টি-টুয়েন্টির লড়াইয়ে ফেরার প্রতিজ্ঞায় বাংলাদেশ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টুয়েন্টি সিরিজকে যদি ১০০ মিটারের দৌঁড় হিসেবে ধরা হয়, তবে এই দৌঁড়ে এখন বাংলাদেশ কমপক্ষে ২০ মিটার পেছনে পড়ে আছে! আর দৌড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফিনিসিং লাইনের খুব কাছে পৌঁছে গেছে। সিরিজের বাকি দুটো ম্যাচের একটা জিতলেই ট্রফি জয়ের উৎসবে মাতবে ক্যারিবীয়রা।

৫ অগাস্ট রোববারের সকালটাই হতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই উৎসবের ক্ষণ। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি শুরু যে ঐ সকালে, ঘড়ির কাঁটায় বাংলাদেশ সময় ভোর ছ’টায়। প্রথম টি-টুয়েন্টি জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই দৌড়ে এখন এতদুর এগিয়ে আছে। সিরিজে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ছাড়া বিকল্প কিছু নেই।

সন্দেহ নেই সমীকরণটা কঠিন। দলের ক্রিকেটারদের টি-টুয়েন্টির বাজে ফর্ম সেই পথকে আরও জটিল করে তুলেছে। তবে স্বস্তির বিষয় হল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সাধারণত কঠিন সব পরিস্থিতিতেই নিজেদের সেরাটা বের করে নিয়ে আসতে পারে। এই ম্যাচকে ঘিরেও তেমনই কিছু একটা করার প্রতিজ্ঞা নিয়েছে বাংলাদেশ দল।

ফ্লোরিডার সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড রিজিওনাল পার্ক স্টেডিয়ামে তেমন কিছুই আরেকবার করে দেখাক বাংলাদেশ। এই ম্যাচকে ঘিরে ফ্লোরিডা ও আশপাশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের উৎসাহের কোন কমতি নেই। এই প্রথমবারের মতো আমেরিকায় কোন আর্ন্তজাতিক ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। হাজার পনের দর্শক ধারণক্ষমতার রিজিওনাল পার্ক স্টেডিয়ামের এই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিই সমর্থনের সংখ্যা থাকবে বেশি।

০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া টি-টুয়েন্টি সিরিজে আপাত দৃষ্টিতে বাংলাদেশ

দলের সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম ব্যাটিং। সিরিজের প্রথম ম্যাচে শুরুর, মাঝের এবং শেষের; কোনো অংশের ব্যাটিংয়েই ‘পাসমার্ক’ পায়নি বাংলাদেশ দল। শুরুটা তো হয়েছিল ভয়াবহ। দুই ওপেনার ম্যাচে নিজেদের খেলা প্রথম বলেই আউট! দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে তাই ভিন্ন বার্তা দিতে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার অনুশীলন নেটে বাড়তি তাগিদ দেখালেন। বিশেষ করে তামিম ইকবাল জানেন তার একটা ভাল বা বড় ইনিংস মানেই দলের সাফল্যের শুরু। টি-টুয়েন্টিতে শুরুটা যদি ভাল করা যায় তবে দলের এগিয়ে থাকার কাজ সহজ হয়ে যায়।

ফ্লোরিডায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সেই স্বস্তি এবং নিশ্চয়তা এনে দিতে চান শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানরা। এখানকার উইকেট সাধারণত স্পিনারদের একটু সহায়তা করে থাকে সেই চিন্তা থেকে একাদশে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে ফিরিয়ে আনা যায় কিনা-টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনায় এই কৌশলও আলোচিত হয়। শেষের দিকের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে মোসাদ্দেকের অফস্পিন টি-টুয়েন্টিতে কার্যকারিতায় কাজে লাগতে পারে। তবে মোসাদ্দেক দলে ফিরলে বাদ যাবেন কে?

