ক্লাসিক ম্যাচে রোনালদোর হ্যাটট্রিক



এম. এম. কায়সার,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্পেন ৩: পর্তুগাল ৩

বলা হচ্ছিল এই ম্যাচটা হবে চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ক্লাসিক। সত্যিকার অর্থেই তাই হল!

ম্যাচের প্রথম ঘন্টায় যে ফুটবল হল- সেটা দেখার জন্যই মুখিয়ে থাকে ফুটবল বিশ্ব। গোল। আক্রমণ। দলীয় সমন্বয়। একক কৃতিত্ব। পিছিয়ে পড়ার পর দারুণ মেজাজে ম্যাচে ফিরে আসা। সবমিলিয়ে ৬ গোলের ম্যাচ। একবার পর্তুগাল এগিয়ে যায়। পরে স্পেন সমতায় ফিরে। ফের পর্তুগালের এগিয়ে যাওয়া। আরেকবার স্পেন গোল করে ফিরে ম্যাচে। দু’বার পিছিয়ে থেকে সমতায় ফেরার পর স্পেন হিসেবটা বদলে দেয় -এগিয়ে যায়। মনে হচ্ছিল এই লিড ধরে রাখবে স্পেন। কিন্তু রোনালদো বদলে দিলেন সব হিসেব। দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করলেন। দলের হার বাঁচালেন। রাশিয়া বিশ্বকাপের ক্লাসিক ম্যাচটা ড্র হলেও পুরো এই ম্যাচের নায়ক একজনই- রোনালদো।

বুম বুম ষ্টাইলে ম্যাচটা শুরু করেন পর্তুগাল অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিক অফের বাঁশি বাজার পর প্রথম দুমিনিটে রোনালদোর পায়ে যতবার বল গেছে তখনই পুরো সোচি স্টেডিয়াম চিৎকারে ফেটে পড়েছে, তার সমর্থনে। সেই জোরেই কিনা দারুণ দক্ষতার সঙ্গে ম্যাচের চার মিনিটের মধ্যে প্রথম আক্রমণেই পেনাল্টি আদায় করে নেন রোনালদো।

-আদায় করে নেয়া?

/uploads/files/QYSI5ilyAx0FU8F9gvpP1bDMZwc8ujHfJ8gbiikl.jpegপর্তুগালের সমর্থকরা হয়তো এই যুক্তি মানতে চাইবেন না। বলের ওপর দু’বার পা নাচিয়ে স্পেনের ডি বক্সে ঢুকে পড়েন। আরেকটু সামনে বাড়তেই সামনে থাকা নাচো ফার্নান্দেসের পায়ের সঙ্গে হালকা একটা ধাক্কা লাগে রোনালদোর। সেই ধাক্কায় তাল সামাল দিতে না পারার ভঙ্গিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রোনালদো। পেছনে থাকা ইতালিয়ান রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পেনের খেলোয়াড়রা একযোগে ছোটেন রেফারির কাছে প্রতিবাদের মিছিল নিয়ে। কিন্তু রেফারি অনঢ় তার সিদ্ধান্তে। ম্যাচের বয়স তখন চার মিনিট। পেনাল্টি স্পটে বল বসিয়ে রোনালদো শট নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন। গোলকিপার ডেভিড গিয়া সামনে এসে রোনালদোর মনোযোগ ভাঙ্গার একটা চেষ্টা চালান। কোন লাভ হয়নি। রোনালদোর নিখুঁত পেনাল্টি শট পোস্টের ডানদিকের জালে জড়ায়। আর পুরো উল্টো দিকে ঝাঁপান ডেভিড গিয়া। ম্যাচে পর্তুগালের লিড।

গা গরম হয়ে উঠার আগেই স্পেনের জালে গোল। অন্য দল হলে এই ধাক্কা সামাল দিতে সময় লাগতো। কিন্তু স্পেন জানে কিভাবে ফিরে আসতে হয়। মাঝমাঠে বুসকেটস, ইনিয়েস্তা, ইসকো বল বেশিরভাগ সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা চালান। প্রান্ত বদলে বারকয়েক আক্রমনে উঠে আসে স্পেন। ২৪ মিনিটের সময় স্পেনের চেষ্টা সফল হয়। মাঝমাঠ থেকে পাওয়ূা বল ধরে প্রথমে পেপেকে পেছনে ফেলেন ডিয়োগো কস্তা, সামনে দাড়ানো পর্তুগালের আরও দুই ডিফেন্ডারকে যাকে বলে এক কথায় নাচিয়ে ছাড়াÑ তাই করে দেখালেন। দুই ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক গলিয়ে ডান পায়ে যে প্রচন্ড গতিতে শট নিলেন সেটা গিয়ে জায়গা পেল পর্তুগালের ডান পোস্টে, গোল! দুর্দান্ত গো-ও-ল! ম্যাচে সমতা। এই গোলের বর্ননায় একটা কথাই শুধু বলা যায়-পুরোপুরি একক কৃতিত্বের গোল এটি!

