ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমিতে স্পিনাররা শিকারি!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সকালের সেশনে শ্রীলঙ্কার সর্বশেষ উইকেট তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা উল্লাসে মাতে। টেস্টের এক ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়ে স্বদেশি অফস্পিনার হিউফ টেইফিল্ডের রেকর্ডের পাশে বসে পড়েন কেশব মহারাজ।

বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহরাজের সেই রেকর্ড এবং শ্রীলঙ্কাকে ৩৩৮ রানে আটকে রাখার সুখ অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা উপভোগ করতে পারেনি। প্রথম ইনিংসে ভয়াবহ ব্যর্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং। গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৪ রানে। সাকুল্যে ৩৪.৫ ওভার টিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস।

দিলরুয়ান পেরেইরা, আকিলা ধনাঞ্জয়ে ও রঙ্গনা হেরাথ এই তিন স্পিনার মিলে গুড়িয়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। আকিলা শিকার করেন ৫ উইকেট। পেরেইরার তুলে নেন ৪ উইকেট। ওপেনার মার্করামের উইকেট পান রঙ্গনা হেরাথ। দ্বিতীয় দিনের মাঝামাঝিতেই শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু। এই ইনিংসের শুরুটাও বেশ হয়েছে শ্রীলঙ্কার। দিনশেষে দ্বিতীয়দফা ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৩ উইকেটে ১৫১ রান। ম্যাচে লিড তাদের ৩৬৫ রানের। ম্যাচের বাকি এখনো তিনদিন। নিশ্চিতভাবে এই ম্যাচ শ্রীলঙ্কার এখন মুঠোয়।

উইকেট থেকে স্পিনাররা যেভাবে বাড়তি টার্ন পাচ্ছেন তাতে এটা প্রায নিশ্চিত যে ম্যাচ জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রানের সঞ্চয়টা শ্রীলঙ্কার হয়ে গেছে। যে উইকেটের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা আটকে গেছে মাত্র ১২৪ রানে সেই উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে বড় টার্গেট ছুঁয়ে প্রোটিয়েরা এই ম্যাচ জিতে নেবে-এটা বড় দুরাশা!

তাছাড়া স্পিনের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা বরাবর দুর্বল দল। চলতি সিরিজে গল টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ৭৩ রানে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে সেটা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন রান। গলের সেই ধাক্কার পর কলম্বো তো শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের কাছে অসহায় শিকার দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। এবার অলআউট ১২৪ রান। শ্রীলঙ্কার মাটিতে এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান।

দ্বিতীয়দিনের সকালে উইকেটে স্পিন সহায়তা দেখে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দুই প্রান্ত থেকেই স্পিন আক্রমণ শুরু করেন। শুরুর ১৫ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ধস শুরু। মাঝে ফ্যাপ ডু প্লেসি ও উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কক পাল্টা আক্রমণের একটা চেষ্টা চালান।

এই দুইয়ের সেই চেষ্টায় মুলত দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস কোনমতে তিন অংকে পৌছায়। ডু প্লেসি ৫১ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৪৮ রান করেন। ডি ককও মারমুখি ভঙ্গিতে ৩১ বলে ৩২ রান যোগ করেন। দলের সাত ব্যাটসম্যান ডাবল ফিগারে পৌছাতেই পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার তিন স্পিনার ছাড়া আর কারোর বোলিংয়ের প্রয়োজনই পড়েনি!

প্রথম ইনিংসের মতো শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও করেন দুর্দান্ত। ওপেনিং জুটিতে আসে ৯১ রান। প্রথম ইনিংসের সঙ্গে মিল রেখে দ্বিতীয় দফায়ও দুই ওপেনার হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। গুনাথিলাকা ৬১ রান করে আউট হন। অপর ওপেনার কারুনারত্নে ৫৯ রান নিয়ে খেলছেন।

তার সঙ্গে রয়েছেন অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুস। দিনের শেষভাগে ১৮ রানে রান আউট হন কুশাল মেন্ডিজ। যথারীতি দ্বিতীয় ইনিংসেও এখন পর্যন্ত কেবল মহারাজই দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা বোলার। ম্যাচে সবমিলিয়ে তার শিকার ১১ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (দ্বিতীয়দিন শেষে): শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৩৩৮/১০ (গুনাথিলাকা ৫৭, কারুনারত্নে ৫৩, ধনাঞ্জয় ৬০, আকিলা ৪৩, মহারাজ ৯/১২৯)

শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংস: ১৫১/৩ (গুনাথিলাকা ৬১, কারুনারতেœ ৫৯*, ম্যাথুস ১২*, মহারাজ ২/৯০) দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ১২৪/১০(৩৪.৫ ওভারে, ফ্যাপ ডু প্লেসি ৪৮, ডি কক ৩২, পেরেইরা ৪/৪০, ধনঞ্জয়া ৫/৫২, হেরাথ ১/৩২)।

   

মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, পিছিয়ে থেকেও জয়ী আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘোষিত ফাইনাল! প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ কম ছিল না। ম্যাচের আগেই রাসেল মাহমুদ জিমির তিন হলুদ কার্ডে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গেছে। অন্তত মাঠের খেলা বিতর্ক মুক্ত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের খেলাতেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রইল বিতর্ক। তাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড আগেই শেষ হল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতল আবাহনী। এগিয়ে থেকেও শিরোপা হাতছাড়া মোহামেডানের।

মওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই গোল করে অনেকটা এগিয়ে যায় আবাহনী। তিন মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফ এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়ে যায় তারা।

এর মাঝে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান খেলোয়াড়দের বচসায় খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।

তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজসিকভাবে ম্যাচে ফেরে মোহামেডান। ফয়সাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। প্রথমে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল এবং পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আরও দুই গোল করে মোহামেডানকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন তিনি।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে যখন ঘড়ির কাটায় আর কেবল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি, তখন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ একপ্রকার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুই আম্পায়ার দীর্ঘ আলোচনার পর মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় মিজুন এবং আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান। আর মোহামেডানের সিয়াম, দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাইমউদ্দিনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে মোহামেডানের কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আম্পায়ারদের অনেক আলোচনা হয়। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামেনি তারা।  উপায়ান্তর না দেখে আম্পায়াররা শেষ বাঁশি বাজিয়ে এক কোয়ার্টার এবং আরেক কোয়ার্টারের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি থাকতেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।

২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়ে যায় আবাহনী। এতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট এখন আকাশি-হলুদদেরও। এখন এই দুই দলের মধ্যে প্লে-অফের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। আর যে মোহামেডানের এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করার কথা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা শিরোপার দৌড়েই আর নেই।

;

পিছিয়ে পড়েও আবাহনীর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছে আবাহনী। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুই বিদেশির গোল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। আবু তোরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট নেন আব্দুল্লাহ। আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল ঝাঁপিয়ে পড়েও সে শট প্রতিহত করতে পারেননি।

২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। দলটির অধিনায়ক ইগর লেইতে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়।

মিনিট দুয়েক পরই এই মিসের মূল্য চুকাতে হয় শেখ জামালকে। বাম প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নেলিয়াসের শেখ জামালের শট শাখজদ শেমানভ ব্লক করলেও ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্দেস।

সমতায় ফেরার পর দাপট বাড়ে আবাহনীর। ৩৩ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান প্রথম গোলের নায়ক জোনাথান। কিন্তু শেখ জামাল গোলকিপারকে এক পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর কোনো ভুল করেনি আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে জোনাথানের থ্রু বল ধরে কর্নেলিয়াসের দিকে পাস বাড়ান ওয়াশিংটন। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেই কর্নেলিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আকাশি-হলদুরা।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। তবে হেরে যাওয়ার ফলে পাঁচে নেমে গেছে সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পয়েন্ট ১৭।

;

‘হকির স্বার্থে’ অঘোষিত ফাইনালে খেলছে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) আবাহনী-মোহামেডানের অঘোষিত ফাইনালের আগেও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। তিন হলুদ কার্ড দেখা মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরগরম হকির মাঠ।

জানা গেছে, কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে বাইলজ অনুযায়ী সেই দলকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার কথা তার দলকে ফেডারেশনের জানানোর কথা। তবে এক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন সেটা না করে বরং তিন হলুদ কার্ড দেখার পর জিমিকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে আজ তার মাঠে নামার সুযোগ নেই।

এই বিষয়টি নিয়েই মুখোমুখি অবস্থানে  চলে এসেছিল মোহামেডান এবং হকি ফেডারেশন। আজ আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উঠবে সাদাকালোদের হাতে। অথচ এমন একটা ম্যাচ তারা না খেলার হুমকি দিয়েছিল জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে।

শেহস পর্যন্ত অবশ্য তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ‘হকির স্বার্থে’ তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সঙ্গে এও জানিয়ে রেখেছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়তে পিছপা হবেন না তারা।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৫। অন্যদিকে আবাহনীর ৩৪ ও মেরিনার্সের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। মোহামেডানকে আবাহনী হারিয়ে দিলে মেরিনার্সের মতো তাদের পয়েন্টও হবে ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী তখন আবাহনী-মেরিনার্স প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে শিরোপা। মোহামেডানের জন্য হিসেব সহজ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান-আবাহনী ড্র করলে শিরোপা উৎসব করবে মেরিনার্স।

;

‘অদ্ভুত’ কারণে ১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ আর্জেন্টাইন গোলকিপার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ যখন টাইব্রেকার বীরত্বে প্রশংসিত হচ্ছেন, ঠিক তখনই তার স্বদেশী আরেক গোলকিপার পড়েছেন বড় নিষেধাজ্ঞার খড়গে। তার নাম নাহুয়েল গুজমান। খেলেন মেক্সিকান ক্লাব টাইগ্রেস অব নুভো লিওনে।

হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে গুজমানের। তাই দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে রয়েছেন। কিন্তু মাঠের বাইরে থেকেও বড় শাস্তির মুখে পড়তে হলো তাকে। মেক্সিকান ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে মন্টেরির বিপক্ষে তার দলের ম্যাচ চলাকালের স্ট্যান্ড থেকে বিপক্ষে দলের গোলরক্ষকের দিকে লেজার লাইট তাক করার দায়ে ১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৩৮ বছর বয়সী গুজমানকে।

গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গুজমানের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে লিগা এমএক্স কর্তৃপক্ষ।

গত শনিবার সেই ম্যাচটির প্রথমার্ধে মন্টেরি গোলরক্ষক এস্তেবান আন্দ্রাদাসহ অন্যান্য ফুটবলারের দিকেও লেজার লাইট মারেন গুজমান। পরে মন্টেরির স্পোর্টস প্রেসিডেন্ট এমন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে তার কাছ কাছ থেকে লেজারটি কেড়ে নেন। পরে অবশ্য এমন কাজের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন গুজমান।

ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ৩-৩ ড্রয়ে শেষ হয়েছিল। এদিকে নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও জরিমানার বিকল্প হিসেবে গুজমানকে কিছু অনির্দিষ্ট সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে হবে।

;