পোল্যান্ডকে উড়িয়ে কলম্বিয়া জানাল আমরাও আসছি!



এম. এম. কায়সার ,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কলম্বিয়া ৩ : পোল্যান্ড ০

গতির সঙ্গে আক্রমণের তেজ মিশলে যা হয়-পুরো বিস্ফোরণ! কলম্বিয়ার নিঁখুত পাসিং, ডি বক্সে অনবরত ক্রস, পোষ্টে শট, ভেঙ্গে চুরে একেবারে পোলিশ ডিফেন্সের ভেতরে ঢুকে পড়ার একগুয়েঁমি চেষ্টার বিনোদনমুলক ফুটবল প্রাণ জুড়িয়ে দিল! আরে ম্যাচ তো এমন দলেরই জেতা উচিত। ফুটবল সাহসীদের সঙ্গেই যায়। পুরো ম্যাচ জুড়ে কলম্বিয়া বুকভরা সাহস নিয়ে খেলল। জিতল দাপট নিয়ে ৩-০ গোলে। এই জয়ে কলম্বিয়া দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা জিইঁয়ে রাখল বেশ জোরেসোরেই। আর বিশ্বকাপ থেকে আগেভাগেই ছুট্টি হয়ে গেল পোল্যান্ডের।

জেতার একটা তাড়া বলে কথা আছে না। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে শেষ বাঁশি পর্যন্ত সেই মেজাজ, সেই আচরণের সবটুকুই মিলল শুধু কলম্বিয়ার খেলায়। পুরো দলের ছটফটে একটা ভাব। জেতার ঝাঁঝ নিয়ে ঝাঁপাল কলম্বিয়া। আর সেই আগুনে আক্রমণে পাতলা প্লাষ্টিকের মতো পুড়ল প্রথমার্ধের পোল্যাান্ড। বল দখল থেকে শুরু করে পাসিং ফুটবল। কর্নার, ফ্রিকিক, পোষ্টে শট-সব পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকল কলম্বিয়া। বোঝাই যাচ্ছিল যে পরিকল্পনা নিয়ে খেলা সাজাচ্ছে কলম্বিয়া তাতে গোল পাওয়া নেহাৎ সময়ের ব্যাপার।

আক্রমণের তোড়ে পোলিশ রক্ষণভাগ বারবার কেঁপে উঠলেও গোলের জন্য কলম্বিয়াকে অপেক্ষা করতে হয় ৩৯ মিনিট পর্যন্ত। কোন একক কৃতিত্বে নয়; এই গোলটা কলম্বিয়া পেল নিখুঁত টিম কম্বিনেশনের বদৌলতে। গোলের পাশে নামটা ইয়েরি মিনার থাকলেও এই গোলের রূপকার আসলে চারজন। পোল্যান্ডের ডি বক্সের ডানদিকে ফ্রিফিক পায় কলম্বিয়া। ফ্যালকাও সেই ফ্রিকিক থেকে বল সামনে দাড়ানো হুয়ান কদরাদোর দিকে আলতো ভঙ্গিতে বাড়ান। কুদরাদো কোনায় দাড়ানো হামেস রদ্রিগেজের পায়ে বল ঠেলে দেন। ওয়ান-টু-থ্রি অ্যাঙ্গেলে ঠিক যেন ত্রিভুজ পাস। ত্রিভুজের সেই কোনা থেকে রদ্রিগেজ এবার বল ফেলেন বক্সে। সেখানে পোলিশ ডিফেন্ডারদের উচ্চতায় হারিয়ে দিয়ে লাফিয়ে উঠে হেড করেন মিনা। পোলিশ গোলকিপার তাকিয়ে শুধু দেখলেন বল জালে, গো..ও..ল (১-০)। একেই বলে টিম গোল!

এক গোলে এগিয়ে থাকা কলম্বিয়া দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জানিয়ে দেয় বড় জয়ের জন্যই খেলছে তারা এই ম্যাচ। প্রথমার্ধের মতো এই অর্ধেও কলম্বিয়ার আক্রমণের জোয়ারে ভেসে যায় পোল্যান্ড। রদ্রিগেজ, ফ্যালকাও, কুদরাদো, আরিয়াস, হুয়ান কুইন্টিনোর গতির সঙ্গেই মুলত পেরে উঠেনি পোল্যান্ড। এই পাঁচজন যতবার বল নিয়ে পোলিশ রক্ষণভাগের দিকে এগিয়েছেন মনে হয়েছে আরেকটি গোল হল বটে!

