কার্টেল ওভার চায়নি ভারত, চেয়েছিল রিজার্ভ ডে!



এম.এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ওল্ড ট্রাফোর্ড, ম্যানচেস্টার, ইংল্যান্ড থেকে
বৃষ্টি প্রথম সেমি-ফাইনালে নিয়ে গেল রিজার্ভ ডে-তে

বৃষ্টি প্রথম সেমি-ফাইনালে নিয়ে গেল রিজার্ভ ডে-তে

  • Font increase
  • Font Decrease

দুপুর থেকে সেই অপেক্ষা শুরু হয়েছিল। সেই ক্ষণ শেষ হল সন্ধ্যায়! মঙ্গলবার যখন আম্পায়াররা জানালেন বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনাল ম্যাচটা রিজার্ভ ডে’ তে যাচ্ছে, তখন ওল্ড ট্রাফোর্ডের প্রেসবক্সের ঘড়িতে সন্ধ্যা ৬টা ২৫মিনিট।

সন্ধ্যা, কিন্তু তখনো দিনের পরিস্কার আলো। এখানে যে সূর্যই ডুবে রাত ১০টায়!

বৃষ্টি বাধায় পড়ার আগে ভারত-নিউজিল্যান্ডের এই সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ড তুলেছিলো ৪৬.১ ওভারে ৫ উইকেটে ২১১ রান। রিজার্ভ ডে’ তে নিউজিল্যান্ড তাদের ইনিংসের বাকি ২৩ বল খেলবে। তারপর ভারত ব্যাটিংয়ে নামবে।

এখন প্রশ্ন হলো বৃষ্টিতে এই ম্যাচ রিভার্জ ডে’ তে যাওয়া লাভ হলো কার? ক্ষতিই হলো কোন দলের?

সহজ উত্তর আপাতত-বড় সুবিধায় আছে ভারত।

সন্দেহ নেই এই সেমিফাইনাল যদি প্রথমদিনেই ২০ ওভারের কার্টেল ম্যাচের হতো তাহলে ভারত অসুবিধায় পড়তো। ভারত কোনোমতেই গুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনাল ম্যাচ ২০ ওভারের কার্টেল ওভারের হোক- সেটা চায়নি। হয়তো ভারতের জয়ের টার্গেট তখন খুব বেশি হতে না। ২০ ওভারে তাদের জিততে তখন করতে হতো ১৪৬ রান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/10/1562727204620.jpg

আপাত দৃষ্টিতে সহজ টার্গেট। কিন্তু বৃষ্টিভেজা উইকেট, মেঘলা আকাশ, ঝিরি ঝিরি বাতাস। সেই বাতাসে ছড়িয়ে থাকা জলীয় বাস্পের কণা-ক্রিকেটীয় এই উপাদান গুলো পেস বোলারদের দারুণ উৎসাহিত করে। ওল্ড ট্রাফোর্ডের এই আবহাওয়া এবং কন্ডিশন পুরোপুরি মিলে যাচ্ছিলো নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টন বা অকল্যান্ডের ক্রিকেটীয় পরিবেশের সঙ্গে! আর ভেজা উইকেটে জয়ের টার্গেট যতই ছোট হোক না কেন-ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, কলিন ডি গ্রান্ডোম, জেমস নিসামের পেস বোলিংয়ের সামনে দাড়ানো সহজ কথা নয়।

আর তাই ভারত কোনো মতেই এই ম্যাচ ২০ ওভারের কার্টেল ম্যাচে পরিণত হোক- সেটা চায়নি। বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে যখন বৃষ্টি কমে গেলো তখন কার্টেল ওভারের ম্যাচের দিকেই গড়াচ্ছিলো এই সেমিফাইনাল। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা ১২ মিনিটে ফের ওল্ড ট্রাফোর্ডে বৃষ্টি নামে। মুলত সন্ধ্যার সেই বৃষ্টিতেই জানা হয়ে যায়-মঙ্গলবার বাকি সময়টায় এই ম্যাচ শুরুর আর সম্ভাবনা নেই। ম্যাচটা রিজার্ভ ডে’ তে যাচ্ছে।

