কাশ্মীর ভাঙলেও ভাঙছে না ক্রিকেট
পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদাও হারাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর। ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিশেষ অধিকার হারিয়ে লাদাখ ভেঙে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হতে যাচ্ছে। ঠিক এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি তাদের ক্রিকেট দলটাও ভাঙবে? চট জলদিই মিলেছে এই প্রশ্নের উত্তর। জানা গেছে ক্রিকেটে জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গেই থাকবে লাদাখ।
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতে লাদাখের ক্রিকেটাররা খেলবেন জম্মু-কাশ্মীরের হয়েই। বোর্ডের ক্রিকেট কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরসের প্রধান বিনোদ রাই জানালেন এই তথ্য। তিনি বলেন, ‘লাদাখের জন্য আলাদা স্টেট বডির কথা এখনও চিন্তা করিনি আমরা। বিসিসিআইয়ের সমস্ত ঘরোয়া টুর্নামেন্টে লাদাখের ক্রিকেটাররা খেলবেন জম্মু-কাশ্মীরের হয়ে।’
জম্মু-কাশ্মীরে বড় পরিবর্তন সূচনা হয়েছে গত সোমবার। পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা হারানোর সঙ্গে দুই ভাগ হচ্ছে ভারত সরকার নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
যদিও লাদাখে তেমন ক্রিকেটের চর্চা নেই। তাদের কোনো ক্রিকেটারও জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্য দলে নেই। এ কারণেই লাদাখ নিয়ে ভাবছে না বিসিসিআই। এ বছরের ডিসেম্বরে শুরু হবে রঞ্জি ট্রফি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মীরে ক্রিকেট হবে তো? বিনোদ রাই জানাচ্ছিলেন, ‘দেখুন, গত বছর জম্মু-কাশ্মীরের হোম ম্যাচগুলো হয়েছে শ্রীনগরে। এবারও শ্রীনগরেই হোম ম্যাচ খেলবে তারা। আশা করছি সেখানে খেলা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’
তবে ৩৭০ ধারা নিয়ে সোমবার সংসদে বিল তোলার আগেই ইরফান পাঠানসহ ১০০ জন ক্রিকেটারকে জম্মু-কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক আধিকারিকরা। জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ও মেন্টর হিসাবে কাজ শুরু করেছেন ইরফান।
জম্মু ছাড়ার পর ইরফান জানান, ‘আমার মন-প্রাণ এখনও কাশ্মীরে পড়ে আছে। সেখানে না-জানি এখনও কত ভারতীয় সেনা আছেন। কাশ্মীরে ভাই-বোন রয়েছেন। তবে ক্রিকেটাররা নিরাপদে বাড়ি পৌঁছেছে। তাদের অভিভাবকদের ফোন করে খোঁজ নিয়েছি আমি।’
আরও পড়ুন-