১০ বছরের শিশু ভেঙ্গে দিল ফেলপসের বিশ্বরেকর্ড



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগ্রহীত

ছবি: সংগ্রহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বকালের সেরা সাঁতারু বলা হয় তাকে। বিস্ময়কর সব অর্জন তার নামের পাশে। মাইকেল ফেলপস শুধু অলিম্পিক গেমস থেকেই জিতেছেন ২৮টি পদক! যুক্তরাস্ট্রের কিংবদন্তি এই সাতারুর একটি বিশ্বরেকর্ড এবার ভেঙ্গে দিল ছোট্ট এক শিশু! বিস্ময়ের জন্ম দিল তার স্বদেশী দশ বছর বয়সী ক্লার্ক কেন্ট আপুয়াদা।

১৯৯৫ সালে ১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে ১ মিনিট ১০ দশমিক ৪৮ সেকেন্ড সময়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন ফেলপস। এবার তাঁর চেয়েও ১ সেকেন্ডের কিছু বেশি সময় কম নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়লেন ক্লার্ক কেন্ট আপুয়াদা। বিস্ময়কর এই শিশু ৭ বছর বয়স থেকেই জলের বুকে ঝড় তুলছেন। পরিবার আর কাছের মানুষরা তাকে সুপারম্যান নামেই ডাকে।

ক্যালিফোর্নিয়ার মোরগায় ফার ওয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে স্থানীয় সময় বুধবার বিশ্বরেকর্ড গড়েন দশ বছর বয়সী এই শিশু। সাঁতারের ১০০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টে ক্লার্ক কেন্ট আপুয়াদা সময় নেন ১ মিনিট ৯ দশমিক ৩৮ সেকেন্ড! ২৩ বছর আগের রেকর্ড ভেঙ্গে গড়েন ইতিহাস।

কিংবদন্তি মাইকেল ফেলপসকে আদর্শ মেনেই জলের বুঁকে নেমেছেন আপুয়াদা। সাত বছর বয়স থেকে নাকি ফেলপসের রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। এরপর নিয়মিত অনুশীলনে ধরা দিল সেরার স্বীকৃতি। এবারের আসরে অংশ নেয়া সকল ইভেন্টেই স্বর্ণপদক জিতেছেন তিনি।

এই টুর্নামেন্টে আপুয়াদা যতগুলো ইভেন্টে অংশ নিয়েছে, সবকটিই শেষ করেছেন সোনার পদক জিতে। ২০০৮ অলিম্পিকে ফেলপস এমন পারফরম্যান্স করেছিলেন! সাত বছর বয়স থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই কিংবদন্তি সাঁতারুর রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন আপুয়াদা। সেই পরিশ্রমে এবার সফল হলেন তিনি।

এই বিস্ময় বালকের লক্ষ্য এখন যুক্তরাস্ট্রের অলিম্পিক দলে জায়গা করে নেওয়া। ফেলপস ২০০০ অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারু দলে জায়গা করে নেন মাত্র ১৫ বছর বয়সে। সেই পথেই হাটতে চাইছেন আপুয়াদা।

   

দেশের হয়ে খেলার চেয়ে আইপিএল বেশি উপভোগ করেন মুস্তাফিজ!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেশ কিছুদিন ধরেই মুস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘হট টপিক’। তাকে আইপিএলে খেলা চালিয়ে যেতে দেয়া উচিৎ নাকি জিম্বাবুয়ের সিরিজে খেলানো উচিৎ-এই প্রশ্ন দেশের ক্রিকেট বিভক্ত। খোদ বিসিবিতেই এই ইস্যুতে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মত। এই যখন পরিস্থিতি, তখন মুস্তাফিজের বাংলাদেশ-সতীর্থ শরিফুল ইসলাম বড়সড় এক বোমাই ফাটালেন বলা চলে।

মুস্তাফিজ জাতীয় দলে খেলার চেয়ে আইপিএলে খেলতেই নাকি বেশি স্বচ্ছন্দ, এমনটা মনে করেন শরিফুল। কেন এমন ভাবনা তার, খোলাসা করলেন শরিফুল নিজেই, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশের থেকে আইপিএলে মোস্তাফিজ ভাই বেশি উপভোগ করে, কারণ ওখানে চাপটা খুব কম আর কী। বাংলাদেশে হয়তো অনেক চাওয়া থাকে। হয়তো একটু খারাপ হলে অনেক চাপ পড়ে।’