৭০ মিনিটের সময় মাঝমাঠ থেকে কুইন্টিনোর থ্রু পাস ধরে গতিতে পোল্যান্ডের দুজন ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলেন রামাদেল ফ্যালকাও। গোলকিপার এগিয়ে এলে জটিল অ্যাঙ্গেল তৈরি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ফ্যালকাও আরও নিঁখুত কায়দায় কোনাকুনি শট নিয়ে বল জালে জড়ান (২-০)। বিশ্বকাপে এটা ফ্যালকাওর-প্রথম গোল।

চারবছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপে ইনজুরির জন্য খেলতে পারেননি এই তারকা। এবার খেলছেন। রদ্রিগেজ, কুদরাদো ও ফ্যালকাও-এই ত্রয়ীকে ঘিরে এবারের বিশ্বকাপে অনেক দুরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে কলম্বিয়া। দুই গোল করে কলম্বিয়ার গোলক্ষিদে যেন আরও বেড়ে যায়। দ্বিতীয় গোলের মিনিট পাঁচের মধ্যেই তৃতীয় গোলের দেখা পায় কলম্বিয়া। মাঝমাঠেরও নিচে থেকে ডিফেন্স চেরা আড়াআড়ি পাস বাড়ান হামেস রদ্রিগেজ। দুই ডিফেন্ডারকে গতিতে পেছনে ফেলে বল নিয়ে সামনে বাড়েন কুদরাদো। গোলকিপার সামনে বাড়লেও কোন লাভ হয়নি। এবারও কোনাকুনি অ্যাঙ্গেলে বল জালে (৩-০)।

ম্যাচের শেষদিকে রবার্ট লিয়েনদভস্কি কলম্বিয়ার গোলপোষ্টে একটা শট নেয়া ছাড়া পুরো ম্যাচে যা করেছেন আভিধানিক অর্থে তাকে বলে দৌড়াদৌড়ি করা!

শুধু লিয়েনদভস্কি কেন এক অর্থে তো পুরো পোল্যান্ড দল এই ম্যাচে বলের পেছনে দৌড়াল। আর খেলা খেলল শুধু কলম্বিয়া! ম্যাচ জিতল বড় ব্যবধানে। সেই সঙ্গে হৃদয়ও!

এখনো দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়নি কলম্বিয়ার। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে ইংল্যান্ড। কাজানে কলম্বিয়ার এই ম্যাচ দেখে থাকলে ইংল্যান্ডের টেনশন কিন্তু শুরু হয়ে গেছে!

   

রিয়ান ঝড়ের পর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রাজস্থানের জয় 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০ বলে জয়ের জন্য তখন ৫৩ রান দরকার দিল্লি ক্যাপিটালসের। সেখানে জয়ের পাল্লা রাজস্থান রয়্যালসেরই ভারী ছিল। তবে এক ট্রিস্টান স্টাবসে চড়ে জয়ের স্বপ্ন বুনছিল রাজধানীর দলটি। এই প্রোটিয়া ব্যাটারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীতে শেষ দিকে এসে রাজস্থানের পেসাররা দেখান নৈপুণ্য। এতেই শেষ পর্যন্ত ১২ রানের জয় পায় সঞ্জু স্যামসনের দল। 

এদিকে রাজস্থানের টানা দ্বিতীয় জয়ে এদিন ব্যাট হাতে বড় অবদান ছিল রিয়ান পরাগের। আইপিএলের ২০১৯ সালের আসরে অভিষেক পরাগের। সেই আসর থেকেই রাজস্থানের হয়ে খেলেন তিনি। নিয়মিত জায়গাও পান একাদশে। তবে পারফর্ম যেন একেবারেই শূন্যের কাতারে। এই আসরের আগে মোট ৫৪ ম্যাচে স্রেফ ৬০০ রান করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সেখানে দুটি ফিফটির মারে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৫৬ রানের। এমন বাজে পারফর্মে বেশ সমালোচিতও হচ্ছিলেন তিনি। যেন এন্টারটেইনমেন্টের জন্যই থাকেন দলে। তবে সেসব সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২৪ সালে যেন দেখা মিলল নতুন রিয়ানের। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে করেন ৪৩ রান। পরে আজকের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এতেই ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় রাজস্থান। ম্যাচে বাকি কাজ সারেন বোলাররা মিলে। 

জয়পুরে এদিন দিনের একমাত্র ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে রাজস্থান। 

চ্যালেঞ্জিং সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই দিল্লিকে পেস তোপে ভোজ্ঞান নাদ্রে বার্গার। তবে ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক ঋষভ পন্তের জুটিতে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল দিল্লি। তবে দলীয় ১০৫ রানের মাথায় এই দুই বাঁহাতি ব্যাটার ফিরলে জয়ের পথ হয়ে পড়ে বেশ কঠিন। ৪৯ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার। তবে হাল ছাড়েননি স্টাবস। লড়েছেন শেষ ওভার পর্যন্ত। তবে শেষ হাসি হাসে রাজস্থানই। ১৭৩ রানে থামে দিল্লির ইনিংস। রাজস্থানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন বার্গার ও চাহাল। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল ছন্দহীন। ৩৬ রানেই সাজঘরে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলার। সেখানে ধীরগতিতে এগিয়ে আগে চাপ সামাল দেন রিয়ান। শুরুর ২৬ বলে করেছিলেন ২৬ রান। পরে শেষ ১৯ বলে করেছেন ৫৮ রান। ৮৪ রানের এই বিধ্বংসী ইনিংসে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এদিকে রিয়ানকে সঙ্গ দিয়ে ২৯ রানে ইনিংস খেলেন অশ্বিন। এবং শেষে এসে ধ্রুব জুরেলের ২০ রানের ক্যামিওতে ১৮৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাজস্থান। নান্দনিক এই ইনিংসের জবাবে ম্যাচসেরার খেতাবও জেতেন রিয়ান।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

