মরক্কো-উরুগুয়ে টু রাশিয়া



মোহাম্মদ আলী, অতিথি লেখক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease
মস্কো (রাশিয়া) থেকে: পথে বের হলেই রঙ-বেরঙের মানুষের দেখা পাচ্ছি। বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর সারা পৃথিবীকে নিয়ে এসেছে পুতিনের দেশে।
 
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে উচ্চশিক্ষার্থে রাশিয়ায় এসেছি কয়েক বছর হলো। নদী আর উদ্যানময় রাজধানী মস্কোকে এতো বর্ণিল সাজে আর বহুবর্ণা মানুষের ভিড়ে আগে দেখিনি। বিশ্বকাপ শুরুর পর পুরো শহরের চেহারাটাই পাল্টে গেছে।
 
বিশ্বকাপের দলগুলোর নিজ দেশ থেকে সদলবলে সমর্থকরা এসেছেন একদার লাল বিপ্লবের এই দেশে। এভিনিউ, রেল স্টেশন, বাসস্টান্ডে তাদের উচ্ছ্বল উপস্থিতি চোখে পরে।
 
ভাষা বুঝি না লোকগুলোর। প্রতীক ও পতাকা দেখে চেনা যায় তাদের পরিচিতি। সুদূর উত্তর আফ্রিকার আটলান্টিকের তীর থেকে এসেছেন মরক্কোর সমর্থকরাও। উদ্দেশ্য নিজ দেশকে সমর্থন জানানো। কি অপার দেশপ্রেম! দেখে মুগ্ধ হই।
 
মরক্কোর লোকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি নি। কথা বলা হয় না। ওরা ইংরেজি এক বর্ণও জানে না। ওদের ভাষা আরবি। ফ্রান্সের শাসনে থাকায় কিছুটা ফ্রেঞ্চ জানে। আমার আরবি বা ফরাসি জ্ঞান একেবারেই নেই। তবু আমাদের মিলিত হতে অসুবিধা হয় নি। আনন্দে জাপটে ধরে ছবি তুললো মরোক্কান সমর্থকরা।
 
উরুগুয়ের ছোট্ট শহর সালতো থেকে মস্কো এসেছেন ওসকার ও ডানিয়াল। নিজ দেশের কট্টর সমর্থক তারা। মোটামুটি ইংরেজি জানে বলে ওদের সাথে টুকটাক কথা হলো। নিজ দেশ উরুগুয়েকে তারা মনে করে বিশ্ব ফুটবলের খানদানি সদস্য। প্রথম বিশ্বকাপ যে তাদের দেশ উরুগুয়ে জয় করেছিল, সে কথা গর্বের সঙ্গে বার বার বলতে ভুলে নি। স্বদেশপ্রেমে মাতোয়ারা হয়ে আছেন দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলপ্রেমী লোকগুলো।
 
মস্কোভা নদী তীরের পার্কগুলোর বেঞ্চে, রেড স্কোয়ারের সুবিশাল চত্বরে, ক্রেমলিনের আশেপাশে ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুরতে দেখি নানা দেশের নানা বর্ণ ও ভাষার মানুষদের। নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, কেউই বাদ যায় নি। এসেছে বাচ্চা-কাচ্চাসহ পুরো পরিবার। খেলার ফাঁকে দেখছেন জার ও লেনিনের স্মৃতিময় প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মস্কো শহরের নানা দ্রষ্টব্য স্থান। 
 
ফুটবল উন্মাদনা মনে হয় বিশ্বের মানুষের মধ্যে কিছুদিনের জন্য স্বস্তি আর ভালোবাসার বন্ধন সৃষ্টি করছে। মহাবিশ্বের মহাজাতির বিচিত্র সদস্যদের এনে দাঁড় করিয়েছে পাশাপাশি। প্রেমে, মিলনে, মৈত্রীতে একাকার করেছে ধরিত্রীর অনিন্দ্য-সুন্দর মানব বংশকে।
   

