গোল উৎসবের ফাইনালে ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন



এম. এম. কায়সার ,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্স ৪ : ক্রোয়েশিয়া ২

আপনি যতোই ভালো খেলেন না কেন, ম্যাচে জেতে কিন্তু বেশি গোল করা দলই!

গোলের খেলা ফুটবলের সেই চিরায়িত শ্লোগান নিয়েই বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে উল্লাসে মাতল ফ্রান্স। আর ভাল খেলেও কোন লাভ নেই-যদি না গোল করতে পারো; ক্রোয়েশিয়ার জন্য সেই দুঃখই হয়েই রইল রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল।

৪-২ গোলের স্কোরলাইন হয়তো এই ফাইনালের প্রতিযোগিতা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাষ তেমন দিচ্ছে না। তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও ক্রোয়েশিয়া যে দাপুটে এবং প্রভাবী ফুটবল খেললো তাতে তারা আরেকবার হৃদয় ঠিকই জিতল; কিন্তু ম্যাচের শেষ বাঁশি যখন বাজল তখন উল্লাস যে শুধু করল ফ্রান্স।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উল্লাস। বিশ্বকাপে এটি ফ্রান্সের দ্বিতীয় শিরোপা।

৯০ মিনিটের ফাইনালকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েও ক্রোয়েশিয়া সুন্দর ফুটবলের হকদার। আর দ্বিতীয়ার্ধে গোলের উৎসব করে ফ্রান্স আগামী চারবছরের জন্য বিশ্বকাপের দাবিদার! ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর খানিকবাদেই স্কোরলাইন ৪-১ করে দেয়। মুলত এই ফাইনালের ফল তখনই পরিস্কার হয়ে যায়। সঞ্চয়ে বেশি গোল জমা হয়ে গেলে যা হয়-খানিকটা আত্মতুষ্ঠি বা আত্মতৃপ্তি চলে আসে; সেই সমস্যা বাঁধিয়ে ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস যে গোল হজম করলেন সেটা তাকে অনেকদিন পোড়াবে। ব্যাকপাস থেকে আসা বল ক্লিয়ার না করে লরিস সামনে থাকা মানজুকিচের সঙ্গে ড্রিবলিংয়ের কারিকুরি শুরু করে দেন।

/uploads/files/xcKE12SZaeIyocoYnmHB8mPnZ0co7BT1NpGoiLbT.jpeg

স্ট্রাইকারের সঙ্গে এমন ‘মাস্তানির’ শাস্তি হিসেবে লরিস দেখেন বল জালে! তবে এই বোকামো মার্কা গোল হজমের পর ফ্রান্সের রক্ষণ সতর্কতার মাত্রা সর্বোচ্চ করে দেয়। ক্রোয়েশিয়া চেষ্টার পর চেষ্টা চালায়। কিন্তু বিশ্বকাপ ট্রফি যে ততক্ষণে ফ্রান্সের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। তাই বাড়তি গোলের পথে না ছুটে লিড অক্ষত রাখার চেষ্টাই করে তারা। এবং দারুণভাবে তাতে সফলও হয় তারা।

৫৯ মিনিটে পল পগবা এবং ৬৫ মিনিটে কিলিয়েন এমবাপ্পের দুই গোলার মতো শটেই এই ফাইনালের হিসেব পরিস্কার করে দেয় ফ্রান্স। দুজনেই প্রায় সমান দুরুত্ব থেকে একই কায়দায় ক্রোয়েশিয়ার জালে বল পাঠান। দুটো শটেই এত জোর ছিল এবং এত দ্রুতগতি নিয়েছিল যে গোলপোষ্টে দাড়ানো সুভাসিচ জায়গা ছেড়ে নড়ার সুযোগই পাননি! নড়তে গিয়েই দেখেন বল জালে। আর ফ্রান্সের ডাগআউটে তখনি যে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ শুরু।

ফাইনালে হট ফেবারিট ছিল ফ্রান্স। অথচ কি দুর্দান্ত দাপুটে ভঙ্গিতেই না ম্যাচ শুরু করল ক্রোয়েশিয়া। প্রেসিং ফুটবলের ধাক্কায় ফ্রান্সের ফেবারিট তকমা প্রায় উড়ে যাওয়ার অবস্থায় পড়ে। ঠিক তখনই পুরো ম্যাচের ¯স্রোতের বিপরীতে গোল পেয়ে যায় ফ্রান্স। তাও আবার আত্মঘাতি গোলে! গ্রিজম্যানের ফ্রিফিক থেকে উড়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে পেনাল্টি বক্সে লাফিয়ে উঠে হেড করেন মানজুকিচ। বল তার মাথার উপরিভাগে হালকা স্পর্শ নিয়ে জালে! ফ্রান্সের লিড।

/uploads/files/R1x7ihTjqmhiMpDxjv6yFEjFggdHEm76Rk4sbFix.jpeg

তবে পিছিয়ে পড়েও বীরত্বের ভঙ্গিতে লড়াই করে ক্রোয়েশিয়া। বারবার আক্রমণে কাঁপিয়ে দেয় ফ্রান্সের রক্ষণ। যেভাবে খেলছিল ক্রোয়েশিয়া তাতে গোল পাওয়াটা ছিল তাদের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। এবং সেটা তারা পেয়েও গেল। মানজুকিচের ফ্রিকিক থেকে পাওয়া বল ভিদা ডি বক্সের ভেতরে সামনে দাড়ানো ইভান পেরিসিচের দিকে বাড়িয়ে দেন। ডানপায়ের স্পর্শে বলকে শটের পজিশনে নিয়ে বামপা থেকে প্রচন্ড শট নেন পেরিসিচ। বামদিকে ঝাঁপিয়ে সেই গোল রক্ষা করতে পারেননি লরিস.. গোল এবং ম্যাচে ১-১ সমতা। এই গোলের পর ক্রোয়েশিয়া যেন আরও জেগে উঠে।

মনে হচ্ছিল এই ম্যাচেই তারাই একমাত্র দল যারা বিশ্বকাপ জিততে মাঠে নেমেছে। প্রতিজ্ঞা, জেদ, বল নিয়ন্ত্রণের কৌশল, আক্রমণে উঠে আসা, বল দখলে প্রভাব-সব ফ্যাক্টরে ক্রোয়েশিয়া চাপে রাখে ফ্রান্সকে। ঠিক তখনই আরেকবার বিপদ ঘাড়ে। ডি বক্সে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পেরিসিচের হাতে লাগে বল। আর্জেন্টাইন রেফারি ভিডিও রিপ্লে দেখে পেনাল্টির নির্দেশ দিলেন। পেরিসিচের এই হ্যান্ডবল ইচ্ছেকৃত ছিল না অনিচ্ছাকৃত সেটা নিয়ে আগামী অনেকদিন হয়তো আলোচনা-সমালোচনা হবে। তবে পেনাল্টি থেকে গ্রিজম্যানের গোলে সেই যে ফাইনালে এগিয়ে গেল ফ্রান্স, সেটাই তাদের দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ এনে দিল।

/uploads/files/6kllv4ptIEH3Cs7gikzy6alaN3Lpiui8rzYu66qG.jpeg

কারণ আর কিছু নয়, গ্রিজম্যান যে ম্যাচে গোল করেন সেই ম্যাচে ফ্রান্স কখনোই হারেনি। রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালেও সেই রেকর্ডই অক্ষুণœ রইল!

এরপর দ্বিতীয়ার্ধের কাহিনীর প্রায় পুরোটা জুড়েই ফ্রান্সের গোল উৎসবের গল্প। প্রথমে পল পগবা, খানিকবাদে এমবাপ্পেÑএই দুই তারকার দুই গোলেই ফ্রান্স লিড নেয় ৪-১ গোলের! যে অবস্থান থেকে বিশ্বকাপের ফাইনালে কখনো কোন দল হারেনি।

মস্কোর লুজনিকি ষ্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে ফ্রান্স উল্লাস করছে। চারপাশে রং বেরংয়ের কনফেত্তি উড়ছে। সেই আলোয় ফ্রান্সের পাগল পারা উল্লাস। আর এত রঙিন উৎসবেও ক্রোয়েশিয়ার জন্য ফাইনালের রাতটা নেহাৎ সেই সাদা কালো হয়েই রইল।

ফ্রান্সকে অভিনন্দন বিশ্বকাপ ট্রফি জেতার আনন্দে। ক্রোয়েশিয়াকে ধন্যবাদ হৃদয় জেতার জন্য!

   

ব্রাদার্সকে ধসিয়ে মোহামেডানের রেকর্ডগড়া জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিশ্বাস্য মোহামেডান, উড়ন্ত সুলেমান দিয়াবাতে! ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ইতিহাস গড়ল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গোপীবাগের ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে সাদাকালোরা। একাই পাঁচ গোল করেছেন মোহামেডান অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে।

ময়মনসিংহে নিজেদের হোম ভেন্যুতে প্রথম বাঁশি থেকেই চলে মোহামেডানের দাপট। প্রথমার্ধেই তিন গোলের লিড পেয়ে যায় তারা। ৩৪ মিনিটে মুজাফফরভের অ্যাসিস্টে প্রথম ব্রাদার্সের জাল উন্মুক্ত করেন শাহরিয়ার ইমন।

প্রথমার্ধের শেষদিকে আরও দুই গোল যোগ করে ম্যাচের অর্ধেকটা বাকি থাকতেই মোহামেডানের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন দিয়াবাতে।

৪৩ মিনিটে সানডে ইমানুয়েলের বানিয়ে দেয়া বল জালে পাঠিয়ে ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পান দিয়াবাতে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে প্রথম গোলের কারিগর মুজাফফরভের অ্যাসিস্টে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন মোহামেডান অধিনায়ক।

বিরতির পর কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে চায় ব্রাদার্স। মোহামেডানকে গোল শোধ করার তাড়ায় তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে উল্টো তাদের নিজেদের রক্ষণই অরক্ষিত হয়ে পড়ে। সে সুযোগে ৬৮ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন দিয়াবাতে। এর মিনিট চারেক পর পেয়ে যান নিজের চতুর্থ ও দলের পঞ্চম গোলের দেখা।

পাঁচ গোল হজমের পর অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড এলিটা কিংসলেকে মাঠে নামায় ব্রাদার্স। তবে তাতেও কাজ হয়নি। উল্টো মাঠে নামার দুই মিনিটের মধ্যেই জাল খুঁজে পান মোহামেডানের বদলি ফুটবলার জুয়েল মিয়া।

শেষ বাঁশির আগে ৮৭ মিনিটে টনি আগবাজি এবং ৮৯ মিনিটে দিয়াবাতে পঞ্চমবারের মতো ব্রাদার্সের গোলমুখ উন্মুক্ত করলে বিশাল এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান।

নিজেদের ইতিহাসে এর আগে কেবল দুইবার ৮ গোলের ব্যবধানে জয় পায় মোহামেডান। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে এশিয়ান কাপ উইনার্স কাপে নিউ রেডিয়েন্ট ও ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে একই টুর্নামেন্টে ইলেক্ট্রিসিটি দু লাওসকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। সেই স্মৃতি মনে করিয়ে আবারও প্রতিপক্ষকে ৮-০ গোলে হারানোর উৎসব করল তারা। ট্রান্সফারমার্কেটের তথ্য অনুযায়ী, ঘরোয়া ফুটবলে এখন পর্যন্ত এটাই তাদের রেকর্ড ব্যবধানে জয়ের কীর্তি।

এই জয়ে ১২ ম্যাচ থেকে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মোহামেডান। আর ৩ পয়েন্ট নিয়ে  টেবিলের তলানিতে ধুঁকছে ব্রাদার্স।

;

কানসেলোর মেয়ের মৃত্যু কামনা করলো ক্ষুব্ধ সমর্থকরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে পিএসজির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসর থেকে বাদ পড়েছে বার্সেলোনা। এইরকম হতাশাজনক বিদায় মেনে নিতে পারছে না কাতালান ক্লাবটির সমর্থক ও ভক্তরা। বেশ ক্ষুব্ধ হয়েই নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা।

তবে সমর্থকদের তোপের মুখে বেশ বাজেভাবেই পড়তে হয়েছে বার্সার পর্তুগিজ ডিফেন্ডার কানসেলোকে। তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলে পড়েছে বার্সা সমর্থকরা। তাকে আলাদাভাবে এরকম আক্রমণ করার মূল কারণ তিনি আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে করেছেন কিছু ভুলও। তার করা ফাউলের দরুণ পেনাল্টি পায় পিএসজি, যার ফল পেতে হয়েছে পুরো দলকেই।

ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কানসেলো বলেছেন, ‘লোকেরা যাচ্ছেতাই লিখেছে। ইনস্টাগ্রামে এমনও মন্তব্য দেখেছি যেখানে আমার মেয়ের মৃত্যু কামনা করা হয়েছে। অথচ ওর এখনো জন্মই হয়নি।‘

কানসেলোর প্রেমিকা দানিয়েলা মাসাদো নিজেও একজন অনলাইন ব্লগার। বর্তমানে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান জন্ম হওয়ার অপেক্ষায় আছেন কানসেলো দম্পতি। তার প্রোফাইলের কমেন্টেও বেশ আক্রমণাত্মকভাবে ক্ষোভ ঝেড়েছেন বার্সেলোনার ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। এ প্রসঙ্গে কানসেলো জানান, ‘তারা আমার সঙ্গী, মেয়ে ও অনাগত সন্তানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে। পৃথিবীটা বড়ই নিষ্ঠুর। আপনাকে নিষ্ঠুরতার সঙ্গে বসবাস করতে জানতে হবে। আমি জানি কীভাবে চলতে হয়। কিন্তু তাদের নিয়ে কী বলব, সেটা জানা নেই।‘

পিএসজির সঙ্গে হতাশাজনক হারের রাতে নিজেও অনুতপ্ত এবং দুঃখিত ছিলেন কানসেলো, ‘সেই রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। যে দিন আমরা জিততে পারি না, সে রাতে আমার সহজে ঘুম আসে না। বারবার মনে হয়, আমি আমার কাজটা ঠিকভাবে করতে পারিনি, ভালো খেলতে পারিনি।’

;

৪২ বছর বয়সেও যেন রান ক্ষুধা কমেনি ধোনির 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৪ বলের ২০, স্ট্রাইক রেট ৫০০। এবার লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৯ বলে ২৮, স্ট্রাইক রেট ৩০০-এর ওপরে। ৪২ বছর বয়সে এসেও চলতি আইপিএলে একের পর এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে চলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বর্তমানে আইপিএল ছাড়া আর অন্য কোন ধরণের টুর্নামেন্টে খেলেন না চেন্নাইয়ের সাবেক এই অধিনায়ক। আইপিএলও আসে পুরো বছর ঘুরে। তবুও ধোনির দৃঢ়তা, ফর্ম, রানের ক্ষুধা সবেই অবাক বনে নিয়ে গেছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার টম মুডিকে। 

আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের (তৎকালের কিংস এলেভেন পাঞ্জাব) পর দীর্ঘদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোচ ছিলেন মুডি। এতে আইপিএলে সরাসরি ধোনির খেলা দেখার সুযোগও হয়েছে তার। গত রাতের লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ ওভারে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে টুর্নামেন্ট ইতিহাসে ইনিংসের শেষ ওভারে ৬৫টি ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েন তিনি। বয়সটা বুড়ো কাতারের দিকে গেলেও এখনো ব্যাট হাতে রানে কুঁড়ে বেড়ানোর ক্ষুধা যেন কমেনি আর। ম্যাচের পর ইএসপিএনের সঙ্গে আলাপকালে তাই ধোনির বন্দনায় মাতেন মুডি। 

সেখানে মুডি বলেন, ‘৪২ বছর বয়স। তবে এখনো কতটা ফিট, কতটা মনযোগী, কতটা ক্ষুধার্ত। তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো, আইপিএল ছাড়া এখন তিনি কোনো ধরণের ক্রিকেটই খেলেন না। হঠাৎ করে এসে এমন অভিজাত স্তরের টুর্নামেন্টে প্রত্যাশামাফিক পারফর্ম করা প্রায় অসম্ভব।’

ম্যাচটিতে লক্ষ্ণৌয়ের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে চেন্নাই। তবে ওই চেন্নাইয়ের সমর্থকদের মতো লক্ষ্ণৌয়ের বড় ব্যবধানের এই জয় ছাপিয়ে লাইমলাইটে ধোনির সেই ‘মাস্টার ক্যামিও’ ইনিংসটি। 

;

এফএ কাপ সেমিফাইনালে হালান্ডকে নিয়ে শঙ্কায় সিটি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে ম্যানচেস্টার সিটির। তবে ডাবল জয়ের সম্ভাবনা এখনো টিকে আছে। প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার দৌড়ে ভালোভাবে টিকে আছেই পেপ গার্দিওলার দল। আজ (শনিবার) রাতে এফএ কাপের সেমিফাইনালে মাঠে নামছে সিটিজেনরা, প্রতিপক্ষ চেলসি।

কিন্তু সে ম্যাচের আগে বড়সড় একটা দুঃসংবাদ পাচ্ছেন সিটি সমর্থকরা। চেলসির বিপক্ষে ম্যাচটিতে দলটির তারকা স্ট্রাইকার আরলিং হালান্ডের মাঠে নামা নিশ্চিত নয়। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় লেগের পর গার্দিওলা জানিয়েছিলেন, ‘কঠিন ম্যাচ ছিল। হালান্ডের পেশিতে সমস্যা অনুভব করেছিল। তাই আমাকে বলেছিল তাকে উঠিয়ে নিতে।’

তাই এফেএ কাপের সেমিফাইনালে হালান্ডের খেলা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা রয়েছে। রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচে কিছু সময় খেলার পর উঠে গিয়েছিলেন কেভিন ডি ব্রুইনাও। তবে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচে তাকে নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বিবিসি স্পোর্ট।

এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়ালের বিপক্ষে ১২০ মিনিট খেলতে হয়েছে ম্যান সিটিকে। যার ফলে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচের আগে সিটিজেনদের ফিটনেস নিয়ে বড়সড় একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন থেকে যাচ্ছে।

সেমিফাইনালে সিটির বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছেন চেলসি কোচ পচেত্তিনো। তবে এর ফলে নিজেদের মোটেই এগিয়ে রাখছেন না এই আর্জেন্টাইন কোচ, ‘তাদের জন্য এটা কঠিন হবে, আমাদের জন্যও। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, তাদের একটা অবিশ্বাস্য স্কোয়াড রয়েছে।’

বাংলাদেশ সময় আজ রাত সোয়া ১০টায় ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে ম্যান সিটি ও চেলসি।

;