মরিয়া মরক্কোর সামনে সাবধানী স্পেন



এম. এম. কায়সার ,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আগে সমীকরণটা জানি।

জিতলেই স্পেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। এমনকি ড্র করলেও সুযোগ থাকছে তাদের। তবে যদি একবারে হেরেই বসে স্পেন তাতেও যে সুযোগ তাদের থাকছে না, তাও কিন্তু নয়। সুযোগ থাকছে। তবে সেটা অনেক বেশি জটিল। তখন পর্তুগাল যাতে ইরানের কাছে বড় ব্যবধানে হারে সেই প্রার্থনায় বসতে হবে স্পেনকে। গোল গড়ের হিসেব নিয়েও অংক কষতে হবে। তাই কষ্টকর অপেক্ষায় না থেকে স্পেনের জন্য দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার সহজ পথ হল, আজকের ম্যাচ থেকে অন্তত এক পয়েন্ট নিয়েও ফিরে আসা। ব্যস তাতেই দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকেট নিশ্চিত।

আর মরক্কোর সামনে এই ম্যাচ নিয়ে কোন হিসেব-নিকেষ নেই। হার, জিত বা ড্র-কোন কিছুতেই কোন লাভ নেই। বাড়ি ফেরার টিকেট আগেই কাটা হয়ে গেছে তাদের। শুরুর দুই ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপ থেকে আগেভাগে বিদায় নেয়া দলের একটি মরক্কো।

বাস্তবতা হল স্পেন এই বিশ্বকাপ জিততে এসেছে। আর মরক্কো আরও অনেকগুলো দলের মতো বিশ্বকাপের স্রেফ অংশগ্রহণকারী একটি দল। তবে গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচে মরক্কো হারলেও ম্যাচের শেষ পর্যন্ত দলটি লড়াই করার যে পণ-প্রতিজ্ঞা দেখিয়েছে সেটাই এই বিশ্বকাপে তাদের অন্যতম একটা ‘জনপ্রিয়’ দলের মর্যাদা দিচ্ছে। শুধু একটা হিসেব দেই-দুই ম্যাচে ন্যুনতম গোলের ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছে মরক্কো।

এর মধ্যে ইরানের কাছে হেরেছে শেষ সময়ের আত্মঘাতী গোলে। তবে পর্তুগাল ও ইরান ম্যাচে এই দুই প্রতিপক্ষের গোলপোষ্টে বেশি শট নিয়েছে মরক্কো। আফ্রিকান এই দেশটির  আক্রমণাত্মক মেজাজের ফুটবল সবার মন জয় করেছে। ভাল ফুটবল খেলে হয়তো মন জয় করা হয়। হৃদয়ে নাড়া দেয়া যায়। কিন্তু ম্যাচ জিততে হলে যে গোল করতে হয়। প্রতিপক্ষের পোষ্টে সেই নিশানাই যে খুঁজে পায়নি মরক্কো। স্কোরশিটে এখনো তাদের গোলের ঘর শূন্য!

সোমবার রাতের ম্যাচে কি সেই শূন্যস্থান পুরুণ করতে পারবে মরক্কো? পারবে স্পেনকে আটকে দিতে, গোল করতে? যদি না পারে তবে ২০১০ সালের বিশ্বকাপে আলজেরিয়া এবং হন্ডুরাসের মতো বিশ্বকাপ থেকে একগাদা শূণ্য নিয়ে ফিরতে হবে তাদের।

তাহলে এই ম্যাচ থেকে কিছু একটা নিয়ে ফেরাটাই আজকের ম্যাচে মরক্কোর জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।

অন্যদিকে স্পেন যেন আর্ন্তজাতিক ফুটবলে হার কি-সেটা তো ভুলেই গেছে! পেছনের ২২ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন দলটি। আজ মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচে স্পেন হট ফেভারিট। বিষয় যখন বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ তখন ইতিহাস একটা বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে স্পেনের জন্য। সেই ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপ থেকে স্পেন তাদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জিতে আসছে। সেই ইতিহাসের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতেই আজ রাতে নামছে স্পেন।

মরক্কো এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের মাঠে তাদের খেলা ১৫ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটিতে জিতেছে। ১৯৮৬ সালে পর্তুগালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে। আর ১৯৯৮ সালে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে। মজার তথ্য হল-এই দুটো ম্যাচই ছিল সেই বিশ্বকাপে মরক্কোর গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচ! মরক্কো আজও আরেকটি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নামছে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে মরক্কোর এই জ্বলে উঠার ইতিহাস কি স্পেন জানে?

জানে নিশ্চয়ই-অতএব সাবধান!

 

   

‘অধিনায়ক’ শান্তকে নিয়ে যা বললেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ভারত বিশ্বকাপের ঠিক আগে দেশের শীর্ষ সারির এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ঠিক বিশ্বকাপ পর্যন্তই নেতৃত্বে থাকবেন তিনি। এর একদিন পরেও না। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। বিশ্বকাপের পরই ছেড়েছেন দায়িত্ব। পরে লঙ্কান সিরিজের আগে পূর্ণকালীন তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক হন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এদিকে নেতৃত্ব তো ছেড়েছেনই, গত বছরের ৬ নভেম্বর বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেই চোট পান সাকিব। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খেলেনি আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে। সেখান থেকে সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পর ফের লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরতে চলেছেন সাকিব।

দ্বিতীয় টেস্টে নিয়ে নিজের ভাবনা, শান্তর অধিনায়কত্ব এসব নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব। সেখানে শান্তর লম্বা পথ দেখছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।

