বাংলাদেশের টার্গেট ৩২২
শুরুটাই তাহলে সবকিছু নয়!
এই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিংয়ের শুরুটা হলো স্বপ্ন্রে মতো। ক্রিস গেইল শূন্য রানে আউট। প্রথম পাঁচ ওভারে উইন্ডিজ ১ উইকেটে মাত্র ৮ রান! প্রথম পাওয়ার প্লে পর্যন্ত বাংলাদেশের বোলিংয়ের সেই ভালো আলো ছড়ালো।
কিন্তু পরের কাহিনী শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং নিয়ে। ৩২১ রানের স্কোরের ইনিংসে তো ব্যাটসম্যানদের গল্পই করতে হয় শুধু! এই ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের সামনে পথে এগিয়ে চলার আশা টিকিয়ে রাখতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩২২ রান।
কঠিন টার্গেট। কাজটা কঠিন; সন্দেহ নেই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি এতো রান করতে পারে তাহলে বাংলাদেশ কেন পারবে না-লাঞ্চ বিরতিতে এভাবেই হয়তো দলকে উদ্বীপ্ত করছিলেন বাংলাদেশ কোচ।
আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে প্রতিপক্ষ হিসেবে সাই হোপের পছন্দের তালিকায় আছে বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের ছয় সেঞ্চুরির তিনটিই তার বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেই তালিকা আরো প্রায় সমৃদ্ধ করেই ফেলেছিলেন এই ম্যাচেও। তবে সেঞ্চুরির একেবারে কাছে এসেও ব্যর্থ হলেন। ৯৬ রানে তাকে ফেরালেন মুস্তাফিজ। কিন্তু ততক্ষনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে টন্টনের ম্যাচে রান পাহাড়ে প্রায় চড়ে বসেছে!
৩২১ রানকে হয়তো অনেকে পাহাড় বলতে আপত্তি করবেন। কিন্তু টন্টনের এই ম্যাচের উইকেটের আচরণ জানাচ্ছে-এটা অনেক বড়ো স্কোর। পেছনের রেকর্ডও বাংলাদেশের বিপক্ষে। এতো বেশি রান তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগে কখনো জেতেনি বাংলাদেশ।
-তাতে কি?
এই ম্যাচ জিতে নতুন ইতিহাস তৈরি করুক বাংলাদেশ!
ওপেনার এভিন লুইসের ৭০, সাই হোপের ৯৬, শিমরান হেটমায়ারের ঝড়োগতিতে ২৬ বলে ৫০ এবং অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডারের ১৫ বলে ৩৩ রানের অবদানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঞ্চয় গিয়ে পৌছালো ৩২১ রানে।
ক্রিস গেইল ও আন্দ্রে রাসেল শূন্য রানে আউট হলেও তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঠিকই তিনশ’র ওপরে পৌছে যায়!
বোলিংয়ের শুরুটা বাংলাদেশ দলের প্রায় সবার ভালো হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস শেষে ‘ভালো’ শব্দের জায়গায় ‘গড়পড়তা’ বসাতে হচ্ছে। ৫০ ওভারের ম্যাচে সবমিলিয়ে বাংলাদেশের বোলাররা ওয়াইডই দিলেন ১৭টি!
সাইফুদ্দিন ও মুস্তাফিজুর রহমান উইকেট শিকারে শীর্ষে। দুজনেই তিনটি করে উইকেট পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩২১/৮ (৫০ ওভারে, গেইল ০, লুইস ৭০, হোপ ৯৬, পুরান ২৫, হেটমায়ার ৫০, রাসেল ০, হোল্ডার ৩৩, ব্রাভো ১৯, মুস্তাফিজ ৩/৫৯, সাইফুদ্দিন ৩/৭২, সাকিব ২/৫৪)