সামারা অ্যারেনায় মহাকাশযানে ফুটবল ম্যাচ
খেলা দেখা আর মহাকাশযানে উড্ডয়নের বিড়ল স্বদ নেয়ার অভিজ্ঞতা পতে হলে সমারা অ্যারেনা কসমস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ম্যাচের টিকিট কাটলেই চলবে। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের ছয়টি ম্যাচ হবে এ ভেন্যুতে। যেখানে কোয়ার্টার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচও রেখেছে ফিফা।
কোস্টারিকা সার্বিয়ার ম্যাচ দিয়ে ১৭ জুন বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে সামারা অ্যারেনার কসমস স্টেডিয়াম। এই ভেন্যুতে ‘সি’ গ্রুপে ডেনমার্ক-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ ২১ জুন। স্বাগতিক রাশিয়ার ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচ দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের বিপক্ষে, ২৫ জুন। ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে সেনেগাল ও কলম্বিয়ার ম্যাচ দিয়ে গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ করবে ভেন্যুটি। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৮ জুন। ২ জুলাই রাউন্ড অব সিক্সটিনে ‘ই’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের প্রতিপক্ষ ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ। ৭ জুলাই হবে কোয়ার্টার ফাইনালের খেলা।
রাশায়া বিশ্বকাপের জন্য যে ১২টি স্টেডিয়াম বেছে নেয়া হয়েছে তাতে সামারা অ্যারেনে একেবারেই আলাদা। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করা রয়েছে এ স্টেডিয়ামে। মহাকাশে রাশিয়ার আধিপত্য বোঝাতে মাহাকাশ যানসদৃশ করে তৈরি করা হয়েছে এটি।
ভোলগা ও সামারা নদীর পাশে অবস্থিত রাশিয়ার ষষ্ঠ বৃহত্তম শহর সামারা। ২০০৭ সালে এখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়,যে কারণে শহরটির পরিচিতি রয়েছে। রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক, শিল্প, সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র সামারা। ইউরোপের পর্যটকদের কাছে শহরটি বেশ জনপ্রিয়।
স্টেডিয়াম নির্মাণের সময় স্থান নির্ধারণ নিয়ে বেশ বিতর্কের বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিলো। শুরুতে রাশিয়ার দক্ষিণে, মেরু অঞ্চলে নির্মাণ করার কথা থাকলেও পরে সরিয়ে নতুন করে তৈরি করা হয় সামারা শহরের উত্তর প্রান্তে, দেশটির প্রধান শহর মস্কো থেকে ৬৫৫ মাইল দূরে। গম্বুজ আকৃতির স্টেডিয়ামটিকে হঠাৎ দেখে যে কেউই ভাবতে পারেন, ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান। সামারায় রাশিয়ার মহাশূন্য গবেষণা কেন্দ্র অবস্থিত। তারই প্রতীক হয়ে থাকবে স্টেডিয়ামটি।
২০১৪ সালে এই স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শুরু রাশিয়া। তিন বছরে নির্মাণ কাজ শেষ করে। ব্যয় হয়েছে ৩২০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। নান্দনিক এই স্টেডিয়ামটির আসন সংখ্যা ৪৪ হাজার ৯১৮টি।