ডেনমার্ক নাকি অস্ট্রেলিয়া? উত্তর মিলবে আজ রাতেই
জায়গা একটি, লড়াই দুই দেশের! গ্রুপ 'সি' থেকে এরইমধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেয়ে স্বস্তিতে ফ্রান্স। তবে গ্রুপের ম্যাচগুলো শুধু নিয়ম রক্ষার হয়ে উঠেনি। নকআউটের দৌড়ে আছে ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়া। লড়াই থেকে আগেই বাদ পড়েছে পেরু!
ঠিক এমনই এক দৃশ্যপটে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় ডেনমার্ক লড়বে ফ্রান্সের সঙ্গে। খেলাটি সরাসরি দেখাবে- বিটিভি, মাছরাঙা, নাগরিক টিভি, সনি ইএসপিএন, সনি টেন টু ও সনি টেন থ্রি। একই সময়ের আরেক ম্যাচে ফিস্ট অলিম্পিক স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ পেরু। এই খেলাটি দেখা যাবে সনি সিক্স চ্যানেলে। দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করা ফ্রান্সের সঙ্গে ড্র করলেই হবে ডেনমার্কের। তবে তারা হেরে গেলে সুযোগ এসে যাবে অস্ট্রেলিয়ার। দিনের আরেক ম্যাচে পেরুকে হারাতে পারলেই সকারুরা পেয়ে যাবে স্বপ্নের দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট।
ডেনমার্কের হার প্রত্যাশা করেই আজ মাঠে নামবে অস্ট্রেলিয়া। লুঝনিকি স্টেডিয়ামে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ডেনিশদের বিপক্ষে কিছুই হারানোর নেই আজ ফ্রান্সের। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে পেরুর বিশ্বকাপ শেষ। টানা দুই জয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স।
আজ হয়তো সেরা তারকাদের ওপর চাপ দিতে চাইবেন না কোচ দিদিয়ের দেশম। কিন্তু ডেনমার্কের আয়েশী হওয়ার সুযোগ নেই। নুন্যতম ড্র চাই তাদের। আর যদি চমক দেখিয়ে ফ্রান্সকে হারানো যায় তবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রাখবে ডেনিশরা। ফ্রান্স-ডেনামার্ক এর আগে ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে ৯ জয়ে এগিয়ে ফ্রান্স। সবশেষ সাত ম্যাচেই জিতেছে ফরাসিরা।
বিশ্বকাপে অবশ্য দুইবারের দেখায় একবার করে জিতেছে দুটি দেশ। অবশ্য ফরাসিদের কাছ হেরেও পরের রাউন্ডের টিকিট পেতে পারে ডেনমার্ক। ২ ম্যাচ শেষে এখন তাদের পয়েন্ট ৪। এ অবস্থায় পেরুর কাছে অস্ট্রেলিয়ার ড্র কিংবা হেরে গেলে দরজা খুলে যাবে ডেনমার্কের। কারণ ২ ম্যাচ শেষে সকারুদের পয়েন্ট মাত্র ১। এ অবস্থায় পেরুর ম্যাচটি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
দলটির স্ট্রাইকার টমি জুরিখ জানিয়ে রাখলেন, ‘আমরা যত বেশি সম্ভব গোল করে এই ম্যাচে জিততে চই। পেরুর বিপক্ষে শেষ ম্যাচে পুরো আত্মবিশ্বাস নিয়েই লড়বো।ডেনমার্ক-ফ্রান্স ম্যাচে কি হচ্ছে সেটা দেখছি না। আমরা আমাদের খেলাটাই খেলে যাবো।’ ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপে পা রেখে পেরু অবশ্য হতাশাই হয়েছে। যদিও ডেনামাকর্বের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেও তারা হারে ০-১ গোলে।
ফ্রান্সের বিপক্ষেও একইভাবে আক্ষেপ সঙ্গী করে মাঠ ছেড়ে লাতিন আমেরিকার দেশটি। তারাও শেষটা জয়ে রাঙাতে চায়। দলটির ডিফেন্ডার অ্যান্ডারসন সান্তা মারিয়া জানাচ্ছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা জিতে সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটাতে চাই আমরা।’ অবশ্য পরিসংখ্যান জানাচ্ছে-এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেখা হচ্ছে পেরু ও অস্ট্রেলিয়ার। সেই দেখায় কে বাজিমাত করে তার উত্তর মিলবে আজ রাতেই!