ম্যারাডোনার কথায় সমালোচনার ঝড়!
ঢাকা: বিতর্ক তার নিত্যসঙ্গী। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পার থেকে ডিয়োগো ম্যারাডোনা সেই বিতর্ক সঙ্গী করেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন! কখনো উচিত কথা আবার কখনোবা বেফাঁস মন্তব্যে সমালোচিতও হয়েছেন আর্জেন্টিনার এই কিংবদন্তি। এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। শুরু থেকেই আলোচনায় আছেন ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী নায়ক। তার দল আর্জেন্টিনা বিদায় নিলেও তাকে ঘিরে গণমাধ্যমের আগ্রহের কমতি নেই।
এবার এক বর্ণবাদী মন্তব্য করে সমালোচনার তোপে পড়লেন ম্যারাডোনা। ইউরোপের কৃষাঞ্চ ফুটবলারদের নিয়ে কথা বলে এখন বিব্রতকর অবস্থায় পড়লেন তিনি। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেন, 'আফ্রিকান ফুটবলারদের নাগরিকত্বের লোভ দেখিয়ে ইউরোপে নিয়ে যাওয়া হয়। বাধ্য হয়ে ওরা সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়। ওরা তখন উন্নত জীবনের সুযোগটাও পেয়ে যায়। সঙ্গে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ ও দিনে চার বেলার খাবারের নিশ্চয়তাও ওরা পায়।'
ম্যারাডোনার এমন কথা সরাসরিই বিশ্বকাপের বড় তারকা ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে, পল পগবা কিংবা বেলজিয়ামের রোমালু লুকাকুর গাঁয়ে লাগছে। তারা প্রত্যেকেই আফ্রিকান দেশ থেকে উঠে এসেছেন। এমনিতে ফ্রান্সের ২৩ সদস্যের ১৪ জনই আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। পাশাপাশি ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামেও ৪৮ শতাংশ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত! ফ্রান্স দলে আফ্রিকার মোট ১১টি দেশের বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় রয়েছেন। যারা শরনার্থী হয়ে পা দিয়েছিলেন ইউরোপের দেশটিতে।
ম্যারাডোনার মন্তব্য গোটা বিশ্বেরই শরনার্থীদের গাঁয়ে লেগেছে। উন্নত জীবনের খোঁজে আফ্রিকা নয়, এশিয়া থেকেও অনেকে পাড়ি জমায় ইউরোপে। এমন কী মধ্যপ্রাচ্য থেকেও এখন শরণার্থীরা ইউরোপে যাচ্ছে। এই সংস্কৃতি চলছে যুগের পর যুগ। বিশ্লেষকরা বলছেন, ম্যারাডোনা 'চার বেলা খাবারের লোভের' কথা বলে তাদের তাচ্ছিল্যই করলেন!