ইমরান খানের বিয়ের তিন ইনিংস ও দুটি ‘রাজনৈতিক ডিভোর্স’!



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সময়টা আশির দশকের মাঝামাঝি। বিশ্বসুন্দরীরা কে কেমন বর পছন্দ করেন- সেই গল্পের মাঝে হঠাৎ করে মিস অস্ট্রেলিয়ার কাছে একটা প্রশ্ন গেল; ‘‘তা আপনি এবারের ক্রিসমাসে কি উপহার পেলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন।’’

জমাট সেই আড্ডায় বেশি সময় না নিয়ে মিস অস্ট্রেলিয়ার উত্তর -‘ইমরান খান’!

ব্যস সেই তখন থেকেই ক্রিকেট আড্ডায় হ্যান্ডসাম বিষয়ক গল্পে এটা খুবই জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত একটা উক্তি হয়ে গেল।

ইমরান খান-এই নামের মধ্যেই এটা জাদুকরী আকর্ষণ। খেলার মাঠে। মাঠের বাইরে। চলাফেরায়। কথাবার্তা। হাসিতে। ব্যাটে- বলে। ব্যক্তিত্বের ছটায়-তার সবকিছু জুড়ে নায়কোচিত এক আর্কষণ!

একটু অন্যভাবে বললে-এক সময় ক্রিকেট দুনিয়ায় হ্যামিলেনের বাঁশিওয়ালা হয়ে হেঁটেছেন ইমরান খান। আর তার পেছনে বিশ্বের তাবৎ সুন্দরীদের ম্যালা ভিড়। আহা যদি একবার তাকে ছোঁয়া যায়! সেইসময় এই দৌঁড়ে জানা শোনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের নামগুলো একটু শুনি আজ আরেকবার; কলকাতায় মুনমুন সেন। মুম্বাইয়ে জিনাত আমান। আমেরিকায় সিটা হোয়াইট। ইংল্যান্ডে সুসানা কনস্টানটাইন, লেডি ক্যামম্পেল, বিখ্যাত চিত্রশিল্পী এমা সার্জেট।

/uploads/files/PsONtP9hZIc6mO584Jv74NYbjIyLTBCoyY6pcSjX.jpeg

ভাবছেন ব্যাস এটুকুই! মুলত ইমরানের জীবনে প্রেমের সংখ্যা  অসংখ্য, তবে কোন প্রেমের ইনিংসই লম্বা হয়নি। এক ইনিংস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরের প্রেমের ইনিংস শুরু। কে প্রথম আর কে মাঝের জন সম্ভত সেই নামগুলোও ভুলে গেছেন ইমরান!

আমরা তাই সেই নামগুলো মনে রাখি কি করে?

এমনসব ক্ষেত্রে সাধারণত যা হয় ইমরান খানও সেই পথেই হাঁটা শুরু করলেন। বয়স ত্রিশ পেরিয়ে গেল, কিন্তু বিয়ের কথা মুখেই আনছেন না। পয়ত্রিশও হয়ে গেল। তারপরও বিয়ের প্রসঙ্গ উঠলেই জবাব কেবল রহস্য ছড়ানো মুচকি হাসি!

কারো আশা না ভেঙ্গে সবাইকে আশায় রাখা-রাসপুটিনীয় এই প্রেমের সূত্র ঠিক রেখে চল্লিশের পরও নিজেকে মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলার’-এর তালিকায় রাখেন ইমরান। অবশেষে একসময় সেই ইনিংসও শেষ হয় তার।

বিশ্বের সব গোলার্ধের তরুণী হৃদয়ে ঝড় তোলা ইমরান বউ হিসেবে বেছে নেন বৃটিশ ধনকুবেরের মেয়ে জেমিমা গোল্ডস্মিথকে। প্রথম যৌবন ইংল্যান্ডে কাটানো। অক্সফোর্ডে পড়াশোনা। কাউন্টিতে খেলা-সবকিছু মিলেই ইংল্যান্ড ছিল ইমরানের সেকেন্ড হোম। ‘প্রথম’ বিয়ের জন্যও সঙ্গী বেছে নিলেন সেখান থেকেই। ধারণা করা হচ্ছে, ইমরানের প্রেমে তার আকর্ষণেই একপ্রকার অন্ধ হয়েই জেমিমা সব ছেড়ে তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই বিয়ের সময় ইমরানের বয়স ছিল ৪২। কনে জেমিমা মোটে ২১!

