ইংলিশ ফুটবল সমর্থকদের উন্মত্ততা!
মারদাঙ্গা, হাঙ্গামার জন্য ইংলিশ ফুটবল সমর্থকদের দুর্নামের অন্তঃ নেই! কুখ্যাতির ঐতিহ্য চলতি বিশ্বকাপের সময়ও বজায় রেখেছে তারা প্রতিপক্ষকে হামলার মাধ্যমে। আর সেটা করেছে খোদ লন্ডনে।
ইংলিশ সমর্থকদের উগ্রতার কারণে লন্ডনেও নিরাপদ নেই ইংল্যান্ড ফুটবল দলের বিরুদ্ধে খেলা দেশের মানুষ। বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা হচ্ছে রাশিয়ায়। আর তার জের বইতে হচ্ছে ব্রিটেনে সুইডেনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে। হেরেও মার খেতে হচ্ছে ইংল্যান্ডবাসী নিরীহ সুইডিসদের।
ইংল্যান্ডের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ভাষ্য মতে, শনিবার (৭ জুলাই) বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড ২-০ গোলে সুইডেনকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার পর ইংল্যান্ডের কিছু উচ্ছৃঙ্খল সমর্থক লন্ডনে সুইডেনের বিশ্বখ্যাত আসবাবপত্রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান 'আইকিয়া'র (Ikea) একটি দোকানে হামলা করে। উগ্র সমর্থকরা ভাঙচুর ও লন্ডভন্ড করে দোকানের পণ্য ও সজ্জা। এমনকী দোকানের কাছেই অপেক্ষমাণ জরুরি বিভাগের একটি এম্বুলেন্সেরও ক্ষতিসাধন করে তারা। কিছু পণ্য লুট করেও তারা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে লুক্সেমবার্গ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইংল্যান্ডের ফুটবল ফ্যানদের একাংশের উচ্ছৃঙ্খলতা, ভাঙচুর ও সহিংসতার কারণে শত শত ইংরেজকে ঐসব দেশে ও স্টেডিয়ামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ইংলিশ ফুটবল বহু বছর পর এবারের বিশ্বকাপে যে উচ্চতায় উঠেছে, তাকে কালিমা লিপ্ত করলো সেদেশেরই উগ্র সমর্থকরা! জয়কে আনন্দের বদলে হিংসা ও আক্রমণীয় ঢঙে উদযাপনের নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো উগ্রতার জন্য নিন্দিত ইংলিশ ফুটবল সমর্থকরা।
জিতেও প্রতিপক্ষকে মারপিট করার ন্যাক্কারজনক নজির ফুটবল ইতিহাসে বিরল। যদিও হেরে সৌজন্য ও ভব্যতার বহু উজ্জ্বল নজির রেখেছে অনেক দেশ। বিশেষত এবার জাপানের পরাজয়ের পরেও জাপানি সমর্থকরা যে শিষ্টতার পরিচয় দিয়েছে, তা অনন্য। আর ইংরেজ সমর্থকরা চিরাচরিত উন্মত্ততার বাজে ঐতিহ্যই ধারণ করেছে।