ডাক পেয়েও কেন আইপিএলে খেলতে পারেননি শরিফুল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরে বাংলাদেশ দলের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ধোনির সঙ্গে চেন্নাই সুপার কিংস দলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাই পালন করছেন টাইগার পেসার। প্রথম ম্যাচেই ৪ উইকেট তুলে নিয়ে দেখিয়েছেন নিজের ঝলক। এখন পর্যন্ত মোট ১০টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি।

বাংলাদেশের মুস্তাফিজ ছাড়াও আরও এক ক্রিকেটারকে এবার আইপিএলে হয়ত দেখা গেলেও যেতে পারত। তিনি হলেন টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম। আইপিএল থেকে ডাকও পেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত আর খেলা হলো না তার।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়ে যাচ্ছিলেন শরিফুল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শরিফুলকে এবারের আইপিএলে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস তাদের দলে ভেড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু যেতে পারেননি তিনি। কেন আইপিএলে যেতে পারেননি এবার তার কারণ নিজেই জানালেন শরিফুল।

আবাহনীর হয়ে ম্যাচ খেলার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে শরিফুল বলেন, ‘লক্ষ্ণৌ থেকে মেসেজ দিয়েছিল, তারা আমাকে চাচ্ছিল। কিন্তু এনওসির সময়টা খুবই কম ছিল তার জন্য তারা পরে আর রেসপন্স করেনি। যদি বিসিবি পুরো এনওসিটা দিত তাহলে হয়তো যেতে পারতাম। যেহেতু আমাদের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ রয়েছে সেক্ষেত্রে এনওসিটা ওইভাবে চিন্তা করেই দেওয়া হয়েছে।‘

তবে নিজের ছন্দ ধরে রেখে একদিন আইপিএলে খেলার সুযোগ ঠিকই পাবেন এমন প্রত্যাশাও আছে তার, ‘ইনশাআল্লাহ ইচ্ছা তো আছে একদিন সুস্থ থাকলে, যেভাবে সব যাচ্ছে এভাবে গেলে একদিন খেলব আইপিএলে। যদি তখন দেশের কোনো খেলা না থাকে। আশা থাকবে ইচ্ছাও আছে, হয়তো সুযোগ পেলে ভালো কিছু করব ইনশাআল্লাহ।’

;

পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে চান রোহিত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মহারণ? বেশিরভাগ উত্তরই আসবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পক্ষে। তবে গত ১৭ বছর ধরে এই দল দুটি মুখোমুখি হয়ে স্রেফ আইসিসি বা এসিসির কোনো ইভেন্টেই। অর্থাৎ, এই মহারণ দেখতে বেশ খানিকটা অপেক্ষাই করতে হয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। সবশেষ ২০০৭ সালের নভেম্বরে ভারতের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল পাকিস্তান। সেই সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। 

পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠেছে আরও আগেই। অন্যান্য দেশ সেখানে গিয়ে সিরিজ খেলা শুরু করলেও সেই পুরনো দ্বন্দ্বের জের ধরে নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের উদ্যোগ নেয়নি কেউই। তবে ভারতের অধিনায়ক চান পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে। বিশেষ করে টেস্ট ফরম্যাটের। 

সম্প্রতি ‘ক্লাব প্রেইরি ফায়ার’ নামক এক পডকাস্টে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন রোহিতকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনার কি মনে হয় না যে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত নিয়মিত খেললে তা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য দারুণ কিছু হবে?’ সেখানে রোহিতের হ্যাঁ সূচক উত্তর। ‘আমি পুরোপুরি সেই বিশ্বাস করি। ওরা (পাকিস্তান) ভালো দল।’

তর্ক সাপেক্ষে বিশ্বের অন্যতম পেস অ্যাটাকের দল পাকিস্তান। সেটিই মানছেন রোহিতও। এবং শুধু দেশের মাটিতে নয়, পাকিস্তানে গিয়ে খেলার আভাসও দিয়েছেন তিনি। ‘ তাদের দুর্দান্ত বোলিং লাইন-আপ আছে। আমার মতে, এটা খুব ভালো একটা প্রতিযোগিতা হবে। বিশেষ করে আপনি যদি বিদেশি কন্ডিশনে খেলেন।’ 

