টি-টুয়েন্টির বোলিংয়ে নতুন বিশ্বরেকর্ড
টি-টুয়েন্টির বোলিংয়ে নতুন বিশ্বরেকর্ড হয়েছে। নতুন এই বিশ্বরেকর্ডের মালিক দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার কলিন অ্যাকেরম্যান। ইংলিশ কাউন্টি লিগের একটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচে অ্যাকেরম্যান ১৮ রানে ৭ উইকেট শিকার করে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন।
মালয়েশিয়ার বোলার অরুল সুপিয়ার ৫ রানে ৬ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব এখন টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের দ্বিতীয় সেরা বোলিং হয়ে গেলো। নাম্বার ওয়ান কলিন অ্যাকেরম্যান।
টি-টুয়েন্টিতে বিশ্বের তৃতীয় সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা সাকিব আল হাসানের। বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার বার্বাডোজ ট্রাইডান্সের হয়ে রেড স্টিলের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে ৬ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন।
২৮ বছর বয়সী অ্যাকেরম্যান ইংলিশ কাউন্টি লিগে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে খেলেন। বুধবার, ৭ আগস্ট ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে গ্রেস রোডের এক ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন তিনি। ম্যাচে হার দল ল্যাঙ্কাশায়ার ৫৫ রানের জয়ও পায়।
অ্যাকেরম্যান তার এই বিশ্বরেকর্ড গড়ার দিনে শিকার করেন মাইকেল বার্গস, স্যাম হেইন, উইল রোডস, লিয়াম ব্যাঙ্কস, অ্যালেক্স থম্পসন, হেনরি ব্রুকস ও জিতান প্যাটেলের উইকেট।
টি-টুয়েন্টির ইতিহাসে এর আগে সেরা বোলিং (৬/৫) এর রেকর্ডটি ছিলো মালয়েশিয়ার অরুল সুপিয়ার দখলে। ২০১১ সালে কাউন্টি লিগে গ্লামারগনের বিপক্ষে সমারসেটের হয়ে খেলতে নেমে সেই রেকর্ড গড়েছিলেন সুপিয়া।
ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে ৭ আগস্টের ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই উইকেট পান অ্যাকেরম্যান। আর শেষের দুই ওভারে তুলে নেন আরো ৬ উইকেট!
বিশ্বরেকর্ড প্রসঙ্গে অফস্পিনার কলিন অ্যাকেরম্যান বলছিলেন-‘ঘুনাক্ষরেও কখনো ভাবিনি, এমন কোনো বিশ্বরেকর্ড করবো আমি। দলে আমি মুলত খেলি ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে। এই ম্যাচে আমি আমার উচ্চতার ব্যবহার করেছি। উইকেট থেকে বেশ ভালো বাউন্স পেয়েছি। তাছাড়া ব্যাটসম্যানরা যাতে মাঠের বড় অংশে আমাকে তুলে খেলে সেটাই করতে চেয়েছি।’
৫৫ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হেরে ওয়ারউইকশায়ারের অধিনায়ক জিতেন প্যাটেল স্বীকার করলেন-‘দারুণ বোলিং করেছে অ্যাকেরম্যান। মুলত তার স্পেলটাই ম্যাচ থেকে আমাদের ছিটকে দেয়।’