নেট বোলারের মায়ের কাছে ক্ষমা চাইলেন ওয়ার্নার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সেই নেট বোলারের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন ডেভিড ওয়ার্নার

সেই নেট বোলারের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন ডেভিড ওয়ার্নার

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেভিড ওয়ার্নার শুধু মাঠের লড়াইয়েই মারকুটে ব্যাটসম্যান নন। তার বিস্ফোরক ব্যাটিং আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে দেয় নেট অনুশীলনেও। তার ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল থেকে সাবধান থাকতে হয় বোলার, প্রতিপক্ষের অন্য ক্রিকেটার এমনকি গ্যালারির দর্শকদেরও। তার প্রমাণ তিনি রেখেছেন চলতি বিশ্বকাপেও।

লন্ডনে অস্ট্রেলিয়ানদের অনুশীলনে তেমন অঘটনই ঘটিয়ে বসেন ওয়ার্নার। বিশ্বকাপ শিরোপার অন্যতম দাবীদার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের ঠিক আগে। নেটে ব্যাটিংয়ের সময় এ তারকা অজি ওপেনারের ব্যাট থেকে উড়ে আসা শট আঘাত করে নেট বোলার জয় কিশান প্লাজার মাথায়। অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্ম দিয়ে ভড়কে গিয়ে ছিলেন ওয়ার্নার নিজেই। ভয় তো পাওয়ারই কথা- সে ঘটনার জেরে তিনদিন যে হাসপাতালের বিছানায় কাটাতে হয়েছে ওই নেট বোলারকে।

শন অ্যাবটের বাউন্সারে ২০১৪ সালে পরলোকে চলে যান অজি ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজেস। সেই স্মৃতি ওয়ার্নারের ভয়টা বাড়িয়ে দিয়েছিল।

সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়ার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে দেখা করে ২৩ বছর বয়সী নেট বোলার জয় কিশানকে অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি জার্সি উপহার দেন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম এ সেরা ব্যাটসম্যান। সঙ্গে দুঃখপ্রকাশও করেন ওয়ার্নার। এনিয়ে জয় কিশান বলেন, ‘ওয়ার্নার আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।’

জয় কিশানের মায়ের কাছেও ক্ষমা চান ওয়ার্নার। নেট বোলার কিশান জানান সে তথ্য, ‘ওয়ার্নার আমার মায়ের সঙ্গেও কথা বলেন। ঘটনার জন্য ক্ষমা চান। আমার মা তাকে শুভকামনা জানান।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জয় কিশান বলেন, ‘ফুল লেন্থের ইনসুইংগার ছিল বলটা। ওয়ার্নার খুব জোরে ব্যাট হাঁকাননি। কিন্তু ব্যাটে-বলে টাইমিং হয়েছিল খুব দুর্দান্ত। বলের দিকে দৃষ্টি ছিল আমার। দ্রুত আমার দিকে চলে আসে বলটা।’

জয় কিশান জানান, চেষ্টা করেও নিজেকে সেভ করতে পারেননি, ‘বল থেকে আত্মরক্ষার জন্য সরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কারণ এটা আমার চোখ বা নাকের দিকে আসছিল। কিন্তু শেষে বল আঘাত করে আমার মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে নিচে পড়ে যাই। শুধু মনে আছে, সবাই আমাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল।’


   

প্লে-অফ নিয়ে ধোঁয়াশা, আবাহনী-মেরিনার্স যা বলছে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবারের আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ দিয়েই প্রিমিয়ার হকির শিরোপার হিসাব নিষ্পত্তি হতে পারত। মোহামেডান জিতলেই শিরোপা যেত তাদের ঘরে। কিন্তু মারামারি, হট্টগোল আর মাঠ ছেড়ে যাওয়ার মতো ঘটনায় সে ম্যাচে ২-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও ‘হারতে’ হয় মোহামেডানকে, জয়ী হয় আবাহনী। তাতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট হয় আকাশি-হলুদদেরও।

লিগের বাইলজ অনুায়ী, দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে প্লে-অফ ম্যাচের মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়ন বেছে নেয়া হবে। আগামীকাল (রবিবার) সে প্লে-অফ ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। তবে আবাহনী এবং মেরিনার্স কেউই এখন প্লে-অফ ম্যাচটি খেলতে সম্মত নয়।