হলোও তাই।

২০ ওভারে ১৪৬ রান তাড়া করার চেয়ে ভারত ৫০ ওভারে ২৫০ রান (আনুমানিক) তাড়া করাকেই বেশি সুবিধাজনক মানছে। হঠাৎ করে ওয়ানডে ফরমেট বদলে টি-টুয়েন্টিতে ফিরে যাওয়ার জন্য একটা অভ্যাস বা মানিয়ে নেয়ার বিষয়ও তো আছে। তাই কার্টেল ওভারের ম্যাচটা হলে ভারত অবশ্যই কিছুটা ঝুঁকিতে পড়তো। আর তাই ভারত অতি অবশ্যই চেয়েছিলো পুরো ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলতে। তাছাড়া বৃষ্টিতে যদি রিজার্ভ ডে’ তেও খেলা না হয়-তাহলেও নিয়ম অনুযায়ী ভারতই যাবে ফাইনালে। কারণ গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ভারতের পয়েন্ট ছিলো বেশি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/10/1562727227794.jpg

নিউজিল্যান্ড ইনিংসের এখনো ২৩ বল বাকি আছে। এই ২৩ বল নিউজিল্যান্ডকে খেলতে হবে ম্যাচে ভারতের সেরা দুই বোলারের বিপক্ষে; ভুবেনশ্বর কুমার ও জাসপ্রিত বুমরা। ভুবেনশ্বরের কোটার ১১ বল বাকি। আর বুমরার বাকি পুরো দুই ওভার। ওল্ড ট্রাফোর্ডের সেমি-ফাইনালে এই দুই ভারতীয় বোলারই নিউজিল্যান্ডকে চাপে রাখেন। ম্যাচে এখন পর্যন্ত বুমবার বোলিং বিশ্লেষণ ৮ ওভারে ১ মেডেন ২৫ রানে ১ উইকেট। ভুবেনশ্বরের পারফরমেন্সও চমৎকার। ৮ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩০ রানে ১ উইকেট।

শেষের ২৩ বলে এই দুজনের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড নিজেদের স্কোর আর কতোদূর নিয়ে যেতে পারে- সেটাই এখন দেখার বিষয়। অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান রস টেইল ( ৮৫ বলে ৬৭ রান) ও টস ল্যাথাম (৪ বলে ৩ রান) লম্বা সময়ের পরে এই ম্যাচে আরেকবার ব্যাট করতে নামবেন। মাঝের এই বড়ো বিরতি নিশ্চিতভাবে তাদের ব্যাটিংয়ের ফোকাসে সমস্যা তৈরি করবে।

বৃষ্টিস্নাত উইকেট ও মাঠে বাকি ২৩ বলের প্রতি বলেই নিউজিল্যান্ড চালিয়ে খেলতে চাইবে। ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো স্কোর যে এখনো জমা করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড।

রিজার্ভ ডে তে গড়ানো সেমি-ফাইনাল নিউজিল্যান্ডের দুঃশ্চিন্তা বাড়ালেও ভারত আপাতত সুবিধায়।

   

রিয়ান ঝড়ের পর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রাজস্থানের জয় 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০ বলে জয়ের জন্য তখন ৫৩ রান দরকার দিল্লি ক্যাপিটালসের। সেখানে জয়ের পাল্লা রাজস্থান রয়্যালসেরই ভারী ছিল। তবে এক ট্রিস্টান স্টাবসে চড়ে জয়ের স্বপ্ন বুনছিল রাজধানীর দলটি। এই প্রোটিয়া ব্যাটারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীতে শেষ দিকে এসে রাজস্থানের পেসাররা দেখান নৈপুণ্য। এতেই শেষ পর্যন্ত ১২ রানের জয় পায় সঞ্জু স্যামসনের দল। 

