নিউজিল্যান্ড ম্যাচে সৌম্যের পরিকল্পনা
একটা জায়গায় বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড সমান অবস্থানে। দুই দলই তাদের বিশ্বকাপ শুরু করেছে জয় দিয়ে। শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। আর বাংলাদেশ ২১ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে এখন বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোচিত দল।
তবে সেই সম অবস্থান বুধবার (৫ জুন) রাতের পর বদলে যাচ্ছে। হয় বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, নয়তো বাংলাদেশ! সেই দলটা কে?
সৌম্য সরকার এই প্রশ্নে উভয় দলের সমান সম্ভাবনা দেখছেন। মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে লন্ডনে টেমসের রিভারব্যাঙ্ক পার্ক প্লাজা হোটেলের সামনে সাংবাদিকদের জানালেন, ‘আমরা এখন বিশ্বকাপের জয়ী দলের একটি। নিজেদের মানটা আমরা অনেক উচুঁতে নিয়ে গেছি। সেখান থেকে নিচে কেনো নামব? মাঠে যখন নামব তখন জেতার জন্যই। সেটা তখন প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন? নিজেদের শতভাগ উজাড় করে দেব। নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রাও হয়েছে বেশ ভালোভাবেই।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের শুরুর ব্যাটিংটা দলের কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছিল। নিউজিল্যান্ড ম্যাচেও বাংলাদেশ দলের ওপেনিং জুটির কাছ থেকে তেমন একটা শুরুর অপেক্ষায়। তবে সৌম্য সরকার জানালেন, ‘ঠিক আগের ম্যাচের কৌশলই যে এই ম্যাচেও প্রয়োগ করা হবে বা যাবে, সেটা আগেভাগে বলার উপায় নেই। সবকিছু নির্ভর করছে উইকেট, কন্ডিশন এবং নিউজিল্যান্ডের বোলিংয়ের ওপর। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেও যে একইভাবে শুরুটা করা যাবে-তা না। এই ম্যাচটা আমরা নতুন উইকেটে খেলব। ওদের বোলাররা বেশ দ্রুতগতির। কন্ডিশনও কিছুটা ভিন্ন। নিউজিল্যান্ডের বোলাররা গতির সঙ্গে সুইংও করাতে পারে বেশ। তো এই ম্যাচে আরও ভালো ও সুদৃঢ় পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে হবে। নতুন উইকেট, গতি, সুইং-সবকিছু সামাল দিতে শুরুতে খেলতে হবে। যদি উইকেট ঠিক থাকে তাহলে শুরু থেকেই রানের গতি বাড়াতে হবে। আর যদি একটু বেশি সুইং পায় তারা তাহলে শুরুতে একটু দেখে শুনে খেলতে হবে।’
শুরুর ব্যাটিংয়ে সৌম্য সরকারকে টিম ম্যানেজমেন্ট ‘ফ্রি লাইসেন্স’ দিয়েছে। শুরুর বোলারদের ওপর সৌম্য চড়া হলে দলের বাকি ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তবে সব ম্যাচেই যে শুরুতে তেঁড়েফুঁড়ে ব্যাট করা সম্ভব-চিন্তাটা এতো সহজ নয়। সেই প্রসঙ্গে সৌম্য সরকার বলছিলেন-‘ আমি সবসময় বলি আমি আমার মতো খেলা চেষ্টা করি। যখনই খেলতে নামি চিন্তা থাকে একটা বড় ইনিংস খেলবে। দলকে একটা ভালো প্লাটফর্ম দেবো। ১০, ২০ বা সেঞ্চুরি যাই করি না কেন, চিন্তা থাকে একটাই-আমার রান যেন দলের কাজে লাগে। ঠিক এভাবেই চিন্তা করে নিজের ইনিংস সাজাই আমি। আমি আমার স্বাভাবিক খেলাই খেলি। সব বলেই যে মারতে হবে। তা নয়। বলের মেরিট বুঝে খেলার চেষ্টা করি। তবে রান বাড়াতে হবে- সেই চিন্তা তো মাথায় থাকে সবসময়। আমি ম্যাচে সবসময় আমার নিজস্ব পরিকল্পনার মধ্যেই থাকার চেষ্টা করি।’
বিশ্বকাপের শুরুটা হয়েছে সৌম্যের সুন্দর পরিকল্পনার সাফল্য দিয়ে। সেই ধারাবাহিকতাও বজায় থাকুক ওভালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচে।