বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ পাননি যেসব কিংবদন্তী ফুটবলাররা



মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: অার কিছুদিন বাদে শুরু হচ্ছে ফুটবলের রোমাঞ্চকর অাসর বিশ্বকাপ। বর্তমান তারকারা অধরা শিরোপার স্বাদ পেতে ছুটবেন রাশিয়ায়। তবে এমন অনেক কিংবদন্তী ফুটবলার রয়েছে যাদের পায়ের যাদুতে অাজও বিমোহিত সমর্থকরা। সব পাওয়ার মধ্যেও সর্বকালের সেরা এ ফুটবলারা স্বাদ পায়নি বিশ্বকাপ শিরোপার।

এমন অাইকনদের নিয়ে বার্তা২৪.কমের অায়োজন-

অলিভার কান

অলিভার কান ১৯৯৪ থেকে ২০০৬ সাল পযর্ন্ত জার্মানির শ্রেষ্ঠ ও সফল গোলরক্ষক। তার সময়ে জার্মানি চ্যাম্পিয়নশিপ, জার্মান কাপ, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতেছেন। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে পরপর চারবার শ্রেষ্ঠ ইউরোপীয় গোলরক্ষক এবং দু'বার বর্ষসেরা জার্মান ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছেন। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে জার্মানির মূল গোলরক্ষক ছিলেন। ব্যক্তিগত নৈপুণ্য দেখিয়ে গোল্ডেন বল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তবে এত কিছু অর্জনের পরও অল্পের জন্য বিশ্বকাপ ট্রফিটা অধরাই থেকে গেছে।

ওয়েন রুনি, ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকার। ফুটবল ক্যারিয়ারও শেষ করেন সেরা পারর্ফমার হিসেবে। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে মাঠে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে বুট দিয়ে লাথি দেওয়ায় লাল কার্ড পান। এ ঘটনার সঙ্গে ইংল্যান্ড ও নিজের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায়। তিনি অবসর নেন দেশের হয়ে বিশ্বকাপ না জেতার অাক্ষেপ নিয়ে।

মাইকেল লডরুপ, ডেনমার্ক

ডেনমার্কে এই খ্যাতিমান খেলোয়াড় ক্লাব ফুটবলে খ্যাতির চূড়ায় উঠেন। জুভেন্টাস, রিয়াল মাদ্রিদ, অ্যাজেক্সের হয়ে শিরোপা জিতেছেন। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ডেনমার্ক দলের মাইকেল লডরুপ গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮ সালেও ডেনমার্ককে কোয়ার্টার ফাইনালে তুললেও ব্রাজিলের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়।

রবার্তো ব্যাজিও, ইতালি

ইতালির সর্বকালের সেরা খেলোয়ার রবার্তো ব্যাজিও। ইতালির হয়ে খেলা তিন বিশ্বকাপে গোল করা একমাত্র খেলোয়াড়। তবে ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের টাইব্রেকারে ব্রাজিলের কাছে হেরে ট্রাজিক হিরোতে পরিণত হন।

রাউল গঞ্জালেস, স্পেন

স্পেনের সোনালী সময়ের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন রাউল গঞ্জালেস। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জাতীয় ও মহাদেশীয় শিরোপা জিতে রের্কড রয়েছে। দু'বার বিশ্বকাপ দলের সদস্য হলেও বিশ্বকাপের স্বপ্ন অধরা থেকে যায় তার।

ইব্রাহিমোভিচ, সুইডেন

স্বয়ং ঈশ্বরের যদি বিশ্বকাপ অধরা থাকে তাহলে লজ্জার কিছু না, তবে ইব্রাহিমোভিচের কাছে তা লজ্জার। ফুটবলকে মহাকাব্যের রুপান্তর করা এ খেলোয়াড় ইউরোপ, অামেরিকা পর্যন্ত তার খ্যাতি কুড়িয়েছেন। অধিনায়ক হিসেবে সুইডেনকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুটি বিশ্বকাপ। অবসর নেওয়ার পরও রাশিয়া বিশ্বকাপে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও শেষ পযর্ন্ত ফিরছেন না তিনি।

কার্ল-হেনজ রুমেনিগজ, জার্মানি

পশ্চিম জার্মানি দুই দুইবার বিশ্বকাপ ফাইনাল হেরে যান। ১৯৮২ সালে ইতালির কাছে ও ১৯৮৬ সালের অার্জেন্টিনার কাছে। বায়ার্ন মিউনিখকে একটি চমৎকার দলের পরিণত করা এ খেলোয়াড় দু‘বার ব্যালন ডি'অর নেন।

মাইকেল প্লাতিনি, ফ্রান্স

তিনবার ব্যালন ডি'অর জিতে নেন ফ্রান্সের এ কিংবদন্তী ফুটবলার। ন্যানসি ও জুভেন্টাসের হয়ে শিরোপার দেখা পেলেও বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরা স্বপ্নই থেকে যায় আক্রমণকারী এ মিডফিল্ডারের।

পাওলো মালদিনি, ইতালি

ক্লাব ফুটবলে এসি মিলানের হয়ে খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেন পাওলো মালদিনি। জাতীয় দলের হয়ে খেলে ইতালিকে ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল ও ২০০০ সালের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন লিগের ফাইনালে নিয়ে যান

মার্কো ভ্যান বাস্তেন, নেদারল্যান্ড

সেরা স্ট্রাইকারদের একজন। মার্কো ভ্যান বাস্তেন মাইকেল প্লাতিনি-ক্রুইফের পর তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে তিন বার ইউরোপের সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হন। তার সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে নেদারল্যান্ডের হয়ে প্রাপ্তিও কম নয়, বরং ঈর্ষনীয়। একমাত্র বিশ্বকাপ ছাড়া কোন অপ্রাপ্তি নেই।

জিকো, ব্রাজিল

এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা মিডফিল্ডার জিকোর হাতে বিশ্বকাপ উঠেনি। তার বিখ্যাত পাস অাজও বিশ্বকাপে উজ্জ্বল দৃ্ষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।

ইউসেবিও, পর্তুগাল

পর্তুগালের এ ফুটবলারকে ফুটবলের নক্ষত্র বলা হয়। ১৯৬৫ সালে এই স্ট্রাইকার ব্যালন ডি‘অর জিতে নেন। তার নেতৃত্বে ১৯৬২ সালে ইউরোপিয়ান কাপ জিতে নেয় পর্তুগাল। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে হার হাত ধরে সেমিফাইনাল খেলে পতুর্গাল।

ফেরেঙ্ক পুসকাস, হাঙ্গেরি

কিংবদন্তী স্ট্রাইকার ফেরেঙ্ক পুসকাস। জাতীয় দলের হয়ে ৮৯ ম্যাচে ৮৪ গোল। যা যেকোন স্ট্রাইকারের জন্য ঈর্ষনীয়। তার উপর আট বছরের মধ্যে তিনটি ইউরোপীয় কাপ ও পাঁচটি লীগ শিরোপা জিতেন। তবে ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ওয়েস্ট জার্মানির কাছে হেরে এ কিংবদন্তি অবিসংবাদিত ফুটবলার ট্র্যাজিক হিরোতে পরিণত হন।

আলফ্রেদো দি স্তেফানো, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, স্পেন

ডি স্টেফানো এমন প্রতিভাবান খেলোয়ার, কেবল ব্যালন ডি'অর জয় করেন নি, সুপার বলন ডি'অর জিতে নেন। পাঁচটি ইউরোপীয় কাপ জেতান রিয়াল মাদ্রিদকে। ফুটবলের সর্বকালের মহান এ খেলোয়াড় আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া এবং স্পেন- এ তিন দেশের হয়ে অান্তজার্তিক ম্যাচ খেলেন। তবে একবারের জন্যও বিশ্বকাপ খেলা হয় নি তার।

জোহান ক্রুইফ, নেদারল্যান্ড

ইয়োহান ক্রুইফকে বলা হয় গেম মেকার। অাজকে বার্সোলানো হাতে হাতে গড়া দল। নেদারল্যান্ড ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপের পর ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপে তার হাত ধরেই শিরোপার কাছাকাছি চলে যায়। কিন্তু ফাইনালে শেষ মিনিটে পশ্চিম জার্মানির কাছে পরাজয় মেনে নিতে হয়।

ক্রিস্টিয়ানো রোলানদো, পর্তুগাল

৩২ বছর বয়সী ফুটবলের এ স্ট্রাইকারকে বিশ্বের প্রভাবশালী খেলোয়াড় বলা হয়। জীবনে নিজ দেশের হয়ে বিশ্বকাপ শিরোপার অতৃপ্তি ছাড়া না পাওয়ার কিছুই বাকি নেই। রাশিয়া বিশ্বকাপে হয়ত নামবেন, অধরা শিরোপা জয়ের মিশনে।

লিওনেল মেসি, অার্জেন্টিনা

অসাধারণ ক্যারিয়ারের সাফল্য যার হাতে মুঠোয়, অলিম্পিকে সোনা বিজয়ী ছাড়া দেশের হয়ে অার কোনো অান্তজার্তিক শিরোপা নেই। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে শিরোপার কাছাকাছি গিয়েও ফিরতে হয় খালি হাতে। এবার অারেকটি মিশন, দেশ ও দেশের সমর্থকদের জন্য কিছু করার।

   

‘সবার আগে দেশ’, মুস্তাফিজ ইস্যুতে সুজনের বার্তা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল খেলা নিয়ে আলোচনা থামছেই না। আগামী মে মাসে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজের জন্য মুস্তাফিজকে ১ মে পর্যন্ত আইপিএলে খেলার অনুমতি দিয়েছে বিসিবি। কিন্তু দেশের ক্রিকেটে এখন হট টপিক হচ্ছে, জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য মুস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনা ঠিক নাকি তাকে আইপিএলে খেলা চালিয়ে যেতে দেয়াতেই তার এবং দেশের মঙ্গল, এই প্রশ্ন।

আকরাম খান, জালাল ইউনুসের মধ্যে একচোট কথার লড়াই হয়ে গেছে। জালাল ইউনুসের করা মন্তব্য ‘আইপিএলের খেলোয়াড়দের মুস্তাফিজের কাছ থেকে শেখার আছে’ নিয়ে খিল্লি করেছেন দেশের ক্রিকেটের অন্যতম শীর্ষ কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।

এবার মুস্তাফিজের আইপিএল খেলা ইস্যুতে মুখ খুলেছেন খালেদ মাহমুদ সুজনও। জালাল ইউনুসের সুরে সুর মিলিয়ে সুজন বলেছেন, ‘সবার আগে দেশ।’ আইপিএলের মাঝপথে জিম্বাবুয়ে সিরিজ খেলতে মুস্তাফিজকে ফেরানোর পক্ষেই এই সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ।

কেন মুস্তাফিজকে জিম্বাবুয়ে সিরিজে চাই-ই চাই বাংলাদেশের, এই প্রশ্নের জবাবও নিজের মতো করে দিয়েছেন সুজন, ‘মুস্তাফিজ পুরো আইপিএল খেলতে পারলে ভালো লাগত। জাতীয় দলের সিরিজ না থাকলে তো কোনো সমস্যা ছিল না। এখন অনেকে বলতে পারেন, নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা দেশের সিরিজ থাকার পরও আইপিএলে খেলছেন। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে মুস্তাফিজের মতো আমাদের ১০-১২ জন বোলার নেই।’