;

আবাহনীর সঙ্গে লড়তেই পারল না শেখ জামাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডেও দুরন্ত আবাহনী। সাকিববিহীন শেখ জামালকে ৮৮ রানে আটকে দিয়ে ১০ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে আকাশি-হলুদরা। লিগে সব প্রতিপক্ষকে হারের স্বাদ দেয়া আবাহনী ১১ ম্যাচ থেকে পেয়েছে পূর্ণ ২২ পয়েন্ট।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে শেখ জামালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আবাহনী। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সুবিধা করতে পারেনি নুরুল হাসান সোহানের শেখ জামাল। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে নিজেদের বিপদ বাড়ায় তারা।

আবাহনীর পক্ষে শরিফুল ইসলাম ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শেখ জামালের ব্যাটিং লাইনআপের কোমর ভেঙে দেন। দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং তানভীর ইসলাম। তাতে ২২.৪ ওভারে ৮৮ রানেই সব উইকেট হারিয়ে বসে শেখ জামাল। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে ওপেনার সৈকত আলির ব্যাটে।

জবা দিতে নেমে সে রান ১০.২ ওভারেই তাড়া করে ফেলে আবাহনী। ৪০ বলে ৫৩ রান করেন নাঈম শেখ, ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন এনামুল হক বিজয়।

১০ উইকেটের বিশাল হারের পরও ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়েই থাকছে শেখ জামাল।

;

শাহিনের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই, বললেন বাবর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অধিনায়কত্বের বিষয়কে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের দুই তারকা ক্রিকেটার বাবর আজম এবং শাহিন আফ্রিদির মধ্যকার সম্পর্ক ভাল না, এমন গুঞ্জন বেশ কয়েকদিন ধরেই চলে আসছিল ক্রিকেট পাড়ায়। তবে এবার পাকিস্তানের বর্তমান অধিনায়ক বাবর নিজেই জানালেন যে, এই খবরটি সত্য নয়। এটাকে গুজব বলেই ব্যাখা করলেন তিনি।

আজ থেকে শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের ঘরের মটিতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজটি জুনের বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছে দুই দল। এই সিরিজে অধিনায়কের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে বাবর আজমের ওপর।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাবর জানিয়েছেন যে, আফ্রিদি ও তিনি যেকোনো মুহুর্তেই এক অন্যের পাশে দাঁড়ান এবং সহযোগিতা করেন।  তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। যেসব কথা বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে সেগুলো সত্য না বলে দাবী করেছেন নতুন এই অধিনায়ক।

তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় স্পষ্ট করতে চাই, শাহিন আফ্রিদি ও আমার সম্পর্ক নতুন নয়। এই সম্পর্ক অনেক পুরোনো। আমরা প্রতি মুহূর্তে এক অন্যকে সহায়তা করি। আমাদের লক্ষ্য পাকিস্তানকে সবার আগে রাখা এবং পাকিস্তানের নাম উজ্জ্বল করা। আমরা ব্যক্তিগত সাফল্য নিয়ে ভাবি না, দলের ভালটাই আমাদের কাছে আগে।‘

বাবর আরও জানান, তিনি বিশ্বাস করেন এই মুহুর্তে দলে যেসব খেলোয়াড় আছে, তারা সবাই যার যার  পারফরম্যান্সের কারণেই টিকে আছে। দলে এত প্রতিভাবান ক্রিকেটার থাকলে মাঝেমধ্যে একাদশ করাও কঠিন হয়ে যায়। তবে সব মিলিয়েই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি কালকে থেকে শুরু করে দিবে পাকিস্তান দল।

রাওয়ালপিন্ডিতে আজ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। সিরিজের পরের দুটি ম্যাচ যথাক্রমে ২০ ও ২১ এপ্রিল একই ভেন্যুতে। লাহোরে শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ২৫ ও ২৭ এপ্রিল।

;