আবাহনীর যুক্তি, তাদের চারজন খেলোয়াড় বিমানবাহিনীর হয়ে ভারতে প্রীতি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে। মেরিনার্সের দুইজন খেলোয়াড়ও ভারতে যাচ্ছেন, এছাড়া দলটির বিদেশি খেলোয়াড়রাও যার যার দেশে ফিরে গেছেন। এমতাবস্থায় রবিবার (২১ এপ্রিল) এই ম্যাচ খেলা সম্ভব নয় বলে দুই ক্লাবই ফেডারেশনকে জানিয়ে দিয়েছে। ১ মে ভারত থেকে খেলোয়াড়রা ফেরার পর ম্যাচটি খেলতে আপত্তি নেই তাদের।

মেরিনার্সের সাধারণ সম্পাদক হাসান উল্লাহ খান অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘প্লে-অফটি বাতিল করে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করলে আমরা আপত্তি করবো না।’

এদিকে প্লে-অফ ইস্যুতে দুই ক্লাবের চিঠি দিয়ে আজ বৈঠকে বসার কথা ফেডারেশনের। এরপরই জানা যেতে পারে প্রিমিয়ার হকির শিরোপার ফয়সালা কীভাবে হবে।

;

ব্রাদার্সকে ধসিয়ে মোহামেডানের রেকর্ডগড়া জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিশ্বাস্য মোহামেডান, উড়ন্ত সুলেমান দিয়াবাতে! ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়ল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গোপীবাগের ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে সাদাকালোরা। একাই পাঁচ গোল করেছেন মোহামেডান অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে।

ময়মনসিংহে নিজেদের হোম ভেন্যুতে প্রথম বাঁশি থেকেই চলে মোহামেডানের দাপট। প্রথমার্ধেই তিন গোলের লিড পেয়ে যায় তারা। ৩৪ মিনিটে মুজাফফরভের অ্যাসিস্টে প্রথম ব্রাদার্সের জাল উন্মুক্ত করেন শাহরিয়ার ইমন।

প্রথমার্ধের শেষদিকে আরও দুই গোল যোগ করে ম্যাচের অর্ধেকটা বাকি থাকতেই মোহামেডানের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন দিয়াবাতে।

৪৩ মিনিটে সানডে ইমানুয়েলের বানিয়ে দেয়া বল জালে পাঠিয়ে ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পান দিয়াবাতে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে প্রথম গোলের কারিগর মুজাফফরভের অ্যাসিস্টে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন মোহামেডান অধিনায়ক।

বিরতির পর কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে চায় ব্রাদার্স। মোহামেডানকে গোল শোধ করার তাড়ায় তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে উল্টো তাদের নিজেদের রক্ষণই অরক্ষিত হয়ে পড়ে। সে সুযোগে ৬৮ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন দিয়াবাতে। এর মিনিট চারেক পর পেয়ে যান নিজের চতুর্থ ও দলের পঞ্চম গোলের দেখা।

পাঁচ গোল হজমের পর অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলেকে মাঠে নামায় ব্রাদার্স। তবে তাতেও কাজ হয়নি। উল্টো মাঠে নামার দুই মিনিটের মধ্যেই জাল খুঁজে পান মোহামেডানের বদলি ফুটবলার জুয়েল মিয়া।

শেষ বাঁশির আগে ৮৭ মিনিটে টনি আগবাজি এবং ৮৯ মিনিটে দিয়াবাতে পঞ্চমবারের মতো ব্রাদার্সের গোলমুখ উন্মুক্ত করলে বিশাল এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।

নিজেদের ইতিহাসে এর আগে কেবল দুইবার ৮ গোলের ব্যবধানে জয় পায় মোহামেডান। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে এশিয়ান কাপ উইনার্স কাপে নিউ রেডিয়েন্ট ও ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে একই টুর্নামেন্টে ইলেক্ট্রিসিটি দু লাওসকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। সেই স্মৃতি মনে করিয়ে আবারও প্রতিপক্ষকে ৮-০ গোলে হারানোর উৎসব করল তারা। ট্রান্সফারমার্কেটের তথ্য অনুযায়ী, ঘরোয়া ফুটবলে এখন পর্যন্ত এটাই তাদের রেকর্ড ব্যবধানে জয়ের কীর্তি।

এই জয়ে ১২ ম্যাচ থেকে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মোহামেডান। আর ৩ পয়েন্ট নিয়ে  টেবিলের তলানিতে ধুঁকছে ব্রাদার্স।

;

কানসেলোর মেয়ের মৃত্যু কামনা করলো ক্ষুব্ধ সমর্থকরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে পিএসজির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসর থেকে বাদ পড়েছে বার্সেলোনা। এইরকম হতাশাজনক বিদায় মেনে নিতে পারছে না কাতালান ক্লাবটির সমর্থক ও ভক্তরা। বেশ ক্ষুব্ধ হয়েই নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা।

