পাকিস্তান ৪ : জিম্বাবুয়ে ০



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সেই একই দৃশ্যপট। একই ফল। পাকিস্তানের বিপক্ষে আরো একবার আত্মসমর্পণ জিম্বাবুয়ের। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটিতেও প্রতিরোধের প্রাচীর তুলে দাঁড়াতে পারল না স্বাগতিকরা। আগের ম্যাচে বলের হিসাবে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। শুক্রবার আরেকটু হলে রানের হিসাবেও বড় জয় এসেই যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত ২৪৪ রানে জিতেছে সফরাজ আহমেদের দল। রানের দিক থেকে এরচেয়ে বড় জয় একটিই আছে পাকিস্তানের।

ম্যাচটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে ফখর জামানের। এদিন বুলাওয়ের কুইন্স পার্ক ওভালে তিনি দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করেন। একইসঙ্গে ইমাম উল হককে নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়া উদ্বোধনী জুটি উপহার দেন।

এখানেই শেষ নয়, পাকিস্তান ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা গড়েছে এই ম্যাচেই। ১ উইকেট হারিয়ে দল করে ৩৯৯ রান। এর আগে ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে করা ৩৮৫ রান ছিল আগের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

৪০০ রানের লক্ষ্য সামনে রেখে খেলতে নেমে শুক্রবার মাত্র ১৫৫ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ৫ ম্যাচ সিরিজে এখন পাকিস্তান ৪, জিম্বাবুয়ে ০!

ম্যাচ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অনায়াসেই রান তুলেছেন ফখর ও ইমাম। দারুণ দাপটে খেলে

৪২ ওভারে তারা করেন ৩০৪ রান। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এটিই প্রথম তিনশ পেরোনো উদ্বোধনী জুটি। রীতিমতো বিশ্বরেকর্ড। এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি গড়েন শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়াসুরিয়া ও উপুল থারাঙ্গা। ২০০৬ সালে লিডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দু'জন গড়েন ২৮৬ রানের জুটি।

আট ওয়ানডের ক্যারিয়ার ইমামের এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১২২ বলে ১১৩ রান করে ফিরেন তিনি।  আর ফখর ১৫৬ বলে ২৪ চার ও ৫ ছক্কায় ২১০ রানে অপরাজিত থাকেন। এটি ওয়ানডেতে পঞ্চম সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রানের ইনিংস। আর পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ। এর আগে সাঈদ আনোয়ার ১৯৪ রান করেন ভারতের বিপক্ষে, ১৯৯৭ সালে।

আর ব্যাটসম্যান আসিফ আলি ২২ বলে খেলেন ৫০ রানের ইনিংস।

এরপর জবাব দিতে নেমে আগের মতোই এলেমেলো ক্রিকেট খেলেছে পাকিস্তান। কখনোই আক্রমনাত্মক হয়ে উঠতে পারেনি স্বাগতিকরা। ২৮ রানে ৪ উইকেট নেন শাদাব খান।

এবার হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই জিম্বাবুয়ের। রোববার সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩৯৯/১ (ইমাম ১১৩, ফখর ২১০*, আসিফ ৫০*; ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১/৭৮)

জিম্বাবুয়ে: ৪৪.২ ওভারে ১৫৫/১০ (হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ২২, মুর ২০, চিগুম্বুরা ৩৭, তিরিপানো ৪৪; জুনায়েদ ১/৩২, উসমান ২/২৩, ফাহিম ২/১৬, শাদাব ৪/২৮, শোয়েব ১/১৯)

ফল: পাকিস্তান ২৪৪ রানে জয়ী

ম্যাচসেরা: ফখর জামান

   

মৌসুমের চারটি শিরোপাই জিততে চান পিএসজি কোচ এনরিকে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরুতে তুলুজকে হারিয়ে ফরাসি সুপার কাপ জেতে পিএসজি। এই শিরোপা ছাড়াও মৌসুমে আরও তিনটি শিরোপার সামনে দাঁড়িয়ে ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা। চারটি শিরোপার তাই প্রত্যেকটি জিতে 'কোয়াড্রপল' তকমা নিজেদের নামের সঙ্গে জুড়তে চান পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে।

লিগ ওয়ানেও দারুণ ছন্দে আছে পিএসজি। ২৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬৬। সমান ম্যাচ খেলে দুইয়ে থাকা মোনাকোর চেয়ে ১১ পয়েন্ট এগিয়ে। এতে আজকের ম্যাচেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে লুইস এনরিকের দলের। এতে লরিয়ঁর বিপক্ষে জিততে হবে পিএসজিকে এবং রাতে আরেক ম্যাচে লিলের বিপক্ষে পয়েন্ট হারাতে হবে মোনাকোকে।

এদিকে ইউরোপ সেরার লড়াই চ্যাম্পিয়নস লিগে সেমিতে পৌঁছেছে পিএসজি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তারা খেলবে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে। এছাড়া আগামী ২৫ মে ফরাসি কাপের ফাইনালে লিওনের বিপক্ষেও লড়বে এমবাপে-মার্কিনিয়োসরা। সব মিলিয়ে তাই চারটি শিরোপা বা কোয়াড্রপলের হাতছানি। এটিকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে ধরে সামনে এগোতে চান এনরিকে।

গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শিরোপার প্রসঙ্গে এনরিকে বলেন, 'কোয়াড্রপল? অবশ্যই এটি নিয়ে আমরা আলোচনা করি। এটি অনুপ্রেরণার। ক্লাব এবং এই শহরের ইতিহাস গড়ার সুযোগ এটি। তবে, আমরা কী জিতব সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের জয়ের ধরন, খেলার ধরন।'

