টাইব্রেকার লটারিতে শেষ আটে ইংল্যান্ড, কলম্বিয়া নকআউট!



এম. এম. কায়সার ,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংল্যান্ড ১ (৪) : কলম্বিয়া ১ (৩)

এই বিশ্বকাপ তাহলে সব উত্তেজনা জমিয়ে রেখেছে ম্যাচের শেষ মিনিটের জন্যই?

যখন মনে হচ্ছে খেলা শেষ প্রায় , ঠিক তখনই মুহূর্তের মধ্যেই বদলে যাচ্ছে ম্যাচের চিত্র। ইনজুরি টাইমে গোল হচ্ছে। শেষ মিনিটে গোল হচ্ছে। কয়েক সেকেন্ড বাকি তখনই গোল! শেষ মিনিটের সেই নাটকীয়তা দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ ম্যাচটায় আরেকবার দেখল রাশিয়া বিশ্বকাপ। দ্বিতীয়ার্ধে স্ট্রাইকার হ্যারি কেনের পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলে ইংল্যান্ড ম্যাচ প্রায় জিতেই যাচ্ছিল ১-০ গোলে। কিন্তু ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে কলম্বিয়ার ইয়েরি মিনা খাদের কিনার থেকে দলকে উদ্ধার করেন। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়।

ত্রিশ মিনিটের এই সময়টায় উভয় দল গোলের সুযোগ নষ্ট করে। ম্যাচের ফয়সালা হয় টাইব্রেকারের লটারিতে। যে লটারিতে এর আগে কখনোই বিশ্বকাপে জেতেনি। এবার জিতল! টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে এই ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে এল ইংল্যান্ড। আর বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল কলম্বিয়া।

/uploads/files/0tS5KpC7zbQbJzqFZoAfqKXh7J5Mh6rAmo5GSlcb.jpeg

নকআউট ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে যাওয়া মানেই ইংল্যান্ডে জয়ের পরিসংখ্যান ভীষণ নড়বড়ে। আর সেই ম্যাচ আবার যদি টাইব্রেকারে গড়ায় তবে তো আরও কাহিল রেকর্ড। এর আগে ইংল্যান্ড তিনটি বিশ্বকাপে টাইব্রেকারে গড়ানো নকআউট ম্যাচ থেকে নকআউট হয়। সেই দুভার্গ্য থেকে এবার বেরিয়ে এল। জ্বি, আপনি ভুল পড়ছেন না-টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচও ইংল্যান্ড জিততে পারে!

প্রশ্ন উঠতে পারে বিরতির পর কি খেয়ে এই ম্যাচে নেমেছিল কলম্বিয়া?

-রাগের ট্যাবলেট! মাঠে খেলা বা গোল করার চেয়ে ধাক্কাধাক্কি এবং কুস্তিগিরিই যে বেশি করল তারা। রেফারির সঙ্গে তর্কাতর্কিতে কম গেল না তারা। ফলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তাই হল। পেনাল্টি! সেই পেনাল্টি থেকে হ্যারি কেনের গোলে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের রঙিন স্বপন দেখছিল। নির্ধারিত সময়ের ইনজুরি টাইমে ‘হেড স্পেশালিষ্ট’ ইয়েরি মিনার গোলে কলম্বিয়া  ম্যাচে সমতা নিয়ে আসে। এই বিশ্বকাপে মিনার গোলসংখ্যা তিনটি। এই তিনটির সবগুলোই এসেছে হেড থেকে! তবে গোলের হিসেবে এই ম্যাচকে স্মরণীয় রাখবেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন। চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি ছয় গোলের মালিক এখন তিনি। ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে করা স্বদেশি ষ্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকারের ছয় গোলের রেকর্ডে ভাগ বসালেন হ্যারি কেন।

এই বিশ্বকাপে দেখা যাচ্ছে কর্নার বা ফ্রিকিক নেয়ার আগে দেয়াল তৈরি করে দাড়ানো খেলোয়াড়দের রেফারি বারবার সতর্ক করে দেন; কেউ যেন কারো শরীর ধরে কাউকে আটকে না রাখেন। রেফারির সেই সতর্কতা সত্ত্বেও কলম্বিয়ার খেলোয়াড়রা প্রতিটি ফ্রিকিক ও কর্নারের সময় অহেতুক ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে ঝামেলা পাকান। বলা যায় বিপদ ডেকে আনেন।

এই ম্যাচে কলম্বিয়ার হারের কারণ যত না ফুটবলীয় তারচেয়ে অনেক বেশি ঐ ‘অ-ফুটবলীয় আচরণ! দ্বিতীয়ার্ধে কর্নারের সময় সানচেজ ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেনকে জড়িয়ে ধরেন। সামনে বাড়তে চেষ্টা করায় তিনি প্রায় তার ঘাড়ের ওপরই চড়ে বসে তাকে মাটিতে ফেলে দেন। পুরোদুস্তর কুস্তিগিরি আর কি! রেফারি পাশে দাড়িয়ে পুরো দৃশ্য দেখেন। পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে স্পটকিকের নির্দেশ দেন। পুরো কলম্বিয়া দল রেফারির সঙ্গে এই সময় তর্কে জড়িয়ে পড়ে। অধিনায়ক ফ্যালকাও কোথায় তার খেলোয়াড়দের থামাবেন; তা না তিনি নিজেই রেফারিকে প্রায় মারতে ছুটেন! ম্যাচের ৬৫ মিনিটের মধ্যেই রেফারি সবমিলিয়ে উভয় দলের সাতজন খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করে দেন। ভাগ্য ভাল যে দু’য়েক জন লালকার্ড পাননি! শুধু কুস্তি নয়, মাথা দিয়ে গুতোঁগুতির দেখাও মিলে এই ম্যাচে!

/uploads/files/BqK2Z5NSLTjbAE6peeYxvzPBiCQqQvMBV4mVdQnt.jpeg

তবে দ্বিতীয়ার্ধেরর শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর কলম্বিয়া ম্যাচে ফিরে আসার যে তাড়া দেখায় সেটাই জমিয়ে তোলে এই ম্যাচকে। আক্রমণের তোড়ে ইংল্যান্ডের রক্ষণভাগকে অস্থির করে তোলে। কিন্তু ফাইনাল থার্ডে এসে কলম্বিয়ার সব পরিকল্পনা মুখ থুবড়ে পড়ে। স্ট্রাইকিং পজিশনে একক কারিশমায় বল ড্রিবলিং করে ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে যাবেন-এমন সৃজনশীল খেলোয়াড় কই এই দলে? কুদরাদো, কুইনটোরো ও ফ্যালকাও চেষ্টা করেন তবে কেউ ফিনিসার হতে পারেননি। এই ম্যাচে হামেস রদ্রিগেজকে মিস করে কলম্বিয়া। পায়ের পেশির চোট এখনো সারেনি তার। পুরো ম্যাচটা গ্যালারিতে বসে দেখেন কলম্বিয়ার এই তারকা।

কলম্বিয়ার ম্যাচ পরিকল্পনাই ছিল খেলাটা যাতে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। অন্তত সময় যেভাবে নষ্ট এবং ক্ষেপণ করছিল কলম্বিয়া তাতে মনে হচ্ছিল এই ম্যাচের ফল টাইব্রেকারে ফয়সালা করতেই তাদের বেশি পছন্দ।

সেই পছন্দের মুল্য দিতে হয় তাদের ম্যাচ হেরে। টাইব্রেকার লটারি ঠিকই লেগে গেল ইংল্যান্ডের ভাগ্যে!

 

   

মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, পিছিয়ে থেকেও জয়ী আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘোষিত ফাইনাল! প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ কম ছিল না। ম্যাচের আগেই রাসেল মাহমুদ জিমির তিন হলুদ কার্ডে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গেছে। অন্তত মাঠের খেলা বিতর্ক মুক্ত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের খেলাতেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রইল বিতর্ক। তাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড আগেই শেষ হল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতল আবাহনী। এগিয়ে থেকেও শিরোপা হাতছাড়া মোহামেডানের।

মওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই গোল করে অনেকটা এগিয়ে যায় আবাহনী। তিন মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফ এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়ে যায় তারা।

এর মাঝে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান খেলোয়াড়দের বচসায় খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।

তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজসিকভাবে ম্যাচে ফেরে মোহামেডান। ফয়সাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। প্রথমে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল এবং পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আরও দুই গোল করে মোহামেডানকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন তিনি।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে যখন ঘড়ির কাটায় আর কেবল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি, তখন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ একপ্রকার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুই আম্পায়ার দীর্ঘ আলোচনার পর মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় মিজুন এবং আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান। আর মোহামেডানের সিয়াম, দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাইমউদ্দিনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে মোহামেডানের কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আম্পায়ারদের অনেক আলোচনা হয়। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামেনি তারা।  উপায়ান্তর না দেখে আম্পায়াররা শেষ বাঁশি বাজিয়ে এক কোয়ার্টার এবং আরেক কোয়ার্টারের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি থাকতেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।

২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়ে যায় আবাহনী। এতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট এখন আকাশি-হলুদদেরও। এখন এই দুই দলের মধ্যে প্লে-অফের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। আর যে মোহামেডানের এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করার কথা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা শিরোপার দৌড়েই আর নেই।

;

পিছিয়ে পড়েও আবাহনীর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছে আবাহনী। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুই বিদেশির গোল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। আবু তোরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট নেন আব্দুল্লাহ। আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল ঝাঁপিয়ে পড়েও সে শট প্রতিহত করতে পারেননি।

২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। দলটির অধিনায়ক ইগর লেইতে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়।

মিনিট দুয়েক পরই এই মিসের মূল্য চুকাতে হয় শেখ জামালকে। বাম প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নেলিয়াসের শেখ জামালের শট শাখজদ শেমানভ ব্লক করলেও ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্দেস।

সমতায় ফেরার পর দাপট বাড়ে আবাহনীর। ৩৩ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান প্রথম গোলের নায়ক জোনাথান। কিন্তু শেখ জামাল গোলকিপারকে এক পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর কোনো ভুল করেনি আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে জোনাথানের থ্রু বল ধরে কর্নেলিয়াসের দিকে পাস বাড়ান ওয়াশিংটন। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেই কর্নেলিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আকাশি-হলদুরা।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। তবে হেরে যাওয়ার ফলে পাঁচে নেমে গেছে সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পয়েন্ট ১৭।

;

‘হকির স্বার্থে’ অঘোষিত ফাইনালে খেলছে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) আবাহনী-মোহামেডানের অঘোষিত ফাইনালের আগেও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। তিন হলুদ কার্ড দেখা মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরগরম হকির মাঠ।

জানা গেছে, কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে বাইলজ অনুযায়ী সেই দলকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার কথা তার দলকে ফেডারেশনের জানানোর কথা। তবে এক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন সেটা না করে বরং তিন হলুদ কার্ড দেখার পর জিমিকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে আজ তার মাঠে নামার সুযোগ নেই।

এই বিষয়টি নিয়েই মুখোমুখি অবস্থানে  চলে এসেছিল মোহামেডান এবং হকি ফেডারেশন। আজ আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উঠবে সাদাকালোদের হাতে। অথচ এমন একটা ম্যাচ তারা না খেলার হুমকি দিয়েছিল জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে।

শেহস পর্যন্ত অবশ্য তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ‘হকির স্বার্থে’ তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সঙ্গে এও জানিয়ে রেখেছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়তে পিছপা হবেন না তারা।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৫। অন্যদিকে আবাহনীর ৩৪ ও মেরিনার্সের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। মোহামেডানকে আবাহনী হারিয়ে দিলে মেরিনার্সের মতো তাদের পয়েন্টও হবে ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী তখন আবাহনী-মেরিনার্স প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে শিরোপা। মোহামেডানের জন্য হিসেব সহজ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান-আবাহনী ড্র করলে শিরোপা উৎসব করবে মেরিনার্স।

;

‘অদ্ভুত’ কারণে ১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ আর্জেন্টাইন গোলকিপার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ যখন টাইব্রেকার বীরত্বে প্রশংসিত হচ্ছেন, ঠিক তখনই তার স্বদেশী আরেক গোলকিপার পড়েছেন বড় নিষেধাজ্ঞার খড়গে। তার নাম নাহুয়েল গুজমান। খেলেন মেক্সিকান ক্লাব টাইগ্রেস অব নুভো লিওনে।

হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে গুজমানের। তাই দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে রয়েছেন। কিন্তু মাঠের বাইরে থেকেও বড় শাস্তির মুখে পড়তে হলো তাকে। মেক্সিকান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে মন্টেরির বিপক্ষে তার দলের ম্যাচ চলাকালের স্ট্যান্ড থেকে বিপক্ষে দলের গোলরক্ষকের দিকে লেজার লাইট তাক করার দায়ে ১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৩৮ বছর বয়সী গুজমানকে।

গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গুজমানের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে লিগা এমএক্স কর্তৃপক্ষ।

গত শনিবার সেই ম্যাচটির প্রথমার্ধে মন্টেরি গোলরক্ষক এস্তেবান আন্দ্রাদাসহ অন্যান্য ফুটবলারের দিকেও লেজার লাইট মারেন গুজমান। পরে মন্টেরির স্পোর্টস প্রেসিডেন্ট এমন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে তার কাছ কাছ থেকে লেজারটি কেড়ে নেন। পরে অবশ্য এমন কাজের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন গুজমান।

ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৩-৩ ড্রয়ে শেষ হয়েছিল। এদিকে নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও জরিমানার বিকল্প হিসেবে গুজমানকে কিছু অনির্দিষ্ট সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে হবে।

;