ইরফানের বিশ্বরেকর্ড, ৪-৩-১-২!
টেস্ট ক্রিকেটেও এমন আগুণ ঝরা বোলিংয়ের দেখা মিলে না! ভাবা যায় ৪ ওভারে মাত্র এক রান দিলেন তিনি। তুলে নিলেন ২ উইকেট। ৪-৩-১-২! বিস্ময়কর হলেও সত্য এটাই মোহাম্মদ ইরফানের বোলিং ফিগার।
ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) এমন বোলিংয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন পাকিস্তানের এই পেসার ইরফান। টি-টুয়েন্টিতে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড এটিই।
যদিও ইরফানের এই রেকর্ড গড়া বোলিংও জেতাতে পারেনি বারবাডোজ ট্রাইডেন্টসকে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। শনিবার (বাংলাদেশ সময় রোববার) সিপিএলের ম্যাচে বারবাডোজের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতেছে সেন্ট কিটস।
যদিও ব্যাটিং-বোলিং কিছুই পাননি মাহমুদউল্লাহ। তার আগেই জয় তুলে নেয় ক্রিস গেইলের দল। এনিয়ে ৫ ম্যাচে তিন জয়ে শীর্ষে আছে সেন্ট কিটস।
ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বারবাডোজের শুরুটা ভাল ছিল না। ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছেন দুই ওপেনার ডোয়াইন স্মিথ (২৭ বলে ২০) ও মার্টিন গাপটিল (১৯ বলে ১৯)। তবে জেসন হোল্ডার ঝড় তুলে দলকে ভাল সংগ্রহ এনে দেন। তিনি করেন ৩৫ বলে ৫৪ রান। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে দল তুলে ১৪৭ রান।
জবাব দিতে নামা মাহমুদউল্লাহর দলটাকে চেপে ধরেছিলেন ইরফান। শুরুতেই ফিরিয়ে দেন ক্রিস গেইলকে। এরপর এভিন লুইসকেও সাজঘরের পথ দেখিয়ে দিলে মহা বিপর্যয়ে পড়ে। প্রথম ওভারই মেডেন উইকেট। বিস্ময়কর ভাবে পরের ওভারেও রান দেননি ইরফান। এমন কী চতুর্থ ওভারের প্রথম পাঁচ বল পর্যন্ত রান দেননি এই পেসার। এভাবেই চার ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে টি-টুয়েন্টিতে গড়েন মিতব্যয়ী বোলিংয়ের বিশ্বরেকর্ড।
টি-টুয়েন্টিতে পুরো ৪ ওভার বোলিং করে সবচেয়ে কিপটে বোলিংয়ের আগের রেকর্ড ছিল ক্রিস মরিস ও চানাকা ভেলেগেদারার দখলে। ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার র্যাম স্ল্যাম চ্যালেঞ্জে হাইভেল্ড লায়ন্সের হয়ে ৪ ওভারে ২ রান দেন মরিস। ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ৪ ওভারে ২ রান দেন তামিল ইউনিয়নের বোলার ভেলেগেদারা।
কিন্তু রেকর্ড গড়েও দলকে জেতাতে পারেন নি ইরফান। কারণ সতীর্থরা তাকে সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেন নি। এ সুযোগে সেন্ট কিটসের ব্রেন্ডন কিং ৪৯ বলে করেন ৬০ রান। একইসঙ্গে ডেভন টমাসের ব্যাটে ২৯ বলে ৩২। কম যাননি বেন কাটিং (২১ বলে ২৯)। তারই পথ ধরে দল পেয়ে যায় ১৮.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে সহজ জয়।
ব্যাট হাতে নামার সুযোগই মিলেনি টাইগার ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।