/uploads/files/LURWjfIu8WamSsRteEaNmA0PzBBfJIpnk1APrRvo.jpeg

বিয়ের আগে ইমরানের দেয়া সব শর্তই কবুল করেন জেমিমা। ইহুদি ধর্ম ছেড়ে মুসলমান হোন। মুসলিম নাম হয় তার হাইকা। ১৯৯৫ সালে রিচমন্ডে পুরোদুস্তর ইমলামি কায়দায় ইমরান ও জেমিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর জেমিমা পাকিস্তানে চলে আসেন। অপরিচিত পাকিস্তানি সংস্কৃতি ও বোলচালের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিজেকে পুরোপুরি পাল্টে ফেলেন জেমিমা। পাশ্চ্যাতের পোষাক ও চালচলনে অভ্যস্ত জেমিমা পাকিস্তানি স্টাইলের সালোয়ার-কামিজ পরা শুরু করেন। মাথায় উঠে ওড়না। ইসলামি অনুশাসন মেনে চলতে শুরু করেন, এমনকি উর্দূও শেখেন।

এরই মধ্যে ইমরান খান পাকিস্তানে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও শুরু করেন। ইমরানের রাজনৈতিক মিছিলে ওড়না মাথায় নিয়মিত জেমিমাকেও দেখা যেতে লাগল। দারুণ সুখে ভরা তাদের সংসারে দুই শিশুপুত্র জন্ম নিল-সুলায়মান ও কাশিম। বিয়ের পরও ইংল্যান্ডে যান জেমিমা। তবে বছরের বেশিরভাগ সময় তার কাটে পাকিস্তানে। ইমরান খান এই সময় রাজনীতিতে বেশি ব্যস্ত হয়ে যান। তেহরিকে ইনসাফ নামের একটি রাজনৈতিক দলও গড়ে তোলেন তিনি। পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নির্বাচিতও হন। কিন্তু তার রাজনৈতিক দল শুরুতে তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। পাকিস্তানের সামরিক শাসক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফের রোষানলে পড়ে ইমরানকে জেলেও যেতে হয়। সেসময় প্রায় বছর খানেক জেমিমা ও তার সন্তানদের নিরাপত্তায় ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। ইমরান জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ফেরেন। কিন্তু সেই তখন থেকেই এই জুটির মধ্যে ভাঙ্গনের সুর শোনা যেতে লাগল।

পুর্ব-পশ্চিমের সাংস্কৃতিক বিরোধ। দ্বন্দ্ব-জীবনবোধ হঠাৎ করে তাদের দাম্পত্য জীবনে ছন্দপতন ঘটায়। সংসার জীবন নাকি রাজনীতি; এই দুইয়ের মধ্যে একটা পছন্দ বেছে নেয়ার সময় এসে দাড়ায় ইমরানের সামনে। যখন মাঠে ক্রিকেট খেলতেন তখনো এমন অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত তাকে নিতে হয়েছে। শেষমেষ রাজনীতিকেই বেছে নিলেন ইমরান। বউ বাদ। বিয়ে করার জন্য জেমিমা যেভাবে পাগলপারা হয়েছিলেন এবার ডিভোর্সের জন্যও ঠিক তেমনই ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠলেন। ইমরান- জেমিমা জুটির নবম বিয়ে বার্ষিকীর সময়টা কাটল ডিভোর্সের ফাইল নিয়ে আদালতে দৌঁড়েদৌঁড়িতে।

অবশেষে ২০০৪ সালের ২২ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে এই জুটির ডিভোর্স সম্পন্ন। ইমরান ‘পরাজয়’ মেনে নিয়ে তখন জানান- জেমিমা পাকিস্তানে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার সব চেষ্টাই করেছে। কিন্তু আমার রাজনৈতিক জীবনের জন্য তার এখানে টিকে থাকাটা কঠিন হয়ে দাড়ায়। তাই আমরা সবঝোতার মাধ্যমে এই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেই। এটা আমাদের দুজনের জন্যই অত্যন্ত দুঃখজনক একটা অধ্যায়। ঘটনা। আমার ভবিষ্যৎ এবং চিন্তাভাবনা সবকিছুই জুড়েই শুধু পাকিস্তান এবং রাজনীতি।’

-তো জনগণ, কি বুঝলেন?

