রবিনহুডের শহরে বাংলাদেশ!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম, নটিংহ্যামশায়ার, ইংল্যান্ড থেকে
নটিংহ্যামশায়ারে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার, ছবি: সংগৃহীত

নটিংহ্যামশায়ারে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ন্যাশনাল এক্সপ্রেসের আরামদায়ক বাসটা রেডক্লিফ কয়লা বিদ্যুৎ রেলস্টেশনের কাছে আসতেই গাছের পাশে খোদাই করা একটা একটা ছোট্ট সাইনবোর্ড চোখে পড়ল, ‘ওয়েলকাম টু নটিংহ্যাম রবিনহুড কাউন্টি!’

-রবিনহুড!

আরে এটা তো রবিনহুডের শহর। সাইনবোর্ডের উপরের অংশে একটু বাঁকা ভঙ্গিতে পরা বিখ্যাত সেই টুপি পরা বরিনহুডের ছবি আঁকা রয়েছে। প্রবেশদ্বারেই শহরের মালিকের ছবি!

শেরউডের জঙ্গলে তীর-ধনুক নিয়ে অশ্ব সওয়ারি রবিনহুডই ছিলেন নটিংহ্যামশায়ারের আসল হিরো। সাম্য-সমতায় বিশ্বাসী রবিনহুড ইংলিশ লোকগাথায় রীবত্বের প্রতীক। এই শহরেই ২০ জুন, বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার।

টন্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্ত একটা জয়ের অনুপ্রেরণা নিয়েই নটিংহ্যামে এসেছে বাংলাদেশ দল বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে। এই শহরের ট্রেন্টব্রিজ স্টেডিয়াম বাংলাদেশ দলের জন্য খুব অপরিচিত কোনো কিছু নেই। সেই ২০০৫ সাল থেকে এই স্টেডিয়ামের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক ভাল-মন্দ স্মৃতি জড়িয়ে আছে।

২০০৫ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আশরাফুলের অনবদ্য ৯৪ রানের ইনিংস যেমন আছে; ঠিক তেমন ২০০৯ সালের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের কাছে হারের দুঃস্মৃতিও রয়েছে!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/19/1560936050662.jpg

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এবারের বিশ্বকাপ এখানে কী নিয়ে অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য?

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ যে সাহসী ক্রিকেট খেলেছে-

তেমন আরেকটি ক্রিকেট ম্যাচের আশা নিয়ে বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছেন নটিংহ্যামশায়ারের প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বৃহস্পতিবারের (২০ জুন) ম্যাচে গ্যালারিতে আসার তাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন।

অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের শক্তিশালী দল। টপ ফেভারিট। ব্যাটে-বলে দারুণ ক্ষমতাশালী। এই ম্যাচে তাহলে রবিনহুডও হয়ে উঠতে পারেন বাংলাদেশের অনুপ্রেরণার অংশ!
-কীভাবে?

সেটা জানতে রবিনহুডের সময়ে একটু ফিরে যাই।

দুঃখী-গরিব খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতীক ছিলেন নটিংহ্যামের বীর রবিনহুড। রাজার আইন কানুনে তার বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধাবোধ মোটেও ছিল না। ধনীর ধন কেড়ে গরিবের মধ্যে বিতরণ-এই নীতি নিয়ে সাধারণের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন শেরউড জঙ্গলের এই অবিসংবাদিত রাজা। প্রশাসনের যে কোন অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অবিচল নীতি তাকে জনপ্রিয়তা এনে দিলেও রাজ-আইনের চোখে তিনি ছিলেন আইন না মানা দস্যু! আউট ল! রাজার সৈন্যরা প্রতিনিয়ত তাকে খুঁজে বেড়াত। রাজার চোখে দস্যু আর সাধারণ মানুষের কাছে দেবতা-এই বিপরীতমুখী দৃষ্টিভঙ্গিই বরিনহুডকে প্রাচীন লোক গাথার অন্যতম জনপ্রিয় এক সাহসী যোদ্ধার স্থান এনে দিয়েছে। সেই ষোলশ শতাব্দীর শুরুর দিকের ইতিহাসের অংশ বরিনহুড। আজ একবিংশ শতকে আধুনিক উৎকর্ষতার যুগেও নটিংহ্যামশায়ার ঠিকই স্থান দিচ্ছে এই শহরের সবচেয়ে বড় বীর-রবিনহুডকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/19/1560936068963.jpg

শহরের গণপরিবহন ট্রেন-বাস ও ট্রামে চলাচলের জন্য পরিবহন কার্ডের নাম-রবিনহুড! সেই কার্ডে বিখ্যাত তীরের ছবি!

