সদস্য পদ স্থগিতে ক্রিকেটের বাইরে জিম্বাবুয়ে
থমকে গেল জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট। এখন আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবে না টেস্ট খেলুড়ে এই দেশটি। জিম্বাবুয়ের সদস্য পদ স্থগিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
দেশটির বোর্ডে সরকারের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের পরই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। বোর্ড পরিচালনায় সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকার বিষয়টি প্রমাণ দিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। যা কীনা আইসিসি’র সংবিধান লঙ্ঘন। এ কারণে বৃহস্পতিবার লন্ডনে আইসিসির বোর্ড সভায় স্থগিত করা হয় জিম্বাবুয়ের সদস্য পদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, ‘আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ জিম্বাবুয়ে। এ অবস্থায় তাদের বোর্ড পরিচালনা ও প্রশাসনে সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত থাকতে হবে। অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের বিধানও থাকতে হবে। কিন্তু জিম্বাবুয়ে এই বিধি মানেনি। এ কারণেই দেশটির সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে। এই জুনে জিম্বাবুয়ে সরকার তাদের ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যদের বহিষ্কার করে। তারপর থেকেই দেশটির ক্রিকেটে নজর রেখেছে আইসিসি।’
গত জুনে জিম্বাবুয়ে সরকার তাদের দেশের ক্রিকেট বোর্ড বিলুপ্ত ঘোষণা করে একটি মধ্যবর্তী কমিটি করে দিতেই কঠোর অবস্থানে যায় আইসিসি। বলা হচ্ছে, আইসিসির গঠনতন্ত্রের ২.৪ (গ) এবং (ঘ) ধারা অমান্য করার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর স্পষ্ট জানিয়ে রাখলেন, ‘আমরা ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বাইরে রাখতে চাই। কিন্তু জিম্বাবুয়ে যা হয়েছে তা আইসিসির গঠনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমনটা আমরা হতে দিতে পারি না।’
এমন স্থগিতাদেশের পর থমকে যাবে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট। তারা আইসিসি'র কোনো ইভেন্টে অংশ নিতে পারবে না। জাতীয় দল ও বয়সভিত্তিক কোনো দল দলের ক্রিকেট বন্ধই হয়ে গেল। এমন কী আইসিসির কাছ থেকে কোন অর্থও পাবে না তারা। অক্টোবরে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলাটাও অনিশ্চিত হয়ে গেল জিম্বাবুয়ের।
তবে এই অবস্থা থেকে মুক্তির রাস্তাও দেখিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। তারা জানিয়েছে-আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিলে আর নির্বাচিত কমিটি বোর্ডের দায়িত্ব নিতে পারলেই স্থগিতাদেশ তুলে নিতে পারে আইসিসি। তবে অক্টোবরের বোর্ড মিটিংয়ে আগে সুখবর পাবে না আফ্রিকার এই দেশটি।