বিজয় পারছেন না ‘বিজয়ী’ হতে!



এম.এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সবার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তার আউটের ধরনগুলো একটু জেনে নেই।

প্রস্তুতি ম্যাচ: তিন বল খেলে শূন্য রানে আউট। প্রস্তুতি আর হলো কোথায়? ব্যাটিংয়ের বাকি সময়টা ম্যাচ দেখেই কাটল। পরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শরীর ঠিক রাখার চেষ্টা!

প্রথম ওয়ানডে: তিন বল খেলে এবারও শূন্য রানে আউট। অফস্ট্যাম্পের লাইনে জেসন হোল্ডারের রেগুলার ভঙ্গির একটা আউট সুইং। ইনিংসের শুরুতে এমন ডেলিভারির জন্য তো ওপেনার ব্যাটসম্যান প্রস্তুত থাকবেনই। এনামুলও প্রস্তুত ছিলেন; খোঁচা দিতে! স্লিপে তিনজন ফিল্ডারকে দেখেও কেন পা বাড়িয়ে এমন বলে খোঁচা মারবেন ওপেনার? স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের জমা তখন ১ রানে ১ উইকেট!

সেই ম্যাচে অপর ওপেনার তামিম ইকবাল করলেন অপরাজিত ১৩০ রান।

দ্বিতীয় ওয়ানডে: এবার ভিন্ন পরিকল্পনা। নেমেই ধমাধম মাইর শুরু। কোথায় বল পড়ল, সেদিকে চোখ না দিয়ে সামনে পাওয়া বলকে বেদম পিটুনি। আগের ম্যাচে তাকে আউট করায় জেসন হোল্ডারের উপর ভীষণ রেগেছিলেন যেন! ছক্কা-চারের ঝড়ে শুরুতেই এনামুলের স্কোর মাত্র ৯ বলে ২৩! তবে এসব ক্ষেত্রে যা হবার তাই হল। বেশি আক্রমনাত্মক হতে গিয়ে নিজেই কুপোকাত। প্রতি বলেই চালালে চলে নাকি? আরে ভাই বোলারও তো আপনাকে আউট করতেই বল করছেন, তাই না! ওভারের ছয়টা বলই তো আর লোপ্পা হবে না! হয় ছক্কা, নয় অক্কা-এই স্টাইলের ব্যাটিং করতে গিয়ে এনামুল এই ম্যাচে ৯ বলে ২৩ রান করে যখন ফিরছেন তখন তার স্ট্রাইক রেট ২৫৫.৫৫!

অপরপ্রান্তে চোখে বিস্ময় নিয়ে তামিম ইকবাল তাকিয়ে। তামিমের রান তখন ৮। সেই তামিম ম্যাচে করলেন ৫৪ রান।

তৃতীয় ওয়ানডে: এবার আরেক কৌশল। রক্ষণব্যূহ ধারণ! রানের দরকার নেই। দেখে শুনে সময় কাটাও। বল আসছে। ব্যাট উঁচিয়ে সেটা ছেড়ে দিচ্ছেন এনামুল। হাফভলি বলও এল। সেটাও ডেড ডিফেন্স! ফ্রিহিটও পেলেন। তাতে আবার ক্যাচ দিলেন! খানিকবাদে একেবারে অন্দরমহল ঘরানার ব্যাটিং। পুরোদুস্তুর ঘোমটায় ঢাকা। রান নেই। শুধু ডট বল। এই করতে করতে স্কোরবোর্ডের দিকে চোখ যেতে নিজেই একসময় অস্থির হয়ে উঠলেন। নাহ্, এবার রান করতে হয়; এই চিন্তা আসতেই সামনে পাওয়া পরের বলেই চালালেন। শর্ট বলটা পুল করতে গিয়ে ত্রিশ গজের বৃত্ত পার করতে পারলেন না। সহজ ক্যাচ। যথারীতি আরেকটি ব্যর্থ ইনিংস। এবার তার সঞ্চয় ৩১ বলে ১০ রান!

