মাশরাফিও হতাশ! এমন ম্যাচ কেউ হারে!!



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এমন ম্যাচ হারের ব্যাখায় কি বলবেন তা নিয়ে কোন ভাষাই যেন খুঁজে পাচ্ছিলেন না মাশরাফি বিন মতুর্জা।

কোথায় দল উৎসবের অপেক্ষায় ছিল। এখন সেখানে দুঃখের ছায়া। হতাশায় মুষড়ে পড়া চেহারা! অধিনায়কের মুখায়াবে কষ্টের ছায়াটা পরিস্কার জানাচ্ছিল ভীষণ হতাশ তিনি। বারবার যেন নিজেই নিজেকে বলছেন-এমন ম্যাচও কেউ হারে!

বুকভরা কষ্ট চেপে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক যা বললেন-‘এই ধরনের ম্যাচ হারা তো অবশ্যই হতাশার। ১৩ বলে ১৪ রান লাগবে জিততে। হাতে আছে ৬ উইকেট। এমন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ কেউ কি করে হারে! সবচেয়ে কষ্টের বিষয়টা হল এমনভাবে জয়ের কাছে এসেও বাংলাদেশ এই প্রথম এমন কোন ম্যাচ হারল তাও কিন্তু নয়। এমন ঘটনা প্রায়ই হচ্ছে। এটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় হতাশার বিষয়। বারবার কেন এমন হবে? একই ভুল এতবার কেন হবে। যেভাবে আমরা এই ম্যাচে জয়ের কাছে যাচ্ছিলাম। তাতে ম্যাচটা সহজেই আমাদের জেতা উচিত ছিল। কিন্তু জিততে পারলাম না। শেষে এসে হেরে গেলাম। হেরে যাচ্ছি।’

শেষের ধাপে এসে এমনভাবে ম্যাচ হেরে যাওয়ার ঘটনা শুধুমাত্র বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটে হচ্ছে তা কিন্তু নয়। টি-টুয়েন্টিতেও বেশ কয়েকবার এমন ভাবেই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। তাহলে দলের এই সমস্যাটা কি টেকনিক্যাল নাকি মানসিক কোন সমস্যা? এই প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফির ব্যাখাটা এমন-‘আসলে সত্যিকার অর্থে বলতে কি এটা দলের খেলোয়াড়দের টেকনিক্যালি নাকি মানসিক সমস্যা সেটা বর্ণনা করা কঠিন। দেখুন যদি টার্গেট এমন হতো যে ১২ বলে ২০ রান করা লাগবে, তাহলেও এমন হার হয়তো মেনে নেয়া যেত। কিন্তু যখন ম্যাচ জিততে শেষ ১৩ বলে ১৪ রান লাগবে তখন সেই ম্যাচ হেরে গেলে সেটার কারণ টেকনিক্যাল সমস্যা নাকি মানসিক সমস্যা সেটা খুঁজে বের করাও কঠিন। বাস্তবতা হচ্ছে আমরা এমন ভুল বারবার করছি। এমন পরিস্থিতি মুলত স্নায়ুর লড়াই। 

তাই নার্ভটা যাতে ঠিক রাখা যায় সেই চেষ্টা করা যেত। যেহেতু হাতে যথেষ্ট বল ছিল, ম্যাচটা আমাদের সহজেই জেতা উচিত ছিল। সিঙ্গেলস রান নিয়ে সামনে বাড়লেই হয়তো আমরা এই ম্যাচটা জিতে যেতে পারতাম। সেটাই হত সহজ কাজ। অথচ আমরা সেই সহজ কাজটাই করতে পারিনি।’

শেষ ওভারের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ তো এই ম্যাচে জয়েল অবস্থানেই ছিল। হারল একেবারে শেষ বলে এসে। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর রান আউট, ৪৯ নম্বর ওভারের শেষ বলে সাব্বিরের আউট, শেষ ওভারের প্রথম বলে মুশফিকের ফিরে যাওয়া-ঠিক কোথায় জয়ের সুর হারাল বাংলাদেশ? ম্যাচ শেষে এই প্রসঙ্গে মাশরাফি জানান-‘আমরা তো পুরোটা সময় জুড়েই ম্যাচে জয়ের অবস্থানে ছিলাম। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রান আউট না হলে হয়তো আমাদের জয়ের কাজটা আরও সহজ হতো। তারপর সাব্বিরের আউটও বড় ধাক্কা দিয়েছে দলকে। আর শেষ ওভারের প্রথম বলেই মুশফিকের ফিরে আসা। আসলে যেভাবে সহজ কায়দায় আমাদের ম্যাচটা শেষ করা উচিত ছিল সেটা আমরা করতে পারিনি। ওটাই আমাদের ব্যর্থতা। আর এমন ব্যর্থতা বারবার হচ্ছে। এটাই বিস্ময় বাড়াচ্ছে!’

তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ সমতা। সিরিজের শেষ ম্যাচটা হবে সেন্ট কিটসে, ২৮ জুলাইয়ের রাতে। সিরিজের শেষ ম্যাচে জিতে কি বাংলাদেশ এবার অধিনায়ককে জয়ের আনন্দে বিস্মিত করতে পারবে?