রাজার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শতাব্দী পুরানো রবিনহুডের সেই সাহসী যুদ্ধ এই শহরের গোড়াপত্তনেও রেখেছে অনেক বড় ভূমিকা। আঠার শতকে শিল্প বিপ্লবের সময় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বড়ো ভূমিকা রাখা সত্ত্বেও এই শহরকে গড়ে তুলতে তেমন কোন উন্নত পরিকল্পনা নেয়নি তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। অধিকার আদায়ের দাবিতে এই শহরের মানুষ কোন সময় পিছু হটেনি। ডিউক অব নিউক্যাসেল যখন ১৮৩২ সংস্কার আইনের বিরোধিতা করেন তখন ক্ষোভে-প্রতিবাদে ফেটে পড়ে এই শহরের মানুষ আন্দোলনে নামে। সেই আন্দোলন একসময় ভয়াবহ দাঙ্গায় পরিণত হয়। দাঙ্গার আগুনে ডিউক অব নিউক্যাসেলের বাসা নটিংহ্যাম ক্যাসেল (দুর্গ) পুড়লো। ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে লড়তে বুকের কোনায় থাকা সাহসটাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র-নটিংহ্যাম সেই মন্ত্র পেয়েছে রবিনহুডের কাছে।

শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করাতো এই শহরকে শিখিয়েছেন বীর রবিনহুড। ক্ষমতাশালী নটিংহ্যাম শেরিফের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র তীর-ধনুক নিয়ে তার লড়াইয়ের সেই বীরত্ব গাঁথা গল্প এই শহরের অস্থি-মজ্জায়।

রবিনহুডের বীরত্বের অনুপ্রেরণা ২০ জুনের ম্যাচে বাংলাদেশ কাজে লাগালেই হলো!

   

রিয়ান ঝড়ের পর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রাজস্থানের জয় 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০ বলে জয়ের জন্য তখন ৫৩ রান দরকার দিল্লি ক্যাপিটালসের। সেখানে জয়ের পাল্লা রাজস্থান রয়্যালসেরই ভারী ছিল। তবে এক ট্রিস্টান স্টাবসে চড়ে জয়ের স্বপ্ন বুনছিল রাজধানীর দলটি। এই প্রোটিয়া ব্যাটারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীতে শেষ দিকে এসে রাজস্থানের পেসাররা দেখান নৈপুণ্য। এতেই শেষ পর্যন্ত ১২ রানের জয় পায় সঞ্জু স্যামসনের দল। 

এদিকে রাজস্থানের টানা দ্বিতীয় জয়ে এদিন ব্যাট হাতে বড় অবদান ছিল রিয়ান পরাগের। আইপিএলের ২০১৯ সালের আসরে অভিষেক পরাগের। সেই আসর থেকেই রাজস্থানের হয়ে খেলেন তিনি। নিয়মিত জায়গাও পান একাদশে। তবে পারফর্ম যেন একেবারেই শূন্যের কাতারে। এই আসরের আগে মোট ৫৪ ম্যাচে স্রেফ ৬০০ রান করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সেখানে দুটি ফিফটির মারে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৫৬ রানের। এমন বাজে পারফর্মে বেশ সমালোচিতও হচ্ছিলেন তিনি। যেন এন্টারটেইনমেন্টের জন্যই থাকেন দলে। তবে সেসব সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২৪ সালে যেন দেখা মিলল নতুন রিয়ানের। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে করেন ৪৩ রান। পরে আজকের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এতেই ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় রাজস্থান। ম্যাচে বাকি কাজ সারেন বোলাররা মিলে। 

জয়পুরে এদিন দিনের একমাত্র ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে রাজস্থান। 

চ্যালেঞ্জিং সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই দিল্লিকে পেস তোপে ভোজ্ঞান নাদ্রে বার্গার। তবে ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক ঋষভ পন্তের জুটিতে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল দিল্লি। তবে দলীয় ১০৫ রানের মাথায় এই দুই বাঁহাতি ব্যাটার ফিরলে জয়ের পথ হয়ে পড়ে বেশ কঠিন। ৪৯ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার। তবে হাল ছাড়েননি স্টাবস। লড়েছেন শেষ ওভার পর্যন্ত। তবে শেষ হাসি হাসে রাজস্থানই। ১৭৩ রানে থামে দিল্লির ইনিংস। রাজস্থানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন বার্গার ও চাহাল। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল ছন্দহীন। ৩৬ রানেই সাজঘরে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলার। সেখানে ধীরগতিতে এগিয়ে আগে চাপ সামাল দেন রিয়ান। শুরুর ২৬ বলে করেছিলেন ২৬ রান। পরে শেষ ১৯ বলে করেছেন ৫৮ রান। ৮৪ রানের এই বিধ্বংসী ইনিংসে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এদিকে রিয়ানকে সঙ্গ দিয়ে ২৯ রানে ইনিংস খেলেন অশ্বিন। এবং শেষে এসে ধ্রুব জুরেলের ২০ রানের ক্যামিওতে ১৮৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাজস্থান। নান্দনিক এই ইনিংসের জবাবে ম্যাচসেরার খেতাবও জেতেন রিয়ান।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

