রোনালদোই বড় হুমকি, তবুও স্বপ্ন চোখে ইরান



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজ দেশের সাফল্য কে না চায়, তাও আবার বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে?

একজন নিশ্চিত করেই চাইছেন না! তিনি কার্লোস কুইরোজ। পর্তুগিজ এই কোচ সোমবার (২৫ জুন) রাতের ম্যাচে শুধু তার দেশের হার দেখতে চাইছেন, তা নয়; একেবারে কি করে পর্তুগালকে হারানো যায়, জবরদস্ত সেই পরিকল্পনাও তৈরি করে ফেলেছেন। এতদুর শুনে কেউ আবার কার্লোস কুইরোজকে দেশদ্রোহী না বলে টলে বসেন!

আচ্ছা রহস্যটা ভাঙ্গা হোক তাহলে?

কার্লোস কুইরোজ পতুর্গালের নাগরিক। তবে এই বিশ্বকাপে তিনি ইরানের কোচ। আর সোমবার রাতে বিশ্বকাপের মাঠে ইরানের মুখোমুখি হচ্ছে পর্তুগাল। পেশাদারি ফুটবলে এমনটা নতুন কোন ঘটনা নয়। ক্যারিয়ারের অনেক বড় সময় জুড়ে একসময় পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বও পালন করেছিলেন কুইরোজ। ভালই জানেন তিনি, কিভাবে আবেগ সামাল দিতে হয়। মাঠে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে দেখা হলে একটা কুশল বিনিময় তো অবশ্যই হবে। তবে ম্যাচে নিশ্চয়ই রোনালদোর ‘কুশল’ চাইবেন না কুইরোজ। ভালই জানা তার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জ্বলে উঠা মানেই ম্যাচেই ইরানের সম্ভাবনা শেষ!

-আচ্ছা এবার দু’দলের সম্ভাবনার ক্ষেত্রটা জানি।

এক ড্র ও এক জয় নিয়ে পর্তুগালের পয়েন্ট ৪। ইরানের সঙ্গে আজ নেহাৎ ড্র করলেই পর্তুগাল পৌছে যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। আর জিতলে তো কথাই নেই। তখন গ্রুপ চ্যাম্পিয়নও হয়ে যেতে পারে তারা। আর বিশ্বকাপে সামনে বাড়তে হলে এই ম্যাচে জয় ছাড়া ইরানের সামনে কোন বিকল্প নেই। মরক্কোকে শুরুতে হারিয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে আছে ইরান। তবে পর্তুগালের সঙ্গে ড্র করলেও একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা থেকে যাবে ইরানের সামনে। সেক্ষেত্রে যদি মরক্কো ২ বা তার বেশি ব্যবধানের গোলে স্পেনকে হারিয়ে দেয় তখন ইরান দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে আসবে। তবে অন্য দলের হিসেব-নিকেষের ওপর নির্ভর না করে নিজেরা জিতে নিজেদের পথ তৈরি করে নেয়াটাই যে বীরের কাজ।

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যে দুর্দান্ত ফর্ম দেখিয়ে চলেছেন তাতে ইরানের বিপক্ষে এই ম্যাচেও আলোটা তার ওপরই থাকছে। চার গোল করে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেন পানামার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে সবমিলিয়ে পাঁচ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এখন শীর্ষে। নিজের হারানো সেই আসন পুনঃ উদ্ধারের একটা ইচ্ছেও নিশ্চয়ই আছে রোনালদোর। গ্রুপে পেছনের দুই ম্যাচ রোনালদোর একক কৃতিত্বের ছটায় পর্তুগাল সমস্যা টপকে গেছে। দলের চার পয়েন্টের পুরোটাই জুড়ে তার একক অবদান। চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চার গোল করেছে পর্তুগাল। চারটিরই মালিক সিআর সেভেন।

পর্তুগালের সমস্যা হল একমাত্র রোনালদো ছাড়া ওপেন ফিল্ডের খেলায় দলের বাকি আর কেউ নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। তাহলে কোন ম্যাচে রোনালদো যদি একটু অফফর্ম যায়- সেদিন কী হবে, সেই জটিলতায় এখনো পড়েনি পর্তুগাল। আর প্রতি ম্যাচেই রোনালদো গোল করে দলকে জিতিয়ে আনবেন-এমন নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে পর্তুগালের সামনের কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।

বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ যখন ইরান তখন রোনালদো নিশ্চয়ই একটু নষ্টালজিয়ায় ভুগবেন। বিশ্বকাপ ফুটবলে তার অভিষেক গোলই যে এসেছিল ইরানের বিপক্ষে। ২০০৬ সালের জার্মানি বিশ্বকাপে ইরানের বিপক্ষে সেই ম্যাচ জিতে পর্তুগাল ২-০ গোলে। যার একটি গোল করেছিলেন সেদিন টগবগে তারুণ্য নিয়ে মাঠে নামা রোনালদো। এবারের বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে আগের তিন বিশ্বকাপে সিআর সেভেনের সাকুল্যে গোল সংখ্যা ছিল তিনটি।

আর রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজের প্রথম দুই ম্যাচেই গোল পেয়েছেন ৪টি। যার মধ্যে স্পেনের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিকও আছে। গ্রুপ পর্ব যেভাবে শুরু করেছিলেন সারানস্কের মাঠেও কি সোমবার রাতে রোনালদোকে তেমন গোলের আনন্দে দেখা যাবে?

   

হাবিবুরের সেঞ্চুরিতে সুপার লিগে গাজী গ্রুপ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শেষ রাউন্ডের ম্যাচ বড় জয় পেয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। হাবিবুর রহমানের সেঞ্চুরিতে সিটি ক্লাবকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে সিটি ক্লাবকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় গাজী। তবে দলটির বেশিরভাগ ব্যাটার ক্রিজে থিতু হয়েও উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসায় তাদের সংগ্রহ বড় হয়নি। সমান তিনটি করে চার-ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৮ রান এসেছে ওপেনার হাসানের ব্যাটে। ৩৭ রান করেন রাফসান আল মাহমুদ।

গাজী গ্রুপের পক্ষে ৩ উইকেট নেন রুয়েল মিয়া। দুটি করে উইকেট পান হুসনা হাবিব মেহেদী, মঈন খান এবং আব্দুল গাফফার সাকলাইন।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার মেহেদী মারুফকে হারালেও বিপদে পড়তে হয়নি গাজীকে। বরং তিনে নামা হাবিবুর রহমানের সঙ্গে সেঞ্চুরির সঙ্গে অন্য ওপেনার আনিসুল ইসলামের ফিফটিতে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয় তারা।

৮১ বলে ১০ চার এবং ৬ ছক্কায় ১০২ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন হাবিবুর। ১০ চার এবং ১ ছক্কায় ৬১ রান আসে আনিসুলের ব্যাটে।

এই জয়ে ১১ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট পেয়ে ষষ্ঠ দল হিসেবে সুপার লিগে নাম লিখিয়েছে গাজী। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে কেবল ৪ পয়েন্ট পাওয়া সিটি ক্লাব রয়েছে ৯ নম্বরে।

;

বাংলাদেশ কেন এমন করছে, আকাশ চোপড়ার প্রশ্ন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল খেলা নিয়ে সরগরম দেশের ক্রিকেট। তাকে আইপিএলে নিরবচ্ছিন্নভাবে খেলতে দেয়া উচিৎ নাকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য মাঝপথে ফিরিয়ে আনা উচিৎ, তা নিয়ে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা। বাংলাদেশের বোর্ড কর্তা থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররা বিষয়টি নিয়ে মত দিলেও ভারতীয় কেউ এতদিন এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।

তবে সে ধারা ভেঙে এবার মুস্তাফিজ ইস্যুতে মুখ খুলেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া। মুস্তাফিজকে আইপিএলের মাঝপথ থেকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বিসিবির সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও পোস্ট করেছেন আকাশ। সেখানে তার প্রশ্ন, ‘মুস্তাফিজুর রহমান চলে যাচ্ছে। সে চেন্নাইয়ের হয়ে (পুরো মৌসুম) খেলতে পারবে না। শুধু আর কয়েকদিনের জন্য আছে। বাংলাদেশ কেন এমন করছে?’

চেন্নাইয়ের হয়ে চলতি মৌসুমে দারুণ পারফর্ম করছেন মুস্তাফিজ। ৬ ম্যাচ খেলে এরই মধ্যে ১০ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও এই বাংলাদেশি পেসার। এমন অবস্থায় চেন্নাই যদি পুরো মৌসুম তার সার্ভিস না পায়, সেক্ষেত্রে দলটি বিপদে পড়বে বলে মনে করেন আকাশ, ‘তাকে (মুস্তাফিজ) খেলতে দাও। সে চলে গেলে চেন্নাইয়ের ক্ষতি হবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শুরুতে মুস্তাফিজকে আইপিএলে অংশ নেয়ার জন্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয়। পরে ছুটির মেয়াদ একদিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করা হয়।

;

নাসুমের ফাইফার, মোহামেডানের সহজ জয়



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সবশেষ ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে হারতে হয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। আর তাতে পয়েন্ট টেবিলেও হোঁচট খেয়েছে দলটি। সেই ধাক্কা সামলে নিয়ে এদিন ডিপিএলে মিরপুরের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে মোহামেডান। নাসুম আহমেদের ফাইফারে মাত্র ১৩৫ রানেই আলআউট ব্রাদার্স। যা ব্যাট হাতে ৫ উইকেট হাতে রেখে মাত্র ২৩.২ ওভারে টপকে গেছে মোহামেডান।

এদিন বল হাতে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ওপর চড়াও হন নাসুম। নিজের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরান রহমাতুল্লাহ আলিকে। এরপর একে একে সাজঘরে ফিরিয়েছেন ইমতিয়াজ, মাহমুদুল হাসান, রাহাতুল ও ব্রাদার্স অধিনায়ক মনির হোসাইনকে। তার বোলিং তোপের সামনে সুবিধা করতে পারেননি ব্রাদার্সের তেমন কেউই।

বল হাতে নাসুম দারুণ সঙ্গ পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজের থেকেও। তার শিকার ৩ উইকেট। মোহামেডানের স্পিনারদের দাপুটে দিনে মাঝে মাহমুদুল হাসান ও রাহাতুল ফেরদৌসের ৪৫ রানে ভর করে কোনো রকমে ৩৪.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রানের পুঁজি পায় ব্রাদার্স।

জবাব দিতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে ফেলে মোহামেডান। দলীয় ৬৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় মোহামেডান। সাজঘরে ফেরেন ১০ রানে থাকা রনি তালুকদার। এরপর অবশ্য নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট পড়েছে মোহামেডানের। তবে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন দলটির অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ইমরুল অপরাজিত ছিলেন ৭১ বলে ৯২ রানে।

লিগে এটি মোহামেডানের ৮ম জয়। আর এ জয়ে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দলটির অবস্থান তালিকার তিন নম্বরে। অন্যদিকে শীর্ষে থাকা আবাহনী ১১ ম্যাচের সবকটিতেই জয় নিয়ে পয়েন্ট ২২।

;

আতালান্তাকে হারিয়েও ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় লিভারপুলের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচে আতালান্তার মাঠে ম্যাচের একদম শুরুতেই গোলের দেখা পায় লিভারপুল। শেষ পর্যন্ত ওই এক গোলের ব্যবধান নিয়েই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অল রেডরা। তবে জয়েও টুর্নামেন্টের সেমিতে ওঠা হলো না তাদের। কেননা আগের লেগের ঘরের মাঠে ইতালিয়ান ক্লাবটির কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে সেমিতে পৌঁছায় আতালান্তা। 

এদিকে চলতি আসর শেষেই লিভারপুলকে বিদায় বলবেন ক্লপ। এতে ইউরোপা লিগে এই হারে বিদায়বেলায় খালি হাতেই শেষ হলো এই জার্মান কোচের ইউরোপ অধ্যায়। চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করতে না পারায় লিভারপুলের সামনে এই ইউরোপা লিগই ছিল একমাত্র ইউরোপ প্রতিযোগিতার লড়াই। সেখানে শিরোপা উপহার দিয়েই ক্লপকে বিদায় বলতে চেয়েছিল সবাই। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে উঠল না। 

প্রিমিয়ার লিগেও সবশেষ রাউন্ডের ম্যাচে ধাক্কা খেয়েছে লিভারপুল। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে শীর্ষে ছিল তারা। তবে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্নে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে তাদের। 

আতালান্তার মাঠে ম্যাচটিতে সেমি নিশ্চিত করতে অন্তত ৪ গোলের ব্যবধানে জিততে হতো লিভারপুলকে। ম্যাচটা অল রেডরা শুরুও করেছিল সেভাবেই। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে সফল স্পট কিক থেক গোল পান মোহাম্মদ সালাহ। সেই শুরু, সেই শুরুর গোলেই শেষ। মাঝে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি লিভারপুল। সমতাতেও ফেরেনি আতালান্তা। তবে আগের লেগে বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় সেমির পর এর হারে কোনো ফারাকই পড়েনি ইতালিয়ান ক্লাবটির। 

এদিকে রাতের আরেক ম্যাচে বেনফিকাকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিতে পৌঁছেছে মার্শেই। এই ফ্রেঞ্চ ক্লাবের সঙ্গেই সেমিতে লড়বে আতালান্তা। 

;