   

বান্দরবানে আফিমসহ মাদক কারবারি আটক



Rasel
বান্দরবানে আফিমসহ মাদক কারবারি আটক

বান্দরবানে আফিমসহ মাদক কারবারি আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে এক কেজি ৭০০ গ্রাম আফিমসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল' অ্যান্ড মিডিয়া) আবু সালাম চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার মাদক কারবারি হলেন উম্যামং মার্মা (৫২)। সে বান্দরবান সদরের কুহালং নতুন চড়ই পাড়া এলাকার মৃত ক্যশৈ অং মার্মার ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৩ এপ্রিল দিবাগত রাত দেড়টায় বান্দরবান সদরের কুহালং ইউপির পশ্চিম মুসলিম পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। এসময় এক কেজি ৭০০ গ্রাম আফিমসহ গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার উম্যামং মার্মা গোল্ডেন ওয়েজ কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক আফিম পাচারকারী চক্রের সদস্য মর্মে স্বীকার করেছেন। মাদক কারবারির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

ধর্ষণের অভিযোগে প্রিমিয়ার লিগের দুই ফুটবলার আটক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ষণের অভিযোগে প্রিমিয়ার লিগে খেলা দুই ফুটবলারকে আটক করেছে ইংল্যান্ডের পুলিশ। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুই ফুটবলারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে সপ্তাহান্তে পুলিশ তাদের আটক করে।

ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, শনিবার (২০ এপ্রিল) ধর্ষণে প্ররোচনা ও সাহায্য করার অভিযোগে একজন ফুটবলারকে আটক করে পুলিশ। এরপর রবিবার অপর এক ফুটবলারকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করা হয়।

জানা গেছে, প্রথম ফুটবলারকে তার ক্লাবের স্টেডিয়ামে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পরে একই দিন রাতে তাকে আটক করা হয়।

দুইজন ফুটবলার একই প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবের খেলেন বলেও ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়। আটক করার পরপরই অবশ্য দুজন জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত দুই ফুটবলারেরই বয়স ১৯। তবে এই দুই ফুটবলারের ক্লাব এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছে অপর এক ব্রিটিশ দৈনিক সান। তাদেরকে ক্লাব কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কিনা সেটাও জানা যায়নি।

;

মুস্তাফিজদের নয়, দোষ শিশিরের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের বিপক্ষে ঘরের মাঠেও চেন্নাই সুপার কিংস পেরে উঠল না। শেষ ওভারে ১৭ রান প্রয়োজন ছিল লক্ষ্ণৌয়ের, কিন্তু মুস্তাফিজ সে ওভারে বোলিংয়ে এসে তিনটি বৈধ ডেলিভারিতেই খরচ করেছেন ১৯ রান। ম্যাচটি ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারতে হয় তাদের।

২১০ রানের বড় সংগ্রহ নিয়েও বোলারদের ব্যর্থতায় হারের মুখ দেখতে হয় চেন্নাইকে। শুধু মুস্তাফিজই, দলের অন্য বোলাররাও লক্ষ্ণৌয়ের ব্যাটিংয়ের সামনে খাবি খেয়েছেন। তাদের শাসন করেই ১২৪ রানের অবিশ্বাস্য হার না মানা ইনিংস খেলে লক্ষ্ণৌকে জয় এনে দেন মার্কাস স্টয়নিস।

এমন দুর্দান্ত ইনিংস দেখে প্রতিপক্ষ শিবিরে থেকেও প্রশংসা না করে পারেননি চেন্নাই অধিনায়ক এবং লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ব্যাটার রুতুরাজ গায়কোয়াড়, ‘পরাজয় মেনে নেওয়া সবসময়ই কঠিন। লক্ষ্ণৌ ভালো করেছে। ১৩তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের হাতেই ছিল। স্টয়নিস দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। ওকে টুপি খোলা অভিনন্দন।’ 

তবে ২১০ রান ডিফেন্ড করতে না পারার পরও বোলারদের দায় দিচ্ছেন না চেন্নাই অধিনায়ক, ‘এই ম্যাচে শিশির প্রভাব রেখেছে। শিশিরের কারণে স্পিনাররা সুবিধা করতে পারেনি। তা না হলে আরেকটু ভালো হতে পারত। যদিও এটি খেলারই অংশ। যা আপনার হাতে নেই সেটি আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।’

;

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আর্জেন্টিনার তেভেজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলার কার্লোস তেভেজকে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাকে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার কথা।

ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাব সিটি এবং ইউনাইটেডের হয়ে খেলা এই ফুটবলার অবসরের পর এখন আর্জেন্টাইন ক্লাব ইন্দিপেন্দিয়েন্তের হেড কোচের দায়িত্বে রয়েছেন। ক্লাবটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেয়া এক বিবৃতিতে জানায়, সান ইসিদ্রোর ত্রিনিদাদ হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার অবস্থা ‘সন্তোষজনক’।

তবে সতর্কতাবশত তেভেজকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে রাখা হবে বলেও ইন্দিপেন্দিয়েন্তের বিবৃতিতে জানানো হয়।

২০০৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জার্সিতে নিয়মিত দেখা যায় তেভেজকে। ২০২২ সালে বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দেয়ার পর কিছু সময় রোজারিও সেন্ট্রালের দায়িত্বে ছিলেন। ২০২৩ সালের আগস্টে ইন্দিপেন্দিয়েন্তের ডাগআউটে দাঁড়ান।

;