সাকিব, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং সুখী সময়!



এম. এম. কায়সার ,স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জাতীয় দলের হয়ে সাকিব আল হাসান আসছেন সেই ২০০৭ সাল থেকে।

আহা কি আনন্দেরই না ছিল এক দশক আগের সেই ক্যারিবিয়ান সফর! বিশ্বকাপ ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেই ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর সুখ। বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলার মর্যাদা পাওয়া।

আনন্দভরা সেই সফরের বছর দুই পরে প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজে খেলতে আসেন সাকিব। সেই সফরও যে পুরোটাই সুখে ভরপুর!

ইনজুরিতে পড়া মাশরাফির জায়গায় সাকিবের অধিনায়কত্বেই টেস্ট- ওয়ানডে দুই সিরিজ জিতে সেবার বাংলাদেশ। বিদেশির মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের প্রথম আনন্দ ছিল সেটা। শুধু অধিনায়কত্ব নয়, ব্যাটে-বলে সাকিব সেই সফরে ছিলেন অন্যতম সেরা পারফর্মার।

তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটি থেকে শুধু যে সুখ নিয়ে ফিরেছেন সাকিব, তাও কিন্তু নয়। ২০১৪ সালে কোচ চন্দিকা হাতুড়েসিংহের অভিষেক টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশ ভয়াবহ ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। টেস্ট- ওয়ানডে উভয় সিরিজে।

আর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ যে দুর্দশার মধ্য দিয়ে কেটেছে সেটা আরও বড় দুঃস্বপ্ন! টেস্টে সিরিজের সর্বনিম্ন ৪৩ রানে অলআউট। দুটো টেস্ট ম্যাচই তিনদিনের মধ্যে শেষ। বড় ব্যবধানে বাংলাদেশের হার।

সাকিবের জন্য বাড়তি দুঃখ হচ্ছে এটা ছিল দ্বিতীয় মেয়াদে টেস্ট অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর তার প্রথম টেস্ট সিরিজ! আর টেস্ট অধিনায়কত্বের ‘দ্বিতীয় অভিষেকটা’ হল এমন ভয়ানক দলীয় ব্যর্থতা দিয়ে। দুই টেস্টের চার ইনিংসে ৯৮ রান এবং ১০ উইকেট শিকার করা সাকিবের ব্যক্তিগত পারফরমেন্স একেবারে তেমন মন্দ কিছু নয়। কিন্তু দল না জিতলে সামান্য ব্যক্তিগত পারফরমেন্স কে মনে রাখে? আর দল জিতলে সব সামান্যই যে তখন অসামান্য!

তবে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দলের আরও তিন সিনিয়রের সঙ্গে সাকিব যুগপৎ যে পারফরমেন্স দেখিয়েছেন সেটা যে কোন মূল্যমানকে ছাপিয়ে গেছে। বন্ধু তামিম ইকবালের সঙ্গে তার দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের নতুন ২০৭ রানের রেকর্ড জুটিটাই গায়ানার ম্যাচে দলকে বড় সঞ্চয় এনে দেয়।

যা ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাসের পুঁজি গড়ে। দল জেতে ৪৮ রানে। সেই জয়ের ধারাবাহিকতা এখন সাকিব দ্বিতীয় ম্যাচেও দেখাতে চান। বুধবার দুপুরে গায়ানার প্রভিন্স স্টেডিয়ামে অনুশীলনে নামার আগেও সে কথাই বলছিলেন-‘পুরো দলের চেষ্টা থাকবে যাতে আমরা এখানেই সিরিজ জিততে পারি। যখনই কোন ম্যাচ খেলতে নামি আমাদের চিন্তা থাকে একটাই যেন আমরা প্রতিটা ম্যাচ জিততে পারি। দ্বিতীয় ম্যাচে আমাদের অবশ্যই আরও বেশি এফোর্ট দিতে হবে। কারণ আমি নিশ্চিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই ম্যাচে শক্তিমত্তা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করবো। সিরিজে ফিরে আসতে চাইবে তারা। গায়ানায় যদি দ্বিতীয় ম্যাচটা জিততে পারি তাহলে তৃতীয় ওয়ানডে নিয়ে আর টেনশন করতে হবে না আমাদের। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচটা যাতে আমরা জিততে পারি সেই চেষ্টাও তো থাকবেই। কিন্তু শেষ ম্যাচের আগে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটাই আমাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