/uploads/files/mqiBlV03adjEJoAO17gINQDKLiAtODbrqHebJSpz.jpegসমতা আনার পর পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা চলে গেল স্পেনের দখলে। ইসকো এরই মধ্যে বামপায়ে জোরে একটা শট নিলেন কিন্তু কপাল মন্দ সেটা পর্তুগালের ক্রসবারে লেগে ঠিক নিচে পড়ল তবে গোললাইন পার করল না! যেভাবে আক্রমনের পর আক্রমন করে চলছিল স্পেন তাতে পর্তুগালের ডিফেন্স ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হচ্ছিল। ঠিক তখনই ধারার বিপরীতে ফের গোল খেয়ে বসে স্পেন। বেশ দুর থেকে রোনালদো বাম পায়ের যে শট নেন, অন্য সময় হলে গোলকিপার ডেভিড গিয়ার সেটা অবশ্যই কোলে জমে যাওয়ার কথা। কিন্তু রোনালদোর শট ডেভিড গিয়া হাতে রাখতে পারেননি। বল স্পেনের জালে। ২-১ এগিয়ে যায় পর্তুগাল। দুটোই গোল রোনালদোর। বিরতির আগমুহূর্তের এই গোলে স্পেন বড় ধাক্কা খায়।

কিন্তু ঐ যে বললাম পিছিয়ে পড়েও লড়তে পারার মন্ত্র জানা আছে স্পেনের। বিরতির পর তাই প্রথম আক্রমণেই ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো সমতায় ফেরে স্পেন। রক্ষা কর্তা সেই আগেরজনই ডিয়োগো কস্তা! আর ম্যাচে সমতা আনা মানেই হল স্পেনের শক্তি অনেকগুন বেড়ে যাওয়া। সেই জোসেই ইসকো খানিকবাদে ভলি শটে যে গোল করলেন সেটা চলতি বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা গোলের দাবি জানাতে পারে। বাম পায়ে সুইংয়ে বল জালে। ম্যাচে প্রথমবারের মতো এগিয়ে গেল এবার স্পেন। মনে হচ্ছিল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

/uploads/files/ZhTpGyLOjkklOnQNBuur8LjH9W8jLJZbdncgkvOd.jpegতবে পর্তুগাল দলে যে একজন গোলমেশিন আছেন যিনি যে কোন পরিস্থিতিতে গোল করতে পারঙ্গম। জ্বি রোনালদোই ফের দলের ত্রানকর্তা হিসেবে হাজির হলেন। ম্যাচের ৮৮ মিনিটের সময় ডি বক্সের সামান্য বাইরে রোনালদোকে ফেলে দিলেন জেরার্ড পিকে। ফ্রি কিক নেয়ার আগে চোখ বন্ধ করে খানিকটা যেন ধ্যান করলেন রোনালদো। তারপর সামনে দাড়ানো মানব প্রাচীরের ওপর দিকে যে ব্যানানা সুইংয়ের ফ্রিকিক নিলেন সেটা গোলকিপার ডেভিড গিয়া শুধু চেয়ে দেখলেন! অসম্ভব সুন্দর গোল। তাতেই ম্যাচে তৃতীয়বারের মতো সমতা ৩-৩। এবং রোনালদোর হ্যাটট্রিক! বিশ্বকাপের আসরে এটি তার প্রথম হ্যাটট্রিক।

ক্লাসিক ম্যাচটিকে শুধুমাত্র নিজের করে নিলেন এই তারকা। ম্যাচটা ড্র হয়েছে তবে একজন ঠিকই জিতলেন-ক্রিশ্চিয়ান রোনালদো!