এদিকে রাজস্থানের টানা দ্বিতীয় জয়ে এদিন ব্যাট হাতে বড় অবদান ছিল রিয়ান পরাগের। আইপিএলের ২০১৯ সালের আসরে অভিষেক পরাগের। সেই আসর থেকেই রাজস্থানের হয়ে খেলেন তিনি। নিয়মিত জায়গাও পান একাদশে। তবে পারফর্ম যেন একেবারেই শূন্যের কাতারে। এই আসরের আগে মোট ৫৪ ম্যাচে স্রেফ ৬০০ রান করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সেখানে দুটি ফিফটির মারে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৫৬ রানের। এমন বাজে পারফর্মে বেশ সমালোচিতও হচ্ছিলেন তিনি। যেন এন্টারটেইনমেন্টের জন্যই থাকেন দলে। তবে সেসব সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২৪ সালে যেন দেখা মিলল নতুন রিয়ানের। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে করেন ৪৩ রান। পরে আজকের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এতেই ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় রাজস্থান। ম্যাচে বাকি কাজ সারেন বোলাররা মিলে। 

জয়পুরে এদিন দিনের একমাত্র ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে রাজস্থান। 

চ্যালেঞ্জিং সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই দিল্লিকে পেস তোপে ভোজ্ঞান নাদ্রে বার্গার। তবে ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক ঋষভ পন্তের জুটিতে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল দিল্লি। তবে দলীয় ১০৫ রানের মাথায় এই দুই বাঁহাতি ব্যাটার ফিরলে জয়ের পথ হয়ে পড়ে বেশ কঠিন। ৪৯ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার। তবে হাল ছাড়েননি স্টাবস। লড়েছেন শেষ ওভার পর্যন্ত। তবে শেষ হাসি হাসে রাজস্থানই। ১৭৩ রানে থামে দিল্লির ইনিংস। রাজস্থানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন বার্গার ও চাহাল। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল ছন্দহীন। ৩৬ রানেই সাজঘরে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলার। সেখানে ধীরগতিতে এগিয়ে আগে চাপ সামাল দেন রিয়ান। শুরুর ২৬ বলে করেছিলেন ২৬ রান। পরে শেষ ১৯ বলে করেছেন ৫৮ রান। ৮৪ রানের এই বিধ্বংসী ইনিংসে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এদিকে রিয়ানকে সঙ্গ দিয়ে ২৯ রানে ইনিংস খেলেন অশ্বিন। এবং শেষে এসে ধ্রুব জুরেলের ২০ রানের ক্যামিওতে ১৮৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাজস্থান। নান্দনিক এই ইনিংসের জবাবে ম্যাচসেরার খেতাবও জেতেন রিয়ান।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

রাজস্থান রয়্যালসঃ ১৮৫/৫ (২০ ওভার) (রিয়ান ৮৪*, অশ্বিন ২৯; অক্ষর ১/২১, খলিল ১/২৪)

দিল্লি ক্যাপিটালসঃ ১৭৩/৫ (২০ ওভার) (ওয়ার্নার ৪৯, স্টাবস ৪৪*; চাহাল ২/১৯, বার্গার ২/২৯)

ফলঃ ১২ রানে জয়ী রাজস্থান

ম্যাচসেরাঃ রিয়ান পরাগ

;

‘অধিনায়ক’ শান্তকে নিয়ে যা বললেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ভারত বিশ্বকাপের ঠিক আগে দেশের শীর্ষ সারির এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ঠিক বিশ্বকাপ পর্যন্তই নেতৃত্বে থাকবেন তিনি। এর একদিন পরেও না। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। বিশ্বকাপের পরই ছেড়েছেন দায়িত্ব। পরে লঙ্কান সিরিজের আগে পূর্ণকালীন তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক হন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এদিকে নেতৃত্ব তো ছেড়েছেনই, গত বছরের ৬ নভেম্বর বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেই চোট পান সাকিব। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খেলেনি আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে। সেখান থেকে সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পর ফের লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরতে চলেছেন সাকিব।

