১৬৯৩ নারী ফুটবলারের চেয়ে দ্বিগুণ বেতন মেসির!
লিওনেল মেসিকে নিয়ে সমালোচনা করার মতো মানুষের অভাব নেই। কোনো সংস্থা আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরকে নিয়ে সমালোচনামুখর হবে তা কিন্তু ভাবাই যায় না। অতীতে এমনটা না হলেও এবার তেমন তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হল বার্সার এ মেগাস্টারকে।
মেসির সমালোচনা করেছে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনাইটেড ন্যাশনস উইমেন। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবল মহাতারকা মেসির প্রতি তাদের অভিযোগ তার মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে নয়। তার বিশাল অঙ্কের বেতনই বাধিয়েছে যত গন্ডগোল।
আসলে সেটাও কোনো সমস্যা নয়। সমস্যাটা নারী-পুরুষ ফুটবলারদের বেতন বৈষম্য। বৈষম্যের উদাহরণ টান গিয়ে মেসির বেতনের কথা উঠে এসেছে সংস্থাটির অভিযোগে।
নারী ফুটবল থেকে পুরুষ ফুটবলে বেতন বৈষম্যটা আকাশ-পাতাল তফাত। নারী ফুটবলকে সমান গুরুত্ব না দেওয়া ও বেতন বৈষম্যের কারণে চলতি বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে আছেন অ্যাডা হ্যাজারবার্গ। যা নরওয়ের জন্য বড় এক ধাক্কা। কারণ হ্যাজারবার্গ শুধু এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীই নন, লিঁওর হয়ে টানা চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছেন এ তারকা ফুটবলার।
বিশ্বে ক্লাব ফুটবল থেকে সবচেয়ে বেশি বেতন পান বার্সেলোনার মহা তারকা মেসি। কর ছাড়া বছরে তার বেতন ৮৪ মিলিয়ন ডলার।
জাতিসংঘের ফেসবুক পেজের এক ছবি পোস্ট করাতেই স্পষ্ট হয়েছে তা। ইউরোপের ৭টি সেরা লিগে খেলা ১৬৯৩ জন নারী ফুটবলারদের সবার যে বেতন পান। তার দ্বিগুণ পান মেসি একাই!
ওই নারী ফুটবলারদের মোট বাৎসরিক বেতন ৪২.৬ মিলিয়ন ডলার। আর মেসি একাই পান ৮৪ মিলিয়ন ডলার!
ফিফা নারী বিশ্বকাপ চলার সময় খেলাধুলায় মেয়েদের সমান বেতনের দাবি করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড নেশনস উইমেন।
বেতন বৈষম্য নিয়ে এমনিতেই সরব নারী ফুটবলাররা। বিশ্বকাপের শেষ আটে উঠা যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ জন ফুটবলার মামলা করেছেন তাদের ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে। ক্ষতিপূরণের দাবি বিশ্বকাপ শেষে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে অ্যালেক্স মরগান,মেগান র্যাপিনু ও কার্লি লয়েডদের আপাতত শান্ত রেখেছে ফেডারেশন।