সুপারস্টার তেমন নেই, কিন্তু পরিশ্রমী কর্মীর দল নিউজিল্যান্ড



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লন্ডন, ইংল্যান্ড থেকে
মাঠে এমনই চনমনে কিউই ক্রিকেট দল

মাঠে এমনই চনমনে কিউই ক্রিকেট দল

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ক্রিকেট ম্যাচ জেতার জন্য একটা আবশ্যিক অনুষঙ্গের কথা প্রায়স বলেন-‘ভাগ্য!’

সম্ভবত এবারের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডই একমাত্র দল যারা ভাগ্যকে সঙ্গে নিয়ে এসেছে। ৫ জুন ওভালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ক্রিকেট ভাগ্যের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের সখ্য শুরু। নইলে কেন উইলিয়ামসনের সহজ রানআউটের সেই সুযোগ মুশফিক রহিম কেন মিস করবেন?

কেন উইলিয়ামসন যদি বিশ্বকাপ জিতেন তাহলে তাতে মুশফিকের একটা বড় অবদান থাকছে নিশ্চয়ই!

ওভালের সেই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনার নিক্তি বাংলাদেশের দিকেই ঝুঁকেছিলো। কিন্তু ২ উইকেটের জয়ের জন্য সঙ্গে থাকা ক্রিকেট ভাগ্যকেও ধন্যবাদ দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্লোস ব্রাফেট যে ব্যাটিং করছিলেন তাতে নিউজিল্যান্ডের হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু শেষ ওভারে সেই ম্যাচেও ‘ক্রিকেট গড’ নিউজিল্যান্ডের পাশে এসে দাড়ালেন। নিউজিল্যান্ড সেই ম্যাচ জিতলো ৫ রানে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563022520514.jpg

একটু মনে করিয়ে দেই-ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড সেই ম্যাচ জিতেছিলো ম্যানচেষ্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। যে মাঠ এবং শহরের আবহাওয়া ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালেও তাদের পাশে ছিলো। গ্যালারি জুড়ে পুরোটাই ভারতীয় দর্শক ও সমর্থকে ভরা।

কিন্তু ওখানেও যে ‘ক্রিকেট গড’ নিউজিল্যান্ডের পাশে!

তারও আগে নটিংহ্যামশায়ারে ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের গ্রুপের ম্যাচটি বৃষ্টিতে বাতিল হয়ে যায়। সেই ম্যাচের একপয়েন্ট নিউজিল্যান্ডের অনেক বড়ো উপকার করে। নইলে যে সেমিফাইনালই খেলা হয় না তাদের!

সমান ১১ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালের দৌড়ে ছিলো। কিন্তু এখানেও আরেকবার ক্রিকেট ভাগ্য কিউইদের সঙ্গেই গেলো। রানরেটে অনেক এগিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড শেষ দল হিসেবে শেষ চারে উঠলো।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/13/1563022547701.jpg

বিশ্বকাপ শুরুর আগে নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে সবার সর্বোচ্চ আশা ছিলো বিগ থ্রি’র সঙ্গে এই দল সেমিফাইনালে খেলবে। হলোও তাই। কিন্তু একেবারে ফাইনালে? উহু, এত দুরে দৃষ্টি দেননি কেউ।

কিন্তু ক্রিকেটে সব হিসেব মেলে না সব সময়। আপাতত নিউজিল্যান্ড অনেক হিসেব বদলে দিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান রস টেলরকে ছাড়া এই নিউজিল্যান্ড দলের বাকিদের তারকা মুল্য মাঝারি মানের।

হয়তো ক্রিকেট আকাশের ঝলমলো তারা নেই নিউজিল্যান্ডের এই দলে। কিন্তু পুরো দল জুড়েই যে আছে পরিশ্রমী ও দক্ষ কর্মী। যারা জিততে জানে। দলকে জেতাতে জানে। এই দলটি তারায় তারায় খচিত না কিন্তু কাজে-কর্মে ঠিকই রচিত!

ক্রিকেট গড কি থাকছেন লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের ব্যালকনিতে?

   

নাহিদের ৫ উইকেটের দিনে মোহামেডানের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে শাইনপুকুরের কাছে ডিএলএস মেথডে ৬ উইকেটে হেরে গেছে মোহামেডান। ৫ উইকেট নিয়ে শাইনপুকুরকে জয় এনে দিয়েছেন তরুণ গতিতারকা নাহিদ রানা।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মোহামেডান। ওপেনার ইমরুল কায়েস ফিফটি পেলেও টপ এবং মিডল অর্ডারের অন্য ব্যাটাররা তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ৫৬ রান করে ইমরুল থেমেছেন হাসান মুরাদের বলে বোল্ড হয়ে।

মোহামেডানের টপ এবং মিডল অর্ডার একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন নাহিদ রানা। ১০ ওভারে ৪৫ রান খরচায় ৫ উইকেট ঝুলিতে পোরেন এই পেসার।

লোয়ার অর্ডারে আবু হায়দার রনির ৫৫ বলে ৫১ রানের লড়াকু ইনিংসের সুবাদে দুইশ ছাড়ায় মোহামেডানের সংগ্রহ। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৭ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে সাদাকালোরা।

