষ্ঠ দল হিসেবে সুপার লিগে নাম লিখিয়েছে গাজী। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে কেবল ৪ পয়েন্ট পাওয়া সিটি ক্লাব রয়েছে ৯ নম্বরে।

;

বাংলাদেশ কেন এমন করছে, আকাশ চোপড়ার প্রশ্ন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল খেলা নিয়ে সরগরম দেশের ক্রিকেট। তাকে আইপিএলে নিরবচ্ছিন্নভাবে খেলতে দেয়া উচিৎ নাকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য মাঝপথে ফিরিয়ে আনা উচিৎ, তা নিয়ে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা। বাংলাদেশের বোর্ড কর্তা থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররা বিষয়টি নিয়ে মত দিলেও ভারতীয় কেউ এতদিন এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।

তবে সে ধারা ভেঙে এবার মুস্তাফিজ ইস্যুতে মুখ খুলেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া। মুস্তাফিজকে আইপিএলের মাঝপথ থেকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বিসিবির সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও পোস্ট করেছেন আকাশ। সেখানে তার প্রশ্ন, ‘মুস্তাফিজুর রহমান চলে যাচ্ছে। সে চেন্নাইয়ের হয়ে (পুরো মৌসুম) খেলতে পারবে না। শুধু আর কয়েকদিনের জন্য আছে। বাংলাদেশ কেন এমন করছে?’

চেন্নাইয়ের হয়ে চলতি মৌসুমে দারুণ পারফর্ম করছেন মুস্তাফিজ। ৬ ম্যাচ খেলে এরই মধ্যে ১০ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও এই বাংলাদেশি পেসার। এমন অবস্থায় চেন্নাই যদি পুরো মৌসুম তার সার্ভিস না পায়, সেক্ষেত্রে দলটি বিপদে পড়বে বলে মনে করেন আকাশ, ‘তাকে (মুস্তাফিজ) খেলতে দাও। সে চলে গেলে চেন্নাইয়ের ক্ষতি হবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শুরুতে মুস্তাফিজকে আইপিএলে অংশ নেয়ার জন্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয়। পরে ছুটির মেয়াদ একদিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করা হয়।

;

নাসুমের ফাইফার, মোহামেডানের সহজ জয়



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সবশেষ ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে হারতে হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। আর তাতে পয়েন্ট টেবিলেও হোঁচট খেয়েছে দলটি। সেই ধাক্কা সামলে নিয়ে এদিন ডিপিএলে মিরপুরের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে মোহামেডান। নাসুম আহমেদের ফাইফারে মাত্র ১৩৫ রানেই আলআউট ব্রাদার্স। যা ব্যাট হাতে ৫ উইকেট হাতে রেখে মাত্র ২৩.২ ওভারে টপকে গেছে মোহামেডান।

এদিন বল হাতে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ওপর চড়াও হন নাসুম। নিজের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরান রহমাতুল্লাহ আলিকে। এরপর একে একে সাজঘরে ফিরিয়েছেন ইমতিয়াজ, মাহমুদুল হাসান, রাহাতুল ও ব্রাদার্স অধিনায়ক মনির হোসাইনকে। তার বোলিং তোপের সামনে সুবিধা করতে পারেননি ব্রাদার্সের তেমন কেউই।

বল হাতে নাসুম দারুণ সঙ্গ পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজের থেকেও। তার শিকার ৩ উইকেট। মোহামেডানের স্পিনারদের দাপুটে দিনে মাঝে মাহমুদুল হাসান ও রাহাতুল ফেরদৌসের ৪৫ রানে ভর করে কোনো রকমে ৩৪.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রানের পুঁজি পায় ব্রাদার্স।

জবাব দিতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে ফেলে মোহামেডান। দলীয় ৬৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় মোহামেডান। সাজঘরে ফেরেন ১০ রানে থাকা রনি তালুকদার। এরপর অবশ্য নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট পড়েছে মোহামেডানের। তবে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন দলটির অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ইমরুল অপরাজিত ছিলেন ৭১ বলে ৯২ রানে।

লিগে এটি মোহামেডানের ৮ম জয়। আর এ জয়ে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দলটির অবস্থান তালিকার তিন নম্বরে। অন্যদিকে শীর্ষে থাকা আবাহনী ১১ ম্যাচের সবকটিতেই জয় নিয়ে পয়েন্ট ২২।

;

আতালান্তাকে হারিয়েও ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় লিভারপুলের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচে আতালান্তার মাঠে ম্যাচের একদম শুরুতেই গোলের দেখা পায় লিভারপুল। শেষ পর্যন্ত ওই এক গোলের ব্যবধান নিয়েই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অল রেডরা। তবে জয়েও টুর্নামেন্টের সেমিতে ওঠা হলো না তাদের। কেননা আগের লেগের ঘরের মাঠে ইতালিয়ান ক্লাবটির কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে সেমিতে পৌঁছায় আতালান্তা। 

এদিকে চলতি আসর শেষেই লিভারপুলকে বিদায় বলবেন ক্লপ। এতে ইউরোপা লিগে এই হারে বিদায়বেলায় খালি হাতেই শেষ হলো এই জার্মান কোচের ইউরোপ অধ্যায়। চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করতে না পারায় লিভারপুলের সামনে এই ইউরোপা লিগই ছিল একমাত্র ইউরোপ প্রতিযোগিতার লড়াই। সেখানে শিরোপা উপহার দিয়েই ক্লপকে বিদায় বলতে চেয়েছিল সবাই। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে উঠল না। 

প্রিমিয়ার লিগেও সবশেষ রাউন্ডের ম্যাচে ধাক্কা খেয়েছে লিভারপুল। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে শীর্ষে ছিল তারা। তবে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্নে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে তাদের। 

আতালান্তার মাঠে ম্যাচটিতে সেমি নিশ্চিত করতে অন্তত ৪ গোলের ব্যবধানে জিততে হতো লিভারপুলকে। ম্যাচটা অল রেডরা শুরুও করেছিল সেভাবেই। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে সফল স্পট কিক থেক গোল পান মোহাম্মদ সালাহ। সেই শুরু, সেই শুরুর গোলেই শেষ। মাঝে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি লিভারপুল। সমতাতেও ফেরেনি আতালান্তা। তবে আগের লেগে বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় সেমির পর এর হারে কোনো ফারাকই পড়েনি ইতালিয়ান ক্লাবটির। 

এদিকে রাতের আরেক ম্যাচে বেনফিকাকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিতে পৌঁছেছে মার্শেই। এই ফ্রেঞ্চ ক্লাবের সঙ্গেই সেমিতে লড়বে আতালান্তা। 

;