বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার লুকা মডরিচ
বিশ্বকাপের সেরা স্বীকৃতি বলে কথা! প্রতিবারই এই পুরস্কারটির দিকে চোখ থাকে ফুটবল ভক্তদের। এবারো এনিয়ে ছিল নানা জল্পনা। শেষ পর্যন্ত গোল্ডেন বল পেলেন ক্রোয়েশিয়ার সেরা তারকা লুকা মডরিচ। রোববার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-৪ গোলে হেরে গেলেও তার হাতেই উঠেছে রাশিয়ার বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলারের ট্রফি। পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারন ফুটবলের পসরা সাজানোর স্বীকৃতিটাই পেলেন মডরিচ!
ফিফার শর্ট লিস্টে থাকা নির্বাচিতদের মধ্য থেকে সাংবাদিকদের চূড়ান্ত ভোটে রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা এ পুরস্কারটি নিজের করে নিয়েছেন মরডিচ। এই লড়াইয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন- ফ্রান্সের উঠতি তারকা কিলিয়ান এমবাপে, বেলজিয়ান দলপতি ইডেন হ্যাজার্ড এবং ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইনদের।
লুকা মডরিচ
ক্রোয়েশিয়াকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট পাইয়ে দিতে রেখেছেন বড় ভূমিকা। দলটির প্রাণভ্রোমরা বলা হয় তাকে। দলের অধিনায়কও তিনি। রাশিয়া বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন মডরিচ। করেছেন দুটি গোল। আর একটি গোল করিয়েছেন। মূলত খেলা গড়ার কারিগর তিনি। সঙ্গে গোটা টুর্নামেন্টে ক্রোয়াট দলটাকে এক সুতোঁয় গেঁথে রেখেছেন মরডিচ!
নিখুঁত পাস দেয়াতেও এগিয়ে ছিলেন তিনি। সতীর্থদের কাছে তার ৮৬ শতাংশ পাস ছিল নিখুঁত। বেলজিয়ামের কেভিন ব্রুইনের ৮১, পল পগবার ৭৮ শতাংশ পাস ছিল সঠিক। ৩২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ারের সেরা স্বীকৃতিটাই পেলেন এবার। বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার যে তিনি।
কিলিয়ান এমবাপে
তা অনেকেই বলতে শুরু করেছেন ফুটবল মাঠের উসাইন বোল্ট! অসাধারণ গতি। আর সেই গতি দিয়েই ১৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের পরাস্ত করেছেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচটাই তাকে নিয়ে গেছে আলোচনার শীর্ষে। গতির ঝড় তুলে ফ্রান্সের এ ফরোয়ার্ড করেন জোড়া গোল। সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে দুই গোল করে তিনি ছুঁয়েছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলেকে।
৪৪২ মিনিট খেলে এমবাপে করেছেন তিনটি গোল। কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ে ও সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে গোল না পেলেও গতির ঝড় তুলে আলোচনাতেই ছিলেন।
ফাইনালে জ্বলে এবারের বিশ্বকাপের সেরা তরুন ফুটবলারের পুরস্কারটা পেলেন এমবাপে।
এক নজরে বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার
১৯৩০ : হোসে নাসাজি (উরুগুয়ে)
১৯৩৪ : জিউসেপ্পে মেয়াজা (ইতালি)
১৯৩৮ : লিওনিদাস (ব্রাজিল)
১৯৫০ : জিজিনহো (ব্রাজিল)
১৯৫৪ : ফ্রাঙ্ক পুসকাস (হাঙ্গেরি)
১৯৫৮ : দিদি (ব্রাজিল)
১৯৬২ : গারিঞ্চা (ব্রাজিল)
১৯৬৬ : ববি চার্লটন (ইংল্যান্ড)
১৯৭০ : পেলে (ব্রাজিল)
১৯৭৪ : ইয়োহান ক্রুইফ (নেদারল্যান্ডস)
১৯৭৮ : মারিও কেম্পেস (আর্জেন্টিনা)
১৯৮২ : পাওলো রসি (ইতালি)
১৯৮৬ : ডিয়েগো ম্যারাডোনা (আর্জেন্টিনা)
১৯৯০ : সালভাতোর শিলাচি (ইতালি)
১৯৯৪ : রোমারিও (ব্রাজিল)
১৯৯৮ : রোনালদো (ব্রাজিল)
২০০২ : অলিভার কান (জার্মানি)
২০০৬ : জিনেদিন জিদান (ফ্রান্স)
২০১০ : ডিয়েগো ফোরলান (উরুগুয়ে)
২০১৪ : লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)
২০১৮ : লুকা মডরিচ (ক্রোয়েশিয়া)