শেষ ম্যাচের আগে অনুশীলনেই নেই মাশরাফি!
কিসের পাকিস্তান? কিসের লর্ডস! এই ম্যাচে বাংলাদেশের সব আকর্ষণ যে একজনকে ঘিরেই-মাশরাফি বিন মর্তুজা!
শুক্রবার (৫ জুলাই) যে বিশ্বকাপের মাঠে মাশরাফি বিন মর্তুজার শেষ ম্যাচ। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ! ক্যারিয়ারেরও কি? সেই প্রশ্নের উত্তর আরেকবার জানার দিনও ছিল এটা। কিন্তু ম্যাচ পূর্ব বাংলাদেশ দলের সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি যে এলেনই না। তার হয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করলেন কোচ স্টিভ রোডস।
শুধু সংবাদ সম্মেলনে নয়, মাশরাফিকে যে ম্যাচের আগের দিন মাঠের অনুশীলনেই দেখা গেলো না! বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ নিয়ে কি অধিনায়ক একটু বেশি আবেগি হয়ে পড়লেন?
মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম জানালেন, দলের সঙ্গে মাঠে এসেছেন মাশরাফি, কিন্তু শরীর সামান্য খারাপ লাগায়, অনুশীলনে অংশ নেননি। তবে বাড়তি কোনো সমস্যা নেই। সবকিছুই ঠিক আছে।
সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বিষয়ক এমন অনেক প্রশ্ন শুনতে হলো বাংলাদেশ কোচকে। পুরো বিশ্বকাপে বোলার মাশরাফির পারফরমেন্স খুবই নাজুক। সাত ম্যাচে মাত্র ১ উইকেট। এর মধ্যে ছয় ম্যাচে নিজের ১০ ওভারের বোলিং কোটাও পুরো করতে পারেননি। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচই কি তাহলে মাশরাফির ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে? ক্রিকেটকে বিদায় বলার জন্য কি ‘ক্রিকেট যোদ্ধা’ মাশরাফির এটাই সঠিক সময়?
যে প্রশ্নের উত্তর মাশরাফির কাছ থেকে শোনার জন্য সবাই অপেক্ষা করছিলেন, সেই উত্তর শুনতে হলো কোচের কাছে। কোচ স্টিভ রোডস অবশ্য কূটনীতিক সুরেই সব জবাব দিলেন-‘ দেখুন, মাশরাফি কখন এবং কবে বিদায় নেবে, এটা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্তটা মাশরাফিই নেবে। এই ব্যাপারটা পুরোপুরি তার উপরই ছেড়ে দেয়া উচিত। জানি তার বিদায়ের খবর মিডিয়ার জন্য বড়ো হেডলাইন হবে। তবে সে বিদায় নেবে-নাকি নেবে না, সেই সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে দিয়ে সবারই উচিত তার প্রতি সম্মান দেখানো।’
মাশরাফিকে ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দল! এই চিন্তাটা কেমন এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কোচ বাস্তবতার সঙ্গে গেলেন-‘মাশরাফি যদি কোনো একসময় বিদায় নেয়, তাহলে তারপরের বাংলাদেশকেও তো এগিয়ে যেতেই হবে। জানি তার শূন্যস্থান পূরণ করা তখন হয়তো কঠিন হবে। তবে সামনে তো বাড়তেই হবে!’
আবেগের উপস্থিতি থাকছে। কিন্তু ক্রিকেটকে বাস্তবতা মেনেই চলতে হয়!