কেবল নিজের রাজনৈতিক জীবনকে সফল করতেই ইমরান সেই সময় নিজের প্রথম বউকে ছেড়ে দেয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সন্দেহ নেই আলোচিত এই ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের দায়ভার সেসময় পুরোটাই ইরমানের ঘাড়েই চেপেছিল। নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে সফেদ করতেই ইমরান এই ডির্ভোসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে পাকিস্তানের বিশ্লেষকদের বিশ্বাস।

/uploads/files/7M019338mI7MQiqd4XhJPxcnMk1KoKhUSGQFdEbR.jpeg

রাজনীতির ময়দানে ইমরানের পাশে স্ত্রী হিসেবে জেমিমার উপস্থিতি জনগণের মনে আস্থা জাগাতে পারেনি। তার বিয়ে এবং হঠাৎ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া-এই দুইয়ের মধ্যে পাকিস্তানের জনগণ পশ্চিমাদের একটা ষড়যন্ত্র আবিস্কার করে বসে সেসময়। পাকিস্তান জুড়ে একটা প্রচলিত ধারণা ছড়িয়ে পড়ে ইহুদি ধর্মের মেয়েকে ইমরানের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব পাকিস্তানে নতুন ফর্মূলায় নিজেদের কৃর্তত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এই কাজে ইমরানকে স্রেফ ঘুঁটির মতো ব্যবহার করছে পশ্চিমা শাসকরা। মুলত এই ধারণা একসময় পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় বিশ্বাসে পরিণত হয়। আর এই কারণে শুরুতে ইমরানের রাজনৈতিক দল তেহরিকে ইনসাফ পাকিস্তানে মোটেও জনপ্রিয়তা পায়নি। এই দলটি পশ্চিমাদের দালাল-এই ব্র্র্যাকেটেই তাদের উত্তরণ আটকে যায়। ইমরানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও নিশ্চিত অপমৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।

সেই রাজনৈতিক ধস ঠেকাতেই ইমরান-জেমিমার ডিভোর্স!

বহুল আলোচিত সেই ডিভোর্সের পরের এক দশকের পুরোটাই ইমরান খান ব্যয় করেন তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে শক্তপোক্ত করতে। হঠাৎ করেই ২০১৫ সালে পাকিস্তানের জিও টিভির সাংবাদিক, উপস্থাপিকা ও সিনেমা প্রযোজক রেহাম খানকে বিয়ে করেন। তবে সেই বিয়ের ইনিংস বছরখানেকও টিকলো না। রেহামের আগের বিয়ে, তার স্টাইলিস্ট বাহারি এবং উদারনৈতিক জীবনযাপন ইমরান খানের রাজনীতিক পুচ্ছদের ধাঁতের সঙ্গে যায়নি। ইমরান আরেকবার আপোষ করলেন রাজনীতির সঙ্গে। রেহামের সঙ্গে তার সংসার ধর্ম টিকে মাত্র ৯ মাস। পাকিস্তানের ক্রিকেটার কাম এই রাজনীতিবিদ প্রকাশ্যে স্বীকারও করেন-‘রেহামকে বিয়ে করাটা ছিল তার জীবনের  বড় একটা ভুল সিদ্ধান্ত।’

সেই ভুল থেকেই বেরিয়ে আসতেই ‘দ্বিতীয় ডিভোর্স!’

তিন নম্বর বিয়ে ইমরান খান করেছেন চলতি বছরেই। তৃতীয় বিবির নাম বুশরা মানেকা। ভীষন পর্দানশীন, ধার্মিক। ইমরানের রাজনৈতিক দল, দর্শন এবং পাকিস্তানি ভাবধারার সঙ্গে পুরোপুরি মিল তার। বিয়ের ‘তৃতীয় ইনিংস’ ইমরানের জন্য তাহলে সৌভাগ্যই বয়ে এনেছে।

পাকিস্তানের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে ইমরান খানের বসে পড়াটা এখন নেহাৎ একটা সময়ের অপেক্ষা!

