সাব্বির এখন সমাধান নয়, সমস্যা!



এম.এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একজন ফিনিসার চাই। ছয়-সাত নম্বরে ব্যাট করতে পারে। হাতে জোর আছে। ছক্কা-চার মারতে দক্ষ। কম বলে বেশি রান তুলতে পারে। স্ট্রাইকরেট ভালো। ম্যাচ ফিনিস করে ফিরতে পারে-চাহিদা পত্রে এমনসব শর্ত জুড়ে দিয়ে নির্বাচকরা হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন একজন ম্যাচ ফিনিসারকে।

মাঝে কিছুদিন জিয়াউর রহমানকে দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি স্পিনারদের বিপক্ষে বাহু ফোলালেন তবে জেনুইন পেস বোলিংয়ের সামনে পড়ে পিছু দৌঁড়ালেন। তাই তার ওপর আস্থা হারিয়ে নির্বাচকরা ফের একাদশে একজন ফিনিসার খুঁজে ফিরছিলেন।

নাসির হোসেন এলেন। কয়েকটা ম্যাচে দক্ষতা দেখিয়ে ফিনিসারের খেতাব জুটিয়ে ফেললেন প্রায়। কিন্তু শেষমেষ তিনিও জমতে পারলেন না। মাঠের খেলার চেয়ে মাঠের বাইরের ‘মেলায়’ তিনি বেশি সময় দিলেন। এবং তাতেই ফিনিসার নিজেই ‘ফিনিস’!

একাদশে এই ফিনিসার খোঁজার সমস্যা সমাধানে নির্বাচকরা সুযোগ দিলেন সাব্বির রহমানকে। সময়টা তখন ২০১৪ সাল। সেই বছরের শুরুতে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সাব্বির অবশ্য নির্বাচকদের হতাশ করেছিলেন। তারপরও হাতের কাছে আর কোন বিকল্প না থাকায় ওয়ানডেতে সাব্বিরকে বেছে নিলেন নির্বাচকরা। সেই বছরের ২১ নভেম্বর চট্টগ্রামে সাব্বির রহমানের ওয়ানডে অভিষেক হয়ে গেল। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। সেই ম্যাচে ৫ নম্বরে  ব্যাট করতে নামা সাকিব আল হাসানের ব্যাট হাসল সেঞ্চুরিতে। ছয় নম্বরে মুশফিক খেললেন ৭২ বলে ৬৫ রানের ইনিংস। আর সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা সাব্বির রহমান করলেন মাত্র ২৫ বলে হার না মানা ৪৪ রান। ৩ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কা।

লেট ব্যাটিং অর্ডারে এমন কাউকেই যে খুঁজছিলেন নির্বাচকরা। ম্যাচ শেষে ফারুক আহমেদের নেতৃর্তাধীন নির্বাচক কমিটি স্বস্তি খুঁজল-‘যাক বাবা, তাহলে সমাধান মিলল!’

কিন্তু সেটা ছিল ভুল হিসেব।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চার বছরও এখনো পুরো হয়নি। খেলেছেন ৫৪ ম্যাচের ৪৮ ইনিংস। রান সবে হাজারের কোটা ছুঁয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই সাব্বির রহমান এখন জাতীয় দলের একাদশে সমাধান নয়, বরং সমস্যার অন্য নাম!

নাসির হোসেনের মতো সাব্বির রহমানও মাঠের বাইরের নানান ঘটনায় শুধু ‘ওভারস্টেপিং আর ওভারস্টেপিং’ করে যাচ্ছেন! শাস্তি পাচ্ছেন। কিন্তু শুধরাচ্ছেন কই?

২০১৬ বিপিএলে মাঠের পারফরমেন্সের জন্য সাব্বির যত না বিখ্যাত হলেন তার চেয়ে বেশি আলোচিত হলেন ১৩ লাখ টাকা জরিমানা গুণে।

-১৩ লাখ টাকা জরিমানা!

জ্বি, আপনি ঠিক পড়ছেন। ঠিক কেন বিসিবি তাকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানা করেছে সেটা কখনো মিডিয়ার সামনে বিস্তারিত জানায়নি। শুধু বলেছে শৃংঙ্খলা ভঙ্গ। তবে টিম হোটেলে নিজের কক্ষে সাব্বির যা করেছিলেন সেটা সামাজিক আচরণের মানদণ্ডের ভব্যতা-সভ্যতার সীমারেখা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। অন্তত তাকে করা বিসিবির ১৩ লাখ টাকার জরিমানার বিপুল অঙ্ক সেই সত্যই জানাচ্ছে।

মোটা অংকের জরিমানা করে বিসিবি হয়তো ভেবেছিল সাব্বির শুধরে যাবেন। এই চিন্তায় আরেকবার ঠকল বিসিবি। গেল বছর বিসিএলে খেলার সময় রাজশাহীতে এক কিশোরকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে হেনস্থা করলেন সাব্বির। মাঠে সাব্বির যখন ফিল্ডিং করছিলেন তখন সেই কিশোর তাকে উদ্দেশ্যে করে ‘ম্যাও’ শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন। সাব্বিরের কাছে এটাই নাকি সেই কিশোরের অপরাধ! আর তাই ব্যাট হাতে রান করা ভুলে যাওয়া সাব্বির সেই কিশোরকে পিটিয়ে মাস্তানি দেখালেন!