   

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে সিলেটে ভারতীয় নারী দল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে নারী টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর বসবে বাংলাদেশের মাটিতে। সেই লক্ষ্যে কদিন আগেই বাংলাদেশ সফর করে গেছে অস্ট্রেলিয়া নারী দল। এবার ভারতীয় নারী দলও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে চলে এসেছে বাংলাদেশের মাটিতে। মঙ্গলবার ভারত থেকে সরাসরি ম্যাচ ভেন্যু সিলেটে পা রেখেছে হারমানপ্রীত কৌরের দল। সেখানে ভারতীয় নারী দলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে বিসিবি।

এবারের সফরে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত। সফরের সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেটে। আগামী ২৮ এপ্রিল ১ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ভারতের বাংলাদেশ সফর।

এরপর দ্বিতীয় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ৩০ এপ্রিল। দু’টি ম্যাচই হবে দিবারাত্রির। যা মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। এরপর ২ ও ৬ মে সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দু’দল। ম্যাচগুলো হবে বেলা ২ টায়।

সিরিজের শেষ ম্যাচটি হবে দিবারাত্রির। সেই ম্যাচটিও মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা ৬টায়। ৯ মে সেই ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশ সফরের ইতি টানবে ভারতীয় মেয়েরা।

অবশ্য এর আগে, গত বছরের জুলাইয়েও বাংলাদেশ সফর করে গেছে ভারতের মেয়েরা। সেই সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। সফরে টি-টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে ভারত জয় পেলেও ১-১ তে ভাগ হয়েছে ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি।

ভারতের স্কোয়াড: হারমানপ্রীত কৌর (অধিনায়ক), স্মৃতি মান্দানা (সহ–অধিনায়ক), শেফালি বর্মা, দয়ালন হেমলতা, সাজানা সজীবন, রিচা ঘোষ (উইকেটকিপার), যষ্টিকা ভাটিয়া (উইকেটকিপার), রাধা যাদব, দীপ্তি শর্মা, পূজা বস্ত্রকর, আমানজোত কৌর, শ্রেয়াঙ্কা পাতিল, সাইকা ইসহাক, আশা সোভানা, রেনুকা সিং ও তিতাস সাধু।

;

মুস্তাফিজ চলে গেলে দুঃখ পাবেন হাসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি আসরে মুস্তাফিজুর রহমান চেন্নাই সুপার কিংসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বোলার। এখন পর্যন্ত দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার। শেষ কয়েক ম্যাচে কিছুটা খরুচে বোলিং করলেও এখন পর্যন্ত খেলা ৬ ম্যাচের কোনোটিতেই ছিলেন না উইকেটশুন্য। এমন একজন পেসার আইপিএলের মাঝপথে দেশে ফিরে গেলে কষ্ট পাবেন চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি।

আগামী মে’তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। সে সিরিজে মুস্তাফিজকে চায় বিসিবি। তার ফিটনেস এবং ওয়ার্কলোড ব্যবস্থাপনার জন্য ১ মে পর্যন্ত তাকে আইপিএলে খেলার ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

সে হিসেবে চেন্নাইয়ের জার্সিতে আর সর্বোচ্চ তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন মুস্তাফিজ। আজ (মঙ্গলবার) রাতে লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে চেন্নাই। তার আগে গতকাল (সোমবার) ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মুস্তাফিজকে নিয়ে কথা বলেন হাসি, ‘মুস্তাফিজ দারুণ স্লোয়ার বল করতে পারে। চেন্নাইয়ে তার ওই বলটা খেলা খুবই কঠিন। সে যখন (বাংলাদেশে) ফিরে যাবে, তখন নিশ্চিতভাবেই আমরা কষ্ট পাব। তবে মুস্তাফিজকে তার দেশ ডাকছে। আমরা তাকে যতদিন সম্ভব ধরে রাখতে চাই। এখন পর্যন্ত তার পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিত।’

আইপিএলের চলতি আসরে ৬ ম্যাচ খেলে এরই মধ্যে ১১ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় মুস্তাফিজ এখন ৬ নম্বরে। উদ্বোধনী ম্যাচেই বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা হয়েছিলেন এই বাঁহাতি পেসার।

;

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফেরার দরজা বন্ধ: নারাইন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুনীল নারাইনের ওয়েস্ট ইন্ডিজের সতীর্থরা চায়, আবার জাতীয় দলে ফিরুন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু নারাইনের সিদ্ধান্ত ইস্পাতদৃঢ়, জাতীয় দলের জার্সি আর গায়ে না চড়ানোর সিদ্ধান্তে এখনো অটল তিনি।

গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন নারাইন। এখন বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। একসময় লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করা নারাইন এখন মারকুটে ওপেনার। সঙ্গে দুর্ধর্ষ স্পিন বোলিং তো রয়েছেই।

চলতি আইপিএলে দারুণ ছন্দে রয়েছেন নারাইন। আইপিএলের এবারের আসরে পেয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ব্যাট করে তার রান ২৮৬, স্ট্রাইক রেট ১৭৬-এর বেশি।