তামিম ইকবাল তখন ২১ রানে খেলছেন। সেই তামিম ম্যাচে করলেন ১০৩ রান।

তাহলে তিনটি ওয়ানডেতে তিন ধরনের পরীক্ষণই চালিয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। কোনটিতেই সাফল্য এল না। অথচ এই তিন ম্যাচেই উইকেট এমন কোন মাইনফিল্ড ছিল না, যে তাকে পালাতে হবে; বা চোখ বুঝে অন্ধের মতো দৌড়াতে হবে। স্রেফ একজনকে অনুসরণ করলেই পারতেন তিনি-তামিম ইকবাল। ওপেনিংয়ে নেমে এনামুল যখন এমন হাঁসফাস করছেন প্রতি ম্যাচে তখন তামিম ইকবাল কি নিপুণ দক্ষতায় নিজের খেলা সামলে নিচ্ছেন সহজ এক কৌশলে। যার নাম আর কিছু নয়- ধৈর্য্য, সহনশীলতা এবং খাপ খাইয়ে নেয়ার অভ্যাস। এই তিন ম্যাচে তামিম যে দুটো সেঞ্চুরি এবং একটি হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন তার পেছনে কি পরিমান পরিশ্রম এবং নিজেকে বদলে ফেলার মানসিক দৃঢ়তা দেখিয়েছেন সেটা হয়তো স্কোরবোর্ডে লেখা নেই, কিন্তু ঠিকই লেখা হয়ে গেছে তার ক্রিকেটীয় লগবুকে!

অন্তত প্রথম ম্যাচে তামিমের ইনিংস থেকে সেটা শিখতেও তো পারতেন এনামুল। আচ্ছা তামিমকে না হয় তিনি অনুসরণ করতে পারেননি। তাহলে সাকিব তো ছিলেন। এমন উইকেটে, এমন ম্যাচ পরিস্থিতিতে কেমন ব্যাটিং করতে হয়-সাকিবও সেটা করে দেখিয়েছেন তিন ম্যাচেই। নিজে না পারলেন কাউকে দেখেও তো শেখা যায়! এনামুল তিন ম্যাচের সিরিজে এদের দেখেও শিখতে পারেননি কারন এই দলের অনেক ক্রিকেটার তো ক্রিকেট লগবুকের চেয়ে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকে বেশি ওস্তাদ!

সিরিজের প্রথম ম্যাচে এনামুল শূণ্য রানে আউট হওয়ার পর দাবি উঠে যায় পরের ম্যাচে তাকে বাদ দেয়ার। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জা সেসময় সাফ জানিয়ে দেনÑ তিন ম্যাচে খেলার জন্যই আনা হয়েছে এনামুলকে। অর্থাৎ সুযোগ দেয়ার যে বিষয়টি সেটি পুরোপুরি দিতে চেয়েছেন অধিনায়ক। যেন বলা না হয়, এক ম্যাচের ব্যর্থতায় তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছে ঠিকই; কিন্তু নিজের পারফরমেন্স নিয়ে কি এখন অধিনায়কের সামনে দাড়াতে পারবেন এনামুল?

পারবেন না। কারন তিনি পারেননি। বল না দেখে সামনের পায়ে চলে গিয়ে খেলেছেন। মেরে খেলেছেন। আবার ধরে খেলেছেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না। সবমিলিয়ে তিন ম্যাচে সাকুল্যে সঞ্চয় ৩৩ রান। টেকনিকেও তো অবশ্যই সমস্যা, মানসিকতায় পিছিয়ে আরো অনেক বেশি। তাই ঠিক কিভাবে নিজের খেলা তৈরি করবেন-সেটাই স্থির করতে পারছেন না এনামুল। এ প্রসঙ্গে জাতীয় দলের এক সাবেক ওপেনার বলছিলেন-‘ওর আউটের ধরন  দেখে মনে হচ্ছে নিজের ওপর রাগ করে ও আউট হয়ে যাচ্ছে!’

২০১৯ সালের বিশ্বকাপের জন্য ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গী খুঁজতে আরেকবার নতুন কোনো খোঁজে নামতেই হচ্ছে তাহলে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে!

২০১২ সাল থেকে জাতীয় দলে খেলছেন। অভিজ্ঞতায় আছে ৩৭ টি ওয়ানডে। তিন বছরের লম্বা বিরতির পর চলতি জানুয়ারিতে ওয়ানডে দলে ফিরেছেন। তবে এখনো নিজেকে জাতীয় দলে অপরিহার্য করতে পারেননি এই ওপেনার।

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে চলতি বছর জাতীয় দলের হয়ে ৭টি ওয়ানডে খেলেছেন এনামুল। এই সাত ম্যাচে তার রান ৮৮। সর্বোচ্চ ৩৫। ইনিংসের শুরুতে আউট হচ্ছেন। খানিকটা থিতু হওয়ার পর আউট হচ্ছেন। উইকেটে পুরো টিকে যাওয়ার পরও আউট হচ্ছেন।

একটা বিষয় প্রায় পরিষ্কার; তিনি পারছেন না। এনামুল হক বিজয়, ব্যাট হাতে ‘বিজয়ী’ হতে পারছেন না!