   

রিয়ান ঝড়ের পর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রাজস্থানের জয় 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০ বলে জয়ের জন্য তখন ৫৩ রান দরকার দিল্লি ক্যাপিটালসের। সেখানে জয়ের পাল্লা রাজস্থান রয়্যালসেরই ভারী ছিল। তবে এক ট্রিস্টান স্টাবসে চড়ে জয়ের স্বপ্ন বুনছিল রাজধানীর দলটি। এই প্রোটিয়া ব্যাটারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীতে শেষ দিকে এসে রাজস্থানের পেসাররা দেখান নৈপুণ্য। এতেই শেষ পর্যন্ত ১২ রানের জয় পায় সঞ্জু স্যামসনের দল। 

এদিকে রাজস্থানের টানা দ্বিতীয় জয়ে এদিন ব্যাট হাতে বড় অবদান ছিল রিয়ান পরাগের। আইপিএলের ২০১৯ সালের আসরে অভিষেক পরাগের। সেই আসর থেকেই রাজস্থানের হয়ে খেলেন তিনি। নিয়মিত জায়গাও পান একাদশে। তবে পারফর্ম যেন একেবারেই শূন্যের কাতারে। এই আসরের আগে মোট ৫৪ ম্যাচে স্রেফ ৬০০ রান করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সেখানে দুটি ফিফটির মারে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৫৬ রানের। এমন বাজে পারফর্মে বেশ সমালোচিতও হচ্ছিলেন তিনি। যেন এন্টারটেইনমেন্টের জন্যই থাকেন দলে। তবে সেসব সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২৪ সালে যেন দেখা মিলল নতুন রিয়ানের। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে করেন ৪৩ রান। পরে আজকের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এতেই ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় রাজস্থান। ম্যাচে বাকি কাজ সারেন বোলাররা মিলে। 

জয়পুরে এদিন দিনের একমাত্র ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে রাজস্থান। 

চ্যালেঞ্জিং সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই দিল্লিকে পেস তোপে ভোজ্ঞান নাদ্রে বার্গার। তবে ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক ঋষভ পন্তের জুটিতে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল দিল্লি। তবে দলীয় ১০৫ রানের মাথায় এই দুই বাঁহাতি ব্যাটার ফিরলে জয়ের পথ হয়ে পড়ে বেশ কঠিন। ৪৯ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার। তবে হাল ছাড়েননি স্টাবস। লড়েছেন শেষ ওভার পর্যন্ত। তবে শেষ হাসি হাসে রাজস্থানই। ১৭৩ রানে থামে দিল্লির ইনিংস। রাজস্থানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন বার্গার ও চাহাল। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল ছন্দহীন। ৩৬ রানেই সাজঘরে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলার। সেখানে ধীরগতিতে এগিয়ে আগে চাপ সামাল দেন রিয়ান। শুরুর ২৬ বলে করেছিলেন ২৬ রান। পরে শেষ ১৯ বলে করেছেন ৫৮ রান। ৮৪ রানের এই বিধ্বংসী ইনিংসে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এদিকে রিয়ানকে সঙ্গ দিয়ে ২৯ রানে ইনিংস খেলেন অশ্বিন। এবং শেষে এসে ধ্রুব জুরেলের ২০ রানের ক্যামিওতে ১৮৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাজস্থান। নান্দনিক এই ইনিংসের জবাবে ম্যাচসেরার খেতাবও জেতেন রিয়ান।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

রাজস্থান রয়্যালসঃ ১৮৫/৫ (২০ ওভার) (রিয়ান ৮৪*, অশ্বিন ২৯; অক্ষর ১/২১, খলিল ১/২৪)

দিল্লি ক্যাপিটালসঃ ১৭৩/৫ (২০ ওভার) (ওয়ার্নার ৪৯, স্টাবস ৪৪*; চাহাল ২/১৯, বার্গার ২/২৯)

ফলঃ ১২ রানে জয়ী রাজস্থান

ম্যাচসেরাঃ রিয়ান পরাগ

;