- দ্যাখ, ব্যাটা আমি কত বড় ক্রিকেটার! আর তুই আমারে ‘ম্যাও’ ডাকোস!

বিসিবি কিশোর হেনস্তার এই অপরাধে সাব্বিরকে আরেকবার শাস্তি দিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে ছয়মাস নিষিদ্ধ হলেন সাব্বির। এমন শাস্তিতে অবশ্য সাব্বির খুশিই হলেন! ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে হচ্ছে না; যাক ফেসবুকে, ম্যাসেঞ্জার চ্যাটিংয়ের সময়টা আরও বাড়ল!

ভাবছেন হয়তো সাব্বির এবার শুধরে যাবেন। আপনার ভাবনায় বড় ভুল। এরই মাঝে বারকয়েক সতীর্থদের সঙ্গেও তার হাতাহাতির খবর চাউর হল। অবশ্য সেটা তিনি ফেসবুক লাইভে এসে পরে অস্বীকারও করলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময় ফেসবুকে এক ভক্তের সমালোচনার জবাবে তিনি যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া দেখালেন সেটা স্রেফে অকথ্য গালিগালাজ। জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটার এই ভাষায় কথা বলতে পারেন সেটা কারো ধারণারও বাইরে।

সাব্বির রহমানের সেই অশ্রাব্য গালাগালির স্ক্রিনশট বার্তা২৪.কমের কাছে রয়েছে। যদিও গা বাঁচাতে সাব্বির পরে বলেছেন তার অফিসিয়াল ফেসবুক সাইট হ্যাক হয়েছিল। তবে বিসিবি জানিয়েছে সাব্বিরের এহেন আচরণের বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। তাকে এই ঘটনার যথাযথ জবাব দিতে হবে।

ব্যাট হাতে ক্রমশ ম্যাচের পর ম্যাচে বাজে পারফরমেন্স। সর্বশেষ এক বছরের বেশি সময় হয়ে গেল, ওয়ানডেতে সাব্বিরের ব্যাটে কোন হাফসেঞ্চুরি নেই। ফিনিসার হিসেবে তার ব্যাট সমাধান খুঁজতে ব্যর্থ হওয়ায় টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে ওয়ানডাউন পজিশনেও ব্যাট করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। কিন্তু সেখানেও ভীষণ অ-ধারাবাহিক তিনি।

ব্যাট হাতে অনুজ্জ্বল পারফরমেন্স। মাঠের বাইরে নিত্য বিতর্ক তৈরি। হামবড়া আচরণ। বারবার শৃংঙ্খলা ভঙ্গ। ভাল টিমমেট হিসেবেও পাসমার্ক মিলছে না। তার কাছ থেকে কিছুই মিলছে না; না সাফল্য, না শিক্ষা, না সমাধান!

একটা জিনিস প্রতিনিয়তই দিচ্ছেন সাব্বির; সমস্যা!

   

লক্ষ্ণৌয়ের কাছে পাত্তাই পেল না মুস্তাফিজের চেন্নাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। চেন্নাইকে ১৭৬ রানে আটকে দিয়ে কুইন্টন ডি কক আর কেএল রাহুলের জোড়া ফিফটিতে এক ওভার এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

লক্ষ্ণৌয়ের একানা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য স্বাগতিকদের পক্ষে ছিল। টস জিতে আগে অতিথিদের ব্যাটিংয়ে পাঠান লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক কেএল রাহুল। আইপিএলের চলতি আসরে দুইশ রানকে মামুলি বানিয়ে ফেলেছে বেশ কয়েকটি দল। তবে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও তাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না চেন্নাই। আইপিএলে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসেও সে 'ম্যাজিক ফিগার' ছোঁয়া হয়নি তাদের।

রবীন্দ্র জাদেজার ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের সঙ্গে রাহানে (৩৬) আর মঈনের (৩০) ছোট দুটি ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় চেন্নাই। শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৯ বলে ২৮ রানের জাদুকরী ক্যামিও'র কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাতে ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৬।

লক্ষ্ণৌয়ের পক্ষে ৩ ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে মুস্তাফিজ-তুষারদের তুলোধুনো করে ওপেনিং জুটিতেই ডি কক-রাহুল মিলে তুলে ফেলেন ১৩৪ রান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজ যখন ডি কককে ধোনির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান, ম্যাচ তখন লক্ষ্ণৌয়ের করতলে। তাই তো সেই উইকেটের উদযাপনও তেমন হল না বললেই চলে। ফেরার আগে ৫৪ রান করে দিয়ে গেছেন ডি কক।

লক্ষ্ণৌকে জয়ের দোরগোড়ায় রেখে মাতিশা পাতিরানার বলে আউট হয়েছেন ৮২ রান করা লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক রাহুল। বাকি কাজটা নির্ঝঞ্ঝাটে সেরেছেন নিকোলাস পুরান (২৩*) ও মার্কাস স্টয়নিস (৮*)।