উল্লেখ্য, শুরুতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মুস্তাফিজকে আইপিএলের জন্য ছুটি দিলেও পরে তা একদিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করেছে বিসিবি। আইপিএলের চলতি মৌসুমে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন মুস্তাফিজ। ৬ ম্যাচ থেকে ১০ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত আসরের অন্যতম সেরা উইকেটশিকারি বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার।

;

মুস্তাফিজ ইস্যুতে জালালের ঢাল হলেন সুজন



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান। চেন্নাই সুপার কিংসের একাদশে নিয়মিত খেলছেন, পারফর্মও করছেন। রয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার দৌড়ে। তবে আইপিএলের পাঠ এবার চুকাতে হচ্ছে মুস্তাফিজকে। জিম্বাবুয়ে সিরিজ সামনে রেখে আইপিএলের মাঝপথে দেশে ফিরতে হচ্ছে তাকে। যা নিয়েই তৈরি হয়েছে নানা মতভেদ।

মুস্তাফিজের আইপিএল ছেড়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বুধবার জালাল ইউনুস বলেন, ‘মুস্তাফিজের আইপিএল খেলে এখন শেখার কিছু নেই। মুস্তাফিজের শেখার প্রক্রিয়া শেষ। বরং তাঁর থেকে শিখতে পারে আইপিএলের অনেক ক্রিকেটার। এতে বাংলাদেশেরও কোনো লাভ হবে না। মুস্তাফিজের কাছাকাছি থেকে অন্যদের লাভ হবে।’

জালালের এমন মন্তব্য অনেকেই সহজভাবে নেননি। যা নিয়ে সংবাদ হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমেও। দেশের খ্যাতনামা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাছেও বিষয়টি ঠেকেছে হাস্যকর হিসেবে। এ নিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজনের ভাবনা কি; বৃহস্পতিবার জানতে চাওয়া হয়েছিল আবাহনীর এই কোচের কাছে। তিনি অবশ্য জালালের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। বলেছেন উনি হয়তো বিষয়টি সেভাবে বোঝায়নি।

আইপিএলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই, জালালের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সুজন বলেন, ‘শেখার সবখানেই আছে। প্রিমিয়ার লিগেও শেখার আছে। আজকের একটা দৃশ্য শেখার হতে পারে। সেটা নিয়ে সংশয় নেই। হয়তোবা উনি (জালাল ইউনুস) এটা সেভাবে বোঝাননি। উনি বলেছেন, মুস্তাফিজ এত বছর ধরে ওখানে খেলছে। আর সে তো এখন আর তানজিম সাকিবের মতো তরুণ না। ও এখন মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজ এখন অনেক বড় নাম বিশ্ব ক্রিকেটে। হয়তোবা জালাল ভাই ওই অ্যাঙ্গেল থেকেই বলেছেন যে, মুস্তাফিজের অভিজ্ঞতা যেটা আছে, ভারতের তরুণ পেসাররা ওর থেকে কাটার বা এ রকম জিনিস শিখতে পারে। উনি কথাটা এটাই বলেছেন।’

আইপিএল না খেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কেন মুস্তাফিজ; সেই প্রশ্নের উত্তরে সুজন বলেন, ‘দিন শেষে, সবার আগে দেশ। এটা মাথায় রাখতে হবে। মুস্তাফিজ যদি আইপিএল খেলতে পারত, আমিও খুশি হতাম। দেশের খেলা না থাকলে হয়তো সমস্যা হতো না। অনেকে হয়তো বলবে, নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলছে। কিন্তু আমাদের তো ১০টা মুস্তাফিজ নেই। এটাও চিন্তা করতে হবে।’

;

‘অবিশ্বাস্য জয়ে’ কেইনের উচ্ছ্বাস



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিগ শিরোপা হাতছাড়া হয়ে গেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তবে প্রথম লেগে ড্রয়ের পর দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে আর্সেনালকে ১-০  গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চার নিশ্চিত হয়েছে তাদের। আর্সেনালকে টপকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত নিয়ে তৃপ্তি ঝরল বায়ার্ন ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনের কণ্ঠে।

অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচ শেষে টিএনটি স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপে কেইন বলেন, ‘অবিশ্বাস্য জয়। কঠিন একটা মৌসুম কাটছে আমাদের। এর মাঝে কখনো কখনো আমাদের অনেক লড়তে হয়েছে, আজকের দিনটা যেমন।’

চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে আর্সেনাল। প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার দৌড়ে ম্যান সিটির চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও দৌড়ে এখন ভালোভাবেই টিকে আছে তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল মিকে আরতেতার দল। ঘরের মাঠে বায়ার্নের বিপক্ষে প্রথম লেগে ২-২ গোলের রোমাঞ্চকর ড্র উপহার দেয় তারা।

তবে বায়ার্নের মাঠে আর কুলিয়ে উঠতে পারেনি তারা। হেরে গেছে ১-০ গোলে। প্রতিপক্ষ হিসেবে যে আর্সেনাল মোটেই সহজ ছিল না, সেটা উঠে এসেছে আর্সেনালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী টটেনহ্যামের সাবেক ফরোয়ার্ড কেইনের কথায়, ‘আমরা জানতাম ম্যাচটা কঠিন হবে। তবে এটাও জানতাম যে ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের সামনে আমরা ভালো কিছু করতে পারি।’

সেমিফাইনালে বায়ার্নের সামনে চ্যালেঞ্জ এখন আরও বড়। শেষ চারে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে মোকাবিলা করতে হবে কেইনদের।

;

ডাক পেয়েও কেন আইপিএলে খেলতে পারেননি শরিফুল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরে বাংলাদেশ দলের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ধোনির সঙ্গে চেন্নাই সুপার কিংস দলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাই পালন করছেন টাইগার পেসার। প্রথম ম্যাচেই ৪ উইকেট তুলে নিয়ে দেখিয়েছেন নিজের ঝলক। এখন পর্যন্ত মোট ১০টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

বাংলাদেশের মুস্তাফিজ ছাড়াও আরও এক ক্রিকেটারকে এবার আইপিএলে হয়ত দেখা গেলেও যেতে পারত। তিনি হলেন টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম। আইপিএল থেকে ডাকও পেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত আর খেলা হলো না তার।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়ে যাচ্ছিলেন শরিফুল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শরিফুলকে এবারের আইপিএলে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস তাদের দলে ভেড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু যেতে পারেননি তিনি। কেন আইপিএলে যেতে পারেননি এবার তার কারণ নিজেই জানালেন শরিফুল।

আবাহনীর হয়ে ম্যাচ খেলার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে শরিফুল বলেন, ‘লক্ষ্ণৌ থেকে মেসেজ দিয়েছিল, তারা আমাকে চাচ্ছিল। কিন্তু এনওসির সময়টা খুবই কম ছিল তার জন্য তারা পরে আর রেসপন্স করেনি। যদি বিসিবি পুরো এনওসিটা দিত তাহলে হয়তো যেতে পারতাম। যেহেতু আমাদের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ রয়েছে সেক্ষেত্রে এনওসিটা ওইভাবে চিন্তা করেই দেওয়া হয়েছে।‘

তবে নিজের ছন্দ ধরে রেখে একদিন আইপিএলে খেলার সুযোগ ঠিকই পাবেন এমন প্রত্যাশাও আছে তার, ‘ইনশাআল্লাহ ইচ্ছা তো আছে একদিন সুস্থ থাকলে, যেভাবে সব যাচ্ছে এভাবে গেলে একদিন খেলব আইপিএলে। যদি তখন দেশের কোনো খেলা না থাকে। আশা থাকবে ইচ্ছাও আছে, হয়তো সুযোগ পেলে ভালো কিছু করব ইনশাআল্লাহ।’

;