রান তাড়ায় শাইনপুকুরকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং জিসান আলম। ৩৬ বলে সমান ৩৬ রান করেন তানজিদ, ১৫ বলে ১ চার এবং ৩ ছক্কায় ২৬ রান আসে জিসানের ব্যাটে।

শাইনপুকুরের ইনিংসের মাঝপথে বৃষ্টি হানা দিলে তাদের কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। ৩০ ওভারে লক্ষ্য নেমে আসে ১৫৮ রানে।

অধিনায়ক আকবর আলির ২০ বলে ২৭ রানের ক্যামিওতে ১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শাইনপুকুর। ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাহিদ।

ডিপিএলের চলতি মৌসুমে ১০ ম্যাচ শেষে মোহামেডান এবং শাইনপুকুরের পয়েন্ট সমান ১৪। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় তিনে রয়েছে শাইনপুকুর, চার মোহামেডান।

;

ভারতের বিপক্ষে মেয়েদের দলে দুই পরিবর্তন



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ সফর করবে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। আগামী ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশে পা রাখবে তারা। এই সিরিজের জন্য এরই মধ্যে দল ঘোষণা করেছে ভারত। এবার বাংলাদেশও সিরিজকে সামনে রেখে ১৫ সদস্যের দল চূড়ান্ত করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ফারজানা আক্তার লিসা এবং সুমাইয়া আক্তার দলে তাদের জায়গা হারিয়েছেন। তাদের বদলে দলে ডাক পেয়েছেন রুবয়া হায়দার ঝিলিক ও ১৫ বছর বয়সী পেসার হাবিবা ইসলাম পিংকি।

২৮ এপ্রিল মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। বাকি চারটি ম্যাচ যথাক্রমে ৩০ এপ্রিল, ২ মে, ৬ মে ও ৯ মে।

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল

নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, সোবহানা মুশতারি, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, রাবেয়া, সুলতানা খাতুন, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, শরিফা খাতুন, দিলারা আক্তার, রুবয়া হায়দার ঝিলিক, হাবিবা ইসলাম পিংকি

স্ট্যান্ডবাই: সুমাইয়া আক্তার, নিশিতা আক্তার নিশি

;

হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হলেন মুশতাক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লঙ্কান রঙ্গনা হেরাথের উত্তরসূরি পাকিস্তান থেকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন পাকিস্তানের স্পিন কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের কোচিং প্যানেল বড় রদবদল হয়েছে। হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং সহকারী কোচ নিক পোথাস বাদে কোচিং প্যানেলের অন্য সদস্যরা তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষের পর দায়িত্ব ছাড়েন। শ্রীলঙ্কার সাবেক স্পিনার হেরাথও তখন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।

পরে অবশ্য হেরাথকে ফেরাতে চেয়েছিল বিসিবি। বছরে ২০০ দিন কাজের অভিনব এক প্রস্তাবও দিয়েছিল। তবে হেরাথ তাতে সাড়া দেননি। যার ফলে নতুন স্পিন বোলিং কোচ খুঁজতে হয় বিসিবিকে। মুশতাক আহমেদকে নিয়োগের মধ্যে সে খোঁজাখুঁজির কাজ শেষ হল।

মুশতাক আহমেদের খেলোয়াড়ি জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৪০০’র বেশি উইকেট রয়েছে এই ঘূর্ণিবাজের।

২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকিয়ে কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ায় মনোযোগী হন মুশতাক। ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের স্পিন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন, ২০১৪ পর্যন্ত সে পদে ছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন মেয়াদে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলেও কাজ করেছেন। আইপিএল এবং কাউন্টি ক্রিকেটেও কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

;

সহজ জয়ে ফেড কাপের সেমিতে বসুন্ধরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের সামনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। যে রহমতগঞ্জের সঙ্গে আগের ১২ সাক্ষাতে কোনো হার নেই, তাদের মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ কী! সহজ কাজটা সহজেই সেরেছে কিংস। দুই অর্ধের দুই গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে তারা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকেই ছিল বসুন্ধরার দাপট। ২৪ মিনিটে সে দাপটের পুরস্কারও পেয়ে যায় তারা। ২৪ মিনিটে রবসনের লে অফে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বসুন্ধরাকে এগিয়ে দেন সোহেল রানা। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা।

বিরতির পর টনক নড়ে রহমতগঞ্জের। ৪৮ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগও পেয়েছিল তারা। ডান পাশ থেকে মোহাম্মদ রকির ক্রস থেকে গোলের মুখে ফাঁকায় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন দাউদা সিসে। তবে সে সুযোগ হেলায় হারান রহমতগঞ্জের এই ফুটবলার।

সুযোগ নষ্টের মূল্য দ্বিতীয় গোল হজম করে চুকাতে হয় রহমতগঞ্জকে। ৬২ মিনিটে রবসন রবিনিওর লব করে বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান এমফন উদোহ। তার আলতো চিপে বোকা বনেন রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা।

শেষ বাঁশি পর্যন্ত এই স্কোরলাইন ধরে রেখে মোহামেডানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ফেডারেশন কাপের শেষ চারের টিকিট পায় বসুন্ধরা।

;