পারফরম্যান্সের কারণে জাতীয় দলে যে মুস্তাফিজ বেশ চাপে আছেন তা অস্বীকার করার জো নেই। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজেই তো ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলে মুস্তাফিজ অটো-চয়েজ ছিলেন না। তানজিম হাসান সাকিব ক্রমেই জাতীয় দলে পারফরম্যান্স দিয়ে তার জায়গা অনিশ্চিত করে দিচ্ছেন।

অথচ আইপিএলে গিয়ে প্রথম ম্যাচেই রাজসিকরূপে হাজির হন মুস্তাফিজ। চেন্নাই সুপার কিংসের প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে বনে যান ম্যাচসেরা। এরপর থেকে আইপিএলের চলতি আসরে শীর্ষ উইকেটশিকারিদের আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে মুস্তাফিজের নাম।

মুস্তাফিজকে আদর্শ মেনেই ক্রিকেটকে আপন করে নেয়া শরিফুলের। সে মুস্তাফিজ খেলছেন আইপিএলের মতো মঞ্চে। সুযোগ এসেছিল তার সামনেও, ডাক পড়েছিল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস থেকে। কিন্তু বিসিবি অল্প সময়ের জন্য এনওসি দেবে, তাই তারা আর আলোচনা এগোয়নি।

নিজে খেলতে না পারলেও ঘরে বসে আইপিএলে মুস্তাফিজের খেলা উপভোগ করছেন শরিফুল, ‘প্রতিটা ম্যাচ দেখি। মোস্তাফিজ ভাইয়ের প্রতিটা বল দেখি। উনার সঙ্গে ম্যাচের পরদিন কথা হয়।’

;

দাবদাহের প্রভাব পড়ল দেশের ফুটবল সূচিতে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে চলছে তীব্র দাবদাহ। সহসাই এই দাবদাহের শেষ দেখছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন অবস্থায় দেশের ঘরোয়া ফুটবলের সূচিতে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে)।

যেহেতু দেশের ঘরোয়া ফুটবলের ম্যাচগুলো দিনের আলোতেই হয়, তাই খেলোয়াড় এবং অফিসিয়ালদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে দৃষ্টি রেখে সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

দেশের ফুটবলের দ্বিতীয় বিভাগ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শেষ রাউন্ড মাঠে গড়াবে আজ (মঙ্গলবার) ও আগামীকাল (বুধবার)। গতকাল (সোমবার) এই দুই দিনের ম্যাচগুলোর পরিবর্তিত সূচির কথা জানিয়েছে বাফুফে।

বিসিএলের ম্যাচগুলো মাঠে গড়ায় ঢাকার কমলাপুর স্টেডিয়ামে। এই মাঠে ফ্লাডলাইট থাকায় সেখানে আজ ও আগামীকালের ১টা ১৫ মিনিট ও বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের ম্যাচগুলো চলে গেছে যথাক্রমে বিকেল ৫টা ও রাতে।

তীব্র দাবদাহের কারণে দ্বিতীয় বিভাগের ম্যাচ সূচি পাল্টে দেয়া গেলেও বিপিএল এবং ফেডারেশন কাপের সূচি পরিবর্তনের সুযোগ নেই। আজ বিকেল তিনটায় গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ফেড কাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার কথা বাংলাদেশ পুলিশ এফসি ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। কিন্তু কাঠফাটা রোদের মধ্যে দুপুরেই হবে এই ম্যাচ, কারণ শেখ ফজলুক হক মনি স্টেডিয়ামে যে ফ্লাডলাইট নেই!

মূলত এই কারণেই বিপিএলের সূচিতে পরিবর্তন আসছে না। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা হচ্ছে না বহু দিন ধরে। সেখানে ফ্লাডলাইটের ব্যবস্থা ছিল। এই ব্যবস্থা আছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। তবে এ ছাড়া বাকি কোনো স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট নেই। সে কারণে সূচিতেও পরিবর্তন আনা যাচ্ছে না, না হলে যে নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ করাটাই পড়ে যাবে শঙ্কায়!