রাজস্থান রয়্যালসঃ ১৮৫/৫ (২০ ওভার) (রিয়ান ৮৪*, অশ্বিন ২৯; অক্ষর ১/২১, খলিল ১/২৪)

দিল্লি ক্যাপিটালসঃ ১৭৩/৫ (২০ ওভার) (ওয়ার্নার ৪৯, স্টাবস ৪৪*; চাহাল ২/১৯, বার্গার ২/২৯)

ফলঃ ১২ রানে জয়ী রাজস্থান

ম্যাচসেরাঃ রিয়ান পরাগ

;

‘অধিনায়ক’ শান্তকে নিয়ে যা বললেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ভারত বিশ্বকাপের ঠিক আগে দেশের শীর্ষ সারির এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ঠিক বিশ্বকাপ পর্যন্তই নেতৃত্বে থাকবেন তিনি। এর একদিন পরেও না। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। বিশ্বকাপের পরই ছেড়েছেন দায়িত্ব। পরে লঙ্কান সিরিজের আগে পূর্ণকালীন তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক হন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এদিকে নেতৃত্ব তো ছেড়েছেনই, গত বছরের ৬ নভেম্বর বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেই চোট পান সাকিব। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খেলেনি আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে। সেখান থেকে সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পর ফের লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরতে চলেছেন সাকিব।

দ্বিতীয় টেস্টে নিয়ে নিজের ভাবনা, শান্তর অধিনায়কত্ব এসব নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব। সেখানে শান্তর লম্বা পথ দেখছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।

শান্তর অধিনায়কত্বে আস্থা রাখছেন সাকিব। জানালেন সাপোর্ট পেলে নেতৃত্বে শান্ত হয়ে উঠবেন দারুণ একজন। তবে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না সাকিব, ‘খুবই আর্লি স্টেজ (শান্তর অধিনায়কত্বে মন্তব্য করা)। আমি  নিশ্চিত বিসিবি ওকে (শান্ত) লম্বা সময়ের কথা ভেবেই নিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে যেটা ওকে সাহায্য করবে সামনে এগিয়ে যেতে। সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন অধিনায়ক হবে।’

;

শামীমের ব্যাটে রূপগঞ্জের হাসি, ৫ উইকেট নিয়েও মলিন রিশাদের মুখ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চার জয়ের পর মোহামেডানের কাছে হেরে ছন্দপতন হয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। তবে সে হার ভুলে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে রূপগঞ্জ। শামিম পাটোয়ারি এবং তৌফিক খান তুষারের জোড়া ফিফটিতে পারটেক্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পারটেক্স অধিনায়ক মিজানুর রহমান। কিন্তু অধিনায়ক বাদে দলটির অন্য কেউ সে সিদ্ধান্তের মান রাখতে পারেননি। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলে মিজান নিজেই যা দলের স্কোরকে ভদ্রস্থ করার চেষ্টা করেছেন। তার ৮৮ রানের ইনিংসে চড়ে ৪৭.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান পর্যন্ত পৌঁছে।

রূপগঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম এবং শুভাগত হোম। মাশরাফি ৯ ওভার বল করে ৩০ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি।

তবে রূপগঞ্জের দুই ব্যাটার শামিম এবং তুষারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৫.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ। ওপেনার তুষারের ব্যাটে আসে ৮৩ রান। আর ৪৩ বলে ৬ চার এবং ৮ ছক্কায় ৮৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেল দলকে জয় এনে দেন ম্যাচসেরা শামিম।

এদিকে ৫ উইকেট নিয়েও শাইনপুকুরকে জেতাতে পারেননি স্পিনার রিশাদ হোসেন। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়ার পথে শাইনপুকুরকে ২৬ রানে হারিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দিনের অপর ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবকে ৩৮ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে গাজী টায়ার্স।

;

‘লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিৎ বাংলাদেশের’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে ১-০ তে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। বড় হারের সে স্মৃতিকে পেছনে রেখে বাংলাদেশের সামনে এখন আরেকটি টেস্টের চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামে লঙ্কানদের ধরাশায়ী সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া বাংলাদেশ, তাতে সিরিজ হার এড়ানোর পাশাপাশি প্রথম টেস্টে বড় হারের কষ্টও কিছুটা লাঘব হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অস্ট্রেলিয়া গেছেন। কোচ না থাকায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। তবে দল এবং একইসঙ্গে সমর্থকদের জন্য সুখবর, টেস্ট সিরিজে খেলার কথা না থাকলেও দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। 

দলে ফিরেই সাকিব জানালেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিত বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ভালো ক্রিকেট খেলার পর এমনটাই চাইছেন সাকিব, ‘আশা তো সব সময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই আমরা স্ট্রাগল করেছি, আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’

অনভিজ্ঞ একটা দল নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সাকিবের প্রত্যাবর্তন অনেক আনন্দের সংবাদ। প্রথম টেস্ট শেষে অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’

;