তবে সমর্থকদের তোপের মুখে বেশ বাজেভাবেই পড়তে হয়েছে বার্সার পর্তুগিজ ডিফেন্ডার কানসেলোকে। তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলে পড়েছে বার্সা সমর্থকরা। তাকে আলাদাভাবে এরকম আক্রমণ করার মূল কারণ তিনি আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে করেছেন কিছু ভুলও। তার করা ফাউলের দরুণ পেনাল্টি পায় পিএসজি, যার ফল পেতে হয়েছে পুরো দলকেই।

ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কানসেলো বলেছেন, ‘লোকেরা যাচ্ছেতাই লিখেছে। ইনস্টাগ্রামে এমনও মন্তব্য দেখেছি যেখানে আমার মেয়ের মৃত্যু কামনা করা হয়েছে। অথচ ওর এখনো জন্মই হয়নি।‘

কানসেলোর প্রেমিকা দানিয়েলা মাসাদো নিজেও একজন অনলাইন ব্লগার। বর্তমানে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান জন্ম হওয়ার অপেক্ষায় আছেন কানসেলো দম্পতি। তার প্রোফাইলের কমেন্টেও বেশ আক্রমণাত্মকভাবে ক্ষোভ ঝেড়েছেন বার্সেলোনার ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। এ প্রসঙ্গে কানসেলো জানান, ‘তারা আমার সঙ্গী, মেয়ে ও অনাগত সন্তানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। পৃথিবীটা বড়ই নিষ্ঠুর। আপনাকে নিষ্ঠুরতার সঙ্গে বসবাস করতে জানতে হবে। আমি জানি কীভাবে চলতে হয়। কিন্তু তাদের নিয়ে কী বলব, সেটা জানা নেই।‘

পিএসজির সঙ্গে হতাশাজনক হারের রাতে নিজেও অনুতপ্ত এবং দুঃখিত ছিলেন কানসেলো, ‘সেই রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। যে দিন আমরা জিততে পারি না, সে রাতে আমার সহজে ঘুম আসে না। বারবার মনে হয়, আমি আমার কাজটা ঠিকভাবে করতে পারিনি, ভালো খেলতে পারিনি।’

;

৪২ বছর বয়সেও যেন রান ক্ষুধা কমেনি ধোনির 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৪ বলের ২০, স্ট্রাইক রেট ৫০০। এবার লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৯ বলে ২৮, স্ট্রাইক রেট ৩০০-এর ওপরে। ৪২ বছর বয়সে এসেও চলতি আইপিএলে একের পর এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে চলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বর্তমানে আইপিএল ছাড়া আর অন্য কোন ধরণের টুর্নামেন্টে খেলেন না চেন্নাইয়ের সাবেক এই অধিনায়ক। আইপিএলও আসে পুরো বছর ঘুরে। তবুও ধোনির দৃঢ়তা, ফর্ম, রানের ক্ষুধা সবেই অবাক বনে নিয়ে গেছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার টম মুডিকে। 

আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের (তৎকালের কিংস এলেভেন পাঞ্জাব) পর দীর্ঘদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোচ ছিলেন মুডি। এতে আইপিএলে সরাসরি ধোনির খেলা দেখার সুযোগও হয়েছে তার। গত রাতের লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ ওভারে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে টুর্নামেন্ট ইতিহাসে ইনিংসের শেষ ওভারে ৬৫টি ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েন তিনি। বয়সটা বুড়ো কাতারের দিকে গেলেও এখনো ব্যাট হাতে রানে কুঁড়ে বেড়ানোর ক্ষুধা যেন কমেনি আর। ম্যাচের পর ইএসপিএনের সঙ্গে আলাপকালে তাই ধোনির বন্দনায় মাতেন মুডি। 

সেখানে মুডি বলেন, ‘৪২ বছর বয়স। তবে এখনো কতটা ফিট, কতটা মনযোগী, কতটা ক্ষুধার্ত। তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো, আইপিএল ছাড়া এখন তিনি কোনো ধরণের ক্রিকেটই খেলেন না। হঠাৎ করে এসে এমন অভিজাত স্তরের টুর্নামেন্টে প্রত্যাশামাফিক পারফর্ম করা প্রায় অসম্ভব।’

ম্যাচটিতে লক্ষ্ণৌয়ের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে চেন্নাই। তবে ওই চেন্নাইয়ের সমর্থকদের মতো লক্ষ্ণৌয়ের বড় ব্যবধানের এই জয় ছাপিয়ে লাইমলাইটে ধোনির সেই ‘মাস্টার ক্যামিও’ ইনিংসটি। 

;