-সম্ভাব্য নামটা হল সৌম্য সরকার। যদি সেই পরিকল্পনার পথে হাঁটে টিম ম্যানেজমেন্ট তাহলে তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে জুটি বাঁধবেন লিটন দাস। তবে মাত্র এক ম্যাচ শেষেই দলের একাদশে বড় অদল-বদলের পক্ষে তেমন জোরালো ক্রিকেটীয় যুক্তিও নেই।

যুক্তি একটাই দেখছে বাংলাদেশ; জয়। এই ম্যাচে না জিতলে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচটা যে তখন স্রোত আনুষ্ঠানিকতার অংশে পরিণত হবে। আর তাই ক্রিকেটীয় উত্তেজনা বহাল রাখা। সিরিজ জমাট করা। এবং সর্বোপরি লড়াইয়ে ফেরা-এমন উৎসব আনন্দের জন্যও ফ্লোরিডায় বরিবারের ম্যাচটা বাংলাদেশের জেতা চাই! 

   

টানা পাঁচ হারে তলানিতে বেঙ্গালুরু



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তারকায় ঠাসা এবং শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়েও দলকে একবারও আইপিএলের শিরোপা জেতাতে পারেননি, এই আক্ষেপ বিরাট কোহলির নিজেরও হয়তো আছে। তবে আইপিএলের এবারের আসর শুরুর আগে থেকেই নতুন করে আশার আলো দেখতে থাকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সমর্থকরা। কারণ ২০২৩ সালে ভারত বিশ্বকাপে কোহলির দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ও ফর্ম তাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে।

কিন্তু আইপিএলের চলতি আসরেও একের পর এক ধাক্কা খেতে হচ্ছে বেঙ্গালুরুকে। আসরের প্রথম ম্যাচ হার দিয়ে শুরু করে কোহলিরা। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে ছন্দে ফেরার আভাস দেয় দল। কিন্তু এরপর শুরু হয় পতন। গতকাল হায়দরাবাদের বিপক্ষে রেকর্ড পরিমাণ রান হজম করার ম্যাচে হেরে টানা পাঁচ ম্যাচ হারের স্বাদ হজম করতে হলো কোহলিকে, সঙ্গে পুরো বেঙ্গালুরুর সমর্থকদের।

দলের পারফরম্যান্স ভাল না হলেও প্রতি ম্যাচেই নিজের সর্বোচ্চটাই মাঠে ঢেলে দিচ্ছেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি। অর্থাৎ ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে বেঙ্গালুরুর দলে সবার ওপরেই থাকবে কোহলির নাম। কিন্তু খেলাটা যেখানে দলগত, সেখানে একক পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে জয় তুলে এনে দেওয়াটা এতটাও সহজ নয়। বারবার খুব কাছে যেয়েও আশাভঙ্গ হচ্ছে কোহলির।

গতরাতে হায়দরবাদের শক্ত ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুর বোলারদের পারফরম্যান্স ছিল করুণ। অপরদিকে ব্যাট হাতে সেরাটাই দেখিয়েছেন কোহলি। তাতেও লাভ হয়নি। স্বাগতিকদের বোলিং দুর্দশার সুযোগটা বেশ ভালোমতই কাজে লাগিয়েছেন হায়দরাবাদের খেলোয়াড়রা, গড়েছেন একের অধিক রেকর্ড, তুলে নিয়েছেন কাঙ্ক্ষিত জয়। অপরদিকে বেঙ্গালুরু এবং কোহলিকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে এক বুক হতাশা নিয়েই।

এই হারের পর আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার তলানিতে অবস্থান করছে কোহলিরা। ৭ ম্যাচে মাত্র এক জয়ের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট মাত্র ২। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে নড়বড়ে মনোবল পুরো দলের। তবে সমর্থকরা আশাবাদী। তাদের বিশ্বাস যে কোহলির হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াবে দল। ভালো কিছুর অপেক্ষাতেই আছে বেঙ্গালুরু।

;

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছাড়াও টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