রাজস্থান রয়্যালসঃ ১৮৫/৫ (২০ ওভার) (রিয়ান ৮৪*, অশ্বিন ২৯; অক্ষর ১/২১, খলিল ১/২৪)

দিল্লি ক্যাপিটালসঃ ১৭৩/৫ (২০ ওভার) (ওয়ার্নার ৪৯, স্টাবস ৪৪*; চাহাল ২/১৯, বার্গার ২/২৯)

ফলঃ ১২ রানে জয়ী রাজস্থান

ম্যাচসেরাঃ রিয়ান পরাগ

;

‘অধিনায়ক’ শান্তকে নিয়ে যা বললেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ভারত বিশ্বকাপের ঠিক আগে দেশের শীর্ষ সারির এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ঠিক বিশ্বকাপ পর্যন্তই নেতৃত্বে থাকবেন তিনি। এর একদিন পরেও না। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। বিশ্বকাপের পরই ছেড়েছেন দায়িত্ব। পরে লঙ্কান সিরিজের আগে পূর্ণকালীন তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক হন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এদিকে নেতৃত্ব তো ছেড়েছেনই, গত বছরের ৬ নভেম্বর বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেই চোট পান সাকিব। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খেলেনি আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে। সেখান থেকে সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পর ফের লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরতে চলেছেন সাকিব।

দ্বিতীয় টেস্টে নিয়ে নিজের ভাবনা, শান্তর অধিনায়কত্ব এসব নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব। সেখানে শান্তর লম্বা পথ দেখছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।

শান্তর অধিনায়কত্বে আস্থা রাখছেন সাকিব। জানালেন সাপোর্ট পেলে নেতৃত্বে শান্ত হয়ে উঠবেন দারুণ একজন। তবে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না সাকিব, ‘খুবই আর্লি স্টেজ (শান্তর অধিনায়কত্বে মন্তব্য করা)। আমি  নিশ্চিত বিসিবি ওকে (শান্ত) লম্বা সময়ের কথা ভেবেই নিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে যেটা ওকে সাহায্য করবে সামনে এগিয়ে যেতে। সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন অধিনায়ক হবে।’

;

শামীমের ব্যাটে রূপগঞ্জের হাসি, ৫ উইকেট নিয়েও মলিন রিশাদের মুখ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চার জয়ের পর মোহামেডানের কাছে হেরে ছন্দপতন হয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। তবে সে হার ভুলে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে রূপগঞ্জ। শামিম পাটোয়ারি এবং তৌফিক খান তুষারের জোড়া ফিফটিতে পারটেক্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পারটেক্স অধিনায়ক মিজানুর রহমান। কিন্তু অধিনায়ক বাদে দলটির অন্য কেউ সে সিদ্ধান্তের মান রাখতে পারেননি। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলে মিজান নিজেই যা দলের স্কোরকে ভদ্রস্থ করার চেষ্টা করেছেন। তার ৮৮ রানের ইনিংসে চড়ে ৪৭.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান পর্যন্ত পৌঁছে।

রূপগঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম এবং শুভাগত হোম। মাশরাফি ৯ ওভার বল করে ৩০ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি।

তবে রূপগঞ্জের দুই ব্যাটার শামিম এবং তুষারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৫.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ। ওপেনার তুষারের ব্যাটে আসে ৮৩ রান। আর ৪৩ বলে ৬ চার এবং ৮ ছক্কায় ৮৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেল দলকে জয় এনে দেন ম্যাচসেরা শামিম।

এদিকে ৫ উইকেট নিয়েও শাইনপুকুরকে জেতাতে পারেননি স্পিনার রিশাদ হোসেন। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়ার পথে শাইনপুকুরকে ২৬ রানে হারিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দিনের অপর ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবকে ৩৮ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে গাজী টায়ার্স।

;

‘লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিৎ বাংলাদেশের’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে ১-০ তে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। বড় হারের সে স্মৃতিকে পেছনে রেখে বাংলাদেশের সামনে এখন আরেকটি টেস্টের চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামে লঙ্কানদের ধরাশায়ী সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া বাংলাদেশ, তাতে সিরিজ হার এড়ানোর পাশাপাশি প্রথম টেস্টে বড় হারের কষ্টও কিছুটা লাঘব হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অস্ট্রেলিয়া গেছেন। কোচ না থাকায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। তবে দল এবং একইসঙ্গে সমর্থকদের জন্য সুখবর, টেস্ট সিরিজে খেলার কথা না থাকলেও দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। 

দলে ফিরেই সাকিব জানালেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিত বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ভালো ক্রিকেট খেলার পর এমনটাই চাইছেন সাকিব, ‘আশা তো সব সময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই আমরা স্ট্রাগল করেছি, আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’

অনভিজ্ঞ একটা দল নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সাকিবের প্রত্যাবর্তন অনেক আনন্দের সংবাদ। প্রথম টেস্ট শেষে অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’

;