সুপার ওভার থাকবে?
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের খুঁটিনাটি প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই! কতো কিছুই যে অজানা। ফরম্যাট, সুপার ওভার, পয়েন্ট কিংবা বৃষ্টি নেমে ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেই বা কি হবে? এমন একাধিক প্রশ্ন নিয়েই হয়তো দেখতে বসেছেন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ক্রিকেট- ২০১৯। আপনাদের কাজ সহজ করে দিতে পারে বার্তা২৪.কম-এর এ আয়োজন।
অজানা অনেক তথ্য, অনেক প্রশ্নের উত্তর থাকছে প্রতিদিন। চলুন চোখ রাখি তৃতীয় পর্বে-
লিগ পর্বে যদি একাধিক দলের পয়েন্ট সমান হয়?
তখন প্রথম বিবেচনায় নেওয়া হবে কোন দল বেশি ম্যাচ জিতেছে। উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, চার জয় আর দুই ম্যাচে কোনো ফল না আসায় পাকিস্তান সংগ্রহ দাঁড়াল ১০ পয়েন্ট। অন্যদিকে পাঁচ জয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট দাঁড়াল ১০ পয়েন্ট। তাহলে পাকিস্তানকে টপকে লাল সবুজ শিবির ওপরে উঠে যাবে। যদি পয়েন্ট ও জয় দুটোই সমান হয়, তাহলে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকা দল কোয়ালিফাই করবে পরের পর্বে। অসম্ভব হলেও কাকতালীয় ভাবে নেট রান রেটও সমান হলে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে বিজয়ী দল কোয়ালিফাই করবে।
সুপার ওভার থাকবে?
সুপার ওভার থাকবে কেবল সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালে। গত দুই বিশ্বকাপ থেকে এটাই এবারের বিশ্বকাপের তফাত। আগে সুপার ওভার থাকত শুধু শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে।
যদি বৃষ্টি বাগড়া দিয়ে বসে? রিজার্ভ ডে আছে?
রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে কেবল সেমি-ফাইনাল ও ফাইনালের জন্য। নির্ধারিত দিনে খেলা শুরুর পর হঠাৎ বন্ধ হয়ে খেলে রিজার্ভ ডে-তে ঠিক সেখান থেকে শুরু হবে যেখানে ম্যাচ বন্ধ হয়ে যাবে। কোনো ভাবেই নতুন করে খেলা শুরু হবে না। গ্রুপ পর্বের ম্যাচের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে নেই। তবে অতিরিক্ত সময় যোগ করার সুযোগ থাকবে।
৭৫ মিনিট খেলা হয়ে গেলে ম্যাচ পুনরায় শুরু করা যাবে। এসব ক্ষেত্রে ম্যাচ রেফারি এক ঘন্টা সময় বাড়াতে পারবেন। কেননা ম্যাচ পূর্ণ করতে কমপক্ষে দুদলকে ২০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে হবে। অন্যথায় একদিনের ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচে কোনো ফল আসবে না।
নকআউট পর্বের রিজার্ভ ডেও যদি বৃষ্টিতে ভেসে যায়?
যদি সেমি-ফাইনালে এমনটা ঘটে, তাহলে লিগ পজিশনে এগিয়ে থাকা দল ফাইনালে নাম লেখাবে। রিজার্ভ ডেতেও ফাইনাল ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করা না গেলে দুই দলই বিশ্বকাপ ট্রফি ভাগাভাগি করবে।