 

   

২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত জার্মানির কোচ নাগেলসমান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরো পর্যন্তই তার জার্মানির ডাগআউটে থাকার গুঞ্জন ছিল। কিন্তু সে গুঞ্জনকে মিথ্যে প্রমাণ করে জার্মানির সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছেন ইউলিয়ান নাগেলসমান। ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই কোচকে রেখে দিচ্ছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি।

টালমাটাল অবস্থায় জার্মান দলকে পেয়েছিলেন নাগেলসমান। দায়িত্ব নিয়ে ধীরে ধীরে দলকে নিজের মতো করে গড়ে নিচ্ছেন। গত সেপ্টেম্বরে জার্মানদের দায়িত্ব নিয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন। এর মধ্যে তিন ম্যাচে দলকে এনে দিয়েছেন জয়। যার দুটি আবার ইউরোপীয় ফুটবলের দুই পরাশক্তি নেদারল্যান্ডস ও ফ্রান্সের বিপক্ষে।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে নতুন চুক্তি-নাগেলসমানের উচ্ছ্বাস বাঁধ মানছে না, ‘সিদ্ধান্তটা হৃদয় থেকে নিয়েছি। জাতীয় দলকে প্রশিক্ষণ দিতে পারা এবং দেশের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার জন্য অনেক সম্মানের ব্যাপার।’

নাগেলসমানের ধ্যানজ্ঞান এখন আগামী জুন-জুলাইয়ে জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য ইউরো। নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের পরই সে টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিলেন ৩৬ বছর বয়সী এই তরুণ জার্মান কোচ, ’আমরা নিজেদের মাঠে সাফল্যমণ্ডিত ইউরো খেলতে চাই। আমি এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছি এবং (এরপর) আমার কোচিং দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ নেওয়ার অপেক্ষায় থাকব।’

;

জরিমানার মুখে পড়লেন রাহুল ও গায়কোয়াড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার রাতে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চলতি আসরের ৩৪ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। যেখানে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে লক্ষ্ণৌ। তবে স্লো ওভার-রেটের রাখার কারণে লক্ষ্ণৌয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি চেন্নাইয়ের অধিনায়কও পাবেন একই শাস্তি।

ওভার-রেট সংক্রান্ত জরিমানার অধীনে এবারই লক্ষ্ণৌকে প্রথমবার জরিমানার মুখে পড়তে হলো। নিয়ম অনুযায়ী লোকেশ রাহুলকে ১২ লাখ রুপি জরিমানা বহন করতে হবে। একই পরিমাণ জরিমানার সম্মুখীন হবেন রুতুরাজ গায়কোয়াডও।

এদিন টসে জিতে শুরুতে বোলিংয়ে যেয়ে ধোনিদের দল চেন্নাইকে ১৭৬ রানে আটকায় লক্ষ্ণৌ। জবাবে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান কেএল রাহুল এবং কুইন্টন ডি ককের উদ্বোধনী জুটি। রাহুল ৫৩ বলে ৮২ এবং ডি কক ৪৩ বলে ৫৪ করেন যা তাদের জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তবে ফিল্ডিংয়ের সময় স্লো-ওভার রেটের আওতায় জরিমানার মুখে পড়তে হলো লক্ষ্ণৌ এবং চেন্নাইয়ের অধিনায়ককে।

;

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দৌড়ালেন শান্ত-মুশফিক-তানজিমরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, দেশের ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয়েছিল এই মাঠের মাধ্যমেই। ২০০৬ সালের আগে আন্তর্জাতিক অথবা ঘরোয়া ম্যাচের বেশিরভাগই গড়াতো এই মাঠে। এরপর এই মাঠ ফুটবলের জন্য বরাদ্দতা পায় এবং ক্রিকেটের নতুন ঠিকানা হিসেবে পরিচিতি পায় মিরপুরের শেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

আজ অনেক বছর পর আবারও দেশের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের দেখা পেল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। তবে ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে নয়, বরং অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে দৌড়ের মাধ্যমে। ফিটনেস টেস্টকে উদ্দেশ্য করেই মুলত এই আয়োজন।

মে মাসের শুরতেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ, এরপরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টকে মাথায় রেখেই খেলোয়াড়দের ফিটনেস বিষয়ে বেশ সচেতন ক্রিকেট বোর্ড। তাই আজ (শনিবার) থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট। যেখানে অংশ নেবেন সিরিজের জন্য বিবেচনায় থাকা ৩৫ জন ক্রিকেটার। ফিটনেস টেস্টের শুরুর ধাপটা হয়ে গেল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে ১৬০০ মিটার দৌড়ের মাধ্যমে।

ভোর ৬টায় পৌঁছে ৪০০ মিটারের এই ট্র্যাকে মোট চারটি চক্কর মেরে দৌড় সম্পন্ন করেছেন টাইগার ক্রিকেটাররা। ১৬০০ মিটারের দৌড় শেষে ৪০ মিটারের স্প্রিন্টেও অংশ নেন সবাই। এরপর মিরপুরে যেয়ে জিম সেশন দিয়ে শেষ হবে আজকের ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর্ব। ট্রেনিংয়ের এই পর্বগুলো পর্যবেক্ষণ করছেন দলের নতুন ট্রেইনার নাথান কেলি।

