তরুণ বোলারদের পরখ করবেন পেস বোলিং কোচ
-টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্বল দিক কোনটি?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে সবাই একসঙ্গে হাত তুলবেন। উত্তর যে সহজ। সবারই জানা- পেস বোলিং বিভাগ!
বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব নেওয়ার আগে চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্টও এই তথ্যটা বেশ ভালোভাবেই জেনে এসেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে পেস বোলিংয়ে উইকেট শিকারি বোলার কোথায় বাংলাদেশের?
মুস্তাফিজুর রহমান আছেন। কিন্তু তিনি ওয়ানডে এবং টি-টুয়েন্টিতে বেশি আগ্রহী। টেস্ট ক্রিকেটে এখনো মুস্তাফিজ নিজের জায়গা করে নিতে পারেননি। লম্বা সময় ধরে খেলছেন রুবেল হোসেন। কিন্তু আস্থাশীল হতে পারলেন কই? তাসকিন আহমেদের সম্ভাবনা প্রচুর। অথচ প্রতিভার স্ফুরণ ঘটানোর চেয়ে ইনজুরিতে পড়েই তিনি শিরোনামে আসছেন বেশি!
নতুন বেশ কয়েকজন তরুণ পেস বোলারকে টেস্ট ক্রিকেটে খেলানো হয়েছে। কিন্তু আস্থা রাখা যেতে পারে-এমন কোনো কিছুই করে দেখাতে পারেননি তাদের কেউ। বাধ্য হয়ে পুরানো পেস বোলারদের কাছেই ছুটছেন নির্বাচকরা। তবে এবার নতুন কোচিং স্টাফদের নিয়ে পেস বোলিং বিভাগের এই চিরায়িত দুর্বলতা দূর করতে চান নির্বাচকরা। আর তাই নতুন পেস বোলিং কোচের শুরুর অ্যাসাইনমেন্ট সিরিজেই অগ্রাধিকার পাচ্ছে-‘পেস হান্টিং!’
সোমবার, ২৬ আগস্ট মিরপুরে হোম অব ক্রিকেটে ক্রিকেট দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সেই তথ্যই দিলেন-‘পেস বোলিং নিয়ে তো আলাদা চিন্তা করতে হবেই। আমরা যদি ঘরের বাইরে ম্যাচ জিততে চাই তাহলে আমাদের পেস বোলিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, এটা আমরা আগেও অনুভব করেছি। আমরা দেখেছি যে ঘরের মাঠে যখন খেলা হয় তখন স্পিনাররাই মূল কাজটা করে থাকেন কিন্তু যখন দেশের বাইরে যাই তখন পেসারদের খুব দরকার হয়। নতুন বোলিং কোচও সেটা জানে, তাই নিয়েই আলাপ হলো। মূলত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েই এই আলোচনা। ল্যাঙ্গেভেল্ট অনেক উচ্ছ্বসিত। সে বোলিংয়ে সবাইকে দেখতে চেয়েছে, আমাদের এইচপি দলের যে ফাস্ট বোলার আছে তাদের নিয়েও ওকে দেখাবো। আমাদের যেহেতু এইচপিতে একজন কাজ করছেন। সঙ্গে কাদের নিয়ে আমরা কাজ করছি, কারা বেশি প্রতিশ্রুতিশীল সেটা যেন বোলিং কোচের মাথায় থাকায় সেই পরিকল্পনাই করছি আমরা। এইচপি দলের খেলা না থাকলে জাতীয় দলের এই অনুশীলনগুলোতে আমরা সেই সব ফাস্ট বোলার নিয়ে আসবো, তখন বোলিং কোচ তাদের যেন ভালো ভাবে পরখ করতে পারে। ভবিষ্যতের জন্য এটা আমাদের অনেক কাজে লাগবে।’