;

ডার্বি জিতে শিরোপা উৎসব করল ইন্টার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তপ্ত এক মিলান ডার্বি জিতে লিগ শিরোপা জয়োৎসব করল ইন্টার মিলান। সান সিরোতে মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়ে পাঁচ বাকি থাকতেই স্কুদেত্তো ঘরে উঠেছে ইন্টারের। এই ম্যাচের আগে মিলানের দুই ক্লাবেরই সমান ১৯টি করে লিগ শিরোপা ছিল। লিগ শিরোপার সংখ্যার দিক দিয়ে মিলানকে ছাড়িয়ে এখন উড়ছে ইন্টার।

সান সিরো ইন্টার এবং মিলান দুই দলেরই ঘরের মাঠ। তবে এই ম্যাচে মিলান ছিল স্বাগতিক। মাঠে তাই মিলানের সমর্থকই বেশি ছিল। তাদের স্তব্ধ করে দিয়েই মিলানকে ছাড়িয়ে গেছে ইন্টার।

সান সিরোতে শুরু থেকেই দাপট ছিল ইন্টারের। আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছিল সিমোন ইনজাঘির শিষ্যরা। যার পুরস্কার ১৮ মিনিটেই পেয়ে যায় তারা, ফ্রান্সেসকো আকেরবির গোলে এগিয়ে যায় তারা। কর্নার থেকে ধেয়ে আসা বলে ফ্লিক করেন বেঞ্জামিন পাভার, তাতে মাথা ছুঁইয়ে ইন্টার সমর্থকদের আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন আকেরবি।

এই গোলে পাওয়া লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ইন্টার। বিরতির মিনিট চারেক পরই আরও এক গোল ইন্টারের। মাঝমাঠ থেকে আসা লং বল ধরে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। ২-০।

মিলানের ইংলিশ ডিফেন্ডার ফিকায়ো টমরি ৮০ মিনিটে একটা গোল শোধ দিয়েছিলেন বটে, কিন্তু ততক্ষণে যে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। শেষদিকে দুই দলের খেলোয়াড়রাই মেজাজ হারিয়েছিলেন, তাতে মিলানের থিও এর্নান্দেজ এবং দাভিদে কালাব্রিয়া ও ইন্টারের ডেনজেল ডামফ্রিসকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়।

তাতে অবশ্য ইন্টারের লিগ শিরোপার উৎসবে ভাঁটা পড়েনি। পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখে  ১৭ পয়েন্টের লিড নিয়ে লিগ জয়, সেটাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের গায়ে জ্বালা ধরিয়ে-এমন উৎসবের সুযোগ তো আর বারবার আসে না!

;

টানা জয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখল রাজস্থান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরে নিজেদের সেরা ফর্মেই যেন আছে রাজস্থান রয়্যালস। আট ম্যাচে মাত্র একটিতে হারের দেখা পেয়েছে তারা। এতে ১৪ পয়েন্টের সঙ্গে টেবিল টপার হিসেবে নিজেদের জায়গাটা শক্তভাবেই ধরে রেখেছে সাঞ্জু স্যামসনের দল।

গতরাতে আবারও নিজেদের দাপট দেখিয়ে জয় তুলে নিল রাজস্থান। ঘরের মাঠে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দেওয়া ১৮০ রানের বড় লক্ষ্যও মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে খুব সহজেই টপকে গেল তারা।

এদিন টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারী মুম্বাই। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খেতে হয় তাদের। প্রথম দুই ওভারেই সাজঘরে ফেরত যান মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং ঈশান কিশান। ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ ছিল মুম্বাইয়ের টপ ও মিডল অর্ডারের প্রায় সকলেই। তবে তিলক বর্মার ৪৫ বলে ৬৫ এবং নেহাল ওয়াধিরার ২৪ বলে ৪৯ রানের সুবাদে নির্ধারিত ওভার শেষে দলীয় ১৭৯ রানের সংগ্রহ পায় মুম্বাই।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং জশ বাটলার। ৮ম ওভারে বাটলার ৩৫ রানে সাজঘরে ফিরলেও আরেক ওপেনার জয়সওয়াল এদিন ছিলেন নিজের সেরা ফর্মে। ৬০ বলে ১০৪ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি। অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনকে সঙ্গে নিয়ে ১৯তম ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজস্থান।

৯ উইকেটের বিশাল এই জয়ের পর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই রইল রাজস্থান রয়ালস। আট ম্যাচে ৭ জয়ের সঙ্গে ১৪ পয়েন্টের সঙ্গে প্লে-অফে এক পা দিয়েই রেখেছে তারা। অপরদিকে মাত্র ৩টি জয়ের দেখা পেয়ে সাতে অবস্থান করছে মুম্বাই। শীর্ষ চারে জায়গা করে নেওয়াটা তাদের জন্য বেশ কঠিন।

;