ফুটবলে বোল্টের স্বপ্নের অভিষেক
তাকে এখন শুধুই অ্যাথলিট পরিচয়ে বন্ধী করে ফেলার দিন শেষ!
স্বপ্নপূরণ হয়েছে উসাইন বোল্টের। কিংবদন্তি এই স্প্রিন্টার এখন পেশাদার ফুটবলারও। অলিম্পিক গেমসে আট সোনা জয়ী এই জ্যামাইকান ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেন। শুক্রবার রাতে অভিষেক হল তার।
অস্ট্রেলিয়ার ‘এ’ লিগের মৌসুম-পূর্ব একটি প্রীতি ম্যাচে সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে মাঠে নামলেন বোল্ট। পুরোটা সময় নয়, ২০ মিনিট খেলেন তিনি। কোচ লেফট উইংয়ে রাখেন তাকে। গতিমানবের জন্য পেশাদার ফুটবলে অভিষেকটা সহজ ছিল না। কারণ আগেই তিনি বলেছিলেন, দৌড় আটকানোটা তার জন্য বেশ কঠিন। বল পায়ে জমাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকে।
তবে নিরলস অনুশীলন করার সুফল মিলেছে। এমনিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্ত বোল্ট সুযোগ পেলেই বল নিয়ে কারিকুরি করতেন। গতবছর অ্যাথলেটিক্স থেকে অবসরের পরই ফুটবলে মনোযোগ দেন। ৩২ বছর বয়সে নাম লেখালেন পেশাদারি ফুটবলার জগতে।
গতি মানবের ম্যাচটি দেখার জন্য অাগ্রহের কমতি ছিল না। ১০০ মিটার স্প্রিন্টের বিশ্বরেকর্ড গড়া এই তারকা ফুটবলে কেমন করেন সেটা দেখতে গোটা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমীদের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। এমনিতে মেরিনার্সের মাঠে গড় দর্শক ২ হাজার ৫০০ হলেও বোল্টের কারণে এদিন প্রায় দশ হাজার দর্শক মাঠে হাজির হয়। আর টেলিভিশনে ম্যাচ দেখেন ৬০টি দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।
অভিষেকে তেমন একটা ম্যাজিক দেখাতে না পারলেও জিতেছে বোল্টের দল সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্স ক্লাব। স্থানীয় সেন্ট্রাল কোস্ট সিলেক্ট দলকে তারা হারিয়েছে ৬-১ গোলে!
তিনি ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে গতির ঝড় তোলা সর্বকালের সেরা স্প্রিন্টার। সেই বোল্ট ফুটবল মাঠে নামার আগে ভয়ই পেয়েছিলেন। ম্যাচ শেষে জানাচ্ছিলেন, ‘শুরুতে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। তবে মাঠে নামার পর সব ভয়, শঙ্কা উড়ে চলে যায়। আমি আরেকটু ভাল খেলতে পারতাম। কিন্তু পুরোপুরি ফিট নই আমি। এই ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে পরিশ্রম চালিয়ে যাবো। আশা করছি একটা সময় ছন্দের দেখা মিলবেই।’
অক্টোবরে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ‘এ’ লিগ। এই পেশাদার লিগে সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে খেলতে প্রস্তুত উসাইন বোল্ট।