আসরে এখনো অন্তত আটটি ম্যাচ বাকি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠবে যোগ হবে আরও একটি। সম্ভাব্য এই নয় ম্যাচে নিজেদের জয়ের নিবেদনটা একটি রাখার কথাও জানান পিএসজির এই স্প্যানিশ কোচ।

;

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে আজ মাঠে নামবে দিল্লি ও গুজরাট। এদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আলাদা দুটি ম্যাচে নামবে লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এছাড়াও টিভিতে যা যা থাকছে।


আইপিএল

দিল্লি-গুজরাট

রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান

লরিয়ঁ-পিএসজি

রাত ১১টা, র‍্যাবিটহোল

মার্শেই-নিস

রাত ১টা, র‍্যাবিটহোল

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

ম্যান ইউ-শেফিল্ড

রাত ১টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১

এভারটন-লিভারপুল

রাত ১টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ২

;

ফের খরুচে মুস্তাফিজ, স্টয়নিসের বীরত্বে লক্ষ্ণৌয়ের জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্দান্ত ছন্দে আইপিএল শুরু করলেও ক্রমেই মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ের হাড়গোড় বেরিয়ে পড়ছে। আরও একবার চেন্নাইয়ের সবচেয়ে খরুচে বোলারের তকমা জুটল মুস্তাফিজের। ৩.৩ ওভারে খরচ করলেন ৫১ রান, শেষ ওভারে ১৭ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। মুস্তাফিজের এমন দুঃস্বপ্নের দিনে তার দল চেন্নাই কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের হেরেছে লক্ষ্ণৌয়ের কাছে। ৬ উইকেটের জয়ে লক্ষ্ণৌয়ের ‘বীর’ মার্কাস স্টয়নিস।

চেপকে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে হয় চেন্নাইকে। অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের অসাধারণ সেঞ্চুরি আর শিবম দুবের চিরচেনা মারকাটারি ব্যাটিংয়ে চলতি আসরে প্রথমবারের মতো দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।

৫০ বলে এক ডজন চার আর ৩ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন রুতুরাজ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চেন্নাইকে দুইশ পেরোনো স্কোর পেতে সাহায্য করেন দুবে। ২৭ বলে ৩ চার আর ৭ ছয়ে ৬৬ রান আসে তার ব্যাটে। চতুর্থ উইকেটে তাদের ৪৬ বলে ১০৪ রানের অবিশ্বাস্য জুটিতেই কুড়ি ওভারে ৪ উইকেটে ২১০ রানে পৌঁছায় চেন্নাই।

তবে ব্যাট হাতে অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলে রুতুরাজ-দুবের দুর্দান্ত ব্যাটিং ভুলিয়ে দেন স্টয়নিস। ৬৩ বলে ১৩ চার এবং আধডজন ছক্কায় ১২৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন এই অজি অলরাউন্ডার। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

অথচ লক্ষ্ণৌয়ের ইনিংসের শুরুতেই দীপক চাহার রানের খাতা খোলার আগেই ফেরান কুইন্টন ডি কককে। মুস্তাফিজের বলে ধরাশায়ী হন লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক কেএল রাহুল (১৬)। তবে স্টয়নিসের দিনে যে তিনি একাই যথেষ্ট, সেটারই এক প্রদর্শনী দেখিয়ে চেপককে স্তব্ধ করে দেন এই অজি।

এই জয়ে চেন্নাইকে টপকে লক্ষ্ণৌ উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের চারে। ৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০। সমান ম্যাচ খেলেও ২ পয়েন্ট কম নিয়ে পাঁচে চেন্নাই।

;

বিসিবিকে লেগ স্পিনার ও চায়নাম্যান বোলার খুঁজে দেবেন মুশতাক



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একজন লেগ স্পিনার কিংবা চায়নাম্যান বোলার না থাকার আক্ষেপটা বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের। জাতীয় দলে নানা সময় লেগ স্পিনারদের সুযোগ দেওয়া হলেও সেই অর্থে কেউই নিজেদের প্রমাণ করে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠতে পারেননি। তবে এবার সেই আক্ষেপ দূর করতে চায় বিসিবি। আর সে কারণেই প্রথমবারের মতো স্পিন বোলার কোচ হিসেবে পাকিস্তানের কিংবদন্তি লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।

সোমবার সেই দায়িত্ব বুঝে নিতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন এই কোচ। পরিচিত হয়েছেন সকলের সঙ্গে। সেই সঙ্গে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন প্রধান কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছ থেকেও। তাকে নিয়ে মঙ্গলবার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে বিসিবি। যাতে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন পাকিস্তানের হয়ে ৫২টি টেস্ট ও ১৪৪টি ওয়ানডে খেলে ৩৪৬ উইকেট নেওয়া মুশতাক।

বাংলাদেশের স্পিন বিভাগে পরিবর্তন আনার কথা জানিয়ে মুশতাক বলেন, ‘তরুণ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে চাই আমি। আশা করি, আমরা একটা পার্থক্য তৈরি করতে পারব। এখানকার ক্রিকেটাররা অত্যন্ত প্রতিভাবান। তারা যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’

বাংলাদেশ দল ও পাইপলাইনে যথেষ্ট লেগ স্পিনারের ঘাটতি আছে, যা জানা আছে মুশতাকেরও। আর সে কারণেই ঘরোয়া ক্রিকেটে নজর দিয়ে সেখান থেকে নতুন লেগ স্পিনার ও চায়নাম্যান বোলার খুঁজে বের করতে চান তিনি। বলেন, ‘আমরা লেগ স্পিনার এবং চায়নাম্যান বোলার খুঁজতে পারি। সাদা বলের ক্রিকেটে মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট এনে দেওয়ার মতো বোলার প্রয়োজন আমাদের। আর সেটাই আমি করার চেষ্টা করব।’

;