‘অধিনায়ক’ শান্তকে নিয়ে যা বললেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ভারত বিশ্বকাপের ঠিক আগে দেশের শীর্ষ সারির এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ঠিক বিশ্বকাপ পর্যন্তই নেতৃত্বে থাকবেন তিনি। এর একদিন পরেও না। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। বিশ্বকাপের পরই ছেড়েছেন দায়িত্ব। পরে লঙ্কান সিরিজের আগে পূর্ণকালীন তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক হন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এদিকে নেতৃত্ব তো ছেড়েছেনই, গত বছরের ৬ নভেম্বর বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেই চোট পান সাকিব। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খেলেনি আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে। সেখান থেকে সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পর ফের লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরতে চলেছেন সাকিব।

দ্বিতীয় টেস্টে নিয়ে নিজের ভাবনা, শান্তর অধিনায়কত্ব এসব নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব। সেখানে শান্তর লম্বা পথ দেখছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।

শান্তর অধিনায়কত্বে আস্থা রাখছেন সাকিব। জানালেন সাপোর্ট পেলে নেতৃত্বে শান্ত হয়ে উঠবেন দারুণ একজন। তবে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না সাকিব, ‘খুবই আর্লি স্টেজ (শান্তর অধিনায়কত্বে মন্তব্য করা)। আমি  নিশ্চিত বিসিবি ওকে (শান্ত) লম্বা সময়ের কথা ভেবেই নিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে যেটা ওকে সাহায্য করবে সামনে এগিয়ে যেতে। সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন অধিনায়ক হবে।’

;

শামীমের ব্যাটে রূপগঞ্জের হাসি, ৫ উইকেট নিয়েও মলিন রিশাদের মুখ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চার জয়ের পর মোহামেডানের কাছে হেরে ছন্দপতন হয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। তবে সে হার ভুলে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে রূপগঞ্জ। শামিম পাটোয়ারি এবং তৌফিক খান তুষারের জোড়া ফিফটিতে পারটেক্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পারটেক্স অধিনায়ক মিজানুর রহমান। কিন্তু অধিনায়ক বাদে দলটির অন্য কেউ সে সিদ্ধান্তের মান রাখতে পারেননি। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলে মিজান নিজেই যা দলের স্কোরকে ভদ্রস্থ করার চেষ্টা করেছেন। তার ৮৮ রানের ইনিংসে চড়ে ৪৭.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান পর্যন্ত পৌঁছে।

রূপগঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম এবং শুভাগত হোম। মাশরাফি ৯ ওভার বল করে ৩০ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি।

তবে রূপগঞ্জের দুই ব্যাটার শামিম এবং তুষারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৫.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ। ওপেনার তুষারের ব্যাটে আসে ৮৩ রান। আর ৪৩ বলে ৬ চার এবং ৮ ছক্কায় ৮৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেল দলকে জয় এনে দেন ম্যাচসেরা শামিম।

এদিকে ৫ উইকেট নিয়েও শাইনপুকুরকে জেতাতে পারেননি স্পিনার রিশাদ হোসেন। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়ার পথে শাইনপুকুরকে ২৬ রানে হারিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দিনের অপর ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবকে ৩৮ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে গাজী টায়ার্স।

;

‘লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিৎ বাংলাদেশের’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে ১-০ তে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। বড় হারের সে স্মৃতিকে পেছনে রেখে বাংলাদেশের সামনে এখন আরেকটি টেস্টের চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামে লঙ্কানদের ধরাশায়ী সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া বাংলাদেশ, তাতে সিরিজ হার এড়ানোর পাশাপাশি প্রথম টেস্টে বড় হারের কষ্টও কিছুটা লাঘব হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অস্ট্রেলিয়া গেছেন। কোচ না থাকায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। তবে দল এবং একইসঙ্গে সমর্থকদের জন্য সুখবর, টেস্ট সিরিজে খেলার কথা না থাকলেও দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। 

দলে ফিরেই সাকিব জানালেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিত বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ভালো ক্রিকেট খেলার পর এমনটাই চাইছেন সাকিব, ‘আশা তো সব সময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই আমরা স্ট্রাগল করেছি, আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’

অনভিজ্ঞ একটা দল নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সাকিবের প্রত্যাবর্তন অনেক আনন্দের সংবাদ। প্রথম টেস্ট শেষে অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’

;