বল হাতে ৭ ম্যাচে পেয়েছেন ৯ উইকেট। বোলিং গড়ও মন্দ নয়, ৭.১১। তার এমন পারফরম্যান্স দেখে রাজস্থান রয়্যালসে খেলা তার ক্যারিবিয়ান সতীর্থ রভম্যান পাওয়েল বলেছিলেন, ‘গত ১২ মাস ধরে নারাইনকে জাতীয় দলে ফেরার কথা বলছি। কিন্তু ও কারো কথা কানে তুলছে না।’

তবে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ ও ভক্তদের জবাব দিয়েছেন নারাইন। আইপিএলে তার দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের মাধ্যমে পাঠানো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে নারাইন বলেছেন, ‘জেনে ভীষণ আনন্দ ও গর্ব হচ্ছে যে, আমার পারফরম্যান্স দেখে অনেকে অবসর ভেঙে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য বলছেন। কিন্তু নিজের নেওয়া সিদ্ধান্তের সঙ্গে সমঝোতা হয়ে গেছে আমার। আর হতাশ হতে চাই না। (জাতীয় দলে ফেরার) দরজা এখন পুরোপুরি বন্ধ।’ 

দেশের জার্সি আর গায়ে চড়ালেও বিশ্বকাপে তাদের সমর্থন দেবেন নারাইন, ‘জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে যারা মাঠে নামবে তাদের নিশ্চিত সমর্থন করবো আমি।’

;

দেশের হয়ে খেলার চেয়ে আইপিএল বেশি উপভোগ করেন মুস্তাফিজ!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেশ কিছুদিন ধরেই মুস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘হট টপিক’। তাকে আইপিএলে খেলা চালিয়ে যেতে দেয়া উচিৎ নাকি জিম্বাবুয়ের সিরিজে খেলানো উচিৎ-এই প্রশ্ন দেশের ক্রিকেট বিভক্ত। খোদ বিসিবিতেই এই ইস্যুতে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মত। এই যখন পরিস্থিতি, তখন মুস্তাফিজের বাংলাদেশ-সতীর্থ শরিফুল ইসলাম বড়সড় এক বোমাই ফাটালেন বলা চলে।

মুস্তাফিজ জাতীয় দলে খেলার চেয়ে আইপিএলে খেলতেই নাকি বেশি স্বচ্ছন্দ, এমনটা মনে করেন শরিফুল। কেন এমন ভাবনা তার, খোলাসা করলেন শরিফুল নিজেই, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশের থেকে আইপিএলে মোস্তাফিজ ভাই বেশি উপভোগ করে, কারণ ওখানে চাপটা খুব কম আর কী। বাংলাদেশে হয়তো অনেক চাওয়া থাকে। হয়তো একটু খারাপ হলে অনেক চাপ পড়ে।’

পারফরম্যান্সের কারণে জাতীয় দলে যে মুস্তাফিজ বেশ চাপে আছেন তা অস্বীকার করার জো নেই। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজেই তো ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলে মুস্তাফিজ অটো-চয়েজ ছিলেন না। তানজিম হাসান সাকিব ক্রমেই জাতীয় দলে পারফরম্যান্স দিয়ে তার জায়গা অনিশ্চিত করে দিচ্ছেন।

অথচ আইপিএলে গিয়ে প্রথম ম্যাচেই রাজসিকরূপে হাজির হন মুস্তাফিজ। চেন্নাই সুপার কিংসের প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে বনে যান ম্যাচসেরা। এরপর থেকে আইপিএলের চলতি আসরে শীর্ষ উইকেটশিকারিদের আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে মুস্তাফিজের নাম।

মুস্তাফিজকে আদর্শ মেনেই ক্রিকেটকে আপন করে নেয়া শরিফুলের। সে মুস্তাফিজ খেলছেন আইপিএলের মতো মঞ্চে। সুযোগ এসেছিল তার সামনেও, ডাক পড়েছিল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস থেকে। কিন্তু বিসিবি অল্প সময়ের জন্য এনওসি দেবে, তাই তারা আর আলোচনা এগোয়নি।

নিজে খেলতে না পারলেও ঘরে বসে আইপিএলে মুস্তাফিজের খেলা উপভোগ করছেন শরিফুল, ‘প্রতিটা ম্যাচ দেখি। মোস্তাফিজ ভাইয়ের প্রতিটা বল দেখি। উনার সঙ্গে ম্যাচের পরদিন কথা হয়।’

;