এখনও আন্তর্জাতিক দলে খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে এই ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলেছেন এমন অভিজ্ঞতা আছে মাত্র দুইজনের, তারা হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিম। দীর্ঘ বছর পর এখানে আবারও এসে বেশ স্মৃতিচারণ করছেন তারা। গ্যালারির আশেপাশে তাকিয়ে এবং ঘুরে দেখছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

জাতীয় দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবালের খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুটাও এখানে। তিনি পুরোনো স্মৃতি মনে করে বলেছেন, ‘সবকিছুই দেখি বদলে গেছে! কী স্টেডিয়াম ছিল রে ভাই। খেলার সময় গেট বন্ধ করে রাখা লাগত, কী মনে নাই ভাই?’

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাহাত্ম্য উল্লেখ করে নাফীস আরও বলেন, ‘এখনকার প্রজন্ম হয়তো এখানে খেলেনি। কিন্তু এই স্টেডিয়ামের কথা নিশ্চয়ই শুনেছে। অনেকের জন্ম ২০০০ সালের আশপাশে তাই তাদের খেলার কথাও নয়। তবে আইকনিক স্টেডিয়াম যেহেতু, এটার গল্প নিশ্চয়ই শুনেছে। দেখুন, সাধারণত সকাল ছয়টায় ফিটনেস টেস্ট দেখতে এত মানুষের আশার কথা নয়। যেহেতু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, তাই সবাই এসেছে। সবার জন্যই দারুণ অভিজ্ঞতা এটা।‘

মুশফিকুর রহিম মজার ছলে বলেছেন, অ্যাথলেটদের মতো যেহেতু তারা দৌড়াবেন, সেহেতু তাদের জন্য পুরষ্কারের ব্যবস্থা থাকলে আরও ভালো হতো। বিসিবির এক কর্মকর্তাকে তিনি মজা করে জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘পতাকা কই? পতাকা আনবেন না!’ 

;

আইপিএলে ধোনির যে রেকর্ড ভাঙলেন রাহুল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্ণৌয়ের মাঠে গতকাল চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। যেখানে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। লক্ষ্ণৌ ম্যাচ জিতে নিলেও চেন্নাইয়ের প্রাণ ও মধ্যমণি মহেন্দ্র সিং ধোনি বরাবরের মতোই জিতে নিয়েছেন দর্শক এবং সমর্থকদের মন।

মাঠ লক্ষ্ণৌয়ের হলেও গ্যালারির বেশিরভাগ স্থান জুড়েই ছিল হলুদের ছড়াছড়ি। কারণটা খুব স্বাভাবিকভাবেই হলো ‘ধোনি’। কালকের ম্যাচেও তিনি খেলেছেন ৯ বলে ২৮ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। ধোনি যতক্ষণ ২২ গজে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ততক্ষণ গগনবিদারী চিৎকারে পুরো স্টেডিয়াম কাঁপিয়ে রেখেছিলো ধোনির সমর্থকরা।

ঘরের মাঠে লক্ষ্ণৌয়ের এই জয়ের দিন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ৫৩ বলে ৮২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এই ইনিংসের সঙ্গে রাহুল ছুঁয়ে ফেললেন ধোনির অনন্য এক রেকর্ডকেও।

আইপিএল ইতিহাসে উইকেটকিপার–ব্যাটার হিসেবে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব (৫০‍+) ইনিংস খেলার রেকর্ডটি এতদিন ছিল ভারতের বিশ্বকাপজয়ী এবং চেন্নাইয়ের অধিনায়ক ধোনির দখলে। ২৫৭টি ম্যাচে ২৪ বার ন্যূনতম ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। গতরাতের ৮২ রানের ইনিংসের মাধ্যমে ধোনির রেকর্ডটি নিজের নামে করে নিয়েছেন লোকেশ রাহুল। আইপিএলে উইকেটকিপার–ব্যাটার হিসেবে এটি ছিল তার ২৫তম পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস।

তবে রেকর্ড ভাংলেও নিজের সিনিয়র এবং আইডলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধটা ঠিকই বজায় রেখেছেন রাহুল। ম্যাচশেষে ধোনির সঙ্গে হাত মেলানোর সময় নিজের মাথা থেকে ক্যাপটা খুলে ফেলে হাতে নেন তিনি। ধোনির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্যই মূলত এই কাজটি করেছেন রাহুল। এতে এটাই বোঝা যায় যে ধোনি শুধুমাত্র জনসাধারণের প্রিয় নয়, বরং ভারত দলের খেলোয়াড়দেরও সম্মানের ও পছন্দের ব্যক্তিত্ব।

;