শান্তর অধিনায়কত্বে আস্থা রাখছেন সাকিব। জানালেন সাপোর্ট পেলে নেতৃত্বে শান্ত হয়ে উঠবেন দারুণ একজন। তবে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না সাকিব, ‘খুবই আর্লি স্টেজ (শান্তর অধিনায়কত্বে মন্তব্য করা)। আমি  নিশ্চিত বিসিবি ওকে (শান্ত) লম্বা সময়ের কথা ভেবেই নিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে যেটা ওকে সাহায্য করবে সামনে এগিয়ে যেতে। সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন অধিনায়ক হবে।’

;

শামীমের ব্যাটে রূপগঞ্জের হাসি, ৫ উইকেট নিয়েও মলিন রিশাদের মুখ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চার জয়ের পর মোহামেডানের কাছে হেরে ছন্দপতন হয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। তবে সে হার ভুলে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে রূপগঞ্জ। শামিম পাটোয়ারি এবং তৌফিক খান তুষারের জোড়া ফিফটিতে পারটেক্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পারটেক্স অধিনায়ক মিজানুর রহমান। কিন্তু অধিনায়ক বাদে দলটির অন্য কেউ সে সিদ্ধান্তের মান রাখতে পারেননি। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলে মিজান নিজেই যা দলের স্কোরকে ভদ্রস্থ করার চেষ্টা করেছেন। তার ৮৮ রানের ইনিংসে চড়ে ৪৭.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান পর্যন্ত পৌঁছে।

রূপগঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম এবং শুভাগত হোম। মাশরাফি ৯ ওভার বল করে ৩০ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি।

তবে রূপগঞ্জের দুই ব্যাটার শামিম এবং তুষারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৫.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ। ওপেনার তুষারের ব্যাটে আসে ৮৩ রান। আর ৪৩ বলে ৬ চার এবং ৮ ছক্কায় ৮৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেল দলকে জয় এনে দেন ম্যাচসেরা শামিম।

এদিকে ৫ উইকেট নিয়েও শাইনপুকুরকে জেতাতে পারেননি স্পিনার রিশাদ হোসেন। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়ার পথে শাইনপুকুরকে ২৬ রানে হারিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দিনের অপর ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবকে ৩৮ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে গাজী টায়ার্স।

;

‘লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিৎ বাংলাদেশের’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে ১-০ তে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। বড় হারের সে স্মৃতিকে পেছনে রেখে বাংলাদেশের সামনে এখন আরেকটি টেস্টের চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামে লঙ্কানদের ধরাশায়ী সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া বাংলাদেশ, তাতে সিরিজ হার এড়ানোর পাশাপাশি প্রথম টেস্টে বড় হারের কষ্টও কিছুটা লাঘব হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অস্ট্রেলিয়া গেছেন। কোচ না থাকায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। তবে দল এবং একইসঙ্গে সমর্থকদের জন্য সুখবর, টেস্ট সিরিজে খেলার কথা না থাকলেও দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। 

দলে ফিরেই সাকিব জানালেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিত বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ভালো ক্রিকেট খেলার পর এমনটাই চাইছেন সাকিব, ‘আশা তো সব সময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই আমরা স্ট্রাগল করেছি, আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’

অনভিজ্ঞ একটা দল নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সাকিবের প্রত্যাবর্তন অনেক আনন্দের সংবাদ। প্রথম টেস্ট শেষে অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’

;

রূপায়ণ সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব আল হাসান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আবাসন খাতের প্রথম সিটি ব্র্যান্ড রূপায়ণ সিটি ও ক্রিকেটের ব্র্যান্ড সাকিব আল হাসান এবার হয়েছেন জুটিবদ্ধ। রূপায়ণ সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে রূপায়ণ সিটি উত্তরার স্কাই ভিলা লাউঞ্জে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রূপায়ণ সিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন সাকিব। রূপায়ণ সিটির পক্ষে সিইও এম মাহবুবুর রহমান চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রূপায়ণ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খাঁন রাতুল ও উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন পি জে উল্লাহ (অব.), চিফ অপরেটিং অফিসার ব্রিগেডিয়ার সালাহউদ্দীন (অব.), সিবিও (আরসিইউ) রেজাউল হক লিমন, সিবিও (ম্যাক্সাস) গৌতম তরফদারসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে রূপায়ণ সিটি ঘুরে দেখেন সাকিব আল হাসান। এ সময় তিনি বলেন, একদমই ব্যতিক্রম এখানকার পরিবেশ। কারণ খেলাধুলার জায়গা আছে, বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ। বয়স্কদের জন্য আছে হাঁটা-চলার পৃথক রাস্তা। যা ঢাকার অন্যান্য জায়গায় বড়ই অভাব। এখানকার পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করে তুলবে। আমি জানি না ক্রিকেটারদের কেউ রূপায়ণ সিটিতে থাকেন কিনা। যদি না থাকেন তাহলে তারা এদিকে আসতে পারে।

রূপায়ণ সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজে অংশ নেবেন বলেও জানান সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশের গেটেড কমিউনিটির ধারণাতে ‘ব্রেক দ্য স্কয়ার ফিট স্টোরি’- এই দর্শনের মাধ্যমে নতুন মাত্রা দিয়েছে রূপায়ণ সিটি। যার মাধ্যমে এসেছে প্রিমিয়াম মেগা গেটেড কমিউনিটি- রূপায়ণ সিটি উত্তরা। যেখানে আছে রূপায়ণ স্কাই ভিলা, ম্যাক্সাস- দি মল অব বাংলাদেশ এবং নেক্সট জেনারেশন স্মার্ট সিটি ‘নর্থ সাউথ সিটি’।

;