বল হাতে আরও একবার চেন্নাইয়ের সবচেয়ে খরুচে বোলার মুস্তাফিজ। একটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪৩ রান।

এই জয়ে লক্ষ্ণৌয়ের পয়েন্ট হয়েছে চেন্নাইয়ের সমান ৮। তবে নেট রানরেটের ব্যবধানে চেন্নাই এখন টেবিলের তিনে, আর লক্ষ্ণৌয়ের অবস্থান ৫ নম্বরে।

;

মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, পিছিয়ে থেকেও জয়ী আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘোষিত ফাইনাল! প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ কম ছিল না। ম্যাচের আগেই রাসেল মাহমুদ জিমির তিন হলুদ কার্ডে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গেছে। অন্তত মাঠের খেলা বিতর্ক মুক্ত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের খেলাতেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রইল বিতর্ক। তাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড আগেই শেষ হল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতল আবাহনী। এগিয়ে থেকেও শিরোপা হাতছাড়া মোহামেডানের।

মওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই গোল করে অনেকটা এগিয়ে যায় আবাহনী। তিন মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফ এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়ে যায় তারা।

এর মাঝে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান খেলোয়াড়দের বচসায় খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।

তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজসিকভাবে ম্যাচে ফেরে মোহামেডান। ফয়সাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। প্রথমে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল এবং পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আরও দুই গোল করে মোহামেডানকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন তিনি।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে যখন ঘড়ির কাটায় আর কেবল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি, তখন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ একপ্রকার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুই আম্পায়ার দীর্ঘ আলোচনার পর মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় মিজুন এবং আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান। আর মোহামেডানের সিয়াম, দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাইমউদ্দিনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে মোহামেডানের কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আম্পায়ারদের অনেক আলোচনা হয়। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামেনি তারা।  উপায়ান্তর না দেখে আম্পায়াররা শেষ বাঁশি বাজিয়ে এক কোয়ার্টার এবং আরেক কোয়ার্টারের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি থাকতেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।

২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়ে যায় আবাহনী। এতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট এখন আকাশি-হলুদদেরও। এখন এই দুই দলের মধ্যে প্লে-অফের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। আর যে মোহামেডানের এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করার কথা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা শিরোপার দৌড়েই আর নেই।

;

দারুণ প্রত্যাবর্তনে আবাহনীর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছে আবাহনী। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুই বিদেশির গোল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। আবু তোরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট নেন আব্দুল্লাহ। আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল ঝাঁপিয়ে পড়েও সে শট প্রতিহত করতে পারেননি।

২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। দলটির অধিনায়ক ইগর লেইতে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়।

মিনিট দুয়েক পরই এই মিসের মূল্য চুকাতে হয় শেখ জামালকে। বাম প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নেলিয়াসের শেখ জামালের শট শাখজদ শেমানভ ব্লক করলেও ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্দেস।

সমতায় ফেরার পর দাপট বাড়ে আবাহনীর। ৩৩ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান প্রথম গোলের নায়ক জোনাথান। কিন্তু শেখ জামাল গোলকিপারকে এক পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর কোনো ভুল করেনি আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে জোনাথানের থ্রু বল ধরে কর্নেলিয়াসের দিকে পাস বাড়ান ওয়াশিংটন। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেই কর্নেলিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আকাশি-হলদুরা।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। তবে হেরে যাওয়ার ফলে পাঁচে নেমে গেছে সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পয়েন্ট ১৭।

;

‘হকির স্বার্থে’ অঘোষিত ফাইনালে খেলছে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) আবাহনী-মোহামেডানের অঘোষিত ফাইনালের আগেও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। তিন হলুদ কার্ড দেখা মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরগরম হকির মাঠ।

জানা গেছে, কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে বাইলজ অনুযায়ী সেই দলকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার কথা তার দলকে ফেডারেশনের জানানোর কথা। তবে এক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন সেটা না করে বরং তিন হলুদ কার্ড দেখার পর জিমিকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে আজ তার মাঠে নামার সুযোগ নেই।

এই বিষয়টি নিয়েই মুখোমুখি অবস্থানে  চলে এসেছিল মোহামেডান এবং হকি ফেডারেশন। আজ আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উঠবে সাদাকালোদের হাতে। অথচ এমন একটা ম্যাচ তারা না খেলার হুমকি দিয়েছিল জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে।

শেহস পর্যন্ত অবশ্য তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ‘হকির স্বার্থে’ তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সঙ্গে এও জানিয়ে রেখেছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়তে পিছপা হবেন না তারা।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৫। অন্যদিকে আবাহনীর ৩৪ ও মেরিনার্সের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। মোহামেডানকে আবাহনী হারিয়ে দিলে মেরিনার্সের মতো তাদের পয়েন্টও হবে ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী তখন আবাহনী-মেরিনার্স প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে শিরোপা। মোহামেডানের জন্য হিসেব সহজ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান-আবাহনী ড্র করলে শিরোপা উৎসব করবে মেরিনার্স।

;