/uploads/files/ou8wXEmyrI3UJfD3pjNODNUvicusky7UdPZMsM19.jpeg

গায়ানায় ম্যাচ বলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেও বাংলাদেশ ‘হোম কন্ডিশন’ দেখছে! অন্তত এই মাঠের উইকেট বাংলাদেশকে সেই আতিথিয়েতা দিচ্ছে। হাসিমুখ নিয়ে সাকিবও সেটা মানলেন-‘পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে গায়ানার উইকেট থেকেই বেশি স্পিন সহায়তা মেলে। আর তেমন স্পিন সহায়ক যদি সবসময় না মেলেও তবুও এখানকার উইকেটের সঙ্গে বাংলাদেশের উইকেটের একটা বেশ ভাল মিল দেখা যায়। ঘাস-উইকেটের মাটি সবকিছুই দেখতে বাংলাদেশের উইকেটের মতোই। সেই অর্থেই এখানকার উইকেটে খেলা আমাদের জন্য একটা ইতিবাচক বিষয়।’

গায়ানায় এখন পর্যন্ত দুটো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথমবার সেই ২০০৭ সালের এপ্রিলের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে , দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। আর সর্বশেষ ম্যাচটা খেলল ২১ এপ্রিল, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুটো ম্যাচেই জিতেছে বাংলাদেশ। এবং বেশ দাপটের ভঙ্গিতেই। আরেকটি মিল আছে। এই দুই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ী দলে ছিলেন সাকিব আল হাসান। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেও এই ভেন্যুতেই। বাংলাদেশের সঙ্গে সাকিব এবারও এখান থেকে জয় নিয়ে ফিরতে চান-‘আমাদের লক্ষ্য হল গায়ানায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আমরা যতটা সম্ভব ভাল যাতে করতে পারি।’

সেই ভাল মানে তো জয়-ই!

আর তাতেই যে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি হাতে উল্লাস।

শুধু সাকিব নয়, এই স্বপ্নটা এখন গোটা বাংলাদেশের!

   

লক্ষ্ণৌয়ের কাছে পাত্তাই পেল না মুস্তাফিজের চেন্নাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। চেন্নাইকে ১৭৬ রানে আটকে দিয়ে কুইন্টন ডি কক আর কেএল রাহুলের জোড়া ফিফটিতে এক ওভার এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

লক্ষ্ণৌয়ের একানা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য স্বাগতিকদের পক্ষে ছিল। টস জিতে আগে অতিথিদের ব্যাটিংয়ে পাঠান লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক কেএল রাহুল। আইপিএলের চলতি আসরে দুইশ রানকে মামুলি বানিয়ে ফেলেছে বেশ কয়েকটি দল। তবে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও তাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না চেন্নাই। আইপিএলে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসেও সে 'ম্যাজিক ফিগার' ছোঁয়া হয়নি তাদের।

রবীন্দ্র জাদেজার ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের সঙ্গে রাহানে (৩৬) আর মঈনের (৩০) ছোট দুটি ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় চেন্নাই। শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৯ বলে ২৮ রানের জাদুকরী ক্যামিও'র কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাতে ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৬।

লক্ষ্ণৌয়ের পক্ষে ৩ ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে মুস্তাফিজ-তুষারদের তুলোধুনো করে ওপেনিং জুটিতেই ডি কক-রাহুল মিলে তুলে ফেলেন ১৩৪ রান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজ যখন ডি কককে ধোনির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান, ম্যাচ তখন লক্ষ্ণৌয়ের করতলে। তাই তো সেই উইকেটের উদযাপনও তেমন হল না বললেই চলে। ফেরার আগে ৫৪ রান করে দিয়ে গেছেন ডি কক।

লক্ষ্ণৌকে জয়ের দোরগোড়ায় রেখে মাতিশা পাতিরানার বলে আউট হয়েছেন ৮২ রান করা লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক রাহুল। বাকি কাজটা নির্ঝঞ্ঝাটে সেরেছেন নিকোলাস পুরান (২৩*) ও মার্কাস স্টয়নিস (৮*)।

বল হাতে আরও একবার চেন্নাইয়ের সবচেয়ে খরুচে বোলার মুস্তাফিজ। একটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪৩ রান।

এই জয়ে লক্ষ্ণৌয়ের পয়েন্ট হয়েছে চেন্নাইয়ের সমান ৮। তবে নেট রানরেটের ব্যবধানে চেন্নাই এখন টেবিলের তিনে, আর লক্ষ্ণৌয়ের অবস্থান ৫ নম্বরে।

;

মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, পিছিয়ে থেকেও জয়ী আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘোষিত ফাইনাল! প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ কম ছিল না। ম্যাচের আগেই রাসেল মাহমুদ জিমির তিন হলুদ কার্ডে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গেছে। অন্তত মাঠের খেলা বিতর্ক মুক্ত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের খেলাতেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রইল বিতর্ক। তাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড আগেই শেষ হল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতল আবাহনী। এগিয়ে থেকেও শিরোপা হাতছাড়া মোহামেডানের।

মওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই গোল করে অনেকটা এগিয়ে যায় আবাহনী। তিন মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফ এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়ে যায় তারা।

এর মাঝে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান খেলোয়াড়দের বচসায় খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।

তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজসিকভাবে ম্যাচে ফেরে মোহামেডান। ফয়সাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। প্রথমে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল এবং পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আরও দুই গোল করে মোহামেডানকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন তিনি।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে যখন ঘড়ির কাটায় আর কেবল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি, তখন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ একপ্রকার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুই আম্পায়ার দীর্ঘ আলোচনার পর মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় মিজুন এবং আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান। আর মোহামেডানের সিয়াম, দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাইমউদ্দিনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে মোহামেডানের কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আম্পায়ারদের অনেক আলোচনা হয়। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামেনি তারা।  উপায়ান্তর না দেখে আম্পায়াররা শেষ বাঁশি বাজিয়ে এক কোয়ার্টার এবং আরেক কোয়ার্টারের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি থাকতেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।

২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়ে যায় আবাহনী। এতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট এখন আকাশি-হলুদদেরও। এখন এই দুই দলের মধ্যে প্লে-অফের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। আর যে মোহামেডানের এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করার কথা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা শিরোপার দৌড়েই আর নেই।

;

দারুণ প্রত্যাবর্তনে আবাহনীর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছে আবাহনী। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুই বিদেশির গোল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। আবু তোরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট নেন আব্দুল্লাহ। আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল ঝাঁপিয়ে পড়েও সে শট প্রতিহত করতে পারেননি।

২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। দলটির অধিনায়ক ইগর লেইতে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়।

মিনিট দুয়েক পরই এই মিসের মূল্য চুকাতে হয় শেখ জামালকে। বাম প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নেলিয়াসের শেখ জামালের শট শাখজদ শেমানভ ব্লক করলেও ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্দেস।

সমতায় ফেরার পর দাপট বাড়ে আবাহনীর। ৩৩ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান প্রথম গোলের নায়ক জোনাথান। কিন্তু শেখ জামাল গোলকিপারকে এক পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর কোনো ভুল করেনি আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে জোনাথানের থ্রু বল ধরে কর্নেলিয়াসের দিকে পাস বাড়ান ওয়াশিংটন। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেই কর্নেলিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আকাশি-হলদুরা।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। তবে হেরে যাওয়ার ফলে পাঁচে নেমে গেছে সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পয়েন্ট ১৭।

;

‘হকির স্বার্থে’ অঘোষিত ফাইনালে খেলছে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) আবাহনী-মোহামেডানের অঘোষিত ফাইনালের আগেও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। তিন হলুদ কার্ড দেখা মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরগরম হকির মাঠ।

জানা গেছে, কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে বাইলজ অনুযায়ী সেই দলকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার কথা তার দলকে ফেডারেশনের জানানোর কথা। তবে এক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন সেটা না করে বরং তিন হলুদ কার্ড দেখার পর জিমিকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে আজ তার মাঠে নামার সুযোগ নেই।

এই বিষয়টি নিয়েই মুখোমুখি অবস্থানে  চলে এসেছিল মোহামেডান এবং হকি ফেডারেশন। আজ আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উঠবে সাদাকালোদের হাতে। অথচ এমন একটা ম্যাচ তারা না খেলার হুমকি দিয়েছিল জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে।

শেহস পর্যন্ত অবশ্য তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ‘হকির স্বার্থে’ তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সঙ্গে এও জানিয়ে রেখেছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়তে পিছপা হবেন না তারা।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৫। অন্যদিকে আবাহনীর ৩৪ ও মেরিনার্সের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। মোহামেডানকে আবাহনী হারিয়ে দিলে মেরিনার্সের মতো তাদের পয়েন্টও হবে ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী তখন আবাহনী-মেরিনার্স প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে শিরোপা। মোহামেডানের জন্য হিসেব সহজ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান-আবাহনী ড্র করলে শিরোপা উৎসব করবে মেরিনার্স।

;