দ্বিতীয় টেস্টে নিয়ে নিজের ভাবনা, শান্তর অধিনায়কত্ব এসব নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব। সেখানে শান্তর লম্বা পথ দেখছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।

শান্তর অধিনায়কত্বে আস্থা রাখছেন সাকিব। জানালেন সাপোর্ট পেলে নেতৃত্বে শান্ত হয়ে উঠবেন দারুণ একজন। তবে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না সাকিব, ‘খুবই আর্লি স্টেজ (শান্তর অধিনায়কত্বে মন্তব্য করা)। আমি  নিশ্চিত বিসিবি ওকে (শান্ত) লম্বা সময়ের কথা ভেবেই নিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে যেটা ওকে সাহায্য করবে সামনে এগিয়ে যেতে। সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন অধিনায়ক হবে।’

;

শামীমের ব্যাটে রূপগঞ্জের হাসি, ৫ উইকেট নিয়েও মলিন রিশাদের মুখ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চার জয়ের পর মোহামেডানের কাছে হেরে ছন্দপতন হয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। তবে সে হার ভুলে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে রূপগঞ্জ। শামিম পাটোয়ারি এবং তৌফিক খান তুষারের জোড়া ফিফটিতে পারটেক্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পারটেক্স অধিনায়ক মিজানুর রহমান। কিন্তু অধিনায়ক বাদে দলটির অন্য কেউ সে সিদ্ধান্তের মান রাখতে পারেননি। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলে মিজান নিজেই যা দলের স্কোরকে ভদ্রস্থ করার চেষ্টা করেছেন। তার ৮৮ রানের ইনিংসে চড়ে ৪৭.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান পর্যন্ত পৌঁছে।

রূপগঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম এবং শুভাগত হোম। মাশরাফি ৯ ওভার বল করে ৩০ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি।

তবে রূপগঞ্জের দুই ব্যাটার শামিম এবং তুষারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৫.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ। ওপেনার তুষারের ব্যাটে আসে ৮৩ রান। আর ৪৩ বলে ৬ চার এবং ৮ ছক্কায় ৮৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেল দলকে জয় এনে দেন ম্যাচসেরা শামিম।

এদিকে ৫ উইকেট নিয়েও শাইনপুকুরকে জেতাতে পারেননি স্পিনার রিশাদ হোসেন। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়ার পথে শাইনপুকুরকে ২৬ রানে হারিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দিনের অপর ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবকে ৩৮ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে গাজী টায়ার্স।

;

‘লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিৎ বাংলাদেশের’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে ১-০ তে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। বড় হারের সে স্মৃতিকে পেছনে রেখে বাংলাদেশের সামনে এখন আরেকটি টেস্টের চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামে লঙ্কানদের ধরাশায়ী সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া বাংলাদেশ, তাতে সিরিজ হার এড়ানোর পাশাপাশি প্রথম টেস্টে বড় হারের কষ্টও কিছুটা লাঘব হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অস্ট্রেলিয়া গেছেন। কোচ না থাকায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। তবে দল এবং একইসঙ্গে সমর্থকদের জন্য সুখবর, টেস্ট সিরিজে খেলার কথা না থাকলেও দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। 

দলে ফিরেই সাকিব জানালেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিত বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ভালো ক্রিকেট খেলার পর এমনটাই চাইছেন সাকিব, ‘আশা তো সব সময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই আমরা স্ট্রাগল করেছি, আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’

অনভিজ্ঞ একটা দল নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সাকিবের প্রত্যাবর্তন অনেক আনন্দের সংবাদ। প্রথম টেস্ট শেষে অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’

;