মোহামেডান-শাইনপুকুর
সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

গাজী গ্রুপ-ব্রাদার্স
সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

রূপগঞ্জ টাইগার্স-সিটি ক্লাব
সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

আইপিএল

কলকাতা-রাজস্থান
রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ

ডর্টমুন্ড-আতলেতিকো
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ১

বার্সেলোনা-পিএসজি
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ২

;

আইপিএলের রেকর্ড সংগ্রহ হায়দরাবাদের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন ম্যাচ আগেই আইপিএলে ২৭৭ রানের দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই রানটিকেও এবার ছাড়িয়ে গেছে তারা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে এদিন আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ২৮৭ রান তুলেছে দলটি। যা আইপিএলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

এদিন হায়দরাবাদকে পথটা দেখিয়ে গিয়েছিলেন তাদের দুই ওপেনার অভিষেক শার্মা ও ট্র্যাভিস হেড। এই জুটি ভেঙেছে দলীয় ১০৮ রানে। আর সেই রানটা এসেছে মাত্র ৮.১ ওভারে। ২২ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন অভিষেক। দলের এমন অবস্থায় ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে যান হেনরিখ ক্লাসেন। হেডের সঙ্গে ‍জুটি বেধে ছক্কার বৃষ্টি নামান দু’জনে।

হেড খানিকটা পর ৩৯ বলে আইপিএলের চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি তুলে ফিরলেও দলকে পথে রাখেন ক্লাসেন। নিজেও ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। বিশাল সব ছক্কায় প্রতিপক্ষের বোলারদের কচুকাটা করছিলেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ব্যাট চালিয়েছেন ২০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে। এরপর অবশ্য সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখিয়ে ফিরেছেন ৩১ বলে ৬৭ রান করে। তবে ততক্ষণে বড় সংগ্রহের ভিতটা গড়া হয়ে গিয়েছে তাদের।

সেই ভিতটাকে আরও পোক্ত করেন আবদুল সামান ও এইডেন মার্করাম জুটি। ব্যাট থেকে শেষ ‍দিকে সুনামি বইয়ে দিয়েছেন দু’জনে। একের পর এক ছক্কায় দলকে নিয়ে গেছেন রান পাহাড়ের চূড়ায়। তাদের দু’জনের ব্যাটিং তাণ্ডবেই ৩ উইকেট খরচায় স্কোরবোর্ডে ২৮৭ রানের রেকর্ড সংগ্রহ পায় হায়দরাবাদ। শেষ দিকে ১৭ বলে ৩২ রানে মার্করাম ও ১০ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন সামাদ। হায়দরাবাদের ব্যাটাররা মিলে পুরো ইনিংসে মোট ২২ টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন এদিন।

;

চলতি আইপিএলের দ্রুততম সেঞ্চুরি হেডের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি আইপিএলের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন ট্র্যাভিস হেড। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকালেন ৩৯ বলে। তার ব্যাটিং তাণ্ডবেই বড় সংগ্রহের পথে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

সেঞ্চুরির পর অবশ্য উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি হেড। এরপর আর মাত্র ২ বল খেলতে পেরেছেন। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ৪১ বলে ১০২ রান। যেখানে ৮টি ছক্কা ও ৯টি চার ছিল।

আইপিএলের ইতিহাসে এটি চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৩ সালে ক্রিস গেইল ৩০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেটিই এখন পর্যন্ত আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। পরের সেঞ্চুরিটি ৩৭ বলে করা ইউসুফ পাঠানের। এরপর ডেভিড মিলারের করা ৩৮ বলের সেঞ্চুরিটি আছে তালিকার তৃতীয় নাম্বারে। এর ঠিক পড়েই অবস্থান হেডের সেঞ্চুরির।

তার সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে আছে হায়দরাবাদ। এবারের আইপিএলে এরইমধ্যে দলীয় সর্বোচ্চ ২৭৭ রানের রেকর্ড গড়েছে দলটি। সেই রানকে এবার টপকে যায় কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।

;