নার্ভাস ছিলেন সাকিব!



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চট্টগ্রাম থেকে
আউট হয়ে নিজেকেই দোষ দিলেন সাকিব

আউট হয়ে নিজেকেই দোষ দিলেন সাকিব

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাটসম্যানদের বাজে শট কয়টি?

এই প্রশ্নের উত্তরের তালিকাটা অনেক লম্বা। তবে ক্রিকেটে একেবারে সর্বশেষ বাজে টাই সর্বাগ্রে আলোচনা হয়।

ঠিক যেমনটা হচ্ছে দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিবের আউট নিয়ে। অথচ দ্বিতীয় ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তিনি। যেভাবে খেলছিলেন তাতে মনে হচ্ছিলো এই উইকেটে আফগানিস্তানের বোলারদের সবচেয়ে সহজ কায়দায় তিনিই সামাল দিতে পারছিলেন।

কিন্তু যে শটে সাকিব আউট হলেন সেটাই যে তার ৪৪ রানের সব মূল্যমান কেড়ে নিচ্ছে। শেষ বিকালে মাত্র ১৮.৩ ওভার টিকে থাকার প্রয়োজন ছিলো বাংলাদেশের। আর সেই প্রয়োজনীতা মেটাতে পারতো সাকিবের ব্যাটই। কিন্তু শেষ বিকালে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই তিনি যে কায়দায় আউট হলেন তাতেই এই ম্যাচে বাংলাদেশের হারের পথচলা শুরু।

নিজের সেই আউট নিয়ে কোনো বাদ-প্রতিবাদে গেলেন না সাকিব। সাফ জানালেন-তিনি নার্ভাস ছিলেন।

সেই প্রসঙ্গে পুরোটা শুনি সাকিবের জবানিতে-‘মাত্র ১ ঘন্টা ১০ মিনিটের খেলা বাকি। তখন আমি ব্যাট করতে নামি। আমার কাছে তখন নার্ভাসনেসটা বেশি কাজ করেছে। কিন্তু আমি যখন দুপুরবেলা ব্যাটিংয়ে নেমেছিলাম তখন সেই নার্ভাসনেসটা ছিল না। তাই স্বাভাবিকভাবে আমি চাচ্ছিলাম প্রথম বলটা যেন ভালোভাবে ফেস করতে পারি। কিন্তু প্রথম বলেই যে আউট হয়ে গেলাম। এটা পুরোটাই আমারই দোষ। যেহেতু আমি প্রথম বলেই আউট হয়ে গেছি। তাই কাজটা আমাদের জন্য আরো কঠিন হয়ে যায় তখন। দায়িত্বটা তো আমার উপরই পড়ে। প্রথম বলেই হয়তো কাট শট টা না মারলেও হতো। আসলে ঐ শটটা খেলে আমি আউট হওয়ায় দল একটু বেশি চাপে পড়ে গেছে। আমি যেহেতু অপরাজিত ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে ছিলাম। আমার ওপরই প্রধান দায়িত্বটা বর্তায় যে ইনিংসটা টেনে নিয়ে যাওয়ার। সেটা যদি করতে পারতাম তাহলে ড্রেসিংরুম অনেক বেশি কমফোর্ট ফিল করতো। হয়তো তখন আমরা ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারতাম। অথবা ড্র করার একটা সম্ভাবনাও ছিলো। কিন্তু যেহেতু শেষ বিকালে প্রথম বলেই আউট হয়ে গেছি। দলের জন্য বাকি কাজটা অনেক কঠিন হয়ে গেছে।’

নিজের ভুল সবাই স্বীকার করতে পারে না। সাকিব এখানেও ব্যতিক্রম!

   

দৌড়ে প্রথম হয়ে বোল্ট স্টাইলে উদযাপন নাহিদ রানার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দৌড়ে গ্রুপে প্রথম হয়ে উসাইন বোল্টের স্টাইলে নাহিদ রানার উদযাপন। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে শনিবার ছিলো জাতীয় দলের পুলে থাকা ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট। মোট ৩৫ জন ক্রিকেটার সকাল ছয়টায় হাজির বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। চোটের কারণে ছিলেন না তাইজুল-সৌম্য। দেশের বাইরে আছেন সাকিব। মুস্তাফিজ আইপিএলে। আর তাসকিন রেস্টে ছিলেন টানা খেলার ধকল সামলাতে।

এদিন ক্রিকেটাররা দুই ভাগে ভাগ হয়ে ১৬০০ মিটার দৌঁড়েছেন এবং দিয়েছেন ৪০ মিটার স্প্রিন্ট। যেখানে সেরা দুই গ্রুপের দুই সেরা দুই পেসার তানজিম সাকিব এবং নাহিদ রানা। জুনিয়র সাকিব যেখানে প্রথম হয়েছেন সেখানে তার পরেই ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করেন মুশফিক। অন্য গ্রুপে দ্বিতীয় সেরা মেহেদী মিরাজ। তবে সবার পেছনে থেকে শেষ করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। একই পরিনতি শামীম পাটোয়ারিরও। তিনিই তার গ্রুপের স্লোয়েস্ট।

সবসময় মিরপুরের সবুজ ঘাসে এই ধরনের টেস্ট কিংবা ক্যাম্প করানো হলেও টাইগারদের নতুন স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ ন্যাথান কিলি দেখতে চেয়েছেন কার ফিটনেসের কী অবস্থা। তাই তার চাওয়া অনুযায়ী অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে জিপিএস ট্র্যাকার পরিয়ে এই টেস্ট নিয়েছেন তিনি। কিলির সঙ্গে বিসিবির দুই ট্রেনার মীর ইফতি খায়রুল ইসলাম ও তুষার কান্তি হাওলাদার কাছ থেকে তাদের পর্যবেক্ষণ করেন।

‘অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বেছে নেওয়ার কারণ আসলে টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে টাইমিং দেখি, তাহলে বেশ কিছু পদ্ধতি আছে। আমরা আজ ১৬শ মিটার টাইম ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে যথাযথ টাইমিংটা পাব। কারণ ওভাবেই হিসেব করা হয়। এটা ক্রিকেটারদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো।’

কিলির মিশন এখানেই শেষ না। এরপর মিরপুরের জিমে বিশেষ সেশনে অংশ নেবেন রিয়াদ-সাকিব-শান্তদের সাথে।

;

প্লে-অফ নিয়ে ধোঁয়াশা, আবাহনী-মেরিনার্স যা বলছে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবারের আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ দিয়েই প্রিমিয়ার হকির শিরোপার হিসাব নিষ্পত্তি হতে পারত। মোহামেডান জিতলেই শিরোপা যেত তাদের ঘরে। কিন্তু মারামারি, হট্টগোল আর মাঠ ছেড়ে যাওয়ার মতো ঘটনায় সে ম্যাচে ২-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও ‘হারতে’ হয় মোহামেডানকে, জয়ী হয় আবাহনী। তাতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট হয় আকাশি-হলুদদেরও।

লিগের বাইলজ অনুায়ী, দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে প্লে-অফ ম্যাচের মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়ন বেছে নেয়া হবে। আগামীকাল (রবিবার) সে প্লে-অফ ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। তবে আবাহনী এবং মেরিনার্স কেউই এখন প্লে-অফ ম্যাচটি খেলতে সম্মত নয়।

আবাহনীর যুক্তি, তাদের চারজন খেলোয়াড় বিমানবাহিনীর হয়ে ভারতে প্রীতি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে। মেরিনার্সের দুইজন খেলোয়াড়ও ভারতে যাচ্ছেন, এছাড়া দলটির বিদেশি খেলোয়াড়রাও যার যার দেশে ফিরে গেছেন। এমতাবস্থায় রবিবার (২১ এপ্রিল) এই ম্যাচ খেলা সম্ভব নয় বলে দুই ক্লাবই ফেডারেশনকে জানিয়ে দিয়েছে। ১ মে ভারত থেকে খেলোয়াড়রা ফেরার পর ম্যাচটি খেলতে আপত্তি নেই তাদের।

মেরিনার্সের সাধারণ সম্পাদক হাসান উল্লাহ খান অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘প্লে-অফটি বাতিল করে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করলে আমরা আপত্তি করবো না।’

এদিকে প্লে-অফ ইস্যুতে দুই ক্লাবের চিঠি দিয়ে আজ বৈঠকে বসার কথা ফেডারেশনের। এরপরই জানা যেতে পারে প্রিমিয়ার হকির শিরোপার ফয়সালা কীভাবে হবে।

;

ব্রাদার্সকে ধসিয়ে মোহামেডানের রেকর্ডগড়া জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিশ্বাস্য মোহামেডান, উড়ন্ত সুলেমান দিয়াবাতে! ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়ল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গোপীবাগের ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে সাদাকালোরা। একাই পাঁচ গোল করেছেন মোহামেডান অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে।

ময়মনসিংহে নিজেদের হোম ভেন্যুতে প্রথম বাঁশি থেকেই চলে মোহামেডানের দাপট। প্রথমার্ধেই তিন গোলের লিড পেয়ে যায় তারা। ৩৪ মিনিটে মুজাফফরভের অ্যাসিস্টে প্রথম ব্রাদার্সের জাল উন্মুক্ত করেন শাহরিয়ার ইমন।

প্রথমার্ধের শেষদিকে আরও দুই গোল যোগ করে ম্যাচের অর্ধেকটা বাকি থাকতেই মোহামেডানের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন দিয়াবাতে।

৪৩ মিনিটে সানডে ইমানুয়েলের বানিয়ে দেয়া বল জালে পাঠিয়ে ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পান দিয়াবাতে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে প্রথম গোলের কারিগর মুজাফফরভের অ্যাসিস্টে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন মোহামেডান অধিনায়ক।

বিরতির পর কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে চায় ব্রাদার্স। মোহামেডানকে গোল শোধ করার তাড়ায় তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে উল্টো তাদের নিজেদের রক্ষণই অরক্ষিত হয়ে পড়ে। সে সুযোগে ৬৮ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন দিয়াবাতে। এর মিনিট চারেক পর পেয়ে যান নিজের চতুর্থ ও দলের পঞ্চম গোলের দেখা।

পাঁচ গোল হজমের পর অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলেকে মাঠে নামায় ব্রাদার্স। তবে তাতেও কাজ হয়নি। উল্টো মাঠে নামার দুই মিনিটের মধ্যেই জাল খুঁজে পান মোহামেডানের বদলি ফুটবলার জুয়েল মিয়া।

শেষ বাঁশির আগে ৮৭ মিনিটে টনি আগবাজি এবং ৮৯ মিনিটে দিয়াবাতে পঞ্চমবারের মতো ব্রাদার্সের গোলমুখ উন্মুক্ত করলে বিশাল এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।

নিজেদের ইতিহাসে এর আগে কেবল দুইবার ৮ গোলের ব্যবধানে জয় পায় মোহামেডান। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে এশিয়ান কাপ উইনার্স কাপে নিউ রেডিয়েন্ট ও ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে একই টুর্নামেন্টে ইলেক্ট্রিসিটি দু লাওসকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। সেই স্মৃতি মনে করিয়ে আবারও প্রতিপক্ষকে ৮-০ গোলে হারানোর উৎসব করল তারা। ট্রান্সফারমার্কেটের তথ্য অনুযায়ী, ঘরোয়া ফুটবলে এখন পর্যন্ত এটাই তাদের রেকর্ড ব্যবধানে জয়ের কীর্তি।

এই জয়ে ১২ ম্যাচ থেকে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মোহামেডান। আর ৩ পয়েন্ট নিয়ে  টেবিলের তলানিতে ধুঁকছে ব্রাদার্স।

;

কানসেলোর মেয়ের মৃত্যু কামনা করলো ক্ষুব্ধ সমর্থকরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে পিএসজির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসর থেকে বাদ পড়েছে বার্সেলোনা। এইরকম হতাশাজনক বিদায় মেনে নিতে পারছে না কাতালান ক্লাবটির সমর্থক ও ভক্তরা। বেশ ক্ষুব্ধ হয়েই নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা।

তবে সমর্থকদের তোপের মুখে বেশ বাজেভাবেই পড়তে হয়েছে বার্সার পর্তুগিজ ডিফেন্ডার কানসেলোকে। তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলে পড়েছে বার্সা সমর্থকরা। তাকে আলাদাভাবে এরকম আক্রমণ করার মূল কারণ তিনি আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে করেছেন কিছু ভুলও। তার করা ফাউলের দরুণ পেনাল্টি পায় পিএসজি, যার ফল পেতে হয়েছে পুরো দলকেই।

ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কানসেলো বলেছেন, ‘লোকেরা যাচ্ছেতাই লিখেছে। ইনস্টাগ্রামে এমনও মন্তব্য দেখেছি যেখানে আমার মেয়ের মৃত্যু কামনা করা হয়েছে। অথচ ওর এখনো জন্মই হয়নি।‘

কানসেলোর প্রেমিকা দানিয়েলা মাসাদো নিজেও একজন অনলাইন ব্লগার। বর্তমানে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান জন্ম হওয়ার অপেক্ষায় আছেন কানসেলো দম্পতি। তার প্রোফাইলের কমেন্টেও বেশ আক্রমণাত্মকভাবে ক্ষোভ ঝেড়েছেন বার্সেলোনার ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। এ প্রসঙ্গে কানসেলো জানান, ‘তারা আমার সঙ্গী, মেয়ে ও অনাগত সন্তানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। পৃথিবীটা বড়ই নিষ্ঠুর। আপনাকে নিষ্ঠুরতার সঙ্গে বসবাস করতে জানতে হবে। আমি জানি কীভাবে চলতে হয়। কিন্তু তাদের নিয়ে কী বলব, সেটা জানা নেই।‘

পিএসজির সঙ্গে হতাশাজনক হারের রাতে নিজেও অনুতপ্ত এবং দুঃখিত ছিলেন কানসেলো, ‘সেই রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। যে দিন আমরা জিততে পারি না, সে রাতে আমার সহজে ঘুম আসে না। বারবার মনে হয়, আমি আমার কাজটা ঠিকভাবে করতে পারিনি, ভালো খেলতে পারিনি।’

;