ইরান ম্যাচের আগে মরক্কোকে তাঁতাচ্ছেন মোস্তফা হাজি
ইরান ও মরক্কো। বি গ্রুপ থেকে কোন দুই দল দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে- সেই প্রশ্নে সবচেয়ে কম নম্বর পাচ্ছে এই দুই দল! বিশ্বকাপের রেকর্ডটা ইরানের কখনোই তেমন সমৃদ্ধ নয়। এর আগে চারটি বিশ্বকাপে খেলেছে এশিয়ার এই দেশটি কিন্তু কোনবারই প্রথম রাউন্ডের গোরো খুলতে পারেনি!
এবারোও পারবে- সেই নিশ্চয়তা খুব একটা নেই। গ্রুপে স্পেন ও পুর্তগাল আছে না! এবারের বিশ্বকাপ থেকে যদি পাওয়ার কিছু থাকে তবে ইরান ও মরক্কোকে আজ রাতের ম্যাচ থেকেই সেটা আদায় করে নিতে হবে। সেন্ট পিটার্সবার্গে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।
শক্তির বিবেচনায় ইরান ও মরক্কো প্রায় সমানে সমান। যদিও আফ্রিকার দেশ মরক্কো বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতায় ইরানের চেয়ে সামান্য এগিয়ে। উভয় দলের এটি পঞ্চম বিশ্বকাপ। মরক্কোর জন্য বিশ্বকাপের সেরা সময় কেটেছিল ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে। সেবার তারা প্রথম এবং শেষবারের মতো বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেয়েছিল। মুলত জমাট রক্ষনের সমন্বয়ে গড়া ফুটবলই খেলে মরক্কো। কোচ হার্ভ রেনার্ডের তত্ত্বাবধায়নে এবারের বিশ্বকাপে মরক্কো খেলবে ৪-২-৩-১ এই ফর্মেসনে। পুরোপুরি জমাট রক্ষনের এই ছকের ফুটবলে গোল করার চেয়ে গোল না খাওয়ার ইচ্ছেটাই বেশি পরিস্কার!
মজার তথ্য হল ঠিক এই একই ছকে খেলে ইরানও। তবে আজকের ম্যাচে ইরানের জন্য কিছুটা হলে বাড়তি সুবিধা এনে দিতে পারেন দলের ষ্ট্রাইকার সর্দার আজমন। ২৩ বছর বয়সী এই তরুণ ফুটবলারের জন্য রাশিয়ার মাঠ, মাটি এবং কন্ডিশন বেশ চেনাজানা। খেলেন তিনি রাশিয়ার ক্লাব কাজানে। ৩০টি আর্ন্তজাতিক ম্যাচে ২২ গোল করা আজমনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারলে আজ মরক্কোর বিরুদ্ধে জয় আশা করতেই পারে ইরান। তবে উভয় দলের ডিফেন্সিভ ফুটবল কৌশল জানান দিচ্ছে ইরান ও মরক্কোর এই ম্যাচটি ড্র’র সম্ভাবনাই বেশি।
তবে মরক্কোর সহকারি কোচ সাবেক ফুটবলার মোস্তফা হাজি দেশপ্রেমের মন্ত্রে তার দলের খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করছেন। বলেন-‘যদি মনপ্রান করে উজাড় করে খেলা যায়, তবে এই বিশ্বকাপেও আমরা অবশ্যই ভাল ফল পাবো। দেশের হয়ে, দেশের জার্সি গায়ে খেলার চেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আর কিছুই হতে পারে না। সবাই দেশের হয়ে খেলার মাঠে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। যারা পারে তারা সৌভাগ্যবান। সেই সুযোগটা তাদের ভালভাবে কাজে লাগানো উচিত।’
মরক্কোর সাবেক তারকা হাজি দেশের হয়ে ৬৩ ম্যাচে ১৩ গোল করেছিলেন। ১৯৯৮ সালে তিনি আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